বাংলার জন্য ক্লিক করুন
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
   * সেন্টমার্টিনগামী ট্রলার ডুবি, নিখোঁজ দুজনের মরদেহ উদ্ধার   * স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ   * র‍্যাবের অভিযানে সারাদেশে আরও ২৯০ জন গ্রেফতার   * মেট্রো স্টেশন যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না: প্রধানমন্ত্রী   * মেসিকে ক্ষমা চাইতে বলায় আর্জেন্টিনার ক্রীড়া কর্মকর্তা বরখাস্ত   * চীনে শপিং সেন্টারে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১৬   * ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল কম, ভোগান্তিতে মানুষ   * রীতি ভেঙে আজ ওয়েবসাইটেই প্রকাশ হবে মুদ্রানীতি   * কমপ্লিট শাটডাউন ঘিরে কাউকে সহিংসতা করতে দেওয়া হবে না   * শাহবাগ-টিএসসিতে নিরাপত্তা জোরদার, যানবাহন না চলায় দুর্ভোগ  

   অর্থ-বাণিজ্য -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
রীতি ভেঙে আজ ওয়েবসাইটেই প্রকাশ হবে মুদ্রানীতি

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

সাধারণত মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয় আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে। যেখানে নানান বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দপন গভর্নর। তুলে ধরা হয় সফলতা এবং ব্যর্থতার কারণ। তবে দীর্ঘদিনের রীতি ভেঙে এবার ওয়েবসাইটে মুদ্রানীতি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। এদিন বিকেলে ৩টার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে তা আপলোড করা হবে বলে নির্ভরশীল একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধের ষাণ্মাসিক মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে আজ। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় এটি পাস হয়। তার আগে ১৪ জুলাই মুদ্রানীতি ঘোষণা সংক্রান্ত মূল কমিটি সভা করে। বুধবার (১৭ জুলাই) অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, গবেষণা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া নীতিতে দুর্বলতা আছে। শুধু সংকোচন মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসে না। বাজারে জিনিসপত্র আছে, কিন্তু বাজার মনিটরিং হচ্ছে না।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে বাড়ানো হয়েছে নীতি সুদহার। ব্যাংকঋণের সুদহার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বাজারের ওপর। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ডলারের সংকটও কাটেনি। বরং ১৩ বছরের মধ্যে রেকর্ড হয়েছে মূল্যস্ফীতি। ডলার রিজার্ভ কমছেই। এরপরও মুদ্রানীতি নিয়ে একই পথে হাঁটছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। সেদিন আগের মতোই নীতি সুদহার বৃদ্ধি করে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা ৯ শতাংশ তুলে দেওয়া হয় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে। নতুন নিয়ম ‘স্মার্ট পদ্ধতিতে’ সুদহার নির্ধারণের ভিত্তি ধরা হয়। যেখানে স্মার্ট সুদহারের সঙ্গে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ মার্জিন যোগ করার কথা বলা হয়। এ পদ্ধতির শুরুতে গত বছরের জুলাইয়ে ব্যাংক ঋণের সুদহার ছিল ১০ দশমিক ১০ শতাংশ, যা গত এপ্রিলে এসে দাঁড়ায় ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশে। এরপর ৮ এপ্রিল থেকে সুদহার বাজারভিত্তিক করা হয়। কোনো কোনো ব্যাংকের সুদের হার ১৮ শতাংশের কাছাকাছি চলে যায়। সে হিসাবে এক বছরে সুদহার বেড়েছে প্রায় ৮ শতাংশ। অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। নতুন মুদ্রানীতিতেও ব্যাংকঋণের সুদহার বাজারভিত্তিক রাখা হবে।

অন্যদিকে বাজারে অর্থের প্রবাহ কমাতে আগেই নীতি সুদহার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপরও মূল্যস্ফীতি নিয়ে কোনো সুখবর আসেনি। গত অর্থবছরের জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬ শতাংশ। সেখানে সদ্যবিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ, যা বিগত ১৩ বছরে সর্বোচ্চ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যর্থ হওয়া বাংলাদেশ ব্যাংক এবার নীতি সুদহার আরও বাড়াতে পারে। এর মাধ্যমে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হবে ৭ শতাংশের কম।

রীতি ভেঙে আজ ওয়েবসাইটেই প্রকাশ হবে মুদ্রানীতি
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

সাধারণত মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয় আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে। যেখানে নানান বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দপন গভর্নর। তুলে ধরা হয় সফলতা এবং ব্যর্থতার কারণ। তবে দীর্ঘদিনের রীতি ভেঙে এবার ওয়েবসাইটে মুদ্রানীতি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। এদিন বিকেলে ৩টার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে তা আপলোড করা হবে বলে নির্ভরশীল একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধের ষাণ্মাসিক মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে আজ। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় এটি পাস হয়। তার আগে ১৪ জুলাই মুদ্রানীতি ঘোষণা সংক্রান্ত মূল কমিটি সভা করে। বুধবার (১৭ জুলাই) অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, গবেষণা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া নীতিতে দুর্বলতা আছে। শুধু সংকোচন মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসে না। বাজারে জিনিসপত্র আছে, কিন্তু বাজার মনিটরিং হচ্ছে না।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে বাড়ানো হয়েছে নীতি সুদহার। ব্যাংকঋণের সুদহার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বাজারের ওপর। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ডলারের সংকটও কাটেনি। বরং ১৩ বছরের মধ্যে রেকর্ড হয়েছে মূল্যস্ফীতি। ডলার রিজার্ভ কমছেই। এরপরও মুদ্রানীতি নিয়ে একই পথে হাঁটছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। সেদিন আগের মতোই নীতি সুদহার বৃদ্ধি করে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা ৯ শতাংশ তুলে দেওয়া হয় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে। নতুন নিয়ম ‘স্মার্ট পদ্ধতিতে’ সুদহার নির্ধারণের ভিত্তি ধরা হয়। যেখানে স্মার্ট সুদহারের সঙ্গে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ মার্জিন যোগ করার কথা বলা হয়। এ পদ্ধতির শুরুতে গত বছরের জুলাইয়ে ব্যাংক ঋণের সুদহার ছিল ১০ দশমিক ১০ শতাংশ, যা গত এপ্রিলে এসে দাঁড়ায় ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশে। এরপর ৮ এপ্রিল থেকে সুদহার বাজারভিত্তিক করা হয়। কোনো কোনো ব্যাংকের সুদের হার ১৮ শতাংশের কাছাকাছি চলে যায়। সে হিসাবে এক বছরে সুদহার বেড়েছে প্রায় ৮ শতাংশ। অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। নতুন মুদ্রানীতিতেও ব্যাংকঋণের সুদহার বাজারভিত্তিক রাখা হবে।

অন্যদিকে বাজারে অর্থের প্রবাহ কমাতে আগেই নীতি সুদহার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপরও মূল্যস্ফীতি নিয়ে কোনো সুখবর আসেনি। গত অর্থবছরের জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬ শতাংশ। সেখানে সদ্যবিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ, যা বিগত ১৩ বছরে সর্বোচ্চ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যর্থ হওয়া বাংলাদেশ ব্যাংক এবার নীতি সুদহার আরও বাড়াতে পারে। এর মাধ্যমে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হবে ৭ শতাংশের কম।

তিন কার্যদিবস পর কোনো রকমে বাড়লো সূচক
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

টানা তিন কার্যদিবস পতনের পর সোমবার দেশের শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবকটি মূল্য সূচক বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। তবে দাম বাড়ার তালিকায় যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট স্থান করে নিয়েছে, তার চেয়ে বেশি প্রতিষ্ঠানের স্থান হয়েছে দাম কমার তালিকায়।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে এ বাজারটিতে মূল্য সূচকও কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে এই বাজারটি টানা চার কার্যদিবস পতনের মধ্যে থাকলো।

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের বড় উত্থান হয়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় লেনদেনের ১৬ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ৩২ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার এই ধারা অব্যাহত থাকে লেনদেনের প্রথম দেড়ঘণ্টা। ফলে লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ৪০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু দপুর ১২টার পর দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। ফলে আবারও পতনের শঙ্কায় পড়ে বিনিয়োগকারীরা।

এতে বাজারে বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। ফলে বাড়তে থাকে দাম কমার তালিকা। অবশ্য দাম বাড়ার তালিকা বড় হওয়ার পরও মূল্য সূচক কোনো রকমে বেড়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৪০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯১টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৬৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পরও ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ২ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪৮৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৭২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২০৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৪৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এদিকে দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৬২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬২২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৩৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

এই লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫৭ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সি পার্ল বিচ রিসোর্টের ২৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৮ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাভেলো আইসক্রিম।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ইস্টার্ন ব্যাংক, ফারইস্ট নিটিং, স্যালভো কেমিক্যাল, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল, বিচ হ্যাচারি, সোনালী পেপার এবং জেমিনি সি ফুড।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ২৪৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৩টির এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

ফের সোনার আউন্স ২৪০০ ডলার ছাড়ালো
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

হঠাৎ বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়তে দেখা যাচ্ছে। আগের সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহেও বেড়েছে সোনার দাম। এক সপ্তাহেই প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ২১ ডলার। এর মাধ্যমে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৮০ ডলারের ওপরে বেড়েছে। এতে আবারও সোনার আউন্স ২ হাজার ৪০০ ডলার ছাড়িয়েছে।

এর আগে বিশ্ববাজারে সোনার আউন্স ২ হাজার ৪০০ ডলার স্পর্শ করে গত মে মাসে। ২০ মে প্রতি আউন্স সোনার দাম রেকর্ড ২ হাজার ৪২৬ ডলার হয়। এ রেকর্ড দাম হওয়ার পর দরপতনের মধ্যে পড়ে সোনা। দফায় দফায় দাম কমে ২৬ জুন সোনার আউন্স ২ হাজার ২৯৮ ডলারে নেমে আসে।

এরপর আবার সোনার দাম বাড়ার প্রবণতা চলতে থাকে। গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে এক লাফে সোনার দাম ৬৪ দশমিক ৪৩ ডলার বেড়ে যায়। এমন বড় উত্থানের পর গত সপ্তাহজুড়েও সোনার দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। দফায় দফায় দাম বেড়ে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৪১৫ ডলারে উঠে যায়। তবে, শেষদিকে দাম কিছুটা কমে সোনার আউন্স ১ হাজার ৪১১ দশমিক ১১ ডলারে থিতু হয়েছে।

এর মাধ্যমে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ২০ দশমিক ৩৪ ডলার বা দশমিক ৮৫ শতাংশ। আর মাসের ব্যবধানে সোনার দাম বেড়েছে ১০৯ ডলার বা ৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এ দাম বাড়ার মাধ্যমে নতুন রেকর্ডের কাছাকাছি চলে গেছে সোনা। আর মাত্র ১৫ ডলার দাম বাড়লেও সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।

এদিকে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হয়। গত ৮ জুলাই দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হয়। বাজুসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৬০৩ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৯১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫৪০ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৯১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৩১৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৭ হাজার ২৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৮৪ টাকা বাড়িয়ে ৮০ হাজার ৪২৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে দেশের বাজারে এ দামে সোনা বিক্রি হচ্ছে।

সোনার দাম বাড়লেও গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে রূপার দাম কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স রূপার দাম দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৭৭ ডলারে। এর মধ্যে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেই কমেছে ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ বা দশমিক ৬২ ডলার।

বৃষ্টি-বন্যার কারণে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি সাময়িক: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি চলছে। শুক্রবারের টানা বৃষ্টিতে একদিনে কাঁচা মরিচের দাম ঠেকেছে কেজিপ্রতি ৪০০ টাকায়। বেড়েছে সব ধরনের সবজি ও পেঁয়াজের দামও।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, দেশের ১৮ জেলায় এসময়ে বন্যা হচ্ছে। এছাড়া সারাদেশে বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে আমি মনে করি এটি সাময়িক।

তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় কী করছে, বন্যা-পরবর্তী কী ব্যবস্থা ও পদক্ষেপ নিয়েছে, আমরা খোঁজ নিচ্ছি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আমাদের একটি কমিটি রয়েছে। আমরা খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবো। দ্রুত এসব পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কী করা যায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

শনিবার (১৩ জুলাই) টিসিবি অডিটোরিয়ামে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৃষ্টি বা বন্যা পরিস্থিতিকে পুঁজি করে কোনো ব্যবসায়ীকে অসাধুভাবে সিন্ডিকেট করতে দেওয়া হবে না। আপনারা জানেন, বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদে গত ছয় মাসে কোনো ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করতে পারেননি।

তিনি বলেন, এখন দ্রব্যমূল্য নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা কোনো সিন্ডিকেটের জন্য নয়। আপনারা দেখেছেন, কাঁচাবাজারে বসে পণ্য বিক্রি করার মতো পরিস্থিতি নেই। সারাদেশের মাঠ-ঘাটে পানি, পণ্যের সরবরাহ ঠিকঠাক মতো হচ্ছে না।

‘তারপরও আমাদের নজরদারি থাকবে। আমরা যে কোনো কঠিন ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি’- যোগ করেন আহসানুল ইসলাম টিটু।

ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার, আধাঘণ্টায় ১৫০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

পতন থেকে বের হয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরতে শুরু করেছে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (৮ জুলাই) লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। পাশাপাশি লেনদেনও ভালো গতি রয়েছে।

প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ২১ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটি টাকার বেশি। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে প্রায় ২০০টি প্রতিষ্ঠান।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। ফলে মূল্যসূচকও ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় রয়েছে। সেই সঙ্গে এ বাজারটিতেও লেনদেনে ভালো গতি দেখা যাচ্ছে।

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের প্রথম আধাঘণ্টাজুড়েই বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। এতে লেনদেনের আধাঘণ্টার মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ২১ পয়েন্ট বাড়ে।

তবে এরপর কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে যায়। ফলে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কমেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে ডিএসইতে ১৬৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬১টির। আর ৫০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ৭ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট কমেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়েছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৮১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩১ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ৭৭ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৫টির, কমেছে ৩১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টির।

রপ্তানিতে নগদ সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

সব ধরনের রপ্তানিতে নগদ সহায়তা কমিয়ে গত ৩০ জুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে তৈরি পোশাক, চামড়া, পাট, কৃষিসহ ৪৩ খাতে নগদ সহায়তা কমবে রপ্তানিকারকদের। প্রণোদনা কমানোর এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)।

শনিবার (৬ জুলাই) রাজধানীর বিটিএমএ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন। এসময় বিটিএমএর সহ সভাপতি মো. ফজলুল হক, মোহাম্মদ ফায়জুর রহমান ভুঁইয়াসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংগঠনটি জানায়, অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা এফই সার্কুলার নং ১২ প্রত্যাহার করে নগদ প্রণোদনা আগের অবস্থায় আনতে হবে। পাশাপাশি দ্রুত টেক্সটাইল শিল্পর জন্য একটি যুগোপযোগী টেক্সটাইল পলিসি প্রণয়ন এবং ব্যাংক লোন পরিশোধের জন্য এক বছরের গ্রেস পিরিয়ড রাখার দাবি জানিয়েছে বিটিএমএ।

সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, যেকোনো শিল্প শক্তিশালী বা টেকসই করার জন্য নীতি সহায়তা বা প্রণোদনা প্রয়োজন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও যা দিয়ে আসছে। যেকোনো দেশের জন্য টেকসই শিল্প প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন শক্তিশালী নীতি সহায়তা ও প্রণোদনা। আমাদের দেশে কোনো ধরনের বিকল্প ব্যবস্থা না রেখে নগদ প্রণোদনা যেভাবে কমানো হয়েছে, তাতে টেক্সটাইল খাতে সক্ষমতা কমবে।

তিনি বলেন, এর প্রভাবে ক্রমান্বয়ে এ সেক্টরের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রিগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে। এছাড়া এ খাতে প্রতিযোগী অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমরা কোনোভাবেই টিকতে পারব না। কোনো কারণে প্রাইমারি টেক্সটাইল বন্ধ হলে পরবর্তীতে তৈরি পোশাক শিল্পও ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাবে। এতে দেশের অর্থনীতিতে ধস নামার আশঙ্কা তৈরি হবে।

তিনি বলেন আরও, ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তুলা উৎপাদনকারী দেশ এবং টেক্সটাইল টেকনোলজিতেও বিশ্বে দ্বিতীয়। ভারত বর্তমানে বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ এবং ২০০৪ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েটেড হওয়া সত্ত্বেও টেক্সটাইল শিল্পকে নানানভাবে নগদ প্রণোদনার বিকল্প সুবিধা দিয়ে আসছে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের নামে বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পের প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা ব্যাপকভাবে কমানো হচ্ছে, তাতে এ শিল্প অচিরেই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে।

বিটিএমএ সভাপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর টেক্সটাইল এবং অ্যাপারেল খাতের জন্য রপ্তানির বিপরীতে ২৫ শতাংশ নগদ প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছিলেন। এটি দেশের টেক্সটাইল এবং অ্যাপারেল খাতের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এর ফলে এ খাতে রপ্তানি আয় ২ বিলিয়ন থেকে ৪৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

বাজার মূলধনে যোগ হলো আরও সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। এতে সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকার ওপরে বেড়েছে।

আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ে সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকার ওপর। তার আগের সপ্তাহে বাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার ওপরে। এতে ঈদের পর লেনদেন হওয়া ১১ কার্যদিবসেই ডিএসইর বাজার মূধন প্রায় সাড়ে ৩৭ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে।

গত সপ্তহজুড়ে ডিএসইতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশপাশি সবকটি মূল্য সূচকও বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের গতি। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩২৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪০টির। আর ২৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭১ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। যা গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৬১ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৯ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ে বেড়েছে ১৭ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা। তার আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া দুই কার্যদিবসে বাজার মূলধন বাড়ে ১০ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। ফলে ঈদের পর লেনদেন হওয়া ১১ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৩৭ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা।

এদিকে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে বেড়েছে ১৪২ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ। গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১১১ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১২ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া দুই কার্যদিবসে সূচকটি বাড়ে ১২৬ দশমিক ৩১ পয়েন্ট। অর্থাৎ ঈদের পর ১১ কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ৩৭৯ পয়েন্ট।

প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গত সপ্তাহজুড়ে সূচকটি বেড়েছে ২৮ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৪৭ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট। তার আগের সপ্তাহে দুই কার্যদিবসে সূচকটি বাড়ে ৫৩ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট।

ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচকও টানা বেড়েছে। গত সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছে ২৫ দশমিক ১৮ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৩৭ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ২৭ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে দুই কার্যদিবসে সূচকটি বাড়ে ৩৪ পয়েন্ট।

মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনের গতিও বেড়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬১৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫৬০ কোটি ৪২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৫৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা বা ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে যমুনা অয়েলের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মেঘনা পেট্রোলিয়ামের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা লেনাদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিচ হ্যাচারি।

এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে-ওরিয়ন ফার্মা, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার, লাভেলো আইসক্রিম এবং স্যালভো কেমিকেল।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থাকে শুদ্ধাচার পুরস্কার
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থাকে ২০২২-২০২৩ ও ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই করা হয়েছে।

সোমবার (১ জুলাই) রাজধানীর মতিঝিলে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন পুরস্কার তুলে দেন। এতে সভাপতিত্ব করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।

শিল্পমন্ত্রীর পক্ষে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং দপ্তর-সংস্থার পক্ষে সংশ্লিষ্ট দপ্তর-সংস্থার প্রধানরা এপিএ চুক্তিতে সই করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, সবার জীবনে শুদ্ধাচার গুরুত্বপূর্ণ। তবে নৈতিকতা বাদ দিয়ে শুদ্ধাচার সম্ভব নয়। শুদ্ধাচার চলমান থাকলে জীবনে পথচলা অনেক সহজ হয়। অন্যায় ও অসৎকাজ থেকে বিরত রাখে, বিবেককে জাগ্রত রাখে।

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রবর্তিত এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য গাইডলাইনস্বরূপ। এর মাধ্যমে তারা সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করে মন্ত্রণালয় তথা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এপিএ স্বাক্ষরকারী ১৩টি দপ্তর-সংস্থা হচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমইএফ), ন্যাশনাল প্রোডাক্টটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও), বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি), বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি), বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক), বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই), পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউশন অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম), বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক), ক্ষুদ্র, মাইক্রো ও কুটির শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমসিআইএফ), বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) এবং প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয়।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এপিএতে শিল্প মন্ত্রণালয়ে শীর্ষস্থান অর্জনকারী তিনটি প্রতিষ্ঠান প্রধানের হাতে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন। এতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে বিএসটিআই, প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয় ও বিসিক।

মন্ত্রী এরপর ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য পাঁচজন ও ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য চারজনসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের মোট নয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর হাতে শুদ্ধাচার পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার হিসেবে এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্ধারিত ফরম্যাটে একটি সার্টিফিকেট ও একটি ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

২০২২-২০২৩ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দপ্তর-সংস্থার প্রধানদের মধ্য থেকে একজন, ২-৯ গ্রেডের মধ্য থেকে একজন, ১০-১৬ গ্রেডের মধ্য থেকে একজন এবং ১৭-২০ গ্রেডের মধ্য থেকে যৌথভাবে দুইজনসহ মোট পাঁচজনকে শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়া হয়।

পুরস্কারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপু, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম এবং অফিস সহায়ক উত্তম কুমার চক্রবর্তী ও মুকুল ইসলাম।

২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দপ্তর-সংস্থার প্রধানদের মধ্য থেকে একজন, ২-৯ গ্রেডের মধ্য থেকে একজন, ১০-১৬ গ্রেডের মধ্য থেকে একজন এবং ১৭-২০ গ্রেডের মধ্য থেকে একজনসহ মোট চারজনকে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান হয়।

পুরস্কারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আফরোজা বেগম পারুল, কম্পিউটার অপারেটর প্রাণেশ দাশ জয় ও অফিস সহায়ক লিটন মিয়া।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভিশন, মিশন, কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহ এবং কার্যাবলির আলোকে ১৩টি দপ্তর-সংস্থা তাদের নিজস্ব ভিশন, মিশন কৌশলগত উদ্দেশ্য, কার্যাবলি, বাজেট বরাদ্দ ইত্যাদি বিবেচনা করে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রণয়ন করেছে।

মিডল্যান্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পুনর্নির্বাচিত
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

মিডল্যান্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে নিলুফার জাফরুল্লাহ এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. শামসুজ্জামান পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। গত ৩০ জুন ব্যংকের পরিচালনা পর্ষদের ১৫৫তম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে পরবর্তী দুই বছরের জন্য তাদের পুনর্নির্বাচিত করা হয়।

নিলুফার জাফরুল্লাহ সূচনালগ্ন থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মিডল্যান্ড ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান এবং ২০১৮ সাল থেকে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি নবম ও দশম জাতীয় সংসদের একজন সদস্য ছিলেন।

একজন স্থপতি হিসেবে, নিলুফার জাফরুল্লাহ ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষা ও উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছেন। তিনি সমাজের বিভিন্ন মানবিক কাজের সঙ্গেও যুক্ত আছেন। তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি) এবং চট্টগ্রাম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি (সিআইইউ)-এর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য। তিনি হংকং সাংহাই মানজালা টেক্সটাইল লিমিটেডের পরিচালক এবং বেগম জেবুন্নেসা ও কাজী মহাব্বুল্লাহ জনকল্যাণ ট্রাস্টের ডোনার ট্রাস্টি। নিলুফার জাফরুল্লাহ জোনটা ইন্টারন্যাশনালের আজীবন সদস্য হিসেবে, বিশ্বব্যাপী ও স্থানীয় পর্যায়ে নারীদের আইনি, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্য ও পেশাগত অবস্থা উন্নত করার জন্য সহায়তা দান করে আসছেন। তিনি জোনটা ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ২৫টি জেলা, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা এরিয়ার ২টি বিভাগের পরিচালক ছিলেন এবং যথাক্রমে ১৯৯৪ -৯৬ এবং ২০০৬-০৮ মেয়াদে ডিস্ট্রিক্ট-২৫ এর লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি নবম সংসদের সদস্য হিসেবে ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

দেশের স্বনামধন্য শিল্পগোষ্ঠী মাইক্রো ফাইবার গ্রুপের কর্ণধার, বিশিষ্ট শিল্পপতি শামসুজ্জামান লিবার্টি নিটওয়্যার লিমিটেডের মনোনীত পরিচালক হিসেবে মিডল্যান্ড ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। তিনি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এবং বাংলাদেশের স্বনামধন্য শিল্পপতি। শামসুজ্জামান বহু সমাজসেবা কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। দেশের শিল্পগ্রুপ মাইক্রো ফাইবার গ্রুপের কর্ণধার শামসুজ্জামান লিবার্টি নিটওয়্যার লিমিটেড, ওরিয়েন্ট কেম-টেক্স লিমিটেড, মাইক্রো ফাইবার লিমিটেড, মিডল্যান্ড নিটওয়্যার লিমিটেড, এ-ওয়ান পোলার লিমিটেড, টাঙ্গন গার্মেন্টস লিমিটেড এবং টারবিনজেন কেমিক্যালস (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এপিএ’তে লক্ষ্যমাত্রা থাকায় জ্বালানি সরবরাহ ত্বরান্বিত হচ্ছে
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে (এপিএ) লক্ষ্যমাত্রা অন্তর্ভুক্ত থাকার ফলেই দেশে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ করার কার্যক্রম ত্বরান্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম। তিনি বলেন, নতুন নতুন গ্যাস কূপ অনুসন্ধান, ওয়ার্কওভার কূপ খনন, গ্যাস উৎপাদন, এলএনজি আমদানি, জ্বালানি তেল আমদানি, গ্যাস ও তেল সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ, আইন, বিধি, নীতিমালা প্রণয়ন ইত্যাদি লক্ষ্যমাত্রা বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে এ বিভাগের কার্যক্রমের গতি ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে।

রোববার (৩০ জুন) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এপিএ চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। পরে ২০২২-২৩ অর্থবছরের এপিএ পুরস্কার ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়া হয়।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব বলেন, সরকারি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধি, ফলাফলধর্মী কার্যক্রমে উৎসাহ দেওয়া এবং কর্মকৃতি মূল্যায়নের লক্ষ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রতি বছর সই করা হয়। এপিএ সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিগত ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ তৃতীয় স্থান অর্জন করে। সামনে আরও ভালো করবে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সইকারী ও দপ্তর-সংস্থাগুলো হলো, বিইআরসি’র চেয়ারম্যান মো.নুরুল আমিন, বিপিসি’র চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান, বিএমডি’র মহাপরিচালক মো. আব্দুল কাইউম সরকার, পেট্রোবাংলা’র চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, হাইড্রোকার্বন ইউনিট-এর মহাপরিচালক মো. শামীম খান, জিএসবি’র মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো.ইলিয়াস হোসেন, বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক সুলতানা ইয়াসমীন ও বিপিআই-এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) খেনচান।

২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সফলভাবে বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পেট্রোবাংলা প্রথম স্থান, জিএসবি দ্বিতীয় স্থান এবং বিএমডি তৃতীয় স্থান অর্জন করে এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত হন।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার দপ্তর ও সংস্থা প্রধান হিসেবে অর্জন করে বিপিআইয়ের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) খেনচান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের যু্গ্মসচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন ও যু্গ্মসচিব মোছা.মোর্শেদা ফেরদৌস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা দিনেশ চন্দ্র দাস ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মিলন হোসেন এবং অফিস সহায়ক মো. এমদাদুল হক ও অফিস সহায়ক মো. শাহিনুর ইসলাম পুরস্কার অর্জন করেন।

আধাঘণ্টায় সূচকে যোগ ৫২ পয়েন্ট
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

পতন থেকে বেরিয়ে আসার আভাস দিচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। ঈদের পর প্রথম দুই কার্যদিবস বড় উত্থানের পর রোববার (২৩ জুন) লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট।

প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ৫২ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে প্রায় একশ কোটি টাকা। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে প্রায় আড়াইশ প্রতিষ্ঠান।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। ফলে মূল্যসূচকও ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় রয়েছে। তবে এ বাজারটিতে লেনদেনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসই’র প্রধান সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের প্রথম আধাঘণ্টাজুড়েই বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। সেই সঙ্গে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাও বাড়তে থাকে। এতে আধাঘণ্টার মাথায় ডিএসই’র প্রধান সূচক ৫২ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

তবে এরপর সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কিছুটা কমেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৩৮ মিনিটে ডিএসইতে ২৪৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৪টির। আর ৫১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ফলে ডিএসই’র প্রধান সূচক বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১৭ পয়েন্ট বেড়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়েছে। এসময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩১ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ২০ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৪২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২১টির, কমেছে ১৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮টির।

দেশে কমেছে কোটিপতির সংখ্যা
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

দেশে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা কয়েক দফা বাড়ার পর এবার কমেছে। এসব হিসাবে টাকার রাখার পরিমাণও কমেছে। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছে, নানা কারণে ব্যাংক খাতের ওপর মানুষের আস্থা কমেছে। যার প্রভাব পড়ছে সব শ্রেণির আমানতকারীর ওপর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ সময়ে) কোটি টাকার ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ১৮টি। পাশাপাশি আমানত কমেছে ১ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। মার্চ পর্যন্ত ১ কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে এমন ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮৯০টি। কোটি টাকার ওপরে এসব ব্যাংক হিসাবে ৭ লাখ ৪০ হাজার ১৫০ কোটি টাকা জমা আছে। গত বছরের (২০২৩ সাল) ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে ১ কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে এমন ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১৬ হাজার ৯০৮টি। এসব ব্যাংক হিসাবে মোট জমা ছিল ৭ লাখ ৪১ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা।

সে হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে কোটিপতিদের হিসাব সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ১৮টি, আর তাদের অ্যাকাউন্টে আমানত কমেছে ১ হাজার ১১ কোটি।

আলোচিত মার্চ প্রান্তিক শেষে ব্যাংক খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭১ হাজার ২০২ টি। এসব হিসাবের বিপরীতে আমানত জমা রয়েছে ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা।

তবে কোটি টাকার হিসাব মানে কোটিপতি নাগরিকের হিসাব নয়। অনেক ব্যক্তিই যেমন ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখেন, তেমনি অনেক প্রতিষ্ঠানও ব্যাংকে কোটি টাকা জমা করে। অর্থাৎ কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব বলতে যুগপৎ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান উভয়ই। তাছাড়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কতটি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে, তারও নির্দিষ্ট সীমা নেই। এতে করে এক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির একাধিক হিসাবও রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং নানা সংস্থার কোটি টাকার হিসাবও রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক তথ্য বলছে, চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিক শেষে এক কোটি এক টাকা থেকে পাঁচ কোটি টাকার আমানতকারীর হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯১ হাজার ৬২৩টি, এসব হিসাবে জমা ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা। পাঁচ কোটি ১ টাকা থেকে ১০ কোটি টাকার ১২ হাজার ৪৪৬টি হিসাবে জমার পরিমাণ ৮৮ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা।

গত ২০২৩ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে এক কোটি এক টাকা থেকে পাঁচ কোটি টাকার আমানতকারীর হিসাব সংখ্যা ছিল ৯২ হাজার ৫১৬টি। যেখানে জমার পরিমাণ ছিল এক লাখ ৯৪ হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা। আর পাঁচ কোটি ১ টাকা থেকে ১০ কোটির ১২ হাজার ৬৫২টি হিসাবে জমার পরিমাণ ছিল ৮৯ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা।

আলোচিত সময়ে ১০ কোটি থেকে ১৫ কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা রয়েছে ৪ হাজার ৩৯৬টি, ১৫ কোটি থেকে ২০ কোটির মধ্যে ১ হাজার ৯৬১টি, ২০ কোটি থেকে ২৫ কোটির মধ্যে ১ হাজার ২১১টি, ২৫ কোটি থেকে ৩০ কোটির মধ্যে রয়েছে ৮৭৫ টি আমানতকারীর হিসাব। আর ৩০ কোটি থেকে ৩৫ কোটি টাকার মধ্যে ৫০১টি এবং ৩৫ কোটি থেকে ৪০ কোটির মধ্যে রয়েছে ৩৬৯টি, ৪০ কোটি থেকে ৫০ কোটি টাকার হিসাব সংখ্যা ৬৮১টি।

৫০ কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা হিসাবের সংখ্যা ১ হাজার ৮২৬টি। যা গত ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে ১০ কোটি থেকে ১৫ কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৮২টি, ১৫ কোটি থেকে ২০ কোটির মধ্যে ২ হাজার ২টি, ২০ কোটি থেকে ২৫ কোটির মধ্যে ১ হাজার ৩৪৫টি, ২৫ কোটি থেকে ৩০ কোটির মধ্যে ছিল ৯১২টি আমানতকারীর হিসাব। এছাড়া ৩০ কোটি থেকে ৩৫ কোটি টাকার মধ্যে ৫১২টি, ৩৫ কোটি থেকে ৪০ কোটির মধ্যে ছিল ৪৮০টি, ৪০ কোটি থেকে ৫০ কোটি টাকার হিসাব সংখ্যা ছিল ৭৩৮টি এবং ৫০ কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা হিসাবের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৮১২টি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য চিত্রে দেখা যায়, ১৯৭৫ সালে কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব ছিল মাত্র ৪৭টি, ২০১৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৭ হাজার ৫১৬টি। বৈশ্বিক মহামারি করোনার শুরুতে ২০২০ সালের মার্চে এই সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৬২৫, বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজারে ৮৯০টিতে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষায় গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানোর দাবি
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষা ও উন্নয়নে কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় শিল্পমালিক ও ব্যবসায়ীরা। সোমবার (১০ জুন) স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষা ও উন্নয়ন বিষয়ক এফবিসিসিআইর স্ট্যান্ডিং কমিটির এক সভায় এ আহ্বান জানান তারা। এসময় ব্যবসায়ীরা স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ প্রাপ্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, সম্ভাবনাময় খাত হওয়া সত্ত্বেও স্থানীয় শিল্পখাত নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত না করার কারণে শিল্পের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা। নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানির অভাবে উৎপাদন খরচ বাড়ছে। আর এর ফলে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক শিল্পকারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে স্থানীয় শিল্পদ্যোক্তারা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন ব্যবসায়ীরা।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গঠনে স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে আমাদের। এবারের বাজেটে এ বিষয়ে কিছু নীতিমালা নেওয়া হয়েছে। এফবিসিসিআইও এ বিষয়ে কাজ করছে। এসময় স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষায় ব্যাংকগুলোর প্রতি আরও বেশি সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি এসব শিল্পে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার ওপর জোর দেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

সভায় এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, একসময় উন্নত মানের কাপড়সহ বাংলাদেশের মানুষের ব্যবহৃত প্রায় সব জিনিসই আমদানি করা হত। এখন এগুলোর প্রায় সবই দেশে উৎপাদিত হয়। স্থানীয় শিল্পকে বিকাশে নীতিগত সহায়তা প্রদানে সরকারের সঙ্গে এফবিসিসিআই কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও মাধবদি ডাইং ফিনিশিং মিলস লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন ভুঁইয়া লিটন, সিআইপি। নতুন শিল্পদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে স্থানীয় শিল্পকারখানায় বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইর পরিচালক আলহাজ্ব আজিজুল হক, হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, হাজী মো. আবুল হাশেম, কমিটির কো-চেয়ারম্যানবৃন্দ ও সদস্যবৃন্দ।

ব্যাংক-জ্বালানি খাতের মতো রোগাক্রান্ত ফুসফুস মেরামতে বার্তা নেই
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

ব্যাংক ও জ্বালানি খাতকে রোগাক্রান্ত ফুসফুস উল্লেখ করে অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, রোগাক্রান্ত ফুসফুস মেরামতের কোনো বার্তা এই বাজেটে নেই।

সোমবার (১০ জুন) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টার ইনে ‘জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ ও বিরাজমান পরিস্থিতি অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের প্রাপ্তি’ শীর্ষক এক ব্রিফিংএ মন্তব্য করেন তিনি। মিডিয়া ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ক্ষমতা এবং তা বাস্তবায়নে যে রাজনীতি হচ্ছে তা নিঃসন্দেহে পিছিয়ে পড়া মানুষের পক্ষে যাচ্ছে না। বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে কিন্তু সেগুলো মানুষের জন্য হচ্ছে না, হচ্ছে কিছু ব্যক্তির জন্য। ব্যাংক এবং জ্বালানি খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমাদের জন্য এবার। একদম শরীরের ফুসফুসের মতো। কিন্তু এগুলো মেরামতের কোনো কথা কিন্তু বাজেটে নেই।

তিনি আরও বলেন, ব্যক্তি প্রভাব বাড়াতেই এগুলো মেরামতে মনোযোগ নেই সরকারের। কারণ, তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে সেই নির্দিষ্ট সাধারণ মানুষ নয়। গুরুত্বপূর্ণ সেই প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ঠিক করছে কি করতে হবে আর কি করা যাবে না। সাধারণ মানুষের ভালো খারাপ উপেক্ষিতই থেকেই যাচ্ছে এই বাজেটে।

এখন যেই বাজেট দেওয়া হলো তাও কি বাস্তবায়িত হবে। এটাই তো প্রশ্ন। যতটুকু আছে তাও যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে জবাবদিহিতা এবং সুশাসনের বিকল্প নেই। জবাবদিহিতা নিশ্চিতে আইনে পরিবর্তন আসতে পারে, যোগ করেন দেবপ্রিয়।

এবারের বাজেট উচ্চাভিলাসী, ফাঁকা বুলির বাজেট জানিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এবারের বাজেট উচ্চাভিলাসী, ফাঁকা বুলির বাজেট। এটাকে আপনি শুভঙ্করের ফাঁকিও বলতে পারেন। এই বাজেটে পিছিয়ে পড়া মানুষ আরও পিছিয়ে পড়বে। ছোট ব্যবসায়ীরা হোস্টাইল হবে। এই বাজেট সামনের দিনে ধনী গরিব বৈষম্য আরও বাড়িয়ে দেবে। দুর্নীতির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেবে এবারের বাজেট।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমি আমার পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ক্ষমা চাই। আমি আর এখন নতুন প্রজন্মকে বলতে পারবো না তোমরা সৎ থাকো, ন্যায়ের পথে আয় কর, কোনো দুর্নীতিতে জড়িয়েও না। কিন্তু এই কথাগুলো বলার অধিকার রাষ্ট্র আমার থেকে কেড়ে নিয়েছে। এখন যে কেউ দেখবে এই দেশে সৎ থাকলে ক্ষতি বেশি কিন্তু দুর্নীতিবাজ হলে আয়ও বেশি লাভ বেশি।

গণস্বাক্ষর অভিযানের ডেপুটি ডিরেক্টর ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্বার্ট শিক্ষাব্যবস্থা ছাড়া কীভাবে হবে। বিনিয়োগ না বাড়ালে তা কীভাবে হবে। আপনার স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করতে হলে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, গবেষণা এবং শিক্ষা উপকরণে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এটি না হলে আমাদের শিক্ষা গুণগত শিক্ষা হয়ে উঠবে না।

ভিড় নেই শপিংমলে, এখনো জমেনি ঈদের কেনাকাটা
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

আর মাত্র এক সপ্তাহ পর ঈদুল আজহা। মুসলমানদের অন্যতম প্রধান এ ধর্মীয় উৎসবে একে-অন্যের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেবে সবাই। যে কোনো উৎসবে নতুন পোশাকের চাহিদা থাকে সবারই। তবে ঈদ ঘনিয়ে এলেও এখনো জমে ওঠেনি রাজধানী বাড্ডার শপিংমল ও মার্কেটগুলো। ঈদের দুই-তিনদিন আগে ক্রেতা সমাগম ও বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

শনিবার (৮ জুন) বিকেলে রাজধানীর বাড্ডা এলাকার সুবাস্তু নজর ভ্যালি, হল্যান্ড সেন্টার সহ আশপাশের মার্কেট ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শোরুম ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

সুবাস্তু নজর ভ্যালির নিচতলায় নারীদের থান কাপড়ের দোকান ও দ্বিতীয় তলায় পাওয়া যায় কসমেটিকস। শনিবার কসমেটিকসের দোকানে কিছু ক্রেতার দেখা মিললেও কাপড়ের দোকানে ক্রেতা ছিল না বললেই চলে। এ শপিং মলের জুতার দোকানগুলোতে তেমন একটা ভিড় দেখা যায়নি।

কথা হয় জুতার দোকানি মো. সামির সঙ্গে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘রোজার ঈদের তুলনায় কোরবানির ঈদে বিক্রি সাধারণত কমই হয়। এরপরও ঈদের আগের তিনদিন কিছুটা ভালো বিক্রি হয়ে থাকে।’

বিক্রি কম হওয়ার কারণ হিসেবে সামি বলেন, ‘কোরবানির ঈদে তেমন নতুন কোনো পণ্য আসে না। এসময় বিদেশি পোশাকসহ অন্যান্য পণ্য আমদানিও কম হয়। এছাড়া রোজার ঈদে নতুন পোশাক কেনার পর কোরবানির ঈদে তেমন চাহিদা থাকে না। ফলে বিক্রিও কম হয়।’

বছরের অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় কোরবানির ঈদের সময় বিয়ের আয়োজন হয়ে থাকে বেশি। ফলে এ সময়ে বাড়ে সোনার গয়নার চাহিদা। তবে এখন পর্যন্ত জুয়েলারিতে ওভাবে বিক্রি বাড়েনি।

এমএল জুয়ালার্সের বিক্রেতা সোহান জানান, বর্তমানে সোনার দাম অনেক চড়া। দাম বেশি থানায় সোনার গয়নার চাহিদা কমে গেছে। ফলে সেভাবে বিক্রি হচ্ছে না।

সুবাস্তু নজর ভ্যালিতে কেনাকাটার জন্য আসেন সাইফ। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইফ তার তিন বছরের মেয়ের জন্য জামা কিনতে আসেন। পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য কী কিনেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রোজার ঈদে সবার জন্য কিনেছি। এখন তো আবার সবার জন্য বাজেট করা যাবে না। সংসারের খরচ যেভাবে বেড়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতেই হিমশিম অবস্থা। ঈদে যে বোনাস পেয়েছি তা কোরবানি দিতে আর বাড়িতে যাওয়া-আসায় শেষ হয়ে যাবে।’

হল্যান্ড সেন্টারে জেন্টস নামের এক দোকানের কর্মচারী আহমেদ বলেন, ‘এই মার্কেটে বেচা-বিক্রি তেমন নেই। একসময় খুব ভালো বিক্রি হলেও এখন তেমন একটা হয় না। তাছাড়া এমনিতেও কোরবানির ঈদে রোজার ঈদের মতো বিক্রি হয় না।’

প্রাণিসম্পদ খাতকে গণমাধ্যমে তুলে ধরার আহ্বান মন্ত্রীর
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

প্রাণিসম্পদ খাতকে গণমাধ্যমে ভালোভাবে তুলে ধরলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে। এই খাতের সমস্যা-সম্ভাবনা তুলে ধরার মাধ্যমে সাংবাদিকরা শুধু প্রাণিসম্পদ খাতেরই উপকার করছে না, গোটা জাতির উপকার করছে।

বুধবার (৫ জুন) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ফিশারিজ অ্যান্ড লাইফস্টক জার্নালিস্ট ফোরামের (এফএলজেএফ) নতুন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর বলেন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, সমুদ্রের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরকে আমরা উন্নয়নের নিয়ামক ভূমিকা হিসেবে ব্যবহার করতে পারি। কিন্তু সমুদ্র সম্পদের প্রাপ্যতা, উত্তোলন এবং ব্যবহার সম্পর্কে বাংলাদেশের পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল এবং প্রযুক্তির অভাব রয়েছে। সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণ বৃদ্ধি করে সেটি বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পরিকল্পনা আছে আমাদের।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি এম এ জলিল মুন্না রায়হান, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান, অর্থ সম্পাদক শাহজাহান মোল্লা সাংগঠনিক সম্পাদক বায়েজীদ মুন্সী, দপ্তর সম্পাদক বেলাল হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য কাওসার আজম, ইসমাইল হোসাইন রাসেল, গৌতম ঘোষ।


   Page 1 of 18
     অর্থ-বাণিজ্য
রীতি ভেঙে আজ ওয়েবসাইটেই প্রকাশ হবে মুদ্রানীতি
.............................................................................................
তিন কার্যদিবস পর কোনো রকমে বাড়লো সূচক
.............................................................................................
ফের সোনার আউন্স ২৪০০ ডলার ছাড়ালো
.............................................................................................
বৃষ্টি-বন্যার কারণে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি সাময়িক: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
.............................................................................................
ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার, আধাঘণ্টায় ১৫০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন
.............................................................................................
রপ্তানিতে নগদ সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি
.............................................................................................
বাজার মূলধনে যোগ হলো আরও সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা
.............................................................................................
শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থাকে শুদ্ধাচার পুরস্কার
.............................................................................................
মিডল্যান্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পুনর্নির্বাচিত
.............................................................................................
এপিএ’তে লক্ষ্যমাত্রা থাকায় জ্বালানি সরবরাহ ত্বরান্বিত হচ্ছে
.............................................................................................
আধাঘণ্টায় সূচকে যোগ ৫২ পয়েন্ট
.............................................................................................
দেশে কমেছে কোটিপতির সংখ্যা
.............................................................................................
স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষায় গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানোর দাবি
.............................................................................................
ব্যাংক-জ্বালানি খাতের মতো রোগাক্রান্ত ফুসফুস মেরামতে বার্তা নেই
.............................................................................................
ভিড় নেই শপিংমলে, এখনো জমেনি ঈদের কেনাকাটা
.............................................................................................
প্রাণিসম্পদ খাতকে গণমাধ্যমে তুলে ধরার আহ্বান মন্ত্রীর
.............................................................................................
বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন
.............................................................................................
ব্যাংকের নিরাপত্তায় সশস্ত্র প্রহরী বাড়ানোর নির্দেশ
.............................................................................................
এলপিজির দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানা যাবে আজ
.............................................................................................
জুন মাসের টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন
.............................................................................................
পোশাক খাতের অর্জনকে কাজে লাগিয়ে জোরালো প্রচারণার তাগিদ
.............................................................................................
বাজার মূলধন হারালো আরও ৪ হাজার কোটি টাকা
.............................................................................................
বিশেষ ডিমের নামে প্রতারণা, কোম্পানি ও সুপারশপকে তলব
.............................................................................................
অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ
.............................................................................................
মালিক-শ্রমিক উভয়ের স্বার্থরক্ষায় কাজ করতে হবে
.............................................................................................
ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান
.............................................................................................
ইসলামী ব্যাংকের মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন শুরু
.............................................................................................
খাদ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.২২ শতাংশ
.............................................................................................
হালাল খাদ্যের বাজারে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা
.............................................................................................
বিজিএপিএমইএর সভাপতি হচ্ছেন মো. শাহরিয়ার
.............................................................................................
বিআইসিএমের ইনোভেশন প্রদর্শনী
.............................................................................................
মুনাফা বেড়েছে তিন ব্যাংকের, কমেছে একটির
.............................................................................................
আধাঘণ্টায় আড়াইশ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে লেনদেন
.............................................................................................
চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ লাইটার জেটি, বাড়ছে সক্ষমত
.............................................................................................
দ্রুত বৈশ্বিক পরিবর্তন উন্নয়নশীল দেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং
.............................................................................................
রক্ত পানি করা টাকা চুষে খাচ্ছে বিমা কোম্পানি
.............................................................................................
পোশাক শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিজিএমইএ
.............................................................................................
বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য ৫ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন ঘোষণা এডিবির
.............................................................................................
ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের বিকাশে সরকারের সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা
.............................................................................................
গরমে পথচারীদের বিনামূল্যে শরবত দিলো স্বপ্ন
.............................................................................................
সিঙ্গাপুর থেকে ২ কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার
.............................................................................................
বাংলাদেশ-কাতারের বাণিজ্য জোরদারে জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল গঠন
.............................................................................................
ফরচুন বরিশালকে নগদের ২০ লাখ টাকা উপহারের চেক হস্তান্তর
.............................................................................................
তিন বিদায়ী জাপানী বিনিয়োগকারীকে সংবর্ধনা দিলো নোভো কার্গো
.............................................................................................
ভরা মৌসুমে বাড়ছে চালের দাম
.............................................................................................
কোরিয়ান ওয়েভ পুরস্কার পেলেন সৈয়দ মুস্তাফিজুর রহমান
.............................................................................................
প্রবাসী আয়ে বিশ্বে সপ্তম বাংলাদেশ, বেশি আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে
.............................................................................................
প্রথমবারের মতো প্রার্থীর সক্ষমতা যাচাইয়ে সাক্ষাৎকার
.............................................................................................
দাম বেড়েছে ডিম-মুরগির, সবজি স্থিতিশীল
.............................................................................................
আদানি পোর্টফোলিওর প্রথমার্ধে প্রবৃদ্ধি ৪৭ শতাংশ
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
চেয়ারম্যান: এস.এইচ. শিবলী ।
সম্পাদক, প্রকাশক: জাকির এইচ. তালুকদার ।
হেড অফিস: ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ ।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বাড়ি নং ২, রোড নং ৩, সাদেক হোসেন খোকা রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা ১০০০ ।
ফোন: 01558011275, 02-৪৭১২২৮২৯, ই-মেইল: dtvbanglahr@gmail.com
   All Right Reserved By www.dtvbangla.com Developed By: Dynamic Solution IT Dynamic Scale BD & BD My Shop    
Dynamic SOlution IT Dynamic POS | Super Shop | Dealer Ship | Show Room Software | Trading Software | Inventory Management Software Computer | Mobile | Electronics Item Software Accounts,HR & Payroll Software Hospital | Clinic Management Software Dynamic Scale BD Digital Truck Scale | Platform Scale | Weighing Bridge Scale Digital Load Cell Digital Indicator Digital Score Board Junction Box | Chequer Plate | Girder Digital Scale | Digital Floor Scale