জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস আজ। বই পড়ি, স্বদেশ গড়ি। জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস প্রথম বারের মত করা হচ্ছে এজন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। বই পড়ে জীবনের অন্ধকার দূর করা সম্ভব। শিক্ষাই আলো । শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়া দিয়ে হবে না। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি গ্রন্থাগারে যেতে হবে। বিভিন্ন রকমের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এর মাধ্যমে সমাজে আলোক বর্তিকা প্রজ্বলন করতে পারি। আন্দ্রে মালরো যখন ফ্রান্সের সংস্কৃতি মন্ত্রী তখন তিনি ফ্রান্সের গ্রামে গঞ্জে গ্রন্থাগার গড়ে তোলেন।
ফ্রান্সের জনগণ বলে যে, আন্দ্রে মালরোর সে সিদ্ধান্ত ফ্রান্সের জনগণের শিক্ষাকে অনেক গুণে বর্ধিত করেছে। বাংলাদেশের মানুষের হয়তো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কম, কিন্তু তাদের সাহিত্য চর্চা বেশি। বই পড়ার প্রতি যে বাংলাদেশের মানুষের প্রবল আকর্ষণ রয়েছে, সেটা আমরা লক্ষ্য করি প্রতি বছর যখন অমর একুশে বইমেলায় উপস্থিত হয়। বইমেলায় মানুষের ঢল দেখে বোঝা যায়, তারা কতটা বইপ্রেমী।
এত মানুষ, তারা কিভাবে বই কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন, বই পড়তে চাচ্ছেন তা দেখে বাংলাদেশের সাহিত্য সম্বন্ধে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়। প্রতিবছর জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালনের মাধ্যমে বই পড়ার আন্দোলনকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো অনেকদূর।