|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
বাংলাদেশ নিয়ে যা বলেছি, ঠিক বলেছি: মমতা
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশিদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে নিজের মন্তব্যে অনড় থাকলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, যা বলেছেন, ঠিকই বলেছেন, জেনেই বলেছেন। মমতার দাবি, তার বক্তব্যকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিকৃত করেছে বিজেপি। তিনি নিজের মন্তব্য থেকে কোনোভাবেই পিছু হটছেন না। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘যা বলেছি ঠিক বলেছি, আমাকে যেন শেখাতে না আসে।’
শুক্রবার (২৬ জুলাই) বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মমতা ব্যানার্জী বলেন, আমি সে দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে মন্তব্য করবো না। কিন্তু আমি যেটা বলেছি, তা হলো, কেউ যদি আশ্রয় চাইতে আমার সীমান্তে আসে, আমি অবশ্যই সাহায্য করবো। আমাদের বহু মানুষ বাংলাদেশে কাজ করছেন। তাদের পাসপোর্ট-ভিসা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকেও অনেক মানুষ পশ্চিমবঙ্গে আসেন, পড়াশোনা করতে, চিকিৎসা করাতে। আমি সেই জায়গা থেকেই বলেছি, সমস্যায় পড়ে কেউ আমাদের কাছে সাহায্য চাইতে এলে আমরা পাশে থাকবো। এটি সোজা কথা, এর পেছনে অন্য কোনো অর্থ নেই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দুই হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী বাংলাদেশ থেকে ফিরে এসেছেন। তারা আমাদের সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আমরা সাহায্য করে তাদের বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি। আবার বাংলাদেশের অনেক মানুষও এখন এ রাজ্যে রয়েছেন চিকিৎসার জন্য। তারাও তো ফিরতে চান তাদের দেশে। আমি কি তাদের না বলবো? তাদেরও পাসপোর্ট-ভিসা সব রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, আমি খুব সাধারণ কথাই বলেছি। কিন্তু আমার বক্তব্যকে বিকৃত করেছে বিজেপি, বাংলাদেশেও ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
তার মন্তব্য ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থি কি না প্রশ্ন করা হলে মমতা স্পষ্ট বলেন, আমি সাতবার সংসদ সদস্য ছিলাম, দু’বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম। অন্য যে কারও চেয়ে পররাষ্ট্রনীতি ভালো জানি। আমাকে এসব শেখাতে হবে না।
কী বলেছিলেন মমতা গত ২১ জুলাই এক সভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আমি বাংলাদেশ নিয়ে কোনো কথা বলতে পারি না। যা বলার ভারত সরকার বলবে। তবে বাংলাদেশের কোনো অসহায় মানুষ যদি পশ্চিমবঙ্গের দরজায় কড়া নাড়ে, তাহলে আমি নিশ্চয় তাদের আশ্রয় দেবো। কারণ, জাতিসংঘের নিয়ম রয়েছে, অস্থিরতার কারণে কেউ উদ্বাস্তু হলে পাশের এলাকা তাকে আশ্রয় দেবে।
মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, শরণার্থীদের বিষয়ে জাতিসংঘের নির্দেশিকা মেনেই রাজ্য সরকার যা করার করবে। তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কোনো ধরনের প্ররোচনা বা উত্তেজনা সৃষ্টি না করার আবেদন জানান তিনি। এসময় বাংলাদেশের সহিংসতায় নিহতদের প্রতি সমবেদনাও জানান মমতা ব্যানার্জী।
তবে মমতার ওই মন্তব্যকে সহজভাবে নেয়নি বাংলাদেশ। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে আমাদের খুবই ঘনিষ্ঠ ও উষ্ণ সম্পর্ক৷ তার প্রতি সম্মান জানিয়েই বলছি, এই মন্তব্যে নতুন করে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগও জানায় বাংলাদেশ।
অন্যদিকে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও মমতাকে মনে করিয়ে দেয়, পররাষ্ট্রনীতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার কেবল কেন্দ্রীয় সরকারের। তাই অন্য রাষ্ট্রের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বাদে আর কেউ মন্তব্য করতে পারে না।
যদিও সেই সতর্কতা কার্যত উড়িয়েই দিলেন মমতা ব্যানার্জী। দৃঢ়কণ্ঠে বললেন, বাংলাদেশ নিয়ে তিনি কোনো এখতিয়ার-বিরোধী মন্তব্য করেননি। যা বলেছেন, জেনে-বুঝেই বলেছেন।
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশিদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে নিজের মন্তব্যে অনড় থাকলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, যা বলেছেন, ঠিকই বলেছেন, জেনেই বলেছেন। মমতার দাবি, তার বক্তব্যকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিকৃত করেছে বিজেপি। তিনি নিজের মন্তব্য থেকে কোনোভাবেই পিছু হটছেন না। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘যা বলেছি ঠিক বলেছি, আমাকে যেন শেখাতে না আসে।’
শুক্রবার (২৬ জুলাই) বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মমতা ব্যানার্জী বলেন, আমি সে দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে মন্তব্য করবো না। কিন্তু আমি যেটা বলেছি, তা হলো, কেউ যদি আশ্রয় চাইতে আমার সীমান্তে আসে, আমি অবশ্যই সাহায্য করবো। আমাদের বহু মানুষ বাংলাদেশে কাজ করছেন। তাদের পাসপোর্ট-ভিসা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকেও অনেক মানুষ পশ্চিমবঙ্গে আসেন, পড়াশোনা করতে, চিকিৎসা করাতে। আমি সেই জায়গা থেকেই বলেছি, সমস্যায় পড়ে কেউ আমাদের কাছে সাহায্য চাইতে এলে আমরা পাশে থাকবো। এটি সোজা কথা, এর পেছনে অন্য কোনো অর্থ নেই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দুই হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী বাংলাদেশ থেকে ফিরে এসেছেন। তারা আমাদের সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আমরা সাহায্য করে তাদের বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি। আবার বাংলাদেশের অনেক মানুষও এখন এ রাজ্যে রয়েছেন চিকিৎসার জন্য। তারাও তো ফিরতে চান তাদের দেশে। আমি কি তাদের না বলবো? তাদেরও পাসপোর্ট-ভিসা সব রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, আমি খুব সাধারণ কথাই বলেছি। কিন্তু আমার বক্তব্যকে বিকৃত করেছে বিজেপি, বাংলাদেশেও ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
তার মন্তব্য ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থি কি না প্রশ্ন করা হলে মমতা স্পষ্ট বলেন, আমি সাতবার সংসদ সদস্য ছিলাম, দু’বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম। অন্য যে কারও চেয়ে পররাষ্ট্রনীতি ভালো জানি। আমাকে এসব শেখাতে হবে না।
কী বলেছিলেন মমতা গত ২১ জুলাই এক সভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আমি বাংলাদেশ নিয়ে কোনো কথা বলতে পারি না। যা বলার ভারত সরকার বলবে। তবে বাংলাদেশের কোনো অসহায় মানুষ যদি পশ্চিমবঙ্গের দরজায় কড়া নাড়ে, তাহলে আমি নিশ্চয় তাদের আশ্রয় দেবো। কারণ, জাতিসংঘের নিয়ম রয়েছে, অস্থিরতার কারণে কেউ উদ্বাস্তু হলে পাশের এলাকা তাকে আশ্রয় দেবে।
মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, শরণার্থীদের বিষয়ে জাতিসংঘের নির্দেশিকা মেনেই রাজ্য সরকার যা করার করবে। তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কোনো ধরনের প্ররোচনা বা উত্তেজনা সৃষ্টি না করার আবেদন জানান তিনি। এসময় বাংলাদেশের সহিংসতায় নিহতদের প্রতি সমবেদনাও জানান মমতা ব্যানার্জী।
তবে মমতার ওই মন্তব্যকে সহজভাবে নেয়নি বাংলাদেশ। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে আমাদের খুবই ঘনিষ্ঠ ও উষ্ণ সম্পর্ক৷ তার প্রতি সম্মান জানিয়েই বলছি, এই মন্তব্যে নতুন করে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগও জানায় বাংলাদেশ।
অন্যদিকে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও মমতাকে মনে করিয়ে দেয়, পররাষ্ট্রনীতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার কেবল কেন্দ্রীয় সরকারের। তাই অন্য রাষ্ট্রের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বাদে আর কেউ মন্তব্য করতে পারে না।
যদিও সেই সতর্কতা কার্যত উড়িয়েই দিলেন মমতা ব্যানার্জী। দৃঢ়কণ্ঠে বললেন, বাংলাদেশ নিয়ে তিনি কোনো এখতিয়ার-বিরোধী মন্তব্য করেননি। যা বলেছেন, জেনে-বুঝেই বলেছেন।
|
|
|
|
রাশিয়ার পর এবার ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটাই হবে তার প্রথম কিয়েভ সফর। একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
বলা হয়েছে, আগামী মাসেই ইউক্রেন যাবেন মোদী। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইতি টানার প্রক্রিয়া নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে তার। পাশাপাশি দ্রুত যুদ্ধবিরতির জন্য কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেন।
গত জুন মাসে ইতালিতে অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সে সময় পরস্পরকে জড়িয়ে ধরতে দেখা যায় দুই রাষ্ট্রপ্রধানকে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে এই প্রথম ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন মোদী। চলতি মাসেই দুদিনের সফরে মস্কোয় গিয়ে পুতিনেরক সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। রুশ প্রেসিডেন্টের সামনেই ইউক্রেনে হামলা ও শিশুহত্যার নিন্দাও করেছেন।
তবে মোদীর সেই সফর মোটেও ভালোভাবে নেয়নি কিয়েভ। উষ্মা প্রকাশ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রও। ক্ষুব্ধ জেলেনস্কি বলেছিলেন, বৃহত্তম গণতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী একজন যুদ্ধাপরাধীকে আলিঙ্গন করছেন। শান্তিপ্রক্রিয়ায় পক্ষে এটা বিরাট ধাক্কা।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
চীনের একটি শপিং সেন্টারে অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জন নিহত হয়েছে। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশের একটি শপিং সেন্টারে স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বৃহস্পতিবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, জিগং শহরের একটি হাই-টেক জোনের একটি ১৪ তলা ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। সে সময় ঘন ধোঁয়ায় আশেপাশের এলাকা ঢেকে যায়।
রাতভর উদ্ধার অভিযান চালানোর পর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর তিনটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, নির্মাণকাজ থেকেই আগুন লেগেছে। অগ্নিকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট কারণ জানতে এখনো তদন্ত চলছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
পর্যটনখাতকে আরও চাঙা করতে ভিসামুক্ত দেশের তালিকা বাড়িয়ে ৯৩টি করেছে থাইল্যান্ড। এসব দেশের নাগরিকরা এখন থেকে ভিসা ছাড়াই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি ভ্রমণ করতে পারবে।
সোমবার থেকে কার্যকর হওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ভ্রমণকারীরা দেশটিতে সর্বোচ্চ দুই মাস অবস্থান করতে পারবেন, যা আগে ছিল এক মাস।
এর আগে ৫৭ দেশের পাসপোর্টধারীরা থাইল্যান্ডে ভিসামুক্ত সুবিধা পেতেন, যা এখন বাড়িয়ে ৯৩ করা হলো।
থাইল্যান্ডের অর্থনীতির অন্যতমভিত্তি হলো পর্যটন। কিন্তু করোনা মহামারির পর এই খাতে ভাটা পরে, যা এখনো পুরোপুরি পুনরুদ্ধার হয়নি।
২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে ১৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন মানুষ থাইল্যান্ড ভ্রমণ করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৫ শতাংশ বেশি।
দেশটিতে সবচেয়ে বেশি ভ্রমণে যায় চীন, মালয়েশিয়া ও ভারতের নাগরিকরা।
সোনার মন্দির, সাদা বালির সৈকত, মনোরম পাহাড় ও প্রাণবন্ত নাইট লাইফ উপভোগের জন্য প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক থাইল্যান্ডে ভিড় করেন। মূলত পর্যটকের সংখ্যা বাড়তেই ভিসামুক্ত দেশের তালিকা বাড়িয়েছে দেশটি।
থাই অ্যাম্বাসি ডট কমের তথ্য অনুযায়ী, পূর্ব ও সেন্ট্রাল এশিয়া থেকে যে সব দেশের নাগরিকদের ভিসা লাগবে না সেগুলো হলো- ভুটান, ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, চীন, হংকং, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, কাজাখস্তান, লাওস, ম্যাকাও, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মঙ্গোলিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, তাইওয়ান, উজবেকিস্তান, ও ভিয়েতনাম।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ভবনের’ বেহাল অবস্থা নিয়ে নানান সময় প্রশ্ন উঠেছিল। কোটি কোটি রুপি ব্যয়ে তৈরি হওয়া ভবনটিতে একটি জাদুঘর সংস্কার ও সম্প্রসারণ নিয়ে বহুবার আলোচনা হলেও, কার্যকর কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। তবে এবার ভবনটির জাদুঘরের সংস্কার ও পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
রোববার (১৪ জুলাই) এক বিবৃতিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. সাইফুল ইসলামসহ চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অরবিন্দ মণ্ডল।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ভবনের মুখ্য সমন্বয়কারী মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় ও রবীন্দ্র ভবন মিউজিয়ামের অবক্ষয় প্রদীপ কুমার মণ্ডল ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অশোক মাহাতো। সেসময় বাংলাদেশ ভবনের সংস্কার কীভাবে করা যায়, তা নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়। সেই সঙ্গে জাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য শিল্পী শ্যামল চৌধুরীর নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের হাতে তুলে দেন বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদলটি।
২০১৮ সালের ২৫ মে সমাবর্তনের দিন বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় বিশ্বভারতীর জমিতে প্রায় ২৫ কোটি রুপিতে তৈরি হয় ভবনটি। গ্রন্থাগার ও সংগ্রহশালা ছাড়াও ৪৫৩টি আসনের একটি প্রেক্ষাগৃহসহ ৩৫০ আসনের সেমিনার হল ও ১০৮ আসনের ক্যাফেটেরিয়া গড়ে তোলা হয় ভবনের ভিতরে।
বর্তমানে ভবনটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এছাড়া ভবনের ভেতরের বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়েছে। বিকল হয়ে পড়েছে ভবনের ভিতরের শীততাপনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও।
বিশ্বভারতী জনসংযোগ কর্মকর্তা অতিগ ঘোষ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, শিগগিরই বাংলাদেশ ভবনের জাদুঘর সংস্কার পরিবর্তন ও পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ হবে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলাকারীর নাম প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই। হামলাকারীর নাম থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। তার বয়স মাত্র ২০ বছর। বন্দুকধারী সিক্রেট সার্ভিস সদস্যদের গুলিতে নিহত হয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, ম্যাথিউ পেনসিলভানিয়ার বেথেল পার্ক এলাকা থেকে এসেছিলেন। এলাকাটি ট্রাম্পের সমাবেশস্থল থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে।
হামলাকারীর গুলিতে সমাবেশে অবস্থানরত এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এরপর মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস সদস্যদের গুলিতে নিহত হন হামলাকারীও। এফবিআই তাৎক্ষণিকভাবে ম্যাথিউ’র পরিচয় প্রকাশ করেনি। তারা মূলত হামলাকারীর ডিএনএ রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছিল।
পেনসিলভানিয়ার বেথেল পার্কের বাসিন্দা ২০ বছর বয়সী এই যুবক সমাবেশের মঞ্চ থেকে ১৩০ গজ দূরের একটি ভবনের ছাদ থেকে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে কমপক্ষে আটটি গুলি ছোড়েন। এতে ট্রাম্প আহত হলেও, তার আঘাত খুব একটা গুরুতর নয়। এরই মধ্যে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে গেছেন তিনি।
এদিকে, ভয়াবহ এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংস্থাগুলোর তৎপরতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিপুল উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও, সাবেক একজন প্রেসিডেন্টের ওপর কীভাবে এমন হামলা হতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
চলতি বছরের নভেম্বরে হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির হয়ে লড়বেন ট্রাম্প। এর মধ্যেই তাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটলো।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার শিকার হয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় তার ওপর হামলা চালানো হয়। গুলিতে ট্রাম্পের ডান কান ফুটো হয়ে গেছে এবং অনেক রক্ত ঝরেছে। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি।
এদিকে ট্রাম্পের ওপর এই হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের সহিংসতার কোনো জায়গা নেই। তিনি আরও জানিয়েছেন, ফেডারেল এজেন্সিগুলো এই হামলার ঘটনার তদন্ত করছে।
তিনি বলেন, পেনসিলভানিয়ায় ঘটে যাওয়া সহিংসতার ঘটনায় সবারই নিন্দা জানানো উচিত। আমরা কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটতে দিতে পারি না। আমরা এমন হতে পারি না। আমরা এ ধরনের ঘটনায় ক্ষমা করতে পারি না।
এদিকে হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলার ঘটনার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, আজ সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট বাইডেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন।
তবে তাদের দুজনের মধ্যে কি কথা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জোস শ্যাপিরো এবং বাটলারের মেয়র বব ড্যানডয়ের সঙ্গেও কথা বলেছেন বাইডেন। রোববার সকালে আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা বাইডেনকে ট্রাম্পের ওপর হামলার বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য জানাবেন।
পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে হামলার শিকার হন ট্রাম্প। একেবারে তার কানে গুলি লেগেছে। তবে এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।
সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, গুলিতে ডান কানের ওপরের অংশে ফুটো হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, হঠাৎ করেই আমি বুঝতে পারি যে কিছু একটা ঘটে গেছে। আমি গুলির শব্দ শুনতে পাই এবং মনে হচ্ছিল আমার চামড়া ভেদ করে গুলি চলে গেছে। অনেক রক্ত বের হচ্ছিল এবং আমি বুঝতে পারলাম যে আসলে কী ঘটেছে। পোস্টের শেষে ট্রাম্প বলেন, ঈশ্বর আমেরিকার মঙ্গল করুন।
হামলার ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় সিক্রেট সার্ভিস এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ট্রাম্প।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে এ ধরনের ঘটনা অবিশ্বাস্য। এই মুহূর্তেই হামলাকারীর বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে হামলাকারী নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
হামলার পরপরই মাটিতে পড়ে যান ট্রাম্প। এসময় তার মুখমণ্ডলে রক্ত দেখা গেছে। এই ঘটনার পর পরই সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা হামলাকারীকে গুলি করলে তিনি নিহত হন। এছাড়া আরও দুজন এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বলে সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
র্যালিতে উপস্থিত একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, গুলির শব্দ শোনার পর তারা একজন রাইফেলধারীকে ছাদে হামাগুড়ি দিতে দেখেছেন।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
গাজায় ইসরায়েলের অভিযান চালানোর সময় সেনা সদস্যদের হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে জানিয়েছে, উত্তর গাজা উপত্যকায় অভিযানের সময় তাদের এক সেনাসদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। খবর আল জাজিরার।
গত ২৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩২৪ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও কয়েক হাজার সেনাসদস্য।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। প্রায় ৯ মাস ধরে অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় ৩৮ হাজার ১৫৩ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৮৭ হাজার ৮২৮ জন।
একদিন আগেই গাজায় জাতিসংঘের একটি স্কুলে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় অবস্থিত ওই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিল বাস্তুহারা লোকজন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সেখানে ইসরায়েলি তাণ্ডব থামছেই না।
গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে অবস্থিত আল জাউনি স্কুলে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৭৫ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
এর আগে গাজার মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক ত্রাণ ও কর্মসংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) একটি গুদামে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় সংস্থাটির এক কর্মীসহ দুজন নিহত হন। ইউএনআরডব্লিউএ তাদের এক কর্মী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে। মানবিক সংস্থার গুদামে কাজ করার সময় তিনি জাতিসংঘের জ্যাকেট পরেছিলেন। এরপরেও তিনি হামলার শিকার হন।
মাসের পর মাস ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ এবং অন্যান্য মানবিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। শনিবার ইসরায়েলি হামলায় পাঁচ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
ইরানে সদ্য নির্বাচিত সংস্কারপন্থি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। অনেকের মনেই এখন প্রশ্ন তিনি কি দেশটির দীর্ঘদিনের শাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে পারবেন? স্থানীয় সময় শুক্রবার (৫ জুলাই) দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের ফলাফল ঘোষণা হয় শনিবার (৬ জুলাই)।
দ্বিতীয় দফার ভোটে কট্টরপন্থি সাঈদ জালিলিকে পরাজিত করে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মাসুদ পেজেশকিয়ান। নব নির্বাচিত এই প্রেসিডেন্ট স্বল্পপরিচিত মধ্যপন্থি রাজনীতিবিদ। তিনি হৃদরোগের চিকিৎসক থেকে দেশটির ১৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, পেজেশকিয়ানকে ভোট দেওয়া অধিকাংশ মানুষই শহুরে মধ্যবিত্ত এবং তরুণ বলে মনে করা হচ্ছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার কারণে নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনেকেই বলছেন, ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে পেজেশকিয়ানের দৃষ্টিভঙ্গির বেশ পার্থক্য রয়েছে। দেশটিতে দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার কারণে রাষ্ট্রীয় নীতি, পরমাণু কর্মসূচি বা পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কে পেজেশকিয়ান কতটা পরিবর্তন আনতে পারবেন সেটা নিয়েও নানা প্রশ্ন রয়েছে।
ইব্রাহিম রাইসির চেয়ে নীতিগত অবস্থানে ভিন্নতা থাকলেও ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টকে পশ্চিমা বিশ্বের কোনো দেশ স্বাগত জানাবে কি না এমন প্রশ্নও রয়েছে। তবে পেজেশকিয়ান নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় এরই মধ্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছে ভারত, চীন ও রাশিয়ার নেতারা।
শুক্রবার ভোট গণনা করার পরই পেজেশকিয়ানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তিনি পেয়েছেন ৫৩ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট। অপরদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী জালিলি পেয়েছেন ৪৪ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট।
মাসুদ পেজেশকিয়ান হৃদরোগ বিষয়ক সার্জন। তিনি ২০০৮ সাল থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাবরিজ শহর থেকে ইরানের পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। তিনি সংসদে ডেপুটি স্পিকার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৫৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ইরানের মাহাবাদে জন্মগ্রহণ করেন মাসুদ পেজেশকিয়ান। ৬৯ বছর বয়সী পেজেশকিয়ান ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় তাবরিজ অঞ্চল থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ছিলেন ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। দেশটির ১০ম জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালনেরও অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
১৯৮০ সালের ইরাক ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধের সময় মাসুদ পেজেশকিয়ানকে সম্মুখ সারির চিকিৎসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
নির্বাচনের আগে ইরানের প্রধান সংস্কারপন্থি জোটের সমর্থন পাওয়ার পাশাপাশি সাবেক দুই সংস্কারপন্থি প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামি ও হাসান রুহানিরও সমর্থন পেয়েছিলেন তিনি।
২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নিবন্ধন করলেও পেজেশকিয়ান পরে তা প্রত্যাহার করে নেন। এর আগে ১৯৯৪ সালে মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি তার স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তানকে হারান। পরবর্তীতে তিনি তার কখনো বিয়ে করেননি। বর্তমানে দুই ছেলে এবং এক মেয়েকে নিয়েই তার সময় কাটছে।
এবারের নির্বাচনে লড়াই করা ছয় প্রার্থীর মধ্যে একমাত্র মাসুদ পেজেশকিয়ানকেই কিছুটা উদারমনা ও সংস্কারপন্থি হিসেবে দেখা হচ্ছিল। তার নির্বাচনী এজেন্ডাগুলোর মধ্যে ইরানের কঠোর হিজাব আইন সংস্কার এবং পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ছিল অন্যতম।
পেজেশকিয়ানের মতে, ইরানকে অবশ্যই বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির কিছু সংস্করণ ফের চালু করার জন্য পশ্চিমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান তিনি।
ক্ষমতাগ্রহণের পর এসব বিষয়ে বিশ্বনেতাদের কাছ থেকে পেজেশকিয়ান বিপুল সমর্থন পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে নিজ দেশের সরকারের কাছেই বাধার মুখে পড়তে পারেন তিনি।
কারণ, ইরানে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সিদ্ধান্তই শেষ কথা। তাছাড়া, সরকারের অন্য পদগুলোতে এখনো রক্ষণশীলদের আধিপত্য রয়েছে। ফলে, হিজাব আইন সংস্কার বা পররাষ্ট্রনীতি পরিবর্তন করতে হলে পেজেশকিয়ানকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে, তা বলাই বাহুল্য।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, পেজেশকিয়ানকে ভোট দেওয়া অধিকাংশই তরুণ বলে মনে হচ্ছে। ২০২২ সালে পোশাক বিধি লঙ্ঘন করায় নৈতিক পুলিশের নির্যাতনে মাশা আমিনি নামের এক তরুণীর মৃত্যুর পরই ওই ঘটনার সমালোচনা করে আলোচনায় এসেছিলেন পেজেশকিয়ান।
ওই তরুণীর মৃত্যুর পর পুরো ইরানজুড়ে তখন ব্যাপক আকারে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় পেজেশকিয়ান ওই ঘটনায় কর্তৃপক্ষের কাছে এ নিয়ে ব্যাখ্যাও চেয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, একটি মেয়েকে তার হিজাবের জন্য গ্রেফতার করা এবং পরবর্তীতে তার মৃতদেহ পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া ইসলামি প্রজাতন্ত্রে অগ্রহণযোগ্য।
গত ২৮ জুন অনুষ্ঠিত ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট দিয়ে পেজেশকিয়ান বলেছিলেন, হিজাব আইনের প্রতি আমাদের সম্মান জানানো উচিত। কিন্তু এর জন্য নারীদের প্রতি অমানবিক আচরণ করাও উচিত নয়।
দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনের আগে এক ভিডিও বার্তায় পেজেশকিয়ান ভোটারদের উদ্দেশে বলেছেন, চেষ্টা করেও আমি যদি আমার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হই, তবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বিদায় জানাব।
ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় দফায় তিন কোটির বেশি ভোট গণনার পর মাসুদ পেজেশকিয়ান পেয়েছেন ১ কোটি ৭০ লাখের বেশি ভোট। অপরদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাইদ জালিলি পেয়েছেন ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি ভোট।
ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফলাফল ঘোষণা করার আগেই পেজেশকিয়ানের সমর্থকরা তেহরান ও অন্যান্য কয়েকটি শহরে বিজয় উদযাপনের জন্য রাস্তায় নেমে আসে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, যারা বিজয় উল্লাসে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন তাদের বেশিরভাগই তরুণ। কেউ বের হয়েছিলেন গাড়ি নিয়ে, সবুজ পতাকা হাতে, কেউ কেউ নেমে আসেন রাস্তায়।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
মাত্র একদিন আগেই যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ার স্টারমার। এরই মধ্যেই তিনি দেশটির নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করে ফেলেছেন। গত শুক্রবার (৫ জুলাই) বাকিংহাম প্রাসাদে রাজা তৃতীয় চার্লস আনুষ্ঠানিকভাবে কিয়ার স্টারমারকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে ৪১২টি আসন পেয়ে জয়ী হয়েছে লেবার পার্টি। অন্যদিকে, কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ১২১টি আসন। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের মোট ৬৫০টি আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলকে এককভাবে পেতে হবে ৩২৬টি আসন। সে হিসেবে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে লেবার পার্টি।
জয়ী হওয়ার পর কিয়ার স্টারমার বলেছিলেন, এখন থেকে পরিবর্তন শুরু হলো। আর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার প্রথম ভাষণে স্টারমার বলেছেন, জনগণ সুচিন্তিতভাবে পরিবর্তন এবং জনগণের সেবামূলক রাজনীতির জন্য ভোট দিয়েছে। তবে দেশকে পরিবর্তন করা সুইচ চাপার মতো নয়। এর জন্য সময় প্রয়োজন হবে।
কথায় এবং কাজে মিল রেখে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন পদে মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করেছেন স্টারমার। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীসহ শুক্রবারই ২২ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠনের কথা জানিয়ছে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট।
দেশটির নতুন উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অ্যাঞ্জেলা রেইনাহকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে দেশটির প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী হয়েছেন র্যাচেল রিভস। তাকে দেশটির চ্যান্সেলর অব দ্য এক্সচেকার (রাজকোষের চ্যান্সেলর) বা অর্থমন্ত্রী করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে ৪৫ বছর বয়সী রিভসই প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী হয়েছেন।
তিনি ২০০০ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ব্যাংক অব ইংল্যান্ডে (যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক) দায়িত্ব পালন করেছেন। র্যাচেল বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথ হলো স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগ এবং সংস্কার। যুক্তরাজ্যের পাবলিক সার্ভিসের পুনর্নির্মাণে অর্থায়নের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেবেন তিনি।
যুক্তরাজ্য সরকারের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হচ্ছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী। দক্ষিণ লন্ডনে বেড়ে ওঠা র্যাচেল ২০১০ সালে লিডস ওয়েস্ট থেকে প্রথমবার সংসদ সংদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। এবার তিনি লিডস ওয়েস্ট এবং ফাডজি আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।
দেশটির নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন ইয়েভেত্তে কুপার। অপরদিকে ডেভিড ল্যামিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী করা হয়েছে ওয়েস স্ট্রিটিংকে।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী হয়েছেন ব্রিজেট ফিলিপসন। তিনি স্টারমারের খুবই ঘনিষ্ঠ। জ্বালানিমন্ত্রী করা হয়েছে এড মিলিব্যান্ডকে। এছাড়া বিচারমন্ত্রী করা হয়েছে শাবানা মাহমুদকে। তুখোড় এই আইনজীবী অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে রাজনীতিতে এসেছেন। সাবেক কনজারভেটিভ নেত্রী লিজ ট্রাসের পর তিনিই দ্বিতীয় নারী হিসেবে এই দায়িত্ব পেলেন।
জোনাথন রেনল্ড হয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী এবং লিজ কেন্ডাল শ্রম ও কারামন্ত্রী হয়েছেন। এছাড়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী করা হয়েছে জন হিলিকে। লুইস হেইঘ হয়েছেন পরিবহনমন্ত্রী, স্টিভ রিড পরিবেশমন্ত্রী, পিটার কাইলি বিজ্ঞান, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি বিষয়কমন্ত্রী এবং রিচার্ড হার্মার অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। অপরদিকে লিসা ন্যান্ডিকে সংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রী করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচনের ভোট শুরু হয়। ১৯৪৫ সালের পর এই প্রথম দেশটিতে জুলাই মাসে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের নির্বাচনে হেরে কনজারভেটিভ পার্টিকে টানা ১৪ বছর পর ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হলো।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকায় প্রতি ১০ জনের মধ্যে নয়জনই অন্তত একবারের জন্য বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে। ফিলিস্তিনি অঞ্চলে জাতিসংঘের ওসিএইচএ সংস্থার প্রধান আন্দ্রেয়া ডি ডোমেনিকো বলেছেন, গাজায় প্রায় ১৯ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর এএফপির।
তিনি বলেন, আমরা অনুমান করছি যে, গাজা উপত্যকায় প্রতি ১০ জনের মধ্যে নয়জনই অন্তত একবার অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এমনকি কারও কারও ক্ষেত্রে সেটা আরও বেশি বারও হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আগে অনুমান করেছিলাম যে, এই সংখ্যা হয়তো ১৭ লাখ। আমরা এখন রাফায় কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে দেখেছি এই সংখ্যা আরও বেশি। আমরা গাজার উত্তরাঞ্চলেও কাজ করছি। সেখানেও লোকজন এক স্থান থেকে অন্যত্র সরে যাচ্ছে।
তিনি ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের কথা উল্লেখ করে বলেন, এ ধরনের অভিযান মানুষকে বার বার এক স্থান থেকে অন্য স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য করছে।
তিনি বলেন, এই সংখ্যার পেছনে রয়েছে এমন সব মানুষ যারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে এবং তাদের নানা রকম অভিযোগ রয়েছে। তাদের স্বপ্ন এবং আশাও রয়েছে।
সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নতুন করে উচ্ছেদ আদেশ জারি করার পর ফিলিস্তিনিরা গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চল ছেড়ে পালাতে শুরু করেন। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা মঙ্গলবার জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এই নতুন উচ্ছেদের আদেশের ফলে গাজার এক চতুর্থাংশ অর্থাৎ প্রায় আড়াই লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
ইউএনআরডব্লিউএ-এর মুখপাত্র লুইস ওয়াটারিজ গাজা থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, আমরা দেখেছি মানুষ চলাচল করছে, পরিবারগুলো এলাকা ছেড়ে যাচ্ছে এবং লোকজন তাদের জিনিসপত্র গুছিয়ে নিতে শুরু করেছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে ১২১ জনের মৃত্যুর পরের দিন সকালেই সেখানের ধর্মীয় গুরুর আশ্রমে পৌঁছে গেছে পুলিশের একটি বড় দল। কিন্তু ধর্মগুরুর সন্ধান এখনো মেলেনি বলে জানা গেছে।
বুধবার (৩ জুলাই) ঘটনাস্থলে যেতে পারেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এরই মধ্যে তিনি এই ঘটনার তদন্তের জন্য বিশেষ কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন আগরার অতিরিক্ত ডিজিপি।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ফুলরাই গ্রাম থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরত্বে মৈনপুরি এলাকায় আশ্রম রয়েছে ভোলেবাবার। পদদলিতের ঘটনার পর সেই আশ্রমে গেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। প্রশাসনের নির্দেশ, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের যেন কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।
হাথরসের ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আলোচনা তৈরি হয়েছে এই বিপর্যয়ের কারণ নিয়ে। পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় আয়োজক সৎসঙ্গ কমিটিকে দায়ী করছেন অনেকে। অনেকে প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলেছেন। আবার অনেকের দাবি, আগত ‘ভক্ত’দের হুড়োহুড়ির কারণেই এই ঘটনা।
মঙ্গলবার হাথরসে সৎসঙ্গের ডাক দিয়েছিলেন নারায়ণ সাকার হরি ওরফে সাকার বিশ্ব হরি ওরফে ভোলে বাবা। অনুষ্ঠানের শেষে হুড়োহুড়ি পড়ে পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি, সৎসঙ্গের জন্য যে প্যান্ডেল বাঁধা হয়েছিল, তাতে ব্যারিকেড ছিল। পাখার ব্যবস্থা করা হয়নি। প্যান্ডেল খোলামেলা থাকলেও আর্দ্রতা ও গরমের কারণে সকলেই হাঁসফাঁস করছিলেন। ফলে সৎসঙ্গ শেষ হওয়ার পরেই মানুষ হুড়মুড়িয়ে মাঠের বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আসা-যাওয়ার জন্য যে গেট তৈরি হয়েছিল, সেটিও অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ হওয়ার কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। অনেকে মাটিতে পড়ে যান। বাকিরা তাদের উপর দিয়েই বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন। তাতেই মারা গেছেন শতাধিক ভক্ত।
মঙ্গলবার যখন এই ঘটনা ঘটে তখন লোকসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তার মাঝেই বিষয়টি জানতে পেরে ভাষণ থামিয়ে তিনি শোকপ্রকাশ করেন। সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকার উদ্ধারকাজ করছে।
এরপরে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক্স হ্যান্ডল থেকে জানানো হয়, হাথরসের ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ২ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে এই অর্থ দেওয়া হবে। আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
ব্রিটিশ আমলের আইন সংশোধন করে ১ জুলাই থেকে ভারতে কার্যকর হয়েছে নতুন তিনটি অপরাধমূলক আইন। টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পরপরই আইনগুলো বলবৎ করলো নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এসব আইনের কিছু ধারা নিয়ে বিরোধী দল এবং আইনজ্ঞদের তীব্র আপত্তি থাকলেও তাকে কর্ণপাত করেনি ক্ষমতাসীনরা। এ নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্কের ঝড়।
এই আইনে নতুন অপরাধ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধিতে হত্যা, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া, আক্রমণ, গুরুতর আঘাত করার মতো অপরাধগুলোর জন্য যে বিধান ছিল, তা বজায় রাখার পাশাপাশি সংগঠিত অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ, গণহত্যার মতো অপরাধ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে নতুন আইনে। ইউএপিএ’র মতো সন্ত্রাসবিরোধী আইনও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
১ জুলাই থেকে দেশটির ৬৫০টিরও বেশি জেলা আদালত ও ১৬ হাজার থানাকে এই নিয়ম মেনে চলতে হবে। এখন থেকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারার পরিবর্তে বিএনএসএসের ১৭৩ ধারায় আমলযোগ্য অপরাধের মামলা করা হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় দেশদ্রোহের মতো অপরাধকে সরিয়ে রাখা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট তা স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছিল।
তবে এর পরিবর্তে নতুন আইনে ভারতের সার্বভৌমত্ব, একতা এবং অখণ্ডতাকে বিপন্ন করার মতো অভিযোগকে অন্যভাবে অপরাধের তালিকায় শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে। সাজার কথাও বলা রয়েছে।
সন্ত্রাসবাদী কাজ, যা আগে আন-লফুল অ্যাকটিভিটিস (প্রিভেনশন) অ্যাক্টের মতো বিশেষ আইনের অংশ ছিল, তা এখন ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নতুন আইনে ১৮ বছরের কমবয়সী অর্থাৎ নাবালিকার ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড থেকে আজীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত সাজার কথা বলা হয়েছে। গণধর্ষণের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২০ বছর থেকে আজীবন কারাবাসের সাজা হতে পারে।
যৌন সহিংসতার অভিযোগের ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী নারীর বয়ান তারই বাড়িতে নথিভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। নারী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সেই বয়ান দিতে পারবেন ভুক্তভোগী। বিয়ে বা অন্য প্রতিশ্রুতি দিয়ে নারীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ১০ বছরের সাজার কথা বলা হয়েছে।
বাধ্যতামূলক সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে তদন্ত এবং শুনানির জন্য। এখন শুনানির ৪৫ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে, অভিযোগের তিন দিনের মধ্যে এফআইআর দায়ের করতে হবে।
ক্রাইম অ্যান্ড ক্রিমিনাল ট্র্যাকিং নেটওয়ার্ক সিস্টেমের (সিসিটিএনএস) মাধ্যমে এফআইআর নথিভুক্ত করা হবে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর অধীনে এই প্রোগ্রাম কাজ করে।
সিসিটিএনএস আপগ্রেড করা হয়েছে, যাতে থানায় না গিয়ে অনলাইনে ই-এফআইআর দায়ের করা যাবে। পরে থানায় গিয়ে সই করে আসতে হবে। অপরাধ যে থানার এখতিয়ারে পড়ুক, যে কোনো থানায় এফআইআর নথিভুক্ত করা যেতে পারে। দায় এড়াতে পারবে না কোনো থানা।
এর আগে ১৫ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করা যেতো। তবে এখন ৬০ বা ৯০ দিনের জন্য দেওয়া যেতে পারে। মামলার বিচার শুরুর আগে এত দীর্ঘ পুলিশ রিমান্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন আইনজ্ঞদের অনেকেই।
অ্যাডাল্ট্রি এবং ৩৭৭ ধারা সরানো হয়েছে। তবে কর্ণাটক সরকার এতে আপত্তি জানিয়ে বলেছে, ৩৭৭ সম্পূর্ণ অপসারণ ঠিক নয়। কারণ এটি অপ্রাকৃত যৌনতা সংক্রান্ত অপরাধের মামলায় ব্যবহার করা হয়।
চুরি, ডাকাতি, প্রতারণার মতো অপরাধের জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধিতে যে বিধান ছিল, নতুন আইনেও তা রয়েছে। এর সঙ্গে সাইবার অপরাধ এবং আর্থিক প্রতারণার মতো অপরাধগুলোকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এত দিন ভারতে গণপিটুনির জন্য কোনো আলাদা আইন ছিল না। এখন থেকে গণপিটুনির ক্ষেত্রে কড়া শাস্তির কথা বলা হয়েছে।
নারীদের হার বা মোবাইল ছিনতাইয়ের মতো ঘটনার বিচারের জন্যও রয়েছে আইনি ব্যবস্থা। মানবপাচার, পরিবেশ দূষণের মতো ঘটনায় কী শাস্তি হতে পারে তার উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়মের আওতায় তদন্তে এখন ফরেনসিক প্রমাণ সংগ্রহ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বাজেয়াপ্ত, অনুসন্ধান এবং প্রমাণ সংগ্রহের সময় রেকর্ডিং অনলাইন মোডে করতে হবে।
এখন শুধু মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরাই প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। আগে এনজিও বা সুশীল সমাজের সংগঠনগুলোও আসামিদের পক্ষে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতো।
নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা অনুযায়ী, অভিযুক্তদের অধিকার সুরক্ষার জন্য পরোয়ানা ছাড়া গ্রেফতার করা হলে কোন অভিযোগে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তা পুলিশকে জানাতে হবে। ধৃতের শারীরিক পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারকে চিকিৎসকের ব্যবস্থা করতে হবে।
তবে তুন আইন অনুযায়ী, ‘বৃহত্তর স্বার্থে’ কোনো ব্যক্তিকে পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতার করতে পারবে পুলিশ। একই সঙ্গে, পুলিশকে কোনো অপরাধের তদন্তের স্বার্থে আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির এবং আইনজ্ঞরা। তাদের অভিযোগ, এতে ‘আইনের অপব্যবহার’ হতে পারে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
ব্রিটেনের রাজপরিবারের রানি হতে চাননি তিনি, চেয়েছিলেন সাধারণ মানুষের হৃদয়ের রানি হতে। সেটাই হয়েছে।আজও প্রিয়মুখ হয়ে কোটি কোটি মানুষের হৃদয় জয় করে রেখেছেন প্রিন্সেস ডায়ানা। এখনো এই নামটি শুনলে হাস্যোজ্জ্বল এক প্রিয়দর্শিনীর মুখ ভেসে ওঠে।
১৯৬১ সালের ১ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন ডায়ানা। বেঁচে থাকলে এখন তার বয়স হতো ৬৩ বছর। হয়তো ঘটা করে পরিবার নিয়ে জন্মদিনও পালন করতেন। কিন্তু সবকিছুই এখন শুধুই স্মৃতি। মৃত্যুর এতগুলো বছর পেরিয়ে গেলেও ডায়ানাকে নিয়ে এখনো মানুষের আগ্রহের শেষ নেই।
প্রিন্স চার্লস এবং প্রিন্সেস ডায়ানা দম্পতির প্রথম সন্তান প্রিন্স উইলিয়ামের জন্ম ১৯৮২ সালে। পরে ১৯৮৪ সালে জন্ম হয় প্রিন্স হ্যারির। ১৯৯৭ সালে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ডায়ানা নিহত হন। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন মিসরের ধনকুবের দোদি আল ফায়েদ। তিনিও প্রাণ হারান।
তবে প্রিন্স চার্লস এবং ডায়ানার দাম্পত্য জীবন খুব একটা সুখকর ছিল না। কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসা পেলেও চার্লসের ভালোবাসা পাননি ডায়ানা।
ডায়নার সঙ্গে বিয়ের আগে ক্যামিলার সঙ্গে বছর দুয়েক সম্পর্ক ছিল চার্লসের। তারপরেও ডায়ানাকে বিয়ে করেন চার্লস। ক্যামিলাও বিয়ে করেন তার প্রাক্তন প্রেমিককে। বিয়ের আগে ক্যামিলার সঙ্গে সদ্ভাব ছিল ডায়ানার। যদিও বিয়ের পর দূরত্ব বাড়ে দু’জনের। ডায়ানা-চার্লস উপস্থিত থাকতে পারেন এমন অনুষ্ঠানগুলো এড়িয়েই চলতেন ক্যামিলা। অন্যদিকে স্বামীর আচার-আচারণে সন্দেহ বাড়তে থাকে ডায়ানার। সেই সময় বেশ কয়েকবার আত্মহত্যারও চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
১৯৯৪ সালে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে চার্লস প্রথম ক্যামিলার সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নেন। এরপরেই ক্যামিলার সঙ্গে বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে যান তার স্বামী অ্যান্ড্রু পার্কার।
এক বছর পরে একটি বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার দেন ডায়ানাও। তিনি জানান, জেমস হিউইটের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা। ডায়ানাকে ঘোড়া চালানো শেখাতেন তিনি। সেখানে চার্লসের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতির ইঙ্গিতও দেন ডায়ানা।
১৯৯৬ সালে বিবাহ-বিচ্ছেদ হয় ডায়ানা ও চার্লসের। পরের বছর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ডায়ানার। প্রাক্তন স্ত্রীর মৃত্যুর পর অবশ্য প্রাক্তন প্রেমিকা ক্যামিলার কাছেই ফিরে যান প্রিন্স চার্লস। প্রায় নয়বছর পর ক্যামিলা পার্কারকে বিয়ে করেন প্রিন্স অব ওয়েলস।
ডায়না সম্পর্কে অনেক তথ্য দিয়েছেন রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ লেখক অ্যান্ড্রু মর্টন। ডায়ানাকে নিয়ে একটি বই লিখেছেন তিনি। ‘ডায়ানা, হার ট্রু স্টোরি’ নামের ওই বইতে অ্যান্ড্রু জানিয়েছেন, বিয়ের কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই ডায়ানা ও প্রিন্স চার্লসের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়েছিল।
পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে হাত কেটে আত্মহত্যা করতে যান ডায়ানা। মর্টন আরও জানান, প্রায়ই রাত জেগে থাকতেন ডায়ানা। বিয়ের পরেই চার্লসের সঙ্গে একটি প্রমোদতরীতে বেড়াতে গিয়েছিলেন ডায়ানা। সেখানে প্রচুর পরিমাণ মদ্যপান করেন তিনি। বেশির ভাগ সময়ই নেশায় বেহুঁশ হয়ে ঘুমিয়ে থাকতেন।
বিয়ের দিন সকালে নাস্তা গ্রহণের সময় প্রিন্স চার্লসের পাশে বসেছিলেন মর্টন। অন্যপাশে বসেছিলেন ডায়ানা। খাবার চলাকালীন সময়ে চার্লসের সঙ্গে একবারও কথা বললেনি ডায়ানা। বিষয়টি খুবই অস্বাভাবিক লেগেছিল মর্টনের কাছে। এ বিষয়ে চার্লসকে প্রশ্ন করলে তিনিও নাকি জবাব না দিয়ে অন্যপ্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন।
প্রিন্সেস ডায়ানার একটি বিখ্যাত উক্তি- আমি যাকে ভালোবাসি, সে ছাড়া পুরো বিশ্ব আমাকে ভালোবসেছিল। সত্যিই পুরো বিশ্ব এখনো ডায়ানাকে ভালোবাসে। তার ফ্যাশন সেন্স ছিল অনবদ্য। আর তার মানবকল্যাণমূলক কাজের জন্য এখনো তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
‘গহনায় হোক প্রযুক্তির ছোঁয়া’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামী ৪ জুলাই শুরু হচ্ছে প্রথম আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী বাংলাদেশ ২০২৪। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এই প্রদর্শনী চলবে ৬ জুলাই পর্যন্ত।
আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রদর্শনী দেখতে কোনো টিকিট লাগবে না। এতে বিশ্বের ১০টি দেশের ৩০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে।
সোমবার (২৪ জুন) বাজুস কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায়, মুখপাত্র ও বাজুসের কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. দিলীপ কুমার রায়, সহ-সভাপতি সমিত ঘোষ অপু, বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, কেএনসি সার্ভিসেসের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রান্তি নাগভেকার।
সংবাদ সম্মেলনে প্রদর্শনীর বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন বাজুসের সহ-সভাপতি সমিত ঘোষ অপু। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী বাংলাদেশ ২০২৪ এর আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়ন ও নতুন নতুন শিল্প কারখানা স্থাপনে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করার জন্য এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এই প্রদর্শনী আগামী ৪ জুলাই শুরু হয়ে শেষ হবে ৬ জুলাই।
তিনি আরও বলেন, এই প্রদর্শনী ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) হল- ০২, পুষ্পগুচ্ছ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রদর্শনী দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এই প্রদর্শনীতে প্রবেশের জন্য কোনো টিকিট লাগবে না।
অপু বলেন, প্রথম আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী বাংলাদেশ ২০২৪ এ অংশ নিচ্ছে ভারত, ইতালি, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের প্রায় ১০টি দেশের ৩০টি প্রতিষ্ঠান।
এই প্রদর্শনীর ফলে বিশ্বের আধুনিক মেশিনারিজের সাথে এই খাতের ব্যবসায়ীদের পরিচিতি ঘটবে। যার ফলে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক জুয়েলালি শিল্প কারখানা স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি হবে- বলে অভিমত দেন সোনা ব্যবসায়ীদের এই নেতা।
তিনি বলেন, নতুন নতুন শিল্প কারখানা স্থাপিত হলে জুয়েলারি শিল্পের বিকাশ ও রপ্তানির দুয়ার উন্মোচিত হবে। এদেশে স্বর্ণ শিল্পের হারানো ঐতিহ্য আবার ফিরে পাবে। আমাদের দেশের কারিগর বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক ডিজাইনের গহনা তৈরি করতে সক্ষম হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের স্বর্ণ শিল্পীদের গড়া নিত্যনতুন আধুনিক ডিজাইনের অলংকারের পরিচিতি বাড়বে। বাজুস আশা করছে এই প্রদর্শনী দেশীয় জুয়েলারি শিল্পকে সমৃদ্ধশালী করার পাশাপাশি বিশ্ববাজারে একটি নতুন অবস্থান তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে ভারতের ৬টি প্রতিষ্ঠান- তিষা সিএনসি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, নিও ইন্সট্রমেন্ট, সোলাংকি মেশিনারিজ ওয়ার্কস, ইরা কর্পোরেশন, কোয়ান্টাম ইকুইপমেন্ট, এ্যাকযেট সলিউশ। ইতালির ৩টি প্রতিষ্ঠান জেটিই, ফাস্টি ও ওমপার। তুরস্কের ৩টি প্রতিষ্ঠান ওটেক, অরটেক ও গুভেনিস জুয়েলারি মোল্ড অ্যান্ড মেশিন। জার্মানির ফিশার। চীনের ডু ইট ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড। বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছে ৫টি প্রতিষ্ঠান ড্রিমস ইন্সট্রমেন্ট টেকনোলজি, বাংলাদেশ সাইন্টিফিক ইন্সট্রুমেন্ট কোম্পানি, এক্সপার্ট ইন্সট্রুমেন্ট, ট্রাস্ট, র্যার্টস বিডি।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিভিন্ন স্থাপনার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে লেবাননভিত্তিক হিজবুল্লাহ সংগঠন। ইসরায়েল সরকার যখন হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে ঠিক তখনি হিজবুল্লাহর সামরিক গণমাধ্যম বিভাগ এই ফুটেজ প্রকাশ করলো।
ওই ভিডিও ফুটেজ সম্পর্কে লেবাননের আল-মায়াদিন টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, দখলদার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর কাছে নিরাপত্তার দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর স্থানগুলোকে হিজবুল্লাহ চিহ্নিত করেছে।
এসব ফুটেজে যেসব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে নেগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত ইসরায়েলের দিমোনা পরমাণু চুল্লি, তেল আবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং নেভাতিম বিমানঘাঁটি।
এর বাইরে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে হাকিরিয়া কমপ্লেক্স। সেখানে রয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর জেনারেল স্টাফ এবং অনেক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের আবাসস্থল। এছাড়া রয়েছে রামাত ডেভিড বিমান ঘাঁটি এবং লেবানন উপকূলের কারিশ গ্যাসক্ষেত্রও।
এদিকে রোববার হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। হিজবুল্লাহর এক কমান্ডারকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবেই সশস্ত্র ড্রোন দিয়ে ওই হামলা চালানো হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। সেখানে অভিযানের নামে প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৫০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।
গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইরান সমর্থিত এবং হামাসের মিত্র হিজবুল্লাহর সদস্যদের সঙ্গে প্রতিদিনই ইসরায়েলি সেনাদের সংঘাতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী স্বীকার করেছে যে, লেবানন থেকে একটি ড্রোন বেইত হিলেল এলাকায় আঘাত হেনেছে। তবে এই ঘটনায় কারো আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
|
|
|
|
|
|
বাংলাদেশ নিয়ে যা বলেছি, ঠিক বলেছি: মমতা |
............................................................................................. |
ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন মোদী |
............................................................................................. |
চীনে শপিং সেন্টারে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১৬ |
............................................................................................. |
থাইল্যান্ড ভ্রমণে ভিসা লাগবে না ৯৩ দেশের নাগরিকের |
............................................................................................. |
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ভবনের সংস্কার নিয়ে বৈঠক |
............................................................................................. |
ট্রাম্পের ওপর হামলাকারী সম্পর্কে যা জানা গেলো |
............................................................................................. |
যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের সহিংসতার কোনো জায়গা নেই: বাইডেন |
............................................................................................. |
গাজায় অভিযানে ৩২৪ ইসরায়েলি সেনা নিহত |
............................................................................................. |
চিকিৎসক থেকে ইরানের প্রেসিডেন্ট, কে এই পেজেশকিয়ান? |
............................................................................................. |
যুক্তরাজ্যের নতুন মন্ত্রিসভায় যারা আছেন |
............................................................................................. |
গাজার ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই বাস্তুহারা |
............................................................................................. |
ভারতে পদদলিত হয়ে মৃত্যু বেড়ে ১২১, গ্রেফতার হতে পারেন ভোলে বাবা |
............................................................................................. |
শিশু ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড, বিয়ের আশ্বাসে যৌন সম্পর্কে ১০ বছরের সাজা |
............................................................................................. |
কোটি মানুষের হৃদয়ের রানি ডায়ানার জন্মদিন আজ |
............................................................................................. |
প্রথম আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী শুরু ৪ জুলাই |
............................................................................................. |
ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ফুটেজ প্রকাশ করেছে হিজবুল্লাহ |
............................................................................................. |
তুরস্কে ভয়াবহ দাবানল, নিহত অন্তত ১২ |
............................................................................................. |
শরিকদের কোন কোন মন্ত্রণালয় দিলো বিজেপি |
............................................................................................. |
তীব্র গরমে নাজেহাল পশ্চিমবঙ্গবাসী |
............................................................................................. |
হামলার পর কেমন আছেন ড্যানিশ প্রধানমন্ত্রী? |
............................................................................................. |
অবশেষে ইসরায়েলকে ‘অপরাধী’ দেশের তালিকায় যুক্ত করলো জাতিসংঘ |
............................................................................................. |
লোহিত সাগরে গ্রিসের জাহাজে হুথিদের হামলা |
............................................................................................. |
দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্যায় ২২ জনের মৃত্যু |
............................................................................................. |
কংগ্রেসের উত্থানে বিজেপিতে অস্বস্তি, বারানসিতে জয় পাবেন মোদী? |
............................................................................................. |
২৫৭ আসনে এগিয়ে বিজেপি |
............................................................................................. |
পশ্চিমবঙ্গে এগিয়ে তৃণমূল |
............................................................................................. |
যুক্তরাষ্ট্রে গোলাগুলিতে নিহত ১, আহত ২৪ |
............................................................................................. |
সিরিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১২ |
............................................................................................. |
ধ্যান ভেঙেছেন মোদী, বুথফেরত জরিপে এগিয়ে বিজেপি |
............................................................................................. |
দুই ইসরায়েলি মন্ত্রীর জোট সরকার ভেঙে দেওয়ার হুমকি |
............................................................................................. |
চলছে শেষ দফার ভোটগ্রহণ, মোদীর ভাগ্য পরীক্ষা আজ |
............................................................................................. |
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তরল দুধের দাম |
............................................................................................. |
তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে লোডশেডিং, পাকিস্তানে বিক্ষোভ |
............................................................................................. |
নির্বাচনী প্রচার শেষে ধ্যানে বসছেন মোদী |
............................................................................................. |
গাজায় ৭ মাসের সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন ১০ হাজারের বেশি নারী |
............................................................................................. |
পশ্চিমাদের সতর্ক করলেন পুতিন |
............................................................................................. |
দিল্লিতে শিশু হাসপাতালে আগুন, ৭ নবজাতকের মৃত্যু |
............................................................................................. |
চীনে পৌঁছেছেন ‘পুরোনো বন্ধু’ পুতিন |
............................................................................................. |
ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত |
............................................................................................. |
ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় ৫৮ জনের প্রাণহানি |
............................................................................................. |
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ৩৫১৭৩ |
............................................................................................. |
কে হচ্ছেন রাশিয়ার নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী |
............................................................................................. |
ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৪১ |
............................................................................................. |
প্লেনে নারী যাত্রীর আজব কাণ্ড |
............................................................................................. |
ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় মৃত্যু ১০০ ছাড়িয়ে গেছে |
............................................................................................. |
ইসরায়েলি বোমা হামলায় একই পরিবারের ৭ জন নিহত |
............................................................................................. |
কারাদণ্ড হতে পারে ট্রাম্পের: বিচারকের সতর্কবাণী |
............................................................................................. |
পুলিৎজার পেলো রয়টার্স-নিউইয়র্ক টাইমস-ওয়াশিংটন পোস্ট |
............................................................................................. |
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ৩৪৭৩৫ |
............................................................................................. |
সোনা কিনতে দুবাই ছুটছেন ভারতীয়রা |
............................................................................................. |
|
|
|
|
চেয়ারম্যান: এস.এইচ. শিবলী ।
সম্পাদক, প্রকাশক: জাকির এইচ. তালুকদার ।
হেড অফিস: ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ ।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বাড়ি নং ২, রোড নং ৩, সাদেক হোসেন খোকা রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা ১০০০ ।
ফোন: 01558011275, 02-৪৭১২২৮২৯, ই-মেইল: dtvbanglahr@gmail.com
|
|
|
|