সেতু মন্ত্রণালয় থেকে বাদ যাচ্ছে ১১১৮৬ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয়
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে সবচেয়ে বেশি কাটছাঁট হচ্ছে উন্নয়ন ব্যয়। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থছাড় কমিয়ে দিয়েছে। এর ফলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগেই প্রায় ১১ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা কমানো হচ্ছে ব্যয়।
সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সময়ে এসব প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল।
বিশাল অঙ্কের ব্যয় কমানোর জন্য মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাজেট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তাদের সংশোধিত উন্নয়ন বাজেটের চাহিদা চূড়ান্ত করা হয়। এবার একটু আগেভাগেই বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, সভায় সংশোধিত উন্নয়ন বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২০ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। মূল এডিপিতে চলতি অর্থবছরের জন্য ৩২ হাজার ৮২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সংশোধিত বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ কমছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের। সংস্থাটির জন্য বরাদ্দকৃত ১৮ হাজার ৯৩ কোটি টাকার মধ্যে সাত হাজার ১২৭ কোটি টাকা কাটছাঁট করা হচ্ছে। ডিটিসিএ’র কোনো বরাদ্দ না কমলেও বিআরটিসির প্রায় পুরো টাকাই কেটে নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিটের (এমআরটি) চার প্রকল্প থেকে কাটছাঁট হচ্ছে এক হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা, যার মধ্যে এমআরটি লাইন-১ থেকে যাচ্ছে এক হাজার ৪৬৮ কোটি। আর এমআরটি লাইন-৬ থেকে কাটছাঁট হচ্ছে ৩২৪ কোটি টাকা।
অন্যদিকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে সচিবালয় থোক বরাদ্দ হিসেবে এক হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা মূল উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দ রাখা হলেও সেটি বাদ যাচ্ছে। এমআরটির চার প্রকল্প বরাদ্দ পাচ্ছে চার হাজার ৮১১ কোটি টাকা।
এদিকে খরচ কমাতে এবার সরকার আগে থেকেই অর্থছাড় কমিয়ে দিয়েছে। পাঁচ মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ১২.২৯ শতাংশ। গত পাঁচ মাসে ৩৪ হাজার ২১৪ কোটি টাকা অর্থছাড় হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের এডিপির আকার ধরা হয় দুুই লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এডিপির আওতায় এক হাজার ৩২৬টি প্রকল্প আছে।
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে সবচেয়ে বেশি কাটছাঁট হচ্ছে উন্নয়ন ব্যয়। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থছাড় কমিয়ে দিয়েছে। এর ফলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগেই প্রায় ১১ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা কমানো হচ্ছে ব্যয়।
সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সময়ে এসব প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল।
বিশাল অঙ্কের ব্যয় কমানোর জন্য মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাজেট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তাদের সংশোধিত উন্নয়ন বাজেটের চাহিদা চূড়ান্ত করা হয়। এবার একটু আগেভাগেই বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, সভায় সংশোধিত উন্নয়ন বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২০ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। মূল এডিপিতে চলতি অর্থবছরের জন্য ৩২ হাজার ৮২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সংশোধিত বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ কমছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের। সংস্থাটির জন্য বরাদ্দকৃত ১৮ হাজার ৯৩ কোটি টাকার মধ্যে সাত হাজার ১২৭ কোটি টাকা কাটছাঁট করা হচ্ছে। ডিটিসিএ’র কোনো বরাদ্দ না কমলেও বিআরটিসির প্রায় পুরো টাকাই কেটে নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিটের (এমআরটি) চার প্রকল্প থেকে কাটছাঁট হচ্ছে এক হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা, যার মধ্যে এমআরটি লাইন-১ থেকে যাচ্ছে এক হাজার ৪৬৮ কোটি। আর এমআরটি লাইন-৬ থেকে কাটছাঁট হচ্ছে ৩২৪ কোটি টাকা।
অন্যদিকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে সচিবালয় থোক বরাদ্দ হিসেবে এক হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা মূল উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দ রাখা হলেও সেটি বাদ যাচ্ছে। এমআরটির চার প্রকল্প বরাদ্দ পাচ্ছে চার হাজার ৮১১ কোটি টাকা।
এদিকে খরচ কমাতে এবার সরকার আগে থেকেই অর্থছাড় কমিয়ে দিয়েছে। পাঁচ মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ১২.২৯ শতাংশ। গত পাঁচ মাসে ৩৪ হাজার ২১৪ কোটি টাকা অর্থছাড় হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের এডিপির আকার ধরা হয় দুুই লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এডিপির আওতায় এক হাজার ৩২৬টি প্রকল্প আছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রশাসক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বিজিএমইএ এর একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কার্যালয়ে সাক্ষাৎ বৈঠক করেন। এ সময় বিজিএমইএ প্রতিনিধি দল শুল্ক এবং বন্ডেড ওয়্যারহাউস রেগুলেশন সম্পর্কিত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বিশেষ করে এক্ষেত্রে উদ্যোক্তারা প্রতিনিয়ত যে চ্যালেঞ্জগুলোর সম্মক্ষীন হচ্ছেন, সেগুলো তুলে ধরেন।
প্রতিনিধি দলটি পোশাক খাতের জন্য নির্বিঘ্ন এবং আরও দক্ষ ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করতে বাধাগুলো অপসারণের বিষয়ে এনবিআরের সহযোগিতা কামনা করেন।
আলোচনায় অংশ নেন বিজিএমইএ সাপোর্ট কমিটির সদস্য ইনামুল হক খান (বাবলু), আসিফ আশরাফ ও মো. শিহাবুদ্দোজা চৌধুরী।
বৈঠকে বিজিএমইএ প্রতিনিধি দল নন-বন্ডেড কারখানাগুলোকে স্থানীয়ভাবে কাঁচামাল সোর্সিংয়ের জন্য ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি খোলার অনুমতি দেওয়ার জন্য বর্তমান নিয়ম সংশোধনের বিষয়ে এনবিআরকে অনুরোধ জানান।
বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী, কারখানাগুলো বন্ড লাইসেন্স ব্যতীত রপ্তানির উদ্দেশ্যে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির মাধ্যমে কাঁচামাল ক্রয় করতে পারে না, যা কি না নন-বন্ডেড কারখানাগুলোর জন্য উল্লেখযোগ্য বাধা তৈরি করে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বিজিএমইএ প্রতিনিধিদল কর্তৃক উত্থাপিত বিষয়গুলো মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেন যে এনবিআর নন-বন্ডেড কারখানাগুলোকে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি সুবিধা প্রদানের উপায়গুলো অনুসন্ধান করবে।
বৈঠকে বিজিএমইএ প্রতিনিধি দল তৈরি পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে কাষ্টমস সংক্রান্ত নীতিগুলো সহজতর করা, বিশেষ করে আমদানিকৃত কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের ছাড়পত্রের জন্য প্রক্রিয়াগুলো সহজতর ও ত্বরান্বিত করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ জানান।
প্রত্যুত্তরে এনবিআর চেয়ারম্যান পরিষেবাগুলোকে আরও দ্রুততর, সময় সাশ্রয়ী এবং আরও দক্ষ করার জন্য এনবিআর এর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে ফরেন পোর্টফোলিও বিনিয়োগ (এফপিআই) বাড়াতে অনুসন্ধান করছে টেরা পার্টনার্স ইউএসএ। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও বাজার পরিবেশ দেখে বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রণয়নের কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি ইয়ার্ডেন মারিয়ামা, সিএফএ।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন টেরা পার্টনার্স ইউএসএ এর প্রতিনিধি ইয়ার্ডেন মারিয়ামা।
এ সময় বিএসইসির কমিশনার ফারজানা লালারুখ, সিটি ব্যাংক ব্রোকারেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম. আফনান ইউসুফ ও সিটি ব্যাংক ব্রোকারেজের রিচার্স ও ইনভেস্টমেন্ট হেড এ কে এম ফজলে রাব্বী উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে কীভাবে ফরেন পোর্টফোলিও বিনিয়োগ (এফপিআই) বাড়ানো যেতে পারে, সেসব বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাংলাদেশে সুন্দর বিনিয়োগ পরিবেশ আছে এবং এ দেশের বিনিয়োগ ভবিষ্যৎ আরও সম্ভাবনাময় বলে টেরা পার্টনার্স ইউএসএ এর পক্ষ থেকে অভিমত প্রকাশ করা হয়।
টেরা পার্টনার্স ইউএসএ প্রায় ২০ বছর যাবৎ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে আসছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারেও পরিবর্তন এসেছে। দেশের বাইরে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবহার এখন থাইল্যান্ডে। সম্প্রতি ভারতের পরিবর্তে থাইল্যান্ডে খরচ বেড়েছে বাংলাদেশিদের।
এর আগে ভারতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতেন বাংলাদেশিরা। প্রতি বছরই প্রতিবেশি দেশটিতে চিকিৎসা, কেনাকাটা ভ্রমণসহ বিভিন্ন কাজে অসংখ্য বাংলাদেশি ভারতে যান। এতে ক্রেডিট কার্ডে ভারতেই সব থেকে বেশি খরচ করতেন বাংলাদেশিরা। এখন সেই জায়গা দখলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও থাইল্যান্ড। এর ফলে ক্রেডিট কার্ডে ভারতে বাংলাদেশিদের ব্যয় তিন নম্বরে চলে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, দেশের বাইরে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবহার এখন থাইল্যান্ডে। এক মাসের ব্যবধানে দেশটিতে ক্রেডিট কার্ডে খরচ বেড়েছে ১৬ কোটি টাকা। গত সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে খরচ করেছিলেন ৪২ কোটি টাকা। অক্টোবরে খরচের পরিমাণ একলাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ কোটি টাকায়। এর ফলে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে দেশটি। যেখানে গত সেপ্টেম্বরেও দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ভারত।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশিদের জন্য পর্যটক ভিসা বন্ধ রেখেছে ভারত। ভিসা চালুর আশ্বাসও পাওয়া যায়নি। প্রতি বছরই সর্বোচ্চ সংখ্যক বাংলাদেশি পর্যটক ভারতের কলকাতা, দিল্লি, দার্জিলিং, সিকিম, মেঘালয়ে যেতেন। ভিসা জটিলতার কারণে ভারতের পরিবর্তে এখন থাইল্যান্ডের দিকে ঝুঁকেছে বাংলাদেশি পর্যটকরা। এর ফলে ভারতের পরিবর্তে থাইল্যান্ডে খরচও বেড়েছে।
দেশের ক্রেডিট কার্ড ইস্যুকারী ৪৪টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে বাংলাদেশের নাগরিকদের এবং দেশের ভেতরে বিদেশি নাগরিকদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের তথ্য তুলে ধরা হয় এ প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত অক্টোবরে দেশে-বিদেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। দেশের অভ্যন্তরে এক মাসের ব্যবধানে ক্রেডিট কার্ডে খরচ বেড়েছে ১৯৭ কোটি টাকা বা সাড়ে ৭ শতাংশ আর বিদেশে খরচ বেড়েছে ৭৮ কোটি টাকা বা সাড়ে ১৮ শতাংশের বেশি। অক্টোবরে দেশের অভ্যন্তরে ক্রেডিট কার্ডে খরচ করা হয়েছে ২ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা। যা তার আগের মাস সেপ্টেম্বরে যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা। অক্টোবরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্রেডিট কার্ডে বাংলাদেশিরা খরচ করেছেন ৪৯৯ কোটি টাকা। আগের মাস সেপ্টেম্বরে এর পরিমাণ ছিল ৪২১ কোটি টাকা। বিদেশে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের সর্বোচ্চ ব্যবহার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। অক্টোবরে আমেরিকায় খরচ হয়েছে ৮৪ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বরে যার পরিমাণ ছিল ৭৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে খরচ বেড়েছে ৭ কোটি টাকা বা ৮ শতাংশের বেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিদেশে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে যত অর্থ খরচ করেন তার ২৮ শতাংশের বেশি খরচ হয় যুক্তরাষ্ট্র ও থাইল্যান্ডে। অক্টোবর মাসে বিদেশের মাটিতে খরচ হওয়া ৪৯৯ কোটি টাকার মধ্যে ১৪১ কোটি টাকায় খরচ হয়েছে এই দুই দেশে। ক্রেডিট কার্ডে খরচের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। অক্টোবরে ভরতে বাংলাদেশিরা খরচ করেছেন ৫৪ কোটি টাকা, যা আগের মাসের চেয়ে চার কোটি টাকা বেশি।
বিদেশে ক্রেডিট কার্ডে খরচের দিক থেকে এরপরে রয়েছে সিঙ্গাপুর। দেশটিতে অক্টোবরে বাংলাদেশিরা খরচ করেছেন ৪৩ কোটি টাকা যা তার আগের মাস সেপ্টেম্বরে ছিল ৩০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে সিঙ্গাপুরে ক্রেডিট কার্ডে খরচ ১৩ কোটি টাকা বেড়েছে।
বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে। গত অক্টোবর মাসে বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে ১২৯ কোটি টাকা খরচ করেছেন। তার আগের মাস সেপ্টেম্বরে এর পরিমাণ ছিল ১১১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে বিদেশিদের খরচ বেড়েছে ১৮ কোটি টাকা। এ দেশে বিদেশিরা ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি করেন নগদ অর্থ তোলার ক্ষেত্রে। অক্টোবরে ১২৯ কোটি টাকা খরচের মধ্যে ৪৭ কোটি টাকায় বিদেশিরা নগদে উত্তোলন করেছেন বলে প্রতিবেদনে উঠে আসে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
দাম সহনীয় রাখতে সয়াবিন তেল আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। একই সঙ্গে সানফ্লাওয়ার, ক্যানোলা তেলে ভ্যাট ও অগ্রিম কর কমানো হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সয়াবিনসহ বিভিন্ন তেলের ওপর ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্তটি আজ (১৬ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) এনবিআরে জনসংযোগ দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, পরিশোধিত ও অপরিশোধিত পাম তেল, অপরিশোধিত সানফ্লাওয়ার তেল, অপরিশোধিত ক্যানোলা তেলের ওপর আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশের অতিরিক্ত ভ্যাট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলে স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে। এছাড়া অপরিশোধিত সানফ্লাওয়ার ও ক্যানোলা তেল এবং পরিশোধিত সানফ্লাওয়ার ও ক্যানোলা তেলের আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম কর অব্যাহতি–সুবিধা পাবেন আমদানিকারকেরা।
এনবিআরের জনসংযোগ দপ্তর জানায়, সানফ্লাওয়ার, ক্যানোলা, সয়াবিন ও পাম ওয়েল বিক্রয়ের ওপর স্থানীয় পর্যায়ে প্রদেয় মূল্য সংযোজন কর (মূসক) সম্পূর্ণ অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সব পণ্যের আমদানি পর্যায়ে প্রদেয় মূসক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের ওপর আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ মূসক ব্যতীত অন্য কোনো শুল্ক-করাদি অবশিষ্ট রইলো না। সানফ্লাওয়ার তেল ও কেনোলা তেলের কাস্টমস ডিউটি, রেগুলেটরি ডিউটি, আগাম কর ও অগ্রিম আয়কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করায় এবং মূল্য সংযোজন কর হ্রাস করার ফলে এসব তেলের আমদানি ব্যয় লিটার প্রতি ৪০-৫০ টাকা হ্রাস পাবে।
এর আগে ৯ ডিসেম্বর সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে আট টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর ফলে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল এখন বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকায়। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৪৯ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫৭ টাকা। খোলা পাম তেলের লিটারও ১৪৯ টাকা থেকে বেড়ে ১৫৭ টাকা হয়েছে। এছাড়া বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম এখন ৮৬০ টাকা, যা আগে ছিল ৮১৮ টাকা। যদিও দাম বাড়ানোর পরও স্বাভাবিক হয়নি সয়াবিন তেলের বাজার।
সয়াবিন তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে রাইস ব্রান অয়েল বা ধানের কুঁড়ার তেল রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে শুল্কারোপের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। সংস্থাটি এজন্য অপরিশোধিত ও পরিশোধিত—উভয় ধরনের কুঁড়ার তেল রপ্তানির ওপর ২৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) আরোপের সুপারিশ করেছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
দেশের বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ৭৭৩ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৯৮ টাকা।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার প্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
এর আগে গত ১০ ও ১২ ডিসেম্বর দু’দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়। তিন দিনে দু’দফা দাম বাড়ানোর পর এখন কিছুটা কমানো হলো। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭৭৩ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৯৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭০৩ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৩২ হাজার ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৪৫৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ২৩৭ টাকা কমিয়ে ৯৩ হাজার ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে ১২ ডিসেম্বর সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৮৭৮ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৪০ হাজার ২৭১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৮০৮ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯০৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫৪০ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৩১৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৪ হাজার ২৫৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ শনিবার পর্যন্ত এ দামেই সোনা বিক্রি হয়েছে।
সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
গত সপ্তাহে বড় ধরনের দরপতনের মধ্য দিয়ে পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই দরপতন দেখতে হয়েছে বিনিয়োগকারীদের। এমন মন্দা শেয়ারবাজারে মিরাকল (অলৌকিক ঘটনা) ঘটিয়েছে মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ। লোকসানে নিমজ্জিত হয়ে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে না পারা এই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে।
এক শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার দাম পছন্দের শীর্ষে ছিল গত সপ্তাহজুড়েই। ফলে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার শীর্ষ স্থানটিও দখল করেছে লোকসানে পড়া প্রতিষ্ঠানটি। কোম্পানিটির শেয়ারের এই দাম বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে উল্লেখ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। আর কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে দাম বাড়ার কারণ তাদের জানা নেই।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহজুড়ে মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার দাম বেড়েছে ২৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬ টাকা ৩০ পয়সা। এতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সম্মিলিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ২২ কোটি ১৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৯০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ছিল ২২ টাকা ৬০ পয়সা।
শুধু গত সপ্তাহ নয়, চলতি বছরের ২৬ নভেম্বরের পর থেকেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। ২৬ নভেম্বর কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ১৬ টাকা ৪০ পয়সা। সেখান থেকে ১১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দাম ২৯ টাকা ৮০ পয়াসায় উঠে। অর্থাৎ মাত্র ১১ কার্যদিবসে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৩ টাকা ৪০ পয়সা বা ৮১ দশমিক ৭১ শতাংশ।
কোম্পানিটির শেয়ার দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ার বিষয়ে ১০ ডিসেম্বর ডিএসই থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে বার্তা প্রকাশ করা হয়। ওই বার্তায় ডিএসই জানায়, শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে ওই কোম্পানির কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশের জবাবে কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সম্প্রতি শেয়ারের যে অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে এবং লেনদেন বেড়েছে, তার পিছনে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদশীল তথ্য নেই। এরপরও কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে।
শেয়ারের এমন দাম বাড়া কোম্পানিটি ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০২১ সালের মার্চের পর কোম্পানিটি দীর্ঘদিন আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। তবে সম্প্রতি কোম্পানিটি ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর এই তিন মাসের ব্যবসায় কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ৮১ পয়সা লোকসান করে। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান হয় ৭৬ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির লোকসানের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে।
৩৫ কোটি ২১ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৩ কোটি ৫২ লাখ ১৮ হাজার ৫৫টি। এর মধ্যে ৩০ দশমিক ২৬ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৬৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে, ৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এবং দশমিক ২০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে।
মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজের পরেই গত সপ্তাহে দাম বাড়ার তালিকায় ছিল এইচআর টেক্সটাইল। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ১৭ দশমিক ২৩ শতাংশ। ১৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ দাম বাড়ার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন।
এছাড়া গত সপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- সায়হাম কটনের ১৫ দশমিক ২৮ শতাংশ, মেট্রো স্পিনিংয়ের ১৫ শতাংশ, সোনারগাঁও টেক্সটাইলের ১৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ, হামি ইন্ডাস্ট্রিজের ১২ দশমিক ৫২ শতাংশ, লুব-রেফ বাংলাদেশের ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ, সায়হাম টেক্সটাইলের ৯ দশমিক ১৫ শতংশ এবং আমরা টেকনোলজিস এর ৮ দশমিক ৬২ শতাংশ দাম বেড়েছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
জাপান বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (জেবিসিসিআই) সভাপতি তারেক রাফি ভুঁইয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সভার আয়োজন করে।
জাপানের সঙ্গে চলমান ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্টকে (ইপিএ) কেন্দ্র করে জেবিসিসিআইয়ের অংশগ্রহণ এবং কার্যক্রম নিয়ে সভায় আলোচনা হয়। এসময় সম্প্রতি জেবিসিসিআইয়ের প্রকাশিত ইপিএ প্রতিবেদন বাণিজ্য উপদেষ্টার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সভায় জেবিসিসিআই প্রতিনিধিদল ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে আর্থিক রেগুলেশন, ব্যবসা পরিবেশ, করনীতিসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং এর থেকে উত্তরণের জন্য সুপারিশ প্রদান করে।
সুপারিশমালায় ইপিএ সম্পর্কিত কমিটি এবং কার্যক্রমে জেবিসিসিআই প্রতিনিধিত্ব অন্তর্ভুক্ত করা জটিল করব্যবস্থা পর্যালোচনা ও সরলীকরণ এবং অসঙ্গতি সমাধান করা, করনীতি প্রশাসনিক পদ্ধতিতে স্ট্রিমলাইনিং এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স এবং ব্যবসা নিবন্ধন সহজ করা, ওয়ার্ক পারমিট এবং ভিসার জন্য সহজীকরণ মাপদণ্ড, সেই সঙ্গে নিরাপত্তা সহজতর করা, প্রবাসীদের জন্য ছাড়পত্র প্রক্রিয়া সহজ করা, ব্যবসা করা সহজ করার জন্য আর্থিক বিধি শিথিল করা, একটি স্থিতিশীল ব্যবসায়িক পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য নীতির অসঙ্গতির সমাধান করা, দক্ষতা বাড়াতে সরকারি সংস্থার পুনর্গঠন, ট্রেড লাইসেন্সের নবায়নের মেয়াদ বাড়ানোর তাগিদ দেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জেবিসিসিআই প্রতিনিধিদলের কার্যক্রমকে স্বাগত জানান এবং আশ্বস্ত করেন সরকার বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
চলতি মৌসুমে দেশের কয়েকটি জেলায় বিতরণ করা পেঁয়াজ বীজের অঙ্কুরোদগম হার অস্বাভাবিক কম হওয়ায় কৃষকদের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে এর প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্ট দুই কর্মকর্তাকে দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ ও অদক্ষতার কারণে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)।
কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- পেঁয়াজ বীজ মূল্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও গাবতলী বিএডিসি বীজ পরীক্ষাগারের যুগ্ম পরিচালক ড. মো. মাহবুবুর রহমান এবং গাবতলী সবজি বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের উপপরিচালক শাহানা আক্তার। চাকরি প্রবিধানমালা ১৯৯০ অনুযায়ী তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার বিএডিসির সচিব (উপসচিব) ড. কে, এম, মামুন উজ্জামানের সই করা পৃথক আদেশে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
একই ঘটনায় বিএডিসির পরিচালক (বীজ ও উদ্যান) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত মোস্তাফিজুর রহমান বিএডিসি চেয়ারম্যান (গ্রেড -১) রুহুল আমিনের সই করা আদেশে অর্পিত দায়িত্ব পালনে বিরত রাখতে বলা হয়েছে।
বিএডিসির কেনা পেঁয়াজ বীজের তাহিরপুর জাতের শীতকালীন অঙ্কুরোদগম হার বীজ মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ৮০ শতাংশ ও ৮১ শতাংশ দেখানো হয়। অথচ কৃষকের মাঠে বিশেষত ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর অঙ্কুরোদগম হার ক্ষেত্রবিশেষ ১০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ হয়। এতে প্রতীয়মান হয় মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন যথার্থ ছিল না।
বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয় অধিকতর তদন্ত করে জড়িত কর্মকর্তা ও বীজ সরবরাহকারী কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলেও জানানো হয়েছে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আগ্রহের কথা জানান।
বৈঠকের শুরুতে উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি ও জোরদারের পাশাপাশি বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মে সহযোগিতা জোরদারের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত পারস্পরিক সম্পর্ক ও ব্যবসায়িক স্বার্থে দুই দেশের এক সঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে কাজ করবে তার সরকার।
সাক্ষাৎকালে ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি)- জিটুজি প্রক্রিয়ায় মেঘনা নদী হতে পানি পরিশোধন পূর্বক পানি সরবরাহ প্রকল্প’, সিটি করপোরেশন, ওয়াসা ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্পসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রদূত মেঘনা নদী থেকে পানি পরিশোধনপূর্বক পানি সরবরাহ প্রকল্পের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’র পানির চাহিদা পূরণ হবে। ১৫১ কিলোমিটার পাইপলাইন সরবরাহ এবং সম্পূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের ৭৫ শতাংশ অর্থ সহযোগিতা প্রদান করবে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের সদস্য।
এ সময় উপদেষ্টা প্রকল্পটির অংশীজন বেজা, পিপিপি কর্তৃপক্ষ, ওয়াসা, স্থানীয় সরকার বিভাগের সমন্বয়ে সভা ও কর্মশালা আয়োজন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়াও দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন প্রকল্পের গতি বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব), স্থানীয় সরকার বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশের এক কোটিরও বেশি মানুষ পাড়ি জমিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। প্রবাসীদের পাঠানো কষ্টার্জিত অর্থে সচল রয়েছে দেশের অর্থনীতির চাকা। প্রবাসীদের লেনদেনের সুবিধার্থে আজকের (৮ ডিসেম্বর ২০২৪) মুদ্রার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো।
মুদ্রা
ক্রয় (টাকা)
বিক্রয় (টাকা)
ইউএস ডলার
১১৯.০০
১২০.০০
পাউন্ড
১৫০.৪৪
১৫৮.২৬
ইউরো
১২৪.৮৭
১৩১.৩৭
জাপানি ইয়েন
০.৭৯
০.৮৫
অস্ট্রেলিয়ান ডলার
৭৬.০৩
৭৬.৬৮
হংকং ডলার
১৫.৩০
১৫.৪৩
সিঙ্গাপুর ডলার
৮৭.৬৩
৯৩.০৩
কানাডিয়ান ডলার
৮৪.০৩
৮৪.৭৮
ইন্ডিয়ান রুপি
১.৪১
১.৪২
সৌদি রিয়েল
৩১.৬৭
৩১.৯৪
মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত
২৬.৯১
২৭.১৭
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে রেডিমেড গার্মেন্টসের বৈশ্বিক ব্র্যান্ড এবং ক্রেতা প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করেন।
তিনি এ শিল্পের গুরুত্ব উল্লেখ করে বলেন, চ্যালেঞ্জ এবং পরিবর্তনের সময়েও ক্রেতা সম্প্রদায়ের গঠনমূলক ভূমিকা এবং অবদানের জন্য কৃতজ্ঞ।
লুৎফে সিদ্দিকী রপ্তানি, রেমিটেন্স এবং কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের মতো সূচকের ওপর সতর্ক আশাবাদ প্রকাশ করেন, যা প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গত বছরের তুলনায় দুই অংকের শতাংশ বৃদ্ধি দেখিয়েছে।
তবে আইনশৃঙ্খলা, শ্রম সম্পর্ক এবং তারল্য পরিস্থিতি উন্নতির ইঙ্গিত দিলেও এগুলো এখনো নিবিড় পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন। পাশাপাশি বন্দর অবকাঠামো, জ্বালানি অবকাঠামো এবং দক্ষতার ঘাটতির মতো কাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সময় লাগবে। তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সংস্কারের মাধ্যমে এ সমস্যাগুলোর সমাধান আগের চেয়ে দ্রুত করা সম্ভব হবে।
ক্রেতা প্রতিনিধিরা উল্লেখ করেন, প্রথমবারের মতো তারা এ ধরনের উচ্চপর্যায়ে সরাসরি সরকারের সঙ্গে মতবিনিময়ের সুযোগ পেয়েছেন।
তারা ব্র্যান্ড সুরক্ষার দুর্বলতা, আমদানির জন্য সীমিত ঋণ সুবিধা এবং এ খাতের জন্য একটি নিবেদিত গ্রিন এনার্জি পরিকল্পনার অভাবের মতো বিষয়গুলো সরকারের মনোযোগে আনেন।
তারা শ্রম মান উন্নয়নের সরকারী এজেন্ডার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান এবং তাদের মূল্য নির্ধারণ নীতিমালা শ্রমিকদের উন্নত মজুরির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, এমন ধারণা প্রত্যাখ্যান করেন।
সংলাপে অংশগ্রহণকারী দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিরা হলেন:জিয়াউর রহমান, এইচ অ্যান্ড এম বাংলাদেশ, বিক্রমজিৎ সিং, গ্যাপ ইনক. রেজওয়ান মুরশেদ, ক্যারিফোর, জান রসেল, স্পোর্টস গ্রুপ ডেনমার্ক, রাজীব কে ইসলাম চৌধুরী, আলিউর সোর্সিং লিমিটেড জেসিকা নুরসু, ভিএফ করপোরেশন, মঈন চৌধুরী, পুমা এসই (ওয়ার্ল্ড ক্যাট লিমিটেড), মেহতাপ মীর, অটো ইন্টারন্যাশনাল, ব্রুনহিল্ডে ডেসক্যাম্পস, অশোঁ, মো. আবদুল্লাহ আল রুমি, স্ট্যানলি স্টেলা,হাভিয়ের সান্টোনজা, ইনডিটেক্স, জোসে ম্যানুয়েল মার্টিন, এল কর্টে ইংলেস এস. এ, জেসাস বার্নাল, টেপ আ লয়েল মিস. উইকে গেরহোল্ড, ইউরোসেন্ট্রা, লুসি আবত, সেলিও সোর্সিং, সমিত রায় নন্দী, ডেকাথলন।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে খাদ্যপণ্যের দাম। অথচ সেভাবে বাড়ছে না আয়। ফলে নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে খাদ্যপণ্য। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে অর্থাৎ নভেম্বর মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে কিছুটা স্বস্তি এসেছিল মূল্যস্ফীতি খাতে। অক্টোবর মাসে ফের খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ হয়। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ১০০ টাকায় যে খাদ্যপণ্যে কেনা গেছে সেই একই পণ্য কিনতে ১১৩ টাকা ৮০ পয়সা বাড়তি খরচ করতে হয়েছে ভোক্তাদের।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চলতি বছরের নভেম্বর মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে।
বিবিএসের প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে সাধারণ বা গড় মূল্যস্ফীতির হারও বেড়েছে। এই হার বেড়ে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ হয়েছে গত মাসে যা ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। নভেম্বর মাসে বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম বেড়েছে। অক্টোবর মাসে এখাতে মূল্যস্ফীতিরে হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ, অথচ নভেম্বর মাসে বেড়ে যা হয়েছে ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে জুলাই মাসজুড়ে আন্দোলন করেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে করে দেশে এক ধরনের অচল অবস্থা দেখা যায়। ফলে কার্যত দেশের সঙ্গে ঢাকা বিচ্ছিন্ন ছিল, বন্ধ ছিল পণ্যের সরবরাহ। এর ফলে জুলাই মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ হয়েছিল। দেশের ইতিহাসে এভাবে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি আর দেখা যায়নি।
২০২৩ সালের আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ হয় যা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। এর আগে খাদ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি ছিল ২০১১ সালের অক্টোবরে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ (সাবেক বঙ্গবন্ধু বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল) প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে একটি ৫০ এমএলডি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনে ৫১৮ কোটি ৬১ লাখ ২১ হাজার ৬১৬ টাকা ব্যয় বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটি ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পানি শোধনাগার ও গভীর নলকূপ স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় অতিরিক্ত কাজ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে সার-সংক্ষেপ প্রধান উপদেষ্টা দেখেছেন ও অনুমোদন করেছেন। এটি এখন সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থান করা হবে। আগামীকাল বুধবার (৪ নভেম্বর) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক হতে পারে। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ব্যয় বাড়ানোর অনুমোদন দিলে পরবর্তী কার্যক্রম নেওয়া হবে।
সূত্র জানিয়েছে, ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পানি শোধনাগার ও গভীর নলকূপ স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্প ২০১৬ সালের ২২ অক্টোবর একনেক থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়। মূল ডিপিপি তে প্রকল্পটির মেয়াদকাল ছিল ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৬৩২ কোটি ৮২ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
পরবর্তী সময়ে বাস্তবতার নিরিখে চলতি বছরের ২৮ মে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় বর্ধিত প্রকল্পের প্রথম সংশোধিত ডিপিপি অনুমোদিত হয়। সংশোধিত প্রথম ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়। একই সঙ্গে প্রাক্কলিত ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয় ৭৬১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। প্রকল্পের আওতায় পানি শোধনাগার স্থাপনের জন্য প্যাকেজের আওতায় ৪টি কম্পোনেন্ট রয়েছে।
২০২২ সালের ২৬ মে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভার সুপারিশের ভিত্তিতে প্রকল্পটির ক্রয়কার্য হংকংভিত্তিক জেডএইচইসি-বিওডব্লিউ-এসএমইডিআরআইসি থেকে করার অনুমোদন দেওয়া হয়। এ জন্য ব্যয় ধরা হয় ৪৩৯ কোটি ৫১ লাখ ৩২ হাজার ৫৯৮ টাকা। যার মধ্যে নির্মাণব্যয় ৪১০ কোটি ২৯ লাখ ৮২ হাজার ৬৩১ টাকা এবং নির্মাণ পরবর্তী রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় ২৯ কোটি ২১ লাখ ৪২ হাজার ৯৬৭ টাকা। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেডএইচইসি-বিওডব্লিউ-এসএমইডিআরআইসির সঙ্গে ২০২২ সালের ৫ জুলাই ক্রয় চুক্তি করে বেজা।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) পরিকল্পনা অনুযায়ী, জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পানি সরবরাহের জন্য ৫০ এমএলডি ক্ষমতা সম্পন্ন ২টি সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় মূল চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত পূর্ত কাজের আওতায় একটি ৫০ এমএলডি ক্ষমতাসম্পন্ন সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হচ্ছে। যেখানে অপরিশোধিত পানি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে সরবরাহের লক্ষ্যে ৮০০ মিলি মিটার ডায়ার ট্রান্সমিশন পাইপলাইন স্থাপনের কাজ অন্তর্ভুক্ত ছিল।
দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও একটি ৫০ এমএলডি ক্ষমতাসম্পন্ন সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করার লক্ষ্যে ট্রান্সমিশন পাইপলাইনের একই রুট ব্যবহার করে ৮০০ মিলি মিটার ডায়ার একটি পাইপলাইন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। যে কারণে একই রুট ব্যবহার করে দুটি ট্রান্সমিশন পাইপলাইন নির্মাণ প্রয়োজন। কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে ও কারিগরী বিবেচনায় একই রুটে দুটি ৮০০ মিলি মিটার ডায়ার ট্রান্সমিশন পাইপলাইন স্থাপন অত্যন্ত জটিল এবং ব্যয়বহুল।
এ জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউ এম) থেকে ৮০০ মিলি মিটার ব্যাসের ট্রান্সমিশন পাইপলাইন স্থাপনের পরিবর্তে এক হাজার মিলি মিটার ব্যাসের ট্রান্সমিশন পাইপলাইন স্থাপনের সুপারিশ করা হয়। যার মাধ্যমে ২টি ৫০ এমএলডি ক্ষমতার সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের অপরিশোধিত পানি পরিবহন সম্ভব হবে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধিত ডিপিপিতে সংস্থানের সাপেক্ষে নির্বাচিত ঠিকাদারের সঙ্গে সম্পাদিত মূল চুক্তির ভেরিয়েশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই ভেরিয়েশনে ৮০০ মিলি মিটার ব্যাসের ট্রান্সমিশন পাইপলাইন স্থাপনের পরিবর্তে এক হাজার মিলি মিটার ব্যাসের ট্রান্সমিশন পাইপলাইন স্থাপনসহ পানি শোধনাগারের প্রবেশ রাস্তা এবং পানি শোধনাগারের চূড়ান্ত লেআউটে মাটি ভরাট কাজও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আগামীকাল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ৫ হাজার টন চিনি এবং ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে। একই সঙ্গে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে সার কেনার একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জনা গেছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
আর্জেন্টিনায় বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বাড়াতে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস সেসার সহযোগিতা চেয়েছেন বিজিএমইএর প্রশাসক এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস-চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) কার্যালয়ে রাষ্ট্রদূত মার্সেলো আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ সহযোগিতা কামনা করেন।
সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাব্য ক্ষেত্র অনুসন্ধান এবং দেশ দুটির মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সম্ভাব্য উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনা চলাকালে তারা অংশীদারত্ব জোরদার করার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির অপার সম্ভাবনার ওপর জোর দেন।
বাণিজ্য সুযোগের পূর্ণ সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে উভয় দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
রাষ্ট্রদূত মার্সেলো সেসা এবং বিজিএমইএ প্রশাসক আনোয়ার হোসেন বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার ব্যবসায়ীদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের সুবিধার্থে রোড শো এবং একক দেশের মেলা (সিঙ্গেল কান্ট্রি ফেয়ার) আয়োজনের ওপর জোর দেন।
তারা বলেন, এই উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে উভয় দেশ শক্তি এবং সক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম পাবে, যেখানে ব্যবসায়ীরা নতুন বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের সুযোগগুলো অন্বেষণ করার সুযোগ পাবেন।
আনোয়ার হোসেন রাষ্ট্রদূত সেসাকে তৈরি পোশাক খাতে পণ্য বৈচিত্র্যকরণের ওপর বাংলাদেশের ক্রমাগতভাবে গুরুত্ব প্রদান, বিশেষ করে ম্যান-মেইড ফাইবার ব্যবহার করে উচ্চ-মূল্যের পোশাক বিভাগে যাওয়ার জন্য শিল্পের প্রয়াসগুলো অবহিত করেন। পাশাপাশি তিনি আর্জেন্টিনায় পোশাক রপ্তানি বাড়াতে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রশাসক আনোয়ার হোসেন রাষ্ট্রদূতকে আর্জেন্টিনা থেকে তুলা আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা জানিয়ে বলেন, এ ধরনের অংশীদারত্ব উভয় দেশেকে পারস্পরিক সুবিধা এনে দেবে। এই সহযোগিতা উভয় দেশের জন্য লাভজনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে, যা দেশ দুটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে।
বিজিএমইএ প্রশাসক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য আর্জেন্টিনা ভ্রমণের ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য রাষ্ট্রদূতের সহায়তা কামনা করে বলেন, এটি উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক যোগাযোগ বাড়াতে সহায়তা করবে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
সরকারি অনেক অব্যবহৃত জমি আছে সেগুলো ব্যবহার করলে নবায়নযোগ্য শক্তির চাহিদা মেটানো সম্ভব। সড়ক, রেলসহ সরকারের অনেক জমি রয়েছে এগুলো কীভাবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন প্রসারে ব্যবহার করা যায় সে বিষয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে ইকনোমিক রিপোটার্স ফোরামে (ইআরএফ) আয়োজিত নবায়নযোগ্যে দ্রুত রূপান্তর: দেশীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে আমাদের টার্গেট ১০ শতাংশ, কিন্তু অর্জন ২ শতাংশের মতো। এমন হওয়ার কারণ আগের সরকার এটা নিয়ে কথা বলেছে নিন্তু নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার হোক সেটা চায়নি। আন্তরিকভাবে চাইলে হতো।
নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে অর্থায়ন সমস্যা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ব্যাংকাররা ঋণের ডিসিশন নেয় ডিনার বা লাঞ্চ করতে যেয়ে। এখন নবায়নযোগ্য জ্বালানির যারা উদ্যোক্তা তারাতো এত সফিস্টিকেটেড না। তাদের সঙ্গেতো লাঞ্চ-ডিনারে যাওয়া যায় না। আরেকটা বিষয় হচ্ছে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারের জন্য যে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দরকার সেটি আমাদের নেই।
উপদেষ্টা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে একটা সোলার সিস্টেম লাগানো হয়েছিল। এটাতে প্রায় কোটি টাকার বেশি খরচ হয়। কিন্তু এটা কোনো কাজ করেনি, শুধু একটা বাতি আর ফ্যান চলতো। এজন্য আমাদের প্রকৃত সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে।
আলোচনা সভায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারের জন্য আমদানি করা জিনিসপত্রের ওপর কর কমানোর সুপারিশ জানানো হয়।
এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ক্যাবল বাহির থেকে আনতে হবে কেন? দেশেইতো ক্যাবল ফ্যাক্টরি আছে। সোলার স্ট্রাকচার দেশেই তৈরি করা যায়। সব কিছুতেই কেন আমাদের রেয়াতি শুল্ক চাইতে হবে। এখন সব কিছুতেই যদি রেয়াতি শুল্ক হয় তাহলে সরকারের কর্মচারীদের বেতন কীভাবে হবে!
সরকারের অন্যান্য উন্নয়ন কার্যক্রম কীভাবে হবে। এজন্য আমাদের প্রকৃত সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে। তবে এই খাতে ৫ শতাংশের একটা এডভানসড ভ্যাট আছে সেটি আমরা তুলে দিতে বলেছি।
আলোচনা সভায় ইকনোমিক রিপোটার্স ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম, সিপিডির রিচার্স ডিরেক্টর খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সেন্টার ফর এনভারমেন্ট অ্যান্ড পার্টিসিপেটরি রিচার্সের (সিইপিআর) চেয়ারপারসন গৌরঙ্গ নন্দীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
|
|
|