সিলেটে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর হামলার প্রতিবাদ, নিন্দা কানাডায় অব্যাহত রয়েছে। শনিবার মন্ট্রিয়লে অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা। মন্ট্রিয়লের পার্ক মেট্রোর সামনে স্থানীয় দুপুরে প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহের মাঝে বিপুল সংখ্যক প্রবাসীরা বিভিন্ন রকমের ফেস্টুন নিয়ে এ মানববন্ধনে উপস্থিত হন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি নেতা শ্যামল দত্ত, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মুহিবুর রহমান, অধ্যক্ষ ফণিন্দ্র ভট্টাচার্য, সাংবাদিক শামসাদ রানা, অ্যাডভোকেট অমলেন্দু ধর, ইউএনডিপির কর্মকর্তা রুমা খন্দকার, লেখক বিদ্যুৎ ভৌমিক, মুক্তিযোদ্ধা রশীদ খান, উদীচী মন্ট্রিয়লের সভাপতি বাবলা দেব, কমিউনিটি নেতা রনজিৎ মজুমদার, লেখিকা ও উপস্থাপিকা শর্মিলা ধর প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কানাডা-বাংলাদেশ সলিডারিটির সভাপতি জিয়াউল হক জিয়া।
শান্তিপূর্ণ এই প্রতিবাদ সভা বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিরোধী শক্তি উত্থানে গভীর উৎকণ্ঠা প্রকাশ এবং হামলাকারীর শাস্তি দাবি করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জঙ্গি ও সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে বাংলাদেশ কখনো পরাজিত হবে না। মানবিক মূল্যবোধের শক্তি দিয়ে এগুলো প্রতিরোধ করতে হবে। যে দেশ পাকিস্তানকে পরাস্ত করে স্বাধীন হয়েছে সে দেশ জঙ্গিবাদকেও পরাস্ত করতে পারবে।
এদিকে টরন্টোতেও তার হামলার তীব্র প্রতিবাদে ৪ মার্চ (রবিবার) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় টরন্টোর বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাঙালি অধ্যুষিত ড্যানফোর্থ এভিনিউয়ের ঘরোয়া রেস্টুরেন্টের সামনে এক প্রতিবাদী বিক্ষোভে অংশ নেন। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা হাওয়ার মধ্যেও স্বতস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ সভায় টরন্টো ফিল্ম ফোরাম, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কানাডা শাখা, পিডিআই কানাডা, শাহ্জালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এতে বক্তারা বলেন, মুক্তচিন্তার কণ্ঠরোধ করার জন্য অপশক্তির ধারক বাহকদের প্রতিহত ও নির্মূল করতে হবে।
ইতোপূর্বে এই ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র প্রতিবাদ করে কানাডা প্রবাসী লেখক-সাংবাদিক-সাংস্কৃতিককর্মীরা নিন্দা জানিয়েছেন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।