|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
অবৈধ খনিতে ৭৮ মরদেহ, সমালোচনার মুখে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
অবৈধ খনি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপের কারণে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার। স্টিলফন্টেইন খনিতে আটকা পড়া কয়েকশ শ্রমিকের খাবার ও পানির সরবরাহ বন্ধ করার পর অন্তত ৭৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, বুধবার (১৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্ধারকর্মীরা অভিযান চালিয়ে ১৬৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে আরও ১০০র বেশি শ্রমিকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে, যাদের অনাহার ও পানিশূন্যতার কারণে প্রাণ গেছে।
স্টিলফন্টেইন খনিতে আটকে থাকা শ্রমিকদের বেশিরভাগই দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আসা অনিবন্ধিত শ্রমিক। দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন (এসএএফটিইউ) এটিকে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যা দিয়েছে।
এসএএফটিইউ’র এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই শ্রমিকরা ছিল অসহায় এবং অনিবন্ধিত। অথচ সরকারের অবহেলার কারণে তাদের এমন অমানবিক পরিস্থিতিতে ফেলে রাখা হয়েছে। এটি আমাদের ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ ঘটনা।
সরকারের কঠোর নীতির সমালোচনা করে ইউনিয়ন জানায়, অবৈধ খনির কারণে শ্রমিকদের এমন নির্মমভাবে মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। এটি সরকারের অমানবিক সিদ্ধান্তের উদাহরণ।
পুলিশ জানিয়েছে, অবৈধ খনি কার্যক্রম বন্ধে শ্রমিকদের খাবার ও পানি সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছিল। তবে এই নীতি মর্মান্তিক পরিণতি ডেকে এনেছে।
প্রতি বছর অবৈধ খনির কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়। এ কারণে সেটি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার।
তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, সরকারের উচিত ছিল মানবিক দিক বিবেচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া।
দেশটিতে প্রায় এক লাখ শ্রমিক অবৈধ খনির সঙ্গে যুক্ত, যারা ‘জামা জামা’ নামে পরিচিত। এই খাতে সহিংস গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং কালোবাজারে সোনার ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে।
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
অবৈধ খনি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপের কারণে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার। স্টিলফন্টেইন খনিতে আটকা পড়া কয়েকশ শ্রমিকের খাবার ও পানির সরবরাহ বন্ধ করার পর অন্তত ৭৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, বুধবার (১৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্ধারকর্মীরা অভিযান চালিয়ে ১৬৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে আরও ১০০র বেশি শ্রমিকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে, যাদের অনাহার ও পানিশূন্যতার কারণে প্রাণ গেছে।
স্টিলফন্টেইন খনিতে আটকে থাকা শ্রমিকদের বেশিরভাগই দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আসা অনিবন্ধিত শ্রমিক। দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন (এসএএফটিইউ) এটিকে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যা দিয়েছে।
এসএএফটিইউ’র এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই শ্রমিকরা ছিল অসহায় এবং অনিবন্ধিত। অথচ সরকারের অবহেলার কারণে তাদের এমন অমানবিক পরিস্থিতিতে ফেলে রাখা হয়েছে। এটি আমাদের ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ ঘটনা।
সরকারের কঠোর নীতির সমালোচনা করে ইউনিয়ন জানায়, অবৈধ খনির কারণে শ্রমিকদের এমন নির্মমভাবে মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। এটি সরকারের অমানবিক সিদ্ধান্তের উদাহরণ।
পুলিশ জানিয়েছে, অবৈধ খনি কার্যক্রম বন্ধে শ্রমিকদের খাবার ও পানি সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছিল। তবে এই নীতি মর্মান্তিক পরিণতি ডেকে এনেছে।
প্রতি বছর অবৈধ খনির কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়। এ কারণে সেটি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার।
তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, সরকারের উচিত ছিল মানবিক দিক বিবেচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া।
দেশটিতে প্রায় এক লাখ শ্রমিক অবৈধ খনির সঙ্গে যুক্ত, যারা ‘জামা জামা’ নামে পরিচিত। এই খাতে সহিংস গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং কালোবাজারে সোনার ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করেছে মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশন। ২০২২ সালে টুইটারে তার থাকা শেয়ারের বিষয়ে তথ্য প্রকাশে বেশি দেরি করায় এই মামলা করা হয়েছে। যদিও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি কিনে নেন ইলন মাস্ক।
ওয়াশিংটন ফেডারেল আদালতে দায়ের করা একটি অভিযোগে এসইসি জানিয়েছে, মাস্ক টুইটারের সাধারণ শেয়ারের ৫ শতাংশ প্রাথমিক ক্রয় সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে ১১ দিন অপেক্ষা করে ফেডারেল সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করেছেন।
সিইসি এর নিয়ম অনুযায়ী বিনিয়োগকারীদের ১০ ক্যালেন্ডার দিবসের মধ্যে তথ্য প্রকাশ করতে হয়।
এসইসি জানায়, ইলন মাস্ক কৃত্রিমভাবে কম দামে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের শেয়ার কেনেন। যার তথ্য ২৪ মার্চ ২০২২ সালে প্রকাশের কথা থাকলেও তিনি তা প্রকাশ করেন ওই বছরের ৪ এপ্রিল। তখন তার শেয়ার ৯ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়ায়।
এসইসি আরও জানায়, ইলন মাস্কের ওই তথ্য প্রকাশের পরই টুইটারের শেয়ারের দাম ২৭ শতাংশ বেড়ে যায়।
এরপর ২০২২ সালের অক্টোবরে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কিনে নেন ইলন মাস্ক। পরবর্তীসময়ে এর নাম পরিবর্তন করে এক্স করা হয়।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
দেশের পূর্ব উপকূল থেকে সমুদ্রের দিকে একাধিক স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চীফ অব স্টাফ (জেসিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়টি শনাক্ত করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার জাগাং প্রদেশ থেকে এসব ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কোরীয় উপদ্বীপ এবং জাপানের মধ্যকার জলসীমায় অবতরণের আগে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার (১৫৫ মাইল) পথ পাড়ি দিয়েছে।
জেসিএস জানিয়েছে, আরও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয় কি না সে বিষয়ে তাদের প্রস্তুতি রয়েছে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী উত্তর কোরিয়ার কার্যকলাপের ওপর নজরদারি জোরদার করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের সঙ্গে এ বিষয়ে সব ধরনের তথ্য আদান-প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়।
কোরীয় উপদ্বীপের শান্তি ও স্থিতিশীলতায় গুরুতর হুমকির তৈরি করতে এ ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়ে দৃঢ়ভাবে নিন্দা জানিয়েছে জেসিএস। যেকোনো ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে কড়া প্রতিক্রিয়ার বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি চোই সাং-মোক বলেছেন, তার দেশ উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব লঙ্ঘন করে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের নিন্দা জানানো হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করলো উত্তর কোরিয়া। এর আগে গত ৬ জানুয়ারি নতুন ধরনের মধ্যম মাত্রার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছিল উত্তর কোরিয়া।
এদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোকে মোকাবিলায় নিজ দেশের পারমাণবিক অস্ত্রের সংগ্রহ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। বছরের শেষ রাজনৈতিক সম্মেলনে কিম সতর্ক করে বলেন, তিনি সবচেয়ে কঠিন মার্কিন বিরোধী নীতি বাস্তবায়ন করবেন।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
দুর্নীতি, সম্পদের তথ্য গোপন ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছেন যুক্তরাজ্যের অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী এবং বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ রেজওয়ান সিদ্দিক। এবার তাকে মন্ত্রীত্ব থেকে বরখাস্ত করতে প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি ব্যাডেনোচ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, টিউলিপের দুর্নীতি নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্যের পরই কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনোচ এই মন্তব্য করেন। ড. ইউনূস সানডে টাইমসকে বলেছিলেন, লন্ডনে খালা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের দেওয়া সম্পত্তিতে বসবাস করার বিষয়ে টিউলিপ সিদ্দিককে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
রোববার (১২ জানুয়ারি) বিবিসি জানায়, অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে টিউলিপের কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থনৈদতিক দুর্নীতি সামাল দেওয়া। কিন্তু তার বিরুদ্ধেই এখন বাংলাদেশে দুর্নীতির তদন্ত চলছে। অভিযোগ উঠেছে, টিউলিপ ও তার পরিবারের চার সদস্য ‘একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র’ থেকে প্রায় ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাত করেছেন।
এমন পরিস্থিতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া পোস্টে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান বলেছেন, কেয়ার স্টারমার, টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার সময় এসেছে। প্রধানমন্ত্রী তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে নিজেকেই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন।
ব্যাডেনোচ বলেন, সরকার যে আর্থিক সমস্যাগুলো তৈরি করেছে, তা মোকাবিলায় মনোনিবেশ করা উচিত হলেও টিউলিপ সিদ্দিক সেই কাজে মনোনিবেশের জন্য সমস্যা হয়ে উঠেছেন। এখন বাংলাদেশ সরকারও শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে টিউলিপের যোগসূত্র নিয়েও গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
এদিকে, টিউলিপের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরাও। তারা বলেছেন, ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার বিষয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে না পারলে, তিনি যেন ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
টোরি এমপি বব ব্ল্যাকম্যান বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিককে তার সম্পত্তির লেনদেনের বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে ও ব্যাখ্যা করতে হবে আসলে কী ঘটেছে। যদি তিনি তা না করেন, তবে মন্ত্রী হিসেবে তিনি কাজ চালিয়ে যেতে পারেন না।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলকে যুদ্ধ পরিস্থিতি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই দাবানলের ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
বাইডেন বলেন, আসন্ন প্রেসিডেন্টের টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রত্যেক বিষয়ে আমরা কাজ করছি এবং আশা করছি তারাও একইভাবে কাজ চালিয়ে যাবেন।
হতাহতের বিষয়ে জো বাইডেন বলেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তাছাড়া সেখানের বাড়িঘরে লুটপাটের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাইডেন।
এদিকে লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া এখন পর্যন্ত ঘরবাড়িসহ ১০ হাজার অবকাঠামো ধ্বংসের খবর পাওয়া গেছে।
লস অ্যাঞ্জেলেসের পাঁচটি কাউন্টিতে জ্বলতে থাকা এ দাবানল নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। দমকা বাতাসে আগুন নেভানোর চেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) হলিউড হিলসে শুরু হওয়া এই দাবানলের শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে হলিউডের নামী-দামী তারকারাও।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
চীনে ভোক্তা মূল্যস্ফীতির হার গত ডিসেম্বরে নয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে মূল্যসংকোচন নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরে বার্ষিক ভিত্তিতে ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) মাত্র ০.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি টানা চতুর্থ মাসের মতো নিম্নমুখী প্রবণতা ধরে রেখেছে। এর আগে, গত নভেম্বরে সিপিআই বেড়েছিল ০.২ শতাংশ।
এছাড়া, ২০২৪ সালের সম্পূর্ণ বছরে ভোক্তা মূল্যসূচক মাত্র ০.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত বছরের সমান এবং চীনের সরকার নির্ধারিত ৩ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার অনেক নিচে।
চীনে মাসিক হিসাবে গত ডিসেম্বরে সিপিআই অপরিবর্তিত ছিল, যা নভেম্বরে ০.৬ শতাংশের পতনের সঙ্গে মিল রেখেছে। খাদ্যদ্রব্যের দাম কমে যাওয়াই মূল্যসূচকের ওপর সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলেছে। তবে খাদ্য ও জ্বালানির মতো অস্থির পণ্য বাদ দিয়ে মূল মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়ে ডিসেম্বরে ০.৪ শতাংশে পৌঁছেছে, যা নভেম্বরে ছিল ০.৩ শতাংশ।
পিনপয়েন্ট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সভাপতি ও প্রধান অর্থনীতিবিদ ঝাং ঝিউই বলেন, মূল্যসংকোচনের চাপ দীর্ঘস্থায়ী। সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক তথ্য স্থিতিশীল হলেও ভোক্তা মূল্য বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত গতি তৈরি হয়নি।
চীনে সম্ভাব্য মূল্যসংকোচনের সংকট দেশটির সুদের হারকে নতুন নিম্ন পর্যায়ে নিয়ে গেছে। দেশটি এরই মধ্যে অর্থনৈতিক মন্দা ঠেকাতে বেশ কয়েকটি প্রণোদনা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে নভেম্বরে খুচরা বিক্রি, স্থায়ী সম্পদ বিনিয়োগ এবং ডিসেম্বরে উৎপাদন খাতে সম্প্রসারণ প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল ছিল।
এছাড়া, নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে আসতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে আবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। ট্রাম্প এরই মধ্যে চীনা পণ্য আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন।
এ অবস্থায় চীন সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অভ্যন্তরীণ ভোগ বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে। গত সোমবার দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার ভোক্তা পণ্য বিনিময় কর্মসূচি সম্প্রসারণ করেছে, যাতে আরও বেশি পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
পিনপয়েন্টের ঝাং বলেন, সরকারি ভর্তুকির পরিকল্পনা ইতিবাচক। তবে সম্পত্তি খাতের মন্দা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভোক্তাদের আস্থা পুরোপুরি ফিরে আসবে না। মূল্যস্ফীতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে আর্থিক নীতির সঠিক প্রয়োগের ওপর।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর সংগঠন ব্রিকসের দশম সদস্য দেশ হিসেবে জায়গা করে নিলো ইন্দোনেশিয়া। সোমবার (৬ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটি ব্রিকসের পূর্ণ সদস্যপদ পায়। ২০২৫ সালের ব্রিকস প্রেসিডেন্সির দায়িত্ব পাওয়া দেশ ব্রাজিল এই ঘোষণা দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্রাজিলের সরকার ইন্দোনেশিয়াকে ব্রিকসে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ ও সবচেয়ে বড় অর্থনীতিকে স্বাগত জানানো হচ্ছে এই মঞ্চে। ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতিতে ইন্দোনেশিয়াও বাকি দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করবে।
জার্মান বার্তাসংস্থা ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের আগস্টে ব্রিকসের সম্মেলনে ইন্দোনেশিয়াকে সম্পূর্ণভাবে ব্রিকসে শামিল করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। কিন্তু ইন্দোনেশিয়া জানায়, স্থায়ী সরকার তৈরি না হওয়া পর্যন্ত তারা এই মঞ্চে যোগ দেবে না।
তবে, গত বছর ইন্দোনেশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিকসে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানায় এশিয়ার এই দেশ। গত অক্টোবরে দায়িত্ব গ্রহণ করেন দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো। স্থায়ী সরকার গঠন হওয়ার পরেই ব্রিকসে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিল ইন্দোনেশিয়া।
২০০৯ সালে ব্রিকস গঠিত হয়। জোটের প্রধান দেশগুলো হলো ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০২৪ সালে এই জোটে ঢোকানো হয় ইরান, ইথিওপিয়া, মিশর ও আরব আমিরাতকে। উন্নত বিশ্বের জি-৭ জোটের আদলেই তৈরি করা হয়েছিল গ্লোবাল সাউথের এই জোট।
ইন্দোনেশিয়া এই জোটে যোগ দেওয়ার আগে পর্যন্ত বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪৬ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতো ব্রিকস। এবার এই সংখ্যা আরও বাড়লো। তাছাড়া গোটা বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৩৫ শতাংশ আসে ব্রিকসের জোটভুক্ত দেশগুলো থেকে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৫৩ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও ৩৮ জন। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
পদত্যাগ করতে চলেছেন কানাডার এই প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য গ্লোবাল অ্যান্ড মেইল জানিয়েছে, কানাডার ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টির দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ট্রুডো ঠিক কবে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন সেবিষয়ে কিছু জানা গেলেও ধারণা করা হচ্ছে, বুধবার (৮ জানুয়ারির) দলের জাতীয় সম্মেলনের আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করতে পারেন তিনি। আরও জানা গেছে, জাস্টিন ট্রুডো এরই মধ্যে তার অর্থমন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাঙ্ককে অন্তর্বর্তীকালীন নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
গ্লোবাল অ্যান্ড মেইল জানিয়েছে, এ বিষয়ে সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও, কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের। নতুন নেতা বাছাইয়ের আগ পর্যন্ত জাস্টিন ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন কি না, সে বিষয়টিও এখনো পরিস্কার নয়।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল রোববার তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সোমবারের মধ্যে লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্রগুলো গ্লোব অ্যান্ড মেইলকে বলেছে, তারা নিশ্চিতভাবে জানে না যে ট্রুডো কখন তার পদত্যাগের পরিকল্পনা ঘোষণা করবেন। তবে তাদের ধারণা, বুধবার লেবার পার্টির জাতীয় সম্মেলনের আগেই দলের শীর্ষ পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেবেন তিনি।
রয়টার্স বলছে, ট্রুডোর সম্ভাব্য এই পদত্যাগের ফলে দেশটির ক্ষমতাসীন এই দলটিকে এমন এক সময়ে স্থায়ী প্রধান ছাড়াই রাজনৈতিক মাঠে ছেড়ে দেবে যখন জরিপগুলোতেও দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরের অক্টোবরের শেষের দিকে হতে যাওয়া নির্বাচনে লিবারেলরা রক্ষণশীলদের কাছে খারাপভাবে হেরে যাবে। অবশ্য ট্রুডো পদত্যাগ করলে নতুন সরকার গঠনের জন্য অক্টোবরের আগেই নির্বাচনের আহ্বান জানাতে পারে দেশটির রাজনৈতিক দলগুলো।
জাস্টন ট্রুডো ২০১৩ সালে লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন। সেসময় কানাডিয়ান এই দলটি গভীর সমস্যায় পড়েছিল ও প্রথমবারের মতো হাউজ অব কমন্সে তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছিল।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
ক্যানসারের চিকিৎসায় টিকা নিয়ে দীর্ঘদিনের গবেষণার পর অবশেষে আশাব্যঞ্জক ফলাফল পেতে শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। বিশেষায়িত এই টিকা মূলত ইমিউন সিস্টেম বা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে টিউমার চিহ্নিত করতে সহায়তা করে। এর পরীক্ষামূলক ব্যবহার নানা ধরনের ক্যানসারের বিরুদ্ধে ইতিবাচক ফলাফল দেখাচ্ছে।
ক্যানসারের বিরুদ্ধে ইমিউন সিস্টেম সক্রিয় করার ধারণাটি কিন্তু নতুন নয়। ১৯শ শতকের শেষভাগে নিউইয়র্কের সার্জন উইলিয়াম কোলি আবিষ্কার করেছিলেন, ব্যাকরেটিয়ার সংক্রমণ ইমিউন সিস্টেমকে উদ্দীপিত করে ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। কোলি তার গবেষণায় প্রায় এক হাজার রোগীর শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করিয়ে চিকিৎসা করেছিলেন, যার অনেক ক্ষেত্রেই সফল ফলাফল পাওয়া যায়।
বর্তমানে ক্যানসার টিকার গবেষণা নতুন ধাপে পৌঁছেছে। আধুনিক বিজ্ঞানীরা টিউমারের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারণ করছেন, কোন মিউটেশন বা নিওঅ্যান্টিজেন ইমিউন সিস্টেমকে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় করতে পারে। এই প্রক্রিয়ায় আরএনএ ব্যবহার করে শরীরের কোষকে ক্যানসারের নির্দিষ্ট অ্যান্টিজেন তৈরি করতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর ফলে ইমিউন সিস্টেম ক্যানসারের কোষগুলোকে চিহ্নিত করে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়।
দুই মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি মডার্না এবং মার্কের তৈরি একটি ব্যক্তিকেন্দ্রিক (প্রত্যেকের জন্য বিশেষভাবে তৈরি) এমআরএনএ ক্যানসার টিকা (এমআরএনএ-৪১৫৭ বা ভি৯৪০) সম্প্রতি মেলানোমা (একধরনের স্কিন ক্যানসার) রোগীদের ওপর সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, এই টিকা ক্যানসার পুনরাবৃত্তি বা মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় অর্ধেক কমিয়ে এনেছে। এছাড়া, একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে অন্যান্য ক্যানসারের বিরুদ্ধেও পরীক্ষামূলক কাজ চলছে।
গবেষকরা আশা করছেন, ভবিষ্যতে কেমোথেরাপি ও অস্ত্রোপচারের মতো জটিল চিকিৎসার বিকল্প হয়ে উঠতে পারে ক্যানসারের টিকা। পাশাপাশি, প্রতিরোধমূলক টিকা তৈরি করেও ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের সুরক্ষিত করা সম্ভব হতে পারে। ২০২৪ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ডিম্বাশয়ের ক্যানসার প্রতিরোধে একটি টিকা তৈরির জন্য অর্থায়ন পেয়েছেন।
তবে, এই পথে নানা চ্যালেঞ্জও রয়েছে। ব্যক্তিকেন্দ্রিক টিকা তৈরি এখনো বেশ সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ। ‘অফ-দ্য-শেল্ফ’ টিকা উন্নয়নের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ক্যানসার টিকা নিয়ে ২০২৫ সাল হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। উইলিয়াম কোলির দৃষ্টিভঙ্গি এক শতাব্দী পর বিজ্ঞানীদের নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির পথ দেখাচ্ছে। তবে এই টিকা কতটা কার্যকর হবে, তা নিশ্চিত হতে আরও কিছু গবেষণার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
নববর্ষের প্রাক্কালে অন্ধকারে ঢেকে গেছে পুয়ের্তো রিকো। দেশটির প্রায় ৯০ শতাংশ অর্থাৎ ১৫ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিভিন্ন অবস্থায় পড়েছেন। এই দ্বীপের প্রধান বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান লুমা এনার্জি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর বিবিসির।
লুমা এনার্জি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে পুয়ের্তো রিকোতে ১৬টি হাসপাতাল এবং বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানসহ ৭ লাখের বেশি গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে।
লুমা এনার্জির মুখপাত্র হুগো সোরেন্টিনি বলেছেন, কোস্টা সুরের প্রধান বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর একটিতে বৈদ্যুতিক লাইনে সমস্যার কারণে দ্বীপজুড়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে পুয়ের্তো রিকোর পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। মার্কিন জ্বালানি বিষয়কমন্ত্রী জেনিফার গ্রানহোম সহায়তার প্রস্তাব দিতে পুয়ের্তো রিকোর গভর্নরের সঙ্গে কথা বলেছেন।
পুয়ের্তো রিকোর বর্তমান মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি এবং নতুন গভর্নর জেনিফার গনজালেজ-কোলন বলেন, আমরা এমন একটি বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করতে পারি না যা আমাদের জনগণকে ব্যর্থ করে দেবে।
তিনি বলেন, আজকের এই বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থা এবং বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধারের বিষয়ে অনিশ্চয়তা আমাদের অর্থনীতি এবং জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত করছে।
বর্তমান গভর্নর পেড্রো পিয়েরলুইসি দুটি প্রধান বিদ্যুৎ কোম্পানি লুমা এবং জেনারার কাছ থেকে সার্বিক পরিস্থিতি এবং এর সমাধান দাবি করেছেন। চলতি বছর বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে একযোগে কয়েক লাখ বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হ্যান ডাক সুকে অভিশংসনের জন্য সংসদে ভোটাভুটি হয়েছে। এর আগে বিরোধীরা তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের বিল উত্থাপন করে।
এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এতে দেশটির মুদ্রার মূল্যও পতনের দিকে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সংসদে ৩০০ সদস্যের মধ্যে ১৯২ জন অভিশংসন ভোটে অংশ নেন। তবে সরকার দলীয় সদস্যরা ভোট বয়কট করেছেন।
প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউলকে অভিশংসনের পর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী হ্যান। সামরিক আইন জারির পর ইউলকে সংসদে অভিশংসন করা হয়।
আইন অনুযায়ী, হ্যান যদি অভিশংসিত হন তাহলে অর্থমন্ত্রী চোই সাং-মোক ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক পার্টি হুমকি দিয়ে জানায়, যদি দ্রুত সাংবিধানিক আদালতে তিন বিচারকে নিয়োগ দেওয়া না হয় তাহলে তাকে অভিশংসনে বিল উত্থাপন করা হবে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
সিরিয়ায় ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনীর অতর্কিত হামলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৪ সদস্য নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিদ্রোহী-নেতৃত্বাধীন নতুন কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী তারতুস শহরের কাছে এই ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিরাপত্তা বাহিনী রাজধানী দামেস্কের কাছে অবস্থিত সাইদনায়া কারাগারে সম্পৃক্ত এক সাবেক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করতে গেলে তাদের ওপর হামলা হয়।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানিয়েছে, সংঘর্ষে তিন বিদ্রোহীও নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার পর নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে।
এদিকে, হোমস শহরে রাত্রীকালীন কারফিউ জারি করেছে সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ। সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আলাওয়ি সম্প্রদায়ের একটি পবিত্র স্থানে হামলার একটি ভিডিও প্রকাশের পর এ অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে।
সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভিডিওটি পুরোনো এবং এটি গত নভেম্বরের শেষের দিকে আলেপ্পোর বিদ্রোহীদের হামলার সময়কার। তবে সহিংসতার জন্য দায়ী গ্রুপগুলো শনাক্ত করা যায়নি।
এসওএইচআর জানিয়েছে, হোমসে এক বিক্ষোভকারী নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন। তারতুস, লাতাকিয়া এবং আসাদের নিজ শহর কারদাহাতেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।
আলাওয়ি সম্প্রদায় সিরিয়ার সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত, যেখান থেকে আসাদ পরিবারের উৎপত্তি। আসাদ সরকারের আমলে বেশিরভাগ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও এই সম্প্রদায়ের লোক ছিলেন।
সম্প্রতি সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সশস্ত্র অভিযানে ক্ষমতাচ্যুত হন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। গত ৮ ডিসেম্বর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। অবসান হয় আসাদ পরিবারের টানা ৫৩ বছরের শাসনের।
স্বৈরশাসকের পতনের পর সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার আশ্বাস দিয়েছে, দেশটিতে সব নাগরিকের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
সিরিয়ায় ক্রিসমাস ট্রি পোড়ানোর ঘটনার জের ধরে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এতে দেশটির নতুন কর্তৃপক্ষকে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানানো হচ্ছে। সুকায়লাবিয়াহ শহরের প্রধান চত্বরে ক্রিসমাস ট্রিতে আগুনের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে। দেশটির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত এই শহরটি খ্রিষ্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) জানিয়েছে, এ ঘটনায় কয়েকজন বিদেশি যোদ্ধাকে আটক করা হয়েছে। এই সংগঠনের নেতৃত্বেই সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারকে উৎখাত করা হয়েছে। এইচটিএসের সপ্রতিনিধিরা সিরিয়ার ধর্মীয় ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের স্বাধীনতা ও অধিকার সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ক্রিসমাসের আগের রাতে ক্রিসমাস ট্রিতে আগুন দিচ্ছে দুই মুখোশধারী। ভিডিওতে দেখা যায় ওই ঘটনার পর সুকায়লাবিয়াহ চত্বরে বিক্ষুব্ধদের সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন এইচটিএস-এর ধর্মীয় নেতা।
খ্রিষ্টানদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে তাকে ক্রস ধরে থাকতে দেখা যায়, যা সাধারণত রক্ষণশীলরা করেন না। মঙ্গলবার রাজধানী দামেস্কের একাংশসহ বিভিন্ন এলাকায় আগের চেয়ে বেশি বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে আসে। দামেস্কের কাছাকাছি অবস্থিত কাসা এলাকায় লোকজনকে বিদেশি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে দেখা গেছে।
তারা বলছিলেন, সিরিয়া এখন মুক্ত, নন-সিরিয়ানদের চলে যাওয়া উচিত। দামেস্কের কাছে বাব তৌমা এলাকায় বিক্ষোভকারীরা একটি ক্রস আর সিরিয়ার পতাকা বহন করছিলেন। তারা বলছিলেন, আমরা আমাদের ক্রসের জন্য জীবন দেব।
জর্জেস নামের একজন বিক্ষোভকারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আমরা যদি আমাদের খ্রিষ্টান ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে আমাদের দেশে বাস করতে না পারি তাহলে আমরা এখানে থাকব না।
সিরিয়ায় অনেক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর বসবাস আছে। এর মধ্যে আছে কুর্দি, আর্মেনিয়ান, আসিরিয়ান, খ্রিষ্টান, দ্রুজ, আলাউয়ি শিয়া ও আরব সুন্নি। শিয়া ও সুন্নি মিলে দেশটির মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী।
দুই সপ্তাহ আগে বিদ্রোহীদের হাতে উৎখাত হন দীর্ঘদিন যাবত প্রেসিডেন্ট থাকা বাশার আল-আসাদ। তিনি ও তার বাবা ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশটি শাসন করেছেন।
এরপর বাস্তুচ্যুত সিরিয়ানদের অনেকে নিজেদের ঘরবাড়িতে ফিরতে শুরু করেন। মঙ্গলবার তুরস্ক জানিয়েছে যে, ২৫ হাজারের বেশি সিরিয়ান দেশে ফিরেছে। এদিকে এইচটিএস কীভাবে সিরিয়া শাসন করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এই গোষ্ঠীটি একটি জিহাদি গ্রুপ হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল। তখন শরিয়াভিত্তিক শাসনের জন্য সহিংসতার নীতি থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা আরও বাস্তববাদী নীতি গ্রহণ করেছে।
চলতি মাসের শুরুতে যোদ্ধারা যখন দামেস্কের দিকে যাত্রা শুরু করে তখন এর নেতারা সব সিরীয়দের জন্য এক সিরিয়া বিনির্মাণের কথা বলেন।
মঙ্গলবার নতুন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তাদের নেতা আহমেদ আল-শারা বিপ্লবী সব গ্রুপগুলোর সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছেন যে সব গ্রুপকে এক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে আসা হবে। বার্তা সংস্থা সানার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-বাশির বলেছেন বিদ্রোহী যোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত করতে মন্ত্রণালয়টি পুনর্গঠন করা হবে। সিরিয়ায় অনেকগুলো সশস্ত্র গোষ্ঠী আছে। এর মধ্যে কয়েকটি এইচটিএস এর বিরোধিতাও করেছে। আরও কয়েকটির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক স্পষ্ট নয়। এইচটিএস এখনও জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় আছে। যদিও এটি পরিবর্তনের কূটনৈতিক প্রক্রিয়া চলমান আছে।
যুক্তরাষ্ট্র এক সময় আহমেদ আল-শারার মাথার দাম এক কোটি ডলার ঘোষণা করেছিল। শুক্রবার তারা সেটি বাতিল করেছে। তবে দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি অব্যাহত আছে। শুক্রবার তারা দেইর এজ্জর শহরে বিমান হামলা করেছে। এতে ইসলামিক স্টেট জিহাদি গ্রুপের দুজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন আরও ৫৮ জন ও আহত হয়েছেন আরও ৮৪ জন। রোববার (২২ ডিসেম্বর) ভোর থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত এসব হামলা ঘটে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এ নিয়ে ১৪ মাস ধরে চলা ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৩১৭ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৭ হাজার ৭১৩ জন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। কারণ ভবনের ধ্বংস্তূপের নিচে অনেকে চাপা পড়ে আছেন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবলের অভাবে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকেই গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ ও গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। তাছাড়া, ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, যা উপত্যকাটির মোট জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ।
এমন অবস্থায় গত মাসে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে এরই মধ্যে অভিযুক্ত হয়েছে দখলদার দেশ ইসরায়েল। তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করার আগ পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি তুলনামূলকভাবে কমেছে। কিন্তু তাতেও মন গলছে না ভোটারদের। মূলত গত কয়েক বছর ধরে ডিম থেকে শুরু করে জ্বালানির দাম উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। ফলে যেখানেই নির্বাচন ছিল সেখানেই ক্ষমতাসীন দলকে শাস্তি দিয়েছে ভোটাররা। ক্ষমতাসীন দলগুলো মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য শুধু প্রতিশ্রুতিই দিয়ে যাচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফের নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রেখেছে মূল্যস্ফীতি। ২০২১ সালে হেরে কারচুপির অভিযোগ এনেছিলেন ট্রাম্প। ক্যাপিটাল হিলে হামলা চালিয়েও লাভ হয়নি। তবে এবার ব্যালটবাক্সের মাধ্যমে ট্রাম্পকে জিতিয়েছেন সমর্থকরা।
মূল্যস্ফীতি বেশ কিছু দেশেই সরকার পরিবর্তনে ভূমিকা রেখেছে। এই তালিকায় রয়েছে যুক্তরাজ্য, বতসোয়ানা, পর্তুগাল ও পানামা। দক্ষিণ কোরিয়ায় ভোটাররা বিরোধীদলকে ক্ষমতায় বসিয়েছে।
নির্বাচন বড় ধাক্কা দিয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান ও ভারতকেও।
অন্যদিকে ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। এখন বড় প্রশ্ন হলো ট্রাম্প যখন হোয়াইট হাউজে ফিরবেন তখন এই সংঘাতের ক্ষেত্রে কী ধরনের প্রভাব পড়বে।
এর আগে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তিনি এক দিনের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করে দেবেন। ফলে ইউক্রেন ও ইউরোপের অনেকেই আশঙ্কা করছেন এর মানে হলো পুতিনের পাশে থাকা ও স্থিতাবস্থা স্থগিত করা।
ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের পরিসর বাড়িয়েছে। প্রথমে গাজা। তারপর লেবানন। ইয়েমেন ও সিরিয়ায়ও সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে তেল আবিব। গাজা যুদ্ধে নিহত হয়েছেন ৪৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। সেখানে ইসরায়েলের হামলায় এখনো মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত আছে।
অন্যদিকে ব্যবসার ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে কোম্পানিগুলো কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া যায় তা নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২৫ সালে যা বড় প্রভাবক হয়ে উঠতে পারে।
|
|
|
|
|
|
অবৈধ খনিতে ৭৮ মরদেহ, সমালোচনার মুখে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার |
............................................................................................. |
টুইটারে শেয়ারের তথ্য প্রকাশে দেরি, ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা |
............................................................................................. |
একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া |
............................................................................................. |
এবার টিউলিপকে বরখাস্তের আহ্বান জানালেন যুক্তরাজ্যের বিরোধী নেতা |
............................................................................................. |
লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলকে ‘যুদ্ধ পরিস্থিতি’ বললেন বাইডেন |
............................................................................................. |
চীনে কমেই চলেছে মূল্যস্ফীতি, অর্থনীতিতে নতুন শঙ্কা |
............................................................................................. |
ব্রিকসের পূর্ণ সদস্যপদ পেলো ইন্দোনেশিয়া |
............................................................................................. |
তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ৫৩ |
............................................................................................. |
যে কোনো দিন পদত্যাগ করতে পারেন ট্রুডো |
............................................................................................. |
অবশেষে আশার আলো দেখাচ্ছে ক্যানসারের টিকা |
............................................................................................. |
নববর্ষের প্রাক্কালে অন্ধকারে ঢেকে গেছে পুয়ের্তো রিকো |
............................................................................................. |
ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনে সংসদে ভোট |
............................................................................................. |
সিরিয়ায় আসাদপন্থিদের ‘অতর্কিত হামলায়’ ১৪ নিরাপত্তা সদস্য নিহত |
............................................................................................. |
ক্রিসমাস ট্রি পোড়ানোর ঘটনায় সিরিয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ |
............................................................................................. |
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন চলছেই, একদিনে নিহত ৫৮ |
............................................................................................. |
বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি |
............................................................................................. |
৫ দিনের ব্যবধানে ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো ভানুয়াতু |
............................................................................................. |
বোলিভিয়ায় বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ১৩ |
............................................................................................. |
হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের সংশ্লিষ্টতার তদন্তকে স্বাগত যুক্তরাষ্ট্রের |
............................................................................................. |
ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মূল্য সর্বকালের সর্বনিম্ন |
............................................................................................. |
হিজবুল্লাহ নয়, নিশ্চিহ্ন হবে ইসরায়েল: খামেনি |
............................................................................................. |
সিরিয়ার রিজার্ভ প্রায় শূন্য হলেও ব্যাংকে অক্ষত ২৬ টন সোনার মজুত |
............................................................................................. |
বোমা হামলায় রাশিয়ার পারমাণবিক সুরক্ষা বাহিনীর প্রধান নিহত |
............................................................................................. |
শিগগির আকাশসীমা চালু করবে সিরিয়া |
............................................................................................. |
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের শেষ রক্ষা হলো না |
............................................................................................. |
ভারতে বসে শেখ হাসিনার বিবৃতিতে সমর্থন নেই মোদী সরকারের |
............................................................................................. |
সিরিয়ায় শিগগির দূতাবাস পুনরায় চালু করবে কাতার |
............................................................................................. |
তুরস্ক-লেবানন থেকে ফিরতে শুরু করেছে সিরিয়ার শরণার্থীরা |
............................................................................................. |
বাংলাদেশ-ভারত দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র |
............................................................................................. |
যুদ্ধে ইউক্রেনের ৪৩ হাজার সেনা নিহত, স্বীকার করলেন জেলেনস্কি |
............................................................................................. |
সিরিয়ায় সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে সেনাবাহিনীকে সরে যাওয়ার নির্দেশ |
............................................................................................. |
ইকুয়েডরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৬ |
............................................................................................. |
চেন্নাইয়ে বাংলাদেশ-বিরোধী বিক্ষোভ, গ্রেফতার ৫০০ |
............................................................................................. |
চিন্ময় দাস গ্রেফতার প্রসঙ্গে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র |
............................................................................................. |
ভারত সফরে আসছেন ডোনাল্ড লু, যাবেন নেপাল-শ্রীলঙ্কায়ও |
............................................................................................. |
সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর দখলে নেওয়া বিদ্রোহীরা কারা? |
............................................................................................. |
অস্ট্রেলিয়ায় শিশুদের জন্য নিষিদ্ধ হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম |
............................................................................................. |
দক্ষিণ লেবাননে কারফিউ জারি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী |
............................................................................................. |
যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানালো ইরান |
............................................................................................. |
ইউক্রেনের আরও একটি গ্রাম দখল করেছে রাশিয়া |
............................................................................................. |
বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ৬, দেখামাত্র গুলির নির্দেশ |
............................................................................................. |
মসজিদে সমীক্ষা ঘিরে সংঘর্ষ, উত্তরপ্রদেশে নিহত ৩ |
............................................................................................. |
সৌদিতে এক সপ্তাহে প্রায় ২০ হাজার প্রবাসী গ্রেফতার |
............................................................................................. |
জর্ডানে ইসরায়েলি দূতাবাসের কাছে গুলি, তিন পুলিশ আহত |
............................................................................................. |
বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার সমুন্নত দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: ম্যাথু মিলার |
............................................................................................. |
ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে যা জানালো ইরান |
............................................................................................. |
তেল আবিবে সামরিক ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর হামলা, জরুরি অবস্থা জা |
............................................................................................. |
ইসরায়েলের মতো ভারতের কাছেও আয়রন ডোম রয়েছে |
............................................................................................. |
ইসরায়েলের হামলার বিষয়ে নাসরাল্লাহকে আগেই সতর্ক করেছিলেন খামেনি |
............................................................................................. |
ইসরায়েলে আপাতত হামলা সমাপ্ত ঘোষণা করলো ইরান |
............................................................................................. |
|
|
|
|
চেয়ারম্যান: এস.এইচ. শিবলী ।
সম্পাদক, প্রকাশক: জাকির এইচ. তালুকদার ।
হেড অফিস: ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ ।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বাড়ি নং ২, রোড নং ৩, সাদেক হোসেন খোকা রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা ১০০০ ।
ফোন: 01558011275, 02-৪৭১২২৮২৯, ই-মেইল: dtvbanglahr@gmail.com
|
|
|
|