৩৭ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বিভিন্ন সময় আটক হওয়া বাংলাদেশিসহ ৬৮ জন বন্দিকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। সাজা শেষ হওয়ার পর তাদের দেশে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পেকান নেনাস ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপো ও জোহর রাজ্যের অভিবাসন বিভাগ।
রাজ্যের অভিবাসন বিভাগ ১৭ আগস্ট এক বিবৃতিতে জানায়, পেকান নেনাস অভিবাসন বিভাগের বন্দিশিবির থেকে সরাসরি কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কেএলআইএ-১ এবং কেএলআইএ টার্মিনাল-২ এর পাশাপাশি সেনাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এলটিএএস) এর মাধ্যমে ৩৭ বাংলাদেশি, ১৪ চীনা, ১৫ ইন্দোনেশিয়ান ও নেপালি একজন এবং একজন থাই নাগরিকসহ মোট ৬৮ জন বন্দিকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং অভিবাসন প্রবিধান ১৯৬৩-এর পাশাপাশি অন্যান্য এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি আইনের অধীনে বিভিন্ন অপরাধের জন্য সাজা শেষে তাদের নিজ নিজ জাতীয় দূতাবাস থেকে নাগরিকত্ব যাচাই পাস পাওয়ার পর আকাশ ও স্থল পথে নিজ খরচে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
সেই সঙ্গে তারা যেন ফের মালয়েশিয়ায়া প্রবেশে করতে না পারে সেজন্য তাদের করা হয় ‘কালো তালিকাভুক্ত’।
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বিভিন্ন সময় আটক হওয়া বাংলাদেশিসহ ৬৮ জন বন্দিকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। সাজা শেষ হওয়ার পর তাদের দেশে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পেকান নেনাস ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপো ও জোহর রাজ্যের অভিবাসন বিভাগ।
রাজ্যের অভিবাসন বিভাগ ১৭ আগস্ট এক বিবৃতিতে জানায়, পেকান নেনাস অভিবাসন বিভাগের বন্দিশিবির থেকে সরাসরি কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কেএলআইএ-১ এবং কেএলআইএ টার্মিনাল-২ এর পাশাপাশি সেনাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এলটিএএস) এর মাধ্যমে ৩৭ বাংলাদেশি, ১৪ চীনা, ১৫ ইন্দোনেশিয়ান ও নেপালি একজন এবং একজন থাই নাগরিকসহ মোট ৬৮ জন বন্দিকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং অভিবাসন প্রবিধান ১৯৬৩-এর পাশাপাশি অন্যান্য এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি আইনের অধীনে বিভিন্ন অপরাধের জন্য সাজা শেষে তাদের নিজ নিজ জাতীয় দূতাবাস থেকে নাগরিকত্ব যাচাই পাস পাওয়ার পর আকাশ ও স্থল পথে নিজ খরচে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
সেই সঙ্গে তারা যেন ফের মালয়েশিয়ায়া প্রবেশে করতে না পারে সেজন্য তাদের করা হয় ‘কালো তালিকাভুক্ত’।
|
|
|
|
মালয়েশিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে দুই বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন আরও চার বাংলাদেশি। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ভোরে সেলাঙ্গর রাজ্যের বান্ডারবারু বাঙ্গির তামান ইন্ডাস্ট্রি সোলেমানের একটি ছাপাখানায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।সেলাঙ্গর রাজ্যের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের (জেবিপিএম) সহকারী অপারেশন ডিরেক্টর মোহামাদুল এহসান মোহাম্মাদ জেইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা ১৪ মিনিটে ফোনে আগুন লাগার খবর পান। এরপর বান্ডারবারু বাঙ্গি ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ স্টেশন (বিবিপি), কাজাং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ স্টেশন (বিবিপি), সেমেনিহ ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ স্টেশন (বিবিপি) এবং সেরদাং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ স্টেশন (বিবিপি) থেকে ৩৬ জন কর্মকর্তা-কর্মী দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। আগুন নিয়ন্ত্রণে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা জানান, আগুন লাগার পর বাংলাদেশি ছয় শ্রমিক ওই কারখানায় আটকা পড়েন। তাদের মধ্যে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও দুজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। তবে তাদের পরিচয় জানায়নি পুলিশ। হাসপাতালে দগ্ধদের চিকিৎসা চলছে। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য দুজনের মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মোহামাদুল এহসান মোহাম্মাদ জেইন বলেন, ছাপাখানাটি ৬০/৮০ বর্গফুট আয়তনের। এতে বায়ু চলাচলের পর্যাপ্ত জায়গা ছিল না। এ কারণে আগুন লাগার পর ধোঁয়ায় নিশ্বাস নিতে না পেরে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।পরে দমকল কর্মীরা ভোর ৪টা ৪৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুন লাগার কারণ জানার চেষ্টা চলছে। ঘটনা তদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
|
|
|
|
ডিটিভি বাংলা নিউজঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কানাডায় অবস্থানরত বঙ্গবন্ধু হত্যার খুনি নূর চৌধুরী, আমেরিকায় রাশেদ চৌধুরী এবং মেজর ডালিমকে পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে নিয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নিয়ে জাতিকে অভিশাপ মুক্ত করতে হবে। নূরকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য আমরা আইনি লড়াই করছি। স্থানীয় সময় রবিবার টরন্টো মেট্রো কনভেনশন সেন্টারে তাকে দেয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা আরো বলেন, প্রবাসীরা যেমন দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে, তেমনি অর্থনীতিকেও মজবুত করে। আমরা শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলছি। আপনারা সেখানে বিনিয়োগ করুন। মহিলা এবং প্রবাসীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি প্রাণোজ্জ্বল এবং দীর্ঘ রাজনৈতিক বক্তৃতায় তার সরকারের নানা উন্নয়ন আর সাফল্যের চিত্র তুলে ধরে বলেন, আমাদের অর্জন আকাশ থেকে সমুদ্রের তলদেশ পর্যন্ত। আমরা যেমন স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আকাশ বিজয় করতে সক্ষম হয়েছি, তেমনি সাব মেরিনের মাধ্যমে সমুদ্র বিজয় করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরির মাধ্যমে স্বল্পোন্নত থেকে দেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। যার ফল পাচ্ছে, দেশের সাধারণ মানুষ। এখন দেশের ৯৩% মানুষ বিদ্যুত পাচ্ছে। আমরা জরিপ করে দেখেছি, দেশে এখন মাত্র দুই লাখের মানুষ ভূমিহীন। আমরা তাদের জন্যও কর্মসূচি নিচ্ছি। শেখ হাসিনা আরো বলেন, বাইরে দেখালাম, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। আমি মুক্তি দেয়ার কে? আমি তো মামলা দেয়নি, বিচারও করিনি। জেলে দিয়েছেন, তার তিন প্রিয় ইয়াজউদ্দিন, ফখরুদ্দীন আর মঈনুদ্দিন। আর বিচার করেছেন আদালত। তার দলের এতো শিক্ষিত শিক্ষিত আইনজীবীরা কি করলেন?
আমি যদি রাজনৈতিক ভাবে জেলে দিতাম, তাহলে তিনি যখন বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারলেন, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে পবিত্র কোরান পুড়ালেন, গাছ কেটে সাবার করলেন, তখন মামলা দিয়ে পারতাম। আমি তো তা করিনি। বরং কোকো মারা গেলে আমি সমবেদনা জানানোর জন্য বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যাই। কিন্তু আমাকে তার বাসায় ঢুকতে দেননি। অথচ স্বাধীনতার পর মেজর জিয়া এবং বেগম জিয়া কত বার যে আমার বাসায় গেছেন। যায় ফলে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত হতে পেরেছিলেন। তিনি আরো বলেন, আমি আট বছর প্রবাসের দুর্বিসহ রিফুজি জীবন-যাপন করে নানান প্রতিকূল অতিক্রম করে দেশে গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি, আমার পিতার অসমাপ্ত স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য। যিনি একটি প্রদেশকে নয় মাসের যুদ্ধের মাধ্যমে মুক্ত করে স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা দেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটিকে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্য জাতিসংঘ, ওআইসি ইত্যাদি আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি আদায় করে দেশ গড়ার প্রস্তুতি নেন। তখনই জিয়াউর রহমান-মুশতাকেরা প্রেসিডেন্ট সাইয়েমকে সরিয়ে দিয়ে অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখল করে। পরে হা/না ভোটে দল গঠন করে নস্যাৎ করে দেয় গণতন্ত্র। স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী বানান। শেখ হাসিনা আরো বলেন, জি-৭ ধনী রাষ্ট্রের সম্মেলন। আজ বাংলাদেশ এই সম্মেলনে যোগদানের পেছনে রয়েছে উন্নতশীল দেশ হিসেবে মর্যাদা লাভ। স্থানীয় ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে গোলাম মাহমুদের সভাপতিত্বে এবং আজিজুর রহমান প্রিন্সের পরিচালনায় সংবর্ধনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল হক হানিফ, আব্দুস সালাম এবং সেলিম জুবেরী। আগামীকাল টরন্টো থেকে শেখ হাসিনা দেশের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে সকালে কানাডার মিয়ানমার বিষয়ক দূত বব রে, কানাডার সাসকাচোয়ান প্রদেশের উপ প্রধানমন্ত্রী জেরেমি হ্যারিসন এবং কমার্শিয়াল কোঅপারেশন অব কানাডার প্রেসিডেন্ট মার্টিন জাবলোকির সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন। তিনি কানাডার স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরে টরন্টো থেকে দেশের পথে রওনা হবেন এবং দুবাইয়ে যাত্রাবিরতি করে মঙ্গলবার রাতে ঢাকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
|
|
|
|
ডিটিভি বাংলা নিউজঃ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশি অধ্যুষিত ব্রুকলিনের ফ্ল্যাটবুশ এলাকায় স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তের গুলিতে আরিফুল ইয়াকুব রনি (২৪) নামে এক যুবক খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো এক বাংলাদেশি যুবক ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। নিহত রনির গ্রামের বাড়ি ফেনীর দাগনভূইয়া উপজেলায়। পরিবারের সঙ্গে রনি ব্রকুলিনের চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড এলাকায় বসবাস করতেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে নিউইয়র্ক পুলিশ জানায়, ব্রুকলিনের ৫৫০ ওশেন অ্যাভিনিউতে অবস্থিত অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের সামনে চার যুবক ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে রনিকে গুলি করা হয়। একই সময়ে রনির সঙ্গে থাকা আরেক বাংলাদেশি যুবককেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। রনিকে কিংস কাউন্টি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত আরেক বাংলাদেশিকে নেয়া হয়েছে মায়মনিডেস হাসপাতালে। তার নাম এখনো প্রকাশ করেনি পুলিশ। রনির খালু ফরহাদ হোসেন জানান, রনি ট্যাক্সি চালিয়ে লেখাপড়ার খরচ নির্বাহ করতেন। কী কারণে ওই অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে গিয়েছিল এবং তার সঙ্গে থাকা যুবকটি কে, তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
|
|
|
|
ডিটিভি বাংলা নিউজঃ সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশী অভিবাসী পেশাজীবীদের সাথে দেশে বিনিয়োগ, জনসেবা ও বিশেষজ্ঞ সংযুক্তি নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার রিয়াদের ম্যরিয়ট হোটেলে স্থানীয় ব্যবসায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পেশার প্রবাসীগণ আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব (প্রেস) মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাক্তার মো. কবিরাজ। সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার ড. আবুল হাসান প্রবাসী বাংলাদেশীদের অভিজ্ঞতা, মেধা, বিনিয়োগ ও জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে অবহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে আসার জন্য প্রবাসীদের আহবান জানান রাষ্ট্রদূত।
অনুষ্ঠানে মিশন উপ প্রধান ড. নজরুল ইসলাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রবাসীদের সকল ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়নে সম্পৃক্ত হওয়ার আহবান জানান।
আলোচনা সভায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে কিং সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. রেজাউল করিম ও ড. মহসিন কাজী বাংলাদেশে গবেষণা, শিক্ষকতা ও বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া রিয়াদ বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতা এম আর মাহবুব দেশে সহজে বিনিয়োগ করার জন্য দূতাবাসের মাধ্যমে সরকারের সহায়তা কামনা করেন। আলোচনা অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী, প্রকৌশলী, চিকিৎসকগন বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের আগ্রহ ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওছার। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
|
|
|
|
ডিটিভি বাংলা নিউজঃ গত সপ্তাহে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল সফর দুই দেশের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও জনগণের মধ্যকার সম্পর্ককে আরো বেশি শক্তিশালী করেছে। বৃহস্পতিবার নয়া দিল্লীতে ভারতের নারী সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে গেলে এ মন্তব্য করেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী।
প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী বলেন, ঢাকা ও দিল্লি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সম্পর্কের সোনালী দিনগুলো পার করছে। হাসিনা ও মোদী দুজনেই তাদের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো নতুন উচ্চতায় নেয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। জনগণের উন্নয়ন ও পারস্পরিক অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে দুই ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশের নেতাই সম্পর্ক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছেন।
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ভারতের মানবিক সহায়তার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানান হাইকমিশনার। তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন টেকসই ও নিরাপদ করার জন্য বাংলাদেশকে ভারত সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছে বলেও এসময় হাইকমিশনার জানান।
|
|
|
|
ডিটিভি বাংলা নিউজঃ রাশিয়ার সম্ভাবনাময় বিশাল বাজার ধরতে মস্কোতে শুরু হয়েছে তিনদিনব্যাপী বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও পাটজাত পণ্যের প্রদর্শনী মেলা। ‘টেক্সটাইল অ্যান্ড জুট ফেয়ার ২০১৮’ নামের এই একক প্রদর্শনী মেলা সোমবার মস্কোর রেডিসন হোটেলে শুরু হয়েছে। মেলা চলবে বুধবার পর্যন্ত। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. এস এম সাইফুল হক, তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, রাশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর ড. আশফাকুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর অন্যতম রাশিয়া। দেশটিতে তৈরি পোশাক খাতেরও রয়েছে বিশাল বাজার। আর এই বাজার জয় করতেই বাংলাদেশ সরকার রাশিয়ায় প্রথমবারের মতো একক মেলার আয়োজন করেছে। ব্যাংকিং ও শুল্ক বাধা দূর করা গেলে ইউরোপ ও আমেরিকার পর অন্যতম বাজার হবে রাশিয়া। সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের অনেক পুরনো ও বিশ্বস্থ বন্ধু। পারমাণবিক বিদ্যু প্রকল্প এবং মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানোসহ অনেক ক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে যেসব বাণিজ্য বাধা রয়েছে, রাশিয়া সেসব অচিরেই দূর করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। জানা গেছে, বাংলাদেশের মোট রফতানি আয়ের মাত্র দেড় শতাংশ আসে রাশিয়া থেকে। চলতি অর্থবছরের গত মার্চ পর্যন্ত রাশিয়ায় ৩৪ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। তবে দেশটিতে তৈরি পোশাক বাজার ৫২ বিলিয়ন ডলারের। আলোচ্য সময়ের মোট রফতানির মধ্যে ৩০ কোটি ডলারই এসেছে পোশাক থেকে। বাকি চার কোটি ডলারের মধ্যে পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে দেড় কোটি ডলার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সদস্য বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান এমপি ও ডা. মো. এনামুর রহমান এমপি। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাংলাদেশ দূতাবাস এ প্রদর্শনীর আয়োজন করছে। প্রদর্শনী থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত উজবেকিস্থান, বেলারুশ, কাজাখস্তান, কিরগিস্তান, মলদোভা, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান ও তাজিকিস্তানে বাজার বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে।
|
|
|
|
মালয়েশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পাহাংয়ের মহাসড়কে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে গিয়ে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। এতে অন্তত দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ছয়জন।
বৃহস্পতিবার সকালে পাহাংয়ের রাজধানী কুয়ানতানের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলের মহাসড়কের কেএম১২১.৪ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
|
|
|
|
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তার নাম আবু সুফিয়ান স্বপন। ৪৩ বছর বয়সী সুফিয়ান একজন ব্যবসায়ী। বাড়ি নোয়াখালীতে।
বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে জোহানেসবার্গের মেফেয়ার এলাকায় নিজ বাসার সামনে তাকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। নিহত সুফিয়ান নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের হাজী আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় জোহানেসবার্গের মেফেয়ার এলাকায় বাসা থেকে বের হয়ে নিজের গাড়ি নিয়ে মার্কেটে যাচ্ছিলেন সুফিয়ান। এ সময় কৃষ্ণাঙ্গ কয়েকজন সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়লে গুলিবিদ্ধ হয়ে গাড়িতে লুটিয়ে পড়েন সুফিয়ান। স্থানীয়রা উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আবু সুফিয়ান স্বপন একসময় বেলকম শহরে থাকতেন। পরে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী জোহানেসবার্গে ও সুয়েটু শহরে ব্যবসা চালু করেন।
|
|
|
|
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তার নাম আবু সুফিয়ান স্বপন। ৪৩ বছর বয়সী সুফিয়ান একজন ব্যবসায়ী। বাড়ি নোয়াখালীতে।
বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে জোহানেসবার্গের মেফেয়ার এলাকায় নিজ বাসার সামনে তাকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। নিহত সুফিয়ান নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের হাজী আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় জোহানেসবার্গের মেফেয়ার এলাকায় বাসা থেকে বের হয়ে নিজের গাড়ি নিয়ে মার্কেটে যাচ্ছিলেন সুফিয়ান। এ সময় কৃষ্ণাঙ্গ কয়েকজন সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়লে গুলিবিদ্ধ হয়ে গাড়িতে লুটিয়ে পড়েন সুফিয়ান। স্থানীয়রা উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আবু সুফিয়ান স্বপন একসময় বেলকম শহরে থাকতেন। পরে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী জোহানেসবার্গে ও সুয়েটু শহরে ব্যবসা চালু করেন।
|
|
|
|
সৌদি আরবের জেদ্দা শহরের বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চাকরি হারাবেন কর্মরত প্রবাসীরা। সেখানে শত শত প্রবাসীদের চাকুরিচ্যুত করে সৌদি নাগরিকদের নিয়োগ দেয়া হবে। স্থানীয় সময় শনিবার আল আরাবিয়ার বরাত দিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করেছে সৌদি গেজেট। জেদ্দা এয়ারপোর্টের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল-রাইমি সব এয়ারলাইসন প্রতিষ্ঠানকে এ নির্দেশ দেন। সেখানে বলা হয়, বিমানবন্দরটিতে প্রবাসীদের সরিয়ে ১ হাজার ৫০০ সৌদি নাগরিককে নিয়োগ দেয়া হবে। এই নির্দেশ খুব শিগগিরই বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। সরকারি এই নির্দেশটি ঠিকঠাকভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা তা দেখতে বিমানবন্দরে একটি দল নিয়মিত পরিদর্শনও করবে বলে জানা গেছে। সৌদি আরবের তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দেশটির কর্মক্ষেত্র সৌদিকরণের জন্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে জেদ্দা বিমানবন্দরের মুখপাত্র তুর্কি আল তৈয়িব।
|
|
|
|
বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস যথাযথভাবে উদ্যাপিত হয়েছে পর্তুগালে।
পর্তুগালে গতকাল ১৭ মার্চ বিকাল ৪টায় লিসবনের কানাই অডিটোরিয়াম, ফোরাম মাল্টিকালচারাল হলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও শিশু দিবস পালন করা হয়। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পর্তুগালের বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবন।
পুরো অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনের রাষ্ট্রদূত মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকী, সঞ্চালনায় ছিলেন দূতালয় প্রধান হাসান আব্দুল্লাহ তৌহিদ। শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। চিত্রাঙ্কন ছাড়াও নানা ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এর মধ্যে অন্যতম ছিলো মার্বেল দৌড়, বল নিক্ষেপ, লক্ষ্যভেদ। এতে বাংলাদেশি শিশুদের সঙ্গে পর্তুগিজ শিশুরা ছাড়াও বিভিন্ন দেশের অভিবাসী শিশুরা অংশ নেয়। শনিবার পর্তুগালে সাপ্তাহিক শনিবার হওয়ায় বিপুল সংখ্যাক বাংলাদেশী পরিবার ও শিশুরা অংশগ্রহন করেন।
বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়া শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন রাষ্ট্রদূত জনাব রুহুল আলম সিদ্দিকী এবং স্ত্রী জনাবা রিমা আরা।
প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় রাষ্ট্রদূত মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের কথা কারও অজানা নয়। বঙ্গবন্ধু তরুণ বয়স থেকেই কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি। অন্যায় অসঙ্গতি দেখলেই প্রতিবাদ করেছেন। আজকের শিশু কিশোর আর তরুণদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রানিত হতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার সম্ভব হবে।
সবশেষে শিশুদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটেন রাষ্ট্রদূত জনাব রুহুল আলম সিদ্দিকী এবং উপস্থিত নেতৃবৃন্দ। আলাদা করে কেক কেটে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন করেন পর্তুগাল আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা।
|
|
|
|
সিলেটে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর হামলার প্রতিবাদ, নিন্দা কানাডায় অব্যাহত রয়েছে। শনিবার মন্ট্রিয়লে অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা। মন্ট্রিয়লের পার্ক মেট্রোর সামনে স্থানীয় দুপুরে প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহের মাঝে বিপুল সংখ্যক প্রবাসীরা বিভিন্ন রকমের ফেস্টুন নিয়ে এ মানববন্ধনে উপস্থিত হন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি নেতা শ্যামল দত্ত, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মুহিবুর রহমান, অধ্যক্ষ ফণিন্দ্র ভট্টাচার্য, সাংবাদিক শামসাদ রানা, অ্যাডভোকেট অমলেন্দু ধর, ইউএনডিপির কর্মকর্তা রুমা খন্দকার, লেখক বিদ্যুৎ ভৌমিক, মুক্তিযোদ্ধা রশীদ খান, উদীচী মন্ট্রিয়লের সভাপতি বাবলা দেব, কমিউনিটি নেতা রনজিৎ মজুমদার, লেখিকা ও উপস্থাপিকা শর্মিলা ধর প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কানাডা-বাংলাদেশ সলিডারিটির সভাপতি জিয়াউল হক জিয়া।
শান্তিপূর্ণ এই প্রতিবাদ সভা বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিরোধী শক্তি উত্থানে গভীর উৎকণ্ঠা প্রকাশ এবং হামলাকারীর শাস্তি দাবি করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জঙ্গি ও সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে বাংলাদেশ কখনো পরাজিত হবে না। মানবিক মূল্যবোধের শক্তি দিয়ে এগুলো প্রতিরোধ করতে হবে। যে দেশ পাকিস্তানকে পরাস্ত করে স্বাধীন হয়েছে সে দেশ জঙ্গিবাদকেও পরাস্ত করতে পারবে।
এদিকে টরন্টোতেও তার হামলার তীব্র প্রতিবাদে ৪ মার্চ (রবিবার) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় টরন্টোর বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাঙালি অধ্যুষিত ড্যানফোর্থ এভিনিউয়ের ঘরোয়া রেস্টুরেন্টের সামনে এক প্রতিবাদী বিক্ষোভে অংশ নেন। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা হাওয়ার মধ্যেও স্বতস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ সভায় টরন্টো ফিল্ম ফোরাম, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কানাডা শাখা, পিডিআই কানাডা, শাহ্জালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এতে বক্তারা বলেন, মুক্তচিন্তার কণ্ঠরোধ করার জন্য অপশক্তির ধারক বাহকদের প্রতিহত ও নির্মূল করতে হবে।
ইতোপূর্বে এই ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র প্রতিবাদ করে কানাডা প্রবাসী লেখক-সাংবাদিক-সাংস্কৃতিককর্মীরা নিন্দা জানিয়েছেন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
|
|
|
|
ফায়সালিয়া দারুস সালাম মসজিদ কমপ্লেক্স মিলনায়তনে স্থানীয় সময় রবিবার বাদ এশা হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সৌদি আরবের জেদ্দা সহসভাপতি মাওলানা আবুল কালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আমীরে হেফাজতের জামাতা ও রাঙ্গুনিয়া মেহরিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা ইসহাক নুর, সৌদি আরব রিয়াদ শাখার সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর সালাম পাটোয়ারী, জেদ্দা নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল খালেক নিজামী, মাওলানা হারিস উদ্দীন, মাওলানা আবদুল মুকীত, সাংবাদিক আলহাজ আবু সাঈদ। কুরআন তেলাওয়াত করেন কারী ইসমাঈল খলিল।
|
|
|
|
সৌদি আরবের ফ্যাশন রিটেইল কোম্পানি আল হকার দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত কাজ করছেন জহিরুল ইসলাম ও গোলাম সরওয়ার। বর্তমানে কাজ নেই। সৌদি সরকারের নতুন আইন অনুযায়ী তাদের জায়গায় সৌদি নাগরিক নিয়োগ হচ্ছে। কোম্পানির অন্য কোথাও কর্ম খালি না থাকায় তাদের ট্রান্সফার নিয়ে বাহিরে কাজ করতে বা দেশে ফিরে যাওয়ার নোটিস দেয়া হয়েছে।
তাদের মত ১০ লাখ বাংলাদেশিসহ ১ কোটি ৭৯ লাখ কর্মী কাজ করছেন সৌদি আরবের বিভিন্ন ক্ষেত্রে। যাদের সবার ভাগ্যে ঘটতে যাচ্ছে একই পরিনতি। সৌদি ভিশন-২০৩০ অনুযায়ী, খুচরা দোকানগুলোতে ১৫ লাখ শ্রমিক রয়েছে। এদের মধ্যে মাত্র ৩ লাখ সৌদি নাগরিক।
সৌদি আরবে শ্রমিকদের চাকরি হারানো সংক্রান্ত এ বছরে প্রথম ধাক্কাটি আসে গত বছর ২১ এপ্রিল। সৌদি প্রশাসন একটি নির্দেশিকা জারির মাধ্যমে জানায়, এখন সৌদি আরবের শপিংমলগুলোতে প্রবাসীরা চাকরি করতে পারবেন না। দেশটির নাগরিকদের দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সরকার। এই সিদ্ধান্ত কাযকর করায় সৌদিতে শপিংমলে কর্মরত কয়েক হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কর্মীর চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে তারা পুনরায় চুক্তি করবে না, এমনটাই জানাযন দেশটির শ্রম দপ্তরের মুখপাত্র খালেদ আবাল খাইল।
ভঙ্গুর অর্থনীতি- বার্ষিক বাজেট ঘাটতি, ইয়েমেনের সাথে পড়শি সংঘাতসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত সৌদি আরব। পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ভিশন ২০৩০ ঘোষণা করে। যাতে সৌদি নাগরিকদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির করতে প্রবাসীদের ওপর ১২ ধরণের কাজে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যার মধ্যে রয়েছেন নির্মাণ ও পোশাক খাতের শ্রমিকরা।
সৌদি প্রবাসীরা ১২ ধরনের প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারবেন না। সম্প্রতি সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত আইন জারি করেছে। ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়ন ও সৌদি নাগরিকদের কর্মসংস্থান বাড়াতে দেশটিতে মোবাইল, বোরকার দোকান, রেন্টে কার, একাউন্টিং, নারীদের তৈরি পোশাকের দোকানের পর এবার নতুন করে ১২ ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবাসীদের কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সৌদির শ্রম মন্ত্রণালয়।
জেদ্দায় বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল জেনারেল এফ এম বোরহান উদ্দিন মনে করেন নতুন আইন অনুযায়ী, চশমা, ঘড়ি, বাড়ি বা গৃহ নির্মাণ সামগ্রী, গাড়ির যন্ত্রাংশ, গাড়ির শো রুম, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও বিদ্যুৎ চালিত সামগ্রী, হাসপাতালে ব্যবহৃত সরঞ্জাম, চকলেট বা মিষ্টান্নের দোকান, রেডিমেড কাপড়ের দোকান, ক্রোকারিজ সামগ্রী, কার্পেট, ফার্নিচার বা ডেকোরেশনের দোকানে কাজ করতে না পারলে অনেক বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে । এ ক্ষেত্রে অন্যত্র তাদের কাজের সুযোগ এ মুহূর্তে নেই।
সৌদি জাতীয়করণ বিদেশি শ্রমিকের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনবে বলে জানিয়েছেন দেশটির অর্থনীতি ও পরিকল্পনামন্ত্রী মোহাম্মদ আলী-তুওয়াইজিরি। সৌদি আরবের ইংরেজি দৈনিক আল-আরাবিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান। মন্ত্রী জানান, তার মন্ত্রণালয়ের অন্যতম অগ্রাধিকারমূলক কাজ হচ্ছে বিদেশি শ্রমিকের ওপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে আনা। সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০ এর প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে দেশটির নারী ও পুরুষরাই সক্ষম বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
দেশটির সাধারণ পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষের তথ্য বলছে, গত বছরের তৃতীয়ার্ধে সৌদি আরবের সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা এক কোটি ৬৯ লাখে পৌঁছেছে। একই বছরের দ্বিতীয়ার্ধে এই শ্রমিকের সংখ্যা এক কোটি ৭৯ লাখ। সৌদি আরবে বর্তমানে বেকারত্বের হার ১২ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছেছে। বেকারত্ব কমিয়ে আনতে ইতোমধ্যে দেশটির ইন্স্যুরেন্স, যোগাযোগ ও পরিবহনসহ প্রধান প্রধান কিছু খাতে নাগরিকদের প্রাধান্য দিচ্ছে সৌদি সরকার।
সৌদি আরবের বেকারত্বের হার সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই বেকারত্বের হার সাত শতাংশে কমিয়ে আনতে চায় সৌদি; যাতে পড়াশোনা শেষ করা সৌদি নাগরিকরা প্রত্যেক বছর শ্রমবাজারে প্রবেশ করতে পারে।’
চলতি বছর দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৬ শতাংশে পৌঁছাতে পারে বলে অনুমান করেছে সৌদি আর্থিক কর্তৃপক্ষ (এসএমএ)। তবে সৌদি এই মন্ত্রী বলেছেন, আড়াই শতাংশ থেকে ৩ শতাংশের মাঝে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখাই আমাদের লক্ষ্য।
ভিশন ২০৩০ অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে ৯ শতাংশ হারে বেকারত্ব হার কমানো জোর পরিকল্পনা নিয়েছে সৌদি সরকার। ২০৩০ সালের মধ্যে এর হার ৭ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। দেশটির সরকার আরো ঘোষণা দিয়েছে, ২০২০ সালের মধ্যে ১২ লাখ কর্মসংস্থান জাতীয়করণ করবে।
তেল নির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে আসা, প্রযুক্তিখাতে তরুণ নাগরিকদের কর্মসংস্থানে নতুন নতুন খাত তৈরি, নারীর ক্ষমতায়ন ও নাগরিকদের জীবনযাপনের ওপর কড়াকড়ি শিথিলের করছে।
|
|
|
|
মালয়েশিয়ার বুক অব রেকর্ডসে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নাম লেখালেন মালয়েশিয়ায় প্রবাসী তরুণ বিজ্ঞানী এম এ হামিদ। মালয়েশিয়ায় সবচেয়ে বড় ‘মশা মারার যন্ত্র’ তৈরির স্বীকৃতি হিসেবে চট্টগ্রামের সন্তান এম এ হামিদ এ রেকর্ড অর্জন করেছেন।
মালয়েশিয়া বুক অফ রেকর্ডস কতৃপক্ষের দেয়া সনদে বিজ্ঞানী এম এ হামিদের তৈরি মশা মারার বৃহৎ এই বৈদ্যুতিক যন্ত্রটি ৬.৩৪ মিটার উচু ও ৩.০৪ মিটার গোলাকার বলে উল্লেখ করেন। যেটি মালয়েশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মশা মারার যন্ত্র। গত শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকালে কুয়ালালামপুরের চেরাসে টুফ্যাম ব্রাদার্স আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘মালয়েশিয়া বুক অফ রেকর্ডস’ কতৃপক্ষের জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা নুর আশিকিনী রামলি এম এ হামিদের হাতে রেকর্ডসের সনদ হস্তান্তর করেন।
এ সময় যন্ত্রটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের আয়োজক টুফ্যাম ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রতন সেন ও টুফ্যাম ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিনহাজ উদ্দিন মিরান, বিকে সুরিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাফিদা রামলি অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞানী হামিদের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার পোপাদিয়া গ্রামে। তার উদ্ভাবিত মশা মারার যন্ত্রটি গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সরকারের স্বীকৃতি পায়।
|
|
|
|
|
|
|