বাংলার জন্য ক্লিক করুন
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
   * দিনাজপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু   * অমৃতসরে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরলেও রেড অ্যালার্ট বহাল   * চট্টগ্রাম কাস্টমসে নিলামে উঠেছে ৩০ মিক্সার লরি   * খুলনার বাজারে বেড়েছে সবজির দাম   * কলাবাগান থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার   * বাবাকে কুপিয়ে হত্যার পর ৯৯৯-এ ফোন করলেন মেয়ে   * ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে দিল্লি সফরে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী   * ভারত-পাকিস্তানের যত যুদ্ধ   * যশোরে আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার ওসিসহ সাত পুলিশ সদস্য   * দিনের তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে  

   আন্তর্জাতিক -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
অমৃতসরে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরলেও রেড অ্যালার্ট বহাল

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

শনিবার (১০ মে) রাতে ভারতের পাঞ্জাবের অমৃতসরে জোরে সাইরেনের শব্দ শোনা গেছে। এরপরেই রোববার ভোরে (১১ মে) জেলা প্রশাসক সাক্ষী সাহনী একটি সতর্কতা জারি করেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অমৃতসরে আপাতত বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরে এসেছে। তবে ওই জেলা এখনো রেড অ্যালার্টের আওতায় রয়েছে। খবর বিবিসির।

সাধারণ মানুষকে বাড়ি-ঘর থেকে বের না হতে, নিজেদের বাড়ির ভেতরে থাকা এবং জানালা থেকে দূরে থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন জেলা প্রশাসক।

পরিস্থিতি যখন সম্পূর্ণ নিরাপদ হবে, প্রশাসন গ্রিন সিগন্যাল বা সবুজ সংকেত দেবে তখন স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক এক বিবৃতিতে বলেন, দয়া করে আতঙ্কিত হবেন না, শান্তি বজায় রাখুন এবং প্রশাসনের সব নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।

গত শনিবার সন্ধ্যায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। বেশ কয়েকদিন ধরেই দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষের পর অবশেষে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

তবে যুদ্ধবিরতির মধ্যেও একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। যুদ্ধবিরতির কথা প্রথম জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৫টা ৩৫ মিনিটের দিকে তিনি প্রথম এই ঘোষণা দেন। এর আধঘণ্টা পর ভারত এই যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করে।

তবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নানা জায়গা থেকে এবং ভারতের পশ্চিম সীমান্ত বরাবর বিভিন্ন জায়গা থেকে বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে। ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু এবং কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলেন, যুদ্ধবিরতি তো নেই মনে হচ্ছে!

এরপর দিল্লিতে রাত ১১টার দিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলন করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে। এটি ছিল শনিবার ভারতের তৃতীয় সংবাদ সম্মেলন।

তবে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আত্তাউল্লাহ তারার ভারতের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির সমঝোতা লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে তিনি বলেন, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করতে পারে না এবং তারা তা করার কথা ভাবেওনি।

অমৃতসরে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরলেও রেড অ্যালার্ট বহাল
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

শনিবার (১০ মে) রাতে ভারতের পাঞ্জাবের অমৃতসরে জোরে সাইরেনের শব্দ শোনা গেছে। এরপরেই রোববার ভোরে (১১ মে) জেলা প্রশাসক সাক্ষী সাহনী একটি সতর্কতা জারি করেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অমৃতসরে আপাতত বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরে এসেছে। তবে ওই জেলা এখনো রেড অ্যালার্টের আওতায় রয়েছে। খবর বিবিসির।

সাধারণ মানুষকে বাড়ি-ঘর থেকে বের না হতে, নিজেদের বাড়ির ভেতরে থাকা এবং জানালা থেকে দূরে থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন জেলা প্রশাসক।

পরিস্থিতি যখন সম্পূর্ণ নিরাপদ হবে, প্রশাসন গ্রিন সিগন্যাল বা সবুজ সংকেত দেবে তখন স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক এক বিবৃতিতে বলেন, দয়া করে আতঙ্কিত হবেন না, শান্তি বজায় রাখুন এবং প্রশাসনের সব নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।

গত শনিবার সন্ধ্যায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। বেশ কয়েকদিন ধরেই দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষের পর অবশেষে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

তবে যুদ্ধবিরতির মধ্যেও একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। যুদ্ধবিরতির কথা প্রথম জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৫টা ৩৫ মিনিটের দিকে তিনি প্রথম এই ঘোষণা দেন। এর আধঘণ্টা পর ভারত এই যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করে।

তবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নানা জায়গা থেকে এবং ভারতের পশ্চিম সীমান্ত বরাবর বিভিন্ন জায়গা থেকে বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে। ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু এবং কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলেন, যুদ্ধবিরতি তো নেই মনে হচ্ছে!

এরপর দিল্লিতে রাত ১১টার দিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলন করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে। এটি ছিল শনিবার ভারতের তৃতীয় সংবাদ সম্মেলন।

তবে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আত্তাউল্লাহ তারার ভারতের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির সমঝোতা লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে তিনি বলেন, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করতে পারে না এবং তারা তা করার কথা ভাবেওনি।

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে দিল্লি সফরে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের উত্তেজনার মধ্যেই দিল্লিতে পৌঁছেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। এই সফরে তিনি ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করবেন।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আরাঘচির আগমন ভারত-ইরান মৈত্রী চুক্তির ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোচনা ও প্রসারিত করতে একটি সুযোগ তৈরি করেছে।

এর আগে তিনি পাকিস্তানে সফর করেছেন। পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর এবং দেশটির বিভিন্ন স্থানে ভারতের হামলা চালানোর একদিন আগে আরাঘচি পাকিস্তানে ছিলেন। সে সময় তিনি রাজধানী ইসলামাবাদে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসাক দারের সঙ্গে বৈঠক করেন। সাম্প্রতিক এই সংঘাতের আগেই তিনি ইরান ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

বুধবার ভোরের দিকে পাকিস্তানের অন্তত ৯ স্থানের ২৪টি স্থাপনায় হামলা চালায় ভারত। এতে এখন পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হয়েছে বলে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন।

মূলত ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়েছে ভারত। ওই হামলার জন্য ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ শুরু থেকেই তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে। পহেলগামে হামলার দুই সপ্তাহ পর পাকিস্তানের নয় স্থানে হামলা চালিয়েছে নয়াদিল্লি।

ভারতের হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্তে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পাকিস্তান জানিয়েছে, তারা ওই হামলার জবাবে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের পর এই প্রথম পরমাণু অস্ত্রধারী প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে এত বড় সামরিক সংঘর্ষ ঘটলো।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিল্লিতে অন্তত ১২টি দেশের কূটনীতিকদের জানিয়েছে, পাকিস্তান যদি জবাব দেয়, তাহলে ভারতও আবার পাল্টা জবাব দেবে। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ার এই অঞ্চলে বড় ধরনের যুদ্ধের আশঙ্কা আরও বেড়েছে।

ভারত-পাকিস্তানের যত যুদ্ধ
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

এ সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা। এরআগে ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার ফলে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। তারপর থেকে দুটি দেশের মধ্যে বিভিন্ন যুদ্ধ হয়। তারমধ্যে সব যুদ্ধই কাশ্মীর সমস্যাকে কেন্দ্র করে।

কাশ্মীর যুদ্ধ: ১৯৪৭-৪৮ সালে প্রথম ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ সংঘটিত হয়। একে কাশ্মীর যুদ্ধ বলা হয়ে থাকে। কারণ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘটিত প্রথম যুদ্ধ মূলত কাশ্মীর সমস্যাকে কেন্দ্র করে হয়েছিল। তখন জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। সে সময়ে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্ত করে। ভারত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ লাভ করে, পাকিস্তান আজাদ কাশ্মীর ও গিলগিত-বালতিস্তান অঞ্চল দুটির ওপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করে।

কচ্ছ যুদ্ধ: ১৯৫৬ সালে দ্বন্দ্বটির সূচনা হয়। পরে ১৯৬৫ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানি সীমান্তরক্ষীরা ভারত নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে পাহারা দিতে শুরু করে। ১৯৬৫ সালের ৮ এপ্রিল উভয় দেশই ‘কচ্ছ’ অঞ্চলে একে অপরের সীমান্ত চৌকির ওপর আক্রমণ চালায়। প্রথমে শুধু উভয় দেশের সীমান্ত পুলিশরা এ সংঘর্ষে জড়িত হয়। পরে খুব দ্রুত উভয় দেশের সশস্ত্রবাহিনীও জড়িয়ে পড়ে। ১৯৬৫ সালের জুনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হ্যারল্ড উইলসন দেশ দু’টিকে সংঘর্ষ বন্ধ করতে রাজি করান। তিনি বিরোধটির নিষ্পত্তির জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করেন। ১৯৬৮ সালে ট্রাইব্যুনালের রায়ে পাকিস্তান দাবিকৃত ৩,৫০০ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে ৩৫০ বর্গ কিলোমিটার ভূমি লাভ করে।

কার্গিল যুদ্ধ: ১৯৯৯ সালের মে-জুলাই মাসে কাশ্মীরের কার্গিল জেলায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। পাকিস্তানি ফৌজ ও কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে ডি ফ্যাক্টো সীমান্তরেখা হিসেবে পরিচিত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা লাইন অব কন্ট্রোল পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়লে এ যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে ওঠে। যুদ্ধ চলাকালীন ও যুদ্ধের পরে পাকিস্তান এ যুদ্ধের দায় সম্পূর্ণ কাশ্মীরি স্বাধীনতাপন্থী জঙ্গিদের ওপর চাপিয়ে দেয়। তবে ফেলে যাওয়া তথ্য-প্রমাণ এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধানের বিবৃতি থেকে স্পষ্ট জানা যায়, পাকিস্তানের আধাসামরিক বাহিনীও এ যুদ্ধের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। শেষে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সমর্থনের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানকে ফৌজ প্রত্যাহারে বাধ্য করা হয়।

পুলওয়ামা সংকট: ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে আবার শুরু হয়েছে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব। যা ক্রমশই যুদ্ধের দিকে মোড় নিচ্ছে। কাশ্মীরের পুলওয়ামা উপত্যকায় পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের হামলায় একসঙ্গে ৪০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হন। যার ফলে ভারতও পাল্টা হামলা চালাতে বাধ্য হয়েছে। সেই হামলা-পাল্টা হামলাই এখন মোড় নিচ্ছে বৃহত্তর যুদ্ধের দিকে।

পহেলগাম হামলা ৭ মে, ২০২৫

সবশেষ ভারত শাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার পর দেশ দুইটির মধ্যে যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পহেলগামে ২৬ পর্যটককে হত্যার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে বিমান হামলা চালালো ভারত। এতে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে নিহত বেড়ে ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে হামলার সময় ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে।

সুদানে বিস্ফোরণ-আগুন
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

সুদানের পোর্ট সুদান শহরে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে কী কারণে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বা সেখানে আগুন লেগেছে তা এখনও নিশ্চিত নয়। খবর আল জাজিরার।

শহরের প্রধান সামুদ্রিক বন্দরের আশেপাশের এলাকা থেকে ধোঁয়ার কালো কুণ্ডলী উঠতে দেখা যাচ্ছে। সেখানে লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

সুদানের রাজধানী খার্তুম থেকে আল জাজিরার হিবা মরগান জানিয়েছেন, বন্দর নগরীর বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) বেশি কিছু ড্রোন একটি জ্বালানি ডিপো এবং অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাদের ধারণা আবারও আধাসামরিক র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। তারা শহরের একটি জ্বালানি ডিপো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তবে বন্দর এবং বিমান ঘাঁটির আশেপাশেও হামলা চালানো হয়েছে।

সুদানের সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে সংঘাত সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকট তৈরি করেছে। পোর্ট সুদানে সাম্প্রতিক হামলার ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সহায়তা সংস্থাগুলোর পাশাপাশি সেনাবাহিনী-সমর্থিত সরকারি মন্ত্রণালয়গুলো সদর দপ্তর স্থাপন করেছে।

এর আগে গত এপ্রিলে সুদানে আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়। দেশটিতে প্রায় দুবছর ধরে আরএসএফ এবং সুদানি সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে ক্ষমতার জন্য লড়াই চলছে। উভয় পক্ষের বিরুদ্ধেই সাধারণ মানুষ হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি আরএসএফের আল-জাজিরাহ অঞ্চলের কমান্ডার সেনাবাহিনীর পক্ষে যোগ দেওয়ার পর থেকে হামলার মাত্রা আরও বেড়ে গেছে।

বিদেশি সিনেমায় ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন ট্রাম্প
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত নয় এমন সিনেমার ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিকে এ ধরণের শুল্ক আরোপের প্রক্রিয়া শুরুর জন্য দায়িত্ব দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। আমেরিকার সিনেমা শিল্প দ্রুত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এমন কারণ দেখিয়েই তিনি এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।

এজন্য তিনি অন্য দেশগুলোর ‌‘সমন্বিত প্রচেষ্টা’কে দায়ি করে বলেন, তারা সিনেমা নির্মাতা ও স্টুডিওগুলোকে নানা ধরনের প্রণোদনা অফার করছে এবং একে তিনি ‘জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি’ বলে উল্লেখ করেন। সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি বলেন, আমরা আমেরিকায় বানানো সিনেমাকে আবার মহান করতে চাই।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন। তার যুক্তি হলো, এই শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন বাড়াবে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। যদিও এর ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতি এক ধরনের নৈরাজ্যের মধ্যে পড়েছে এবং বিশ্বজুড়ে পণ্যের দাম বেড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগেই ট্রাম্প তিন চলচ্চিত্র তারকা- জন ভইট, মেল গিবসন ও সিলভেস্টার স্টালোনকে বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। তাদের কাজ ছিল হলিউডের ব্যবসার সুযোগকে প্রমোট করা। ট্রাম্পের মতে, হলিউড মহান একটি জায়গা কিন্তু এখানে অনেক সমস্যা আছে।

তিনি বলেন, তারা আমার দূত হিসেবে কাজ করবেন যার উদ্দেশ্য হলো হলিউডকে ফিরিয়ে আনা যেটা গত চার বছরে ব্যাপক ব্যবসা হারিয়েছে। বৃহৎ, ভালো এবং আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী অবস্থায় ফিরিয়ে আনা।

সিনেমা শিল্প গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রডপ্রোর মতে, বৈশ্বিক নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় সিনেমা তৈরির কেন্দ্র। এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে দেখা গেছে, দেশটি গত বছর সিনেমা তৈরিতে প্রায় সাড়ে ১৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে, যা ২০২২ সালের তুলনায় ২৬ শতাংশ কম।

বিপরীতে এই খাতে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা ও যুক্তরাজ্য ওই একই সময়ে আরও বেশি বিনিয়োগ পেয়েছে বলে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে। গত এপ্রিলে চীন বলেছে, দেশটিতে আমেরিকান সিনেমার প্রবেশের জন্য যে কোটা ঠিক করা আছে, সেটি তারা কমিয়ে দিতে যাচ্ছে।

চীনের সিনেমা প্রশাসন বলছে, চীনের যুক্তরাষ্ট্র সরকারের শুল্কের অপব্যবহারের ভুল সিদ্ধান্ত নিশ্চিতভাবেই আমেরিকান সিনেমার দর্শক কমাতে ভূমিকা রাখবে। তারা বলছে, আমরা বাজার নীতি অনুসরণ করবো, দর্শকের পছন্দকে সম্মান করবো এবং ধীরে ধীরে আমেরিকান ফিল্ম আমদানি কমাবো।

ট্রাম্প শুল্ক ব্যবহার করে চীনের ওপর কঠিন আক্রমণ করেছেন। চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছেন। তার প্রশাসন বলছে, কিছু চীনা পণ্যে শুল্ক ২৪৫ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

অন্য দেশগুলো এখন যুক্তরাষ্ট্রের ১০ শতাংশ শুল্ক মোকাবিলা করছে। এর চেয়ে বেশি শুল্ক জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা আছে। রোববার (৪ মে) এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, তিনি চীনসহ অনেক দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে কথা বলেছেন।

তবে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। চলতি সপ্তাহে কোনো বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা আসবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হতে পারে। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।

এর আগে চীনের ওপর শুল্ক কমিয়ে আনারও ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, এক পর্যায়ে আমি এটি কমিয়ে আনবো। কারণ এটা ছাড়া আপনি তাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবেন না। আর তারা ব্যবসা করতে চায়।

যে কোনো আগ্রাসন মোকাবিলায় পাকিস্তান প্রস্তুত
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবারও নির্বাচনকে সামনে রেখে পাকিস্তানবিরোধী মনোভাবকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ও পাবলিক অ্যাফেয়ার্সবিষয়ক উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ খান।

পুলওয়ামা থেকে বর্তমান পর্ব পর্যন্ত তিনি (মোদী) জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এবং নির্বাচনী সুবিধা অর্জনের জন্য বারবার নাটক মঞ্চস্থ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন রানা সানাউল্লাহ খান।

তবে শাহবাজ শরিফের এই উপদেষ্টা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, মোদী ছোটখাটো উসকানি বা কৌশল অবলম্বন করতে পারলেও তিনি পারমাণবিক অস্ত্রধারী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার অবস্থানে নেই।

কোন সন্দেহ নেই যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে কোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর, চূড়ান্ত ও উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, যে কোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে এ ব্যাপারে সমগ্র জাতি একমত।

এদিকে ভারত ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার। এ বিষয়ে বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে তিনি বলেন, বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে, ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘন্টার মধ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

গত সপ্তাহে ভারতশাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যেই এমন তথ্য সামনে এলো। গত ২২ এপ্রিল পহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়।

ট্রাম্পের শুল্কনীতি মার্কিন অর্থনীতিকেই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ কঠোর ভাষায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ব্যাপক শুল্কের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকেই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তিনি মনে করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসনের এই নীতি তাদের বাণিজ্য অংশীদারদের চেয়েও আমেরিকার জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে।

ফ্রি মালয়েশিয়া ট্যুডের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে দেশটির এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রায় ৬০টি দেশের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ থেকে ৪৯ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের ফলে আমেরিকায় জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। এর ফলে দেশটির সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, আমরা প্রায়ই মালয়েশিয়া এবং অন্যান্য বাণিজ্য সহযোগীদের ওপর এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করি। কিন্তু আসল প্রশ্ন হলো, আমেরিকার কী হবে?

তিনি আরও বলেন, আমেরিকার সব পণ্যের দাম বাড়বে এবং তারা উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয়ে ভুগবে। তখন তাদের শ্রমিকরা আরও বেশি বেতন দাবি করবে। ফলে তারা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে না। ড. মাহাথির মাইক্রোচিপের বিষয়ে উল্লেখ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মাইক্রোচিপের জন্য কোরিয়া, তাইওয়ান ও মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোর বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনের ওপর নির্ভরশীল। এই শুল্ক আরোপের কারণে উৎপাদন খরচ বাড়বে এবং আমেরিকান পণ্য আরও দামি হয়ে উঠবে।

বিমান শিল্পের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার মতো দেশ সহজেই আমেরিকান বোয়িংয়ের পরিবর্তে ইউরোপীয় এয়ারবাস কেনার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তিনি বলেন, ধরুন, আমরা যদি ৩০টি বোয়িংয়ের বদলে ৩০টি এয়ারবাস কিনি। প্রতিটি বোয়িংয়ের দাম প্রায় ৫০০ মিলিয়ন রিঙ্গিত। ৫০০ মিলিয়নকে ৩০ দিয়ে গুণ করলে যা হয়, আমেরিকা সেই পরিমাণ অর্থ হারাবে।

গত সপ্তাহে ড. মাহাথির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন যে, আগামী তিন মাসের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র তাদের এই শুল্ক নীতি স্থগিত করতে বাধ্য হবে, কারণ এই পদক্ষেপ তাদের নিজেদের অর্থনীতিকেই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে। যুক্তরাষ্ট্র মালয়েশিয়ার অধিকাংশ পণ্যের উপর ২৪ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেছে। এছাড়া প্রায় ৬০টি দেশের পণ্যের উপর বিভিন্ন হারে শুল্ক এবং সাধারণভাবে সকল দেশের আমদানি পণ্যের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে বাণিজ্য আলোচনার সুযোগ দেওয়ার জন্য এই শুল্ক আপাতত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে।

মার্কিন বিশ্বদৃষ্টির সমালোচনা করে ড. মাহাথির বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে অনেকেই তাদের দেশকে ‘বিশ্ব’ মনে করে এবং অন্যান্য দেশ সম্পর্কে তারা প্রায় কিছুই জানে না। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্টও বিশ্বের বাকি অংশ সম্পর্কে অবগত নন। সম্ভবত সে কারণেই তিনি অন্যান্য দেশের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ছেন।

সম্প্রতি, মার্কিন রক্ষণশীল ভাষ্যকার বিল ও’রিলি মালয়েশিয়ার জনগণের চীনা পণ্য কেনার সামর্থ্য নেই বলে মন্তব্য করলে মালয়েশিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও’রিলিকে ‘ঔপনিবেশিক’ মানসিকতার অধিকারী বলে অভিহিত করেন। পরবর্তীতে ও’রিলি আনোয়ার ইব্রাহিমকে কে উপহাস করেন এবং মালয়েশিয়ার মাথাপিছু আয় কম বলে উল্লেখ করে তার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।

তবে মালয়েশিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রী ফাহমি ফাদজিল ও’রিলির এ তথ্যকে ভুল আখ্যায়িত করে বিশ্বব্যাংকের ২০২৩ সালের তথ্য তুলে ধরেন। সেই তথ্য অনুযায়ী, মালয়েশিয়ার মাথাপিছু জিডিপি ১১ হাজার ৩৭৯ মার্কিন ডলার এবং ক্রয়ক্ষমতার সমতা অনুযায়ী ৩৬ হাজার ৪১৬ মার্কিন ডলার, যার কারণে দেশটি উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃত।

ফের ভারত-পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণরেখায় গোলাগুলি
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

ফের ভারত-পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ভারত অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানি সেনারা নিয়মিত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে আসছে। জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সামরিক নিয়ন্ত্রণ সীমানা পরিস্থিতি এখন উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিয়মিত সীমান্তে গুলি চালিয়ে ভারতীয় সেনাদের উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে দাবি করা হয়েছে। তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

গত সপ্তাহে পহেলগামে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যার ঘটনা গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলাগুলোর মধ্যে একটি। ২০১৯ সালে কাশ্মীরের ওপর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর এটাই সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা।

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। এ ঘটনায় পাকিস্তান জড়িত বলে অভিযোগ করেছে চিরবৈরী ভারত। যদিও হামলার সঙ্গে কোনোরকম সংশ্লিষ্টতার দায় অস্বীকার করেছে পাকিস্তান।

এতে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। গত বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাতেও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়।

সে সময় ভারত দাবি করে, পাকিস্তানের সেনারা প্রথমে গুলি ছুড়েছে, তারা পাল্টা জবাব দিয়েছে। তবে বেসামরিক জনগণের ওপর কোনো গোলাগুলি করা হয়নি বলে উভয় পক্ষ থেকেই নিশ্চিত করা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শনিবার রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী তুতমারি গালি এবং রামপুর সেক্টরের বিপরীতে অবস্থিত এলাকায় বিনা উসকানিতে গুলিবর্ষণ শুরু করে। আমাদের সেনারাও উপযুক্ত ছোট অস্ত্র দিয়ে কার্যকরভাবে জবাব দিয়েছে।

ভারতের দাবি, গত তিন রাতে তিন বার পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গুলি চালিয়েছে। এছাড়া ভারত সিন্ধু নদের পানি বন্টনের চুক্তিও স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। এতে করে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে।

এছাড়া ভারত হঠাৎ কিছু না জানিয়েই আজাদ-কাশ্মীরের ঝিলম নদীর পানি ছেড়ে দিয়েছে। এতে আজাদ কাশ্মীরের রাজধানী এবং সবচেয়ে বড় শহর মুজাফফরাবাদে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ভারতশাসিত পহেলগামে হামলার পর ভারতের সস্তা রাজনৈতিক কৌশল পুনরায় প্রকাশ পাচ্ছে।

মুজাফফরাবাদের কাছে পানির প্রবাহ হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। স্থানীয় প্রশাসন হাতিয়ান বালা জেলায় বন্যা পরিস্থিতির জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে। মসজিদগুলোতে ঘোষণার মাধ্যমে স্থানীয়দের সতর্কও করা হয়েছে। এদিকে নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

ভারতশাসিত অনন্তনাগ থেকে পানি প্রবেশ করে চাকোঠি এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। দুই দেশের মধ্যে থাকা সিন্ধু নদের একটি উপনদী হলো ঝিলম নদী।

পাকিস্তানি গণমাধ্যম দুনিয়া নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক নিয়ম এবং পানি চুক্তির সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। পাকিস্তানের জনগণ এই কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।

মধ্যপ্রদেশে বিমানবাহিনীর প্লেন থেকে বাড়ির ওপর পড়লো ভারী বস্তু
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

ভারতে বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একটি প্লেন থেকে একটি বাড়ির ওপর ভারী বস্তু পড়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। আইএএফ-এর প্লেন থেকে ধাতব বস্তু পড়ায় একটি বাড়ির মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। খবর এনডিটিভির।

এদিকে আইএএফ-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলা হয়েছে, শিবপুরীর কাছে আইএএফ বিমান থেকে একটি অ-বিস্ফোরক বস্তু অসাবধানতাবশত পড়ে যাওয়ার ফলে স্থলভাগে সম্পত্তির যে ক্ষতি হয়েছে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে আইএএফ এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে মনোজ সাগর নামের এক শিক্ষকের বাড়ির ছাদের ওপর একটি ভারী বস্তু পড়েছে। বাড়ির দুটি কক্ষ সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরণের ফলে আশেপাশের বাড়িতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ।

ঘটনার সময় সাগর তার সন্তানদের নিয়ে ঘরের ভেতরে খাবার খাচ্ছিলেন। তার স্ত্রী রান্নাঘরে থাকা অবস্থায় বিকট বিস্ফোরণে ছাদ ভেঙে পড়ে এবং উঠানে প্রায় আট থেকে ১০ ফুট গভীর একটি গর্ত তৈরি হয়।

এ বিষয়ে সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) প্রশান্ত শর্মা বলেন, বস্তুটি কোথা থেকে এসেছে তা তদন্তের পরেই নিশ্চিত হওয়া যাবে। আছড়ে পড়া বস্তুটি খুব শক্ত বলে মনে হচ্ছে এবং এতে পোড়ার চিহ্ন রয়েছে। এই ঘটনার পর গোয়ালিয়র বিমানঘাঁটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের গুলিতে কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ২৫ জন ভারতের ও একজন নেপালের নাগরিক। এ সময় আহত হন আরও ১৭ জন। ওই হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে ভারত।

অপরদিকে পাকিস্তান এ ধরনের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। পহেলগামে হামলাকে কেন্দ্র করে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে আবারও উত্তেজনা বেড়ে গেছে। এর মধ্যেই ভারতীয় বিমান বাহিনীর ভুলে ভারী বস্তুর আঘাতে নিজ দেশের বাসিন্দাদের বাড়ি-ঘরই ক্ষতিগ্রস্ত হলো।

কাশ্মীরে দোকানপাট-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

ভারতশাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনার প্রতিবাদে কাশ্মীরজুড়ে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ওই অঞ্চলের গণপরিবহন ব্যবস্থায়ও। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

পহেলগামের ওই হামলায় এখন পর্যন্ত মোট ২৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে, ওই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। জানা গেছে, দেশটির ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) একটি দল এরই মধ্যে শ্রীনগরে পৌঁছেছে এবং আরও কয়েকটি টিমের সেখানে যাওয়ার কথা রয়েছে।

পাশাপাশি দেশটির শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও পহেলগাম পরিদর্শনে যাবেন। এদিকে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করছে, এই হামলার পেছনে রয়েছে পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়েবার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি গোষ্ঠী।

‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগামের বাইসরান এলাকায় পর্যটকদের ওপর চালানো এই সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। এটি লস্কর-ই-তৈয়েবারই একটি ছায়া সংগঠন বলে জানায় ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স এবং দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামে একটি অখ্যাত স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তাদের দেওয়া এক বার্তায় বলা হয়েছে, কাশ্মীরে ৮৫ হাজারের বেশি ‘বহিরাগত’ বসবাস শুরু করায় জনসংখ্যার কাঠামো পাল্টে যাচ্ছে। এরই প্রতিবাদে তারা এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে গোষ্ঠীটি। রয়টার্স অবশ্য এই দাবির স্বতন্ত্র উৎস যাচাই করতে পারেনি।

ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

এবার ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি মার্কিন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য দুই বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। সে কারণেই এই মামলা করা হয়েছে। খবর রয়টার্স, আল জাজিরা।

হার্ভার্ডের সভাপতি অ্যালান গার্বার সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসনের অবৈধ দাবি মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় হার্ভার্ড। এরপরেই ফেডারেল সরকার বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে।

তিনি বলেন, কিছুক্ষণ আগে আমরা তহবিল স্থগিতকরণ বন্ধ করার জন্য একটি মামলা দায়ের করেছি কারণ এটি বেআইনি এবং সরকারের কর্তৃত্বের বাইরে।

হার্ভার্ডের মামলায় উল্লেখিত মার্কিন প্রশাসনের সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, বিচার বিভাগ, জ্বালানি বিভাগ এবং সাধারণ পরিষেবা প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, তারা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২০ কোটি ডলারের ফেডারেল তহবিল স্থগিত করেছে। প্রতিষ্ঠানটি হোয়াইট হাউজের কিছু দাবি প্রত্যাখ্যান করায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ক্যাম্পাসগুলোতে ইহুদি বিদ্বেষ মোকাবেলা করতে হার্ভার্ডকে এক গুচ্ছ দাবির একটি তালিকা পাঠানোর কথা জানিয়েছিল হোয়াইট হাউজ। এর মধ্যে পরিচালনা পদ্ধতির পরিবর্তন, লোকবল নিয়োগ পদ্ধতি ও ভর্তি প্রক্রিয়ার মতো বিষয়গুলো ছিল।

সেটা প্রত্যাখ্যান করে হার্ভার্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউজ তাদের ‘নিয়ন্ত্রণ’ করার চেষ্টা করছে। এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বড় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নীতি পরিবর্তনের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের চাপকে প্রত্যাখ্যান করেছে। হোয়াইট হাউজ যেসব পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দিয়েছিল তাতে এর কার্যক্রমে পরিবর্তন আসতো এবং ব্যাপক আকারে সরকারের নিয়ন্ত্রণ হতো।

গাজা যুদ্ধ ও ইসরায়েলকে সমর্থনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইহুদি শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সে সময় হার্ভার্ড কমিউনিটিতে দেওয়া একটি চিঠিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট অ্যালান গার্বার বলেন, হোয়াইট হাউজ একটি দাবির তালিকা পাঠিয়েছে এবং একই সাথে সরকারের আর্থিক সম্পর্কের সাথে মানিয়ে চলার বিষয়ে সতর্ক করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের আইনি পরামর্শকের মাধ্যমে আমরা প্রশাসনকে অবহিত করেছি যে আমরা তাদের প্রস্তাবগুলো গ্রহণ করছি না। বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা এবং সাংবিধানিক অধিকার পরিত্যাগ করবে না।

গার্বার আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ইহুদি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দায়িত্বকে হালকাভাবে নিবে না কিন্তু সরকার এ বিষয়ে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। যদিও সরকারের কিছু প্রস্তাবের লক্ষ্য হলো ইহুদি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই করা কিন্তু এর বেশিরভাগই হার্ভার্ডের বুদ্ধিবৃত্তিক পরিস্থিতির ওপর সরাসরি সরকারি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিই তুলে ধরে।

​হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবারের চিঠি পাঠানোর কিছুক্ষণ পরেই, মার্কিন শিক্ষা বিভাগ ঘোষণা করে যে তারা হার্ভার্ডের জন্য বরাদ্দকৃত ২২০ কোটি ডলারের অনুদান এবং চুক্তিভিত্তিক অর্থায়ন তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করছে।

শিক্ষা বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার যে ব্যাঘাত ঘটছে তা গ্রহণযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করা হয়। ইহুদি শিক্ষার্থীদের হয়রানি গ্রহণযোগ্য নয়। অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এই সমস্যাকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া ও অর্থপূর্ণ পরিবর্তনের অঙ্গীকার করার এটাই সময় যদি তারা করদাতাদের অব্যাহত সমর্থন পেতে চায়।

বোমার ভয়ের চেয়েও ক্ষুধায় কাতর গাজাবাসী
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও অবরোধে দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে মানবিক সংকট। এখন ক্ষুধাই হয়ে উঠেছে সবচেয়ে ‘বড় অস্ত্র’। ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের চেয়েও বেশি আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে অনাহার। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে ফিলিস্তিনিদের এমনই দুঃসহ জীবনের করুণ চিত্র উঠে এসেছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ঘোষণার পর ২ মার্চ থেকে গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তা নিষিদ্ধ। এর ফলে খাদ্য, ওষুধ, পানি ও বিদ্যুৎহীন অবস্থায় লাখো মানুষ মৃত্যুর মুখে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধকালীন সময়ে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১৪০০ শতাংশ পর্যন্ত। ফলে বেঁচে থাকার ন্যূনতম জিনিসও এখন অনেকের নাগালের বাইরে।

অক্সফামের জরিপ বলছে, গাজায় শিশুদের একটি বড় অংশ দিনে একবেলারও কম খাবার পাচ্ছে। অনেক বাবা-মা নিজের খাবার ত্যাগ করে সন্তানদের খাওয়াচ্ছেন, নিজেরা অভুক্ত থাকছেন।

যু্দ্ধবিরতির সময় যে খাদ্য সহায়তা এসেছিল তা প্রায় শেষ। উদভ্রান্তের মতো ত্রাণ দেওয়া তাঁবুগুলোতে খালি হাঁড়ি নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন গাজার মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক তথ্যমতে, যুদ্ধের সময় বাজারগুলোতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে এক হাজার ৪০০ শতাংশ।

৪৪ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হিকমাত আল মাসরি বলেন, আমি প্রায়ই আমার নিজের খাবার থেকে ছেলেকে ভাগ দিই। এই ক্ষুধাতেই আমি মারা যাবো- ধীরে ধীরে এই অনাহার আমাকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দুঃখ দুর্দশার কথা কেউ কল্পনাও করতে পারবে না, মৃত্যু আমাদের চারপাশ দিয়ে ঘিরে রেখেছে।

এদিকে, গাজার হাসপাতালগুলোও চরম সংকটে। চিকিৎসাসামগ্রী ও জ্বালানি ঘাটতির কারণে অনেক সময় রোগী ভর্তি বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। দেইর আল বালাহর চিকিৎসাকর্মী আমান্দে বাজেরোল জানান, বার্ন ক্লিনিকগুলোতে দিনপ্রতি ১০ জনের বেশি রোগী নেওয়া হচ্ছে না, কারণ ঔষধ শেষ হয়ে আসছে।

গত ১৮ মার্চ একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে গাজার ওপর পুনরায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামাসের কাছে থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে বারবার জানিয়ে আসছে ইসরায়েলের অনেক রাজনীতিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।

ইসরায়েলের দাবি, নিরাপত্তার স্বার্থে গাজায় এই অবরোধ দিয়েছেন তারা, ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছেনা। এই দাবির বিপরীতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর অভিযোগ, মানবিক সহায়তা ইচ্ছাকৃতভাবে আটকে রাখা হচ্ছে, যা যুদ্ধাপরাধের আওতায় পড়ে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার ৭০ শতাংশ ভূখণ্ড বর্তমানে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। নিরাপত্তা বাফার জোন তৈরির নামে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে ভূমি দখলের আশঙ্কা দিনে দিনে প্রবল হচ্ছে।

যদিও মধ্যস্ততাকারী দেশগুলো যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তবে হামাস নিরস্ত্রীকরণ ও ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে কোনো পক্ষই আপস করতে রাজি নয়। ফলে মানবিক বিপর্যয় আরও ঘনীভূত হচ্ছে।

ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতে মামলা
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

ট্রাম্পের শুল্কনীতি বাতিল চেয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত নতুন শুল্কনীতির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতে মামলা দায়ের করে একটি আইনি সহায়তা সংস্থা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ব্যাপক শুল্ক আরোপের বিষয়টি স্থগিত করার অনুরোধ জানানো হয়।

সংস্থাটি অভিযোগ করেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার সাংবিধানিক ক্ষমতার সীমা লঙ্ঘন করেছেন। ‘লিবার্টি জাস্টিস সেন্টার’ নামে ওই সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা পাঁচটি ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন আমদানিকারক সংস্থার পক্ষে এই মামলাটি করেছে। এসব সংস্থা এমন কিছু পণ্য আমদানি করে যেগুলোর ওপর ট্রাম্প প্রশাসন শুল্ক আরোপ করেছে।

মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে যে ব্যবসাগুলোর নাম উঠে এসেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে নিউ ইয়র্কের একটি ওয়াইন ও স্পিরিট আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান, একটি স্পোর্টফিশিং যন্ত্রপাতি উৎপাদন ও বিক্রয়কারী ই-কমার্স কোম্পানি, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ান থেকে আমদানি করা রজন দিয়ে তৈরি ইউএস ভিত্তিক পাইপ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ভার্জিনিয়ার একটি ইলেকট্রনিক কিট এবং বাদ্যযন্ত্র নির্মাতা ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং ভেরমন্টের নারীদের সাইক্লিং পোশাক প্রস্তুতকারক একটি ব্র্যান্ড।

গত ২ এপ্রিল ঘোষণা হওয়া শুল্কের পাশাপাশি চীনের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে আরোপিত শুল্ককে ওই মামলায় চ্যালেঞ্জ করা হয়। লিবার্টি জাস্টিস সেন্টারের সিনিয়র আইনজীবী জেফ্রি শোয়াব এক বিবৃতিতে বলেন, কোনো ব্যক্তিরই এমন কর আরোপের ক্ষমতা থাকা উচিত নয় যার ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এমন বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র হ্যারিসন ফিল্ডস এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন।

এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির কারণে চীনের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ তীব্র হওয়ায় বেশ কিছু বিরল খনিজ পদার্থ ও চুম্বক দেশটিতে রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে চীন। পেন্টাগন এবং প্রতিরক্ষা ঠিকাদাররা চীনে খনন বা প্রক্রিয়াজাত করা চুম্বক এবং বিরল মাটির খনিজ পদার্থের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। ফলে চীনের এমন পদক্ষেপের কারণে ঝুঁকিতে পড়তে পারে মার্কিন সামরিক কর্মসূচি।

বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো ইঞ্জিন চালু করতে এবং জরুরি শক্তি সরবরাহের জন্য চীনে খনন করা বা প্রক্রিয়াজাত করা বিরল মাটির খনিজ পদার্থ দিয়ে তৈরি চুম্বকের প্রয়োজন হয়।

মার্কিন সেনাবাহিনীর পছন্দের তালিকায় থাকা নির্ভুল-নির্দেশিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোতে চীনা বিরল আর্থ উপকরণযুক্ত চুম্বক বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া নতুন বৈদ্যুতিক এবং ব্যাটারি চালিত ড্রোন, কম্প্যাক্ট বৈদ্যুতিক মোটরে বিরল চুম্বকের ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই।

শিল্প ও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের তীব্র শুল্ক বৃদ্ধির পাল্টা প্রতিশোধ নিতে চীনের বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও চুম্বকের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি সতর্কীকরণ।

ভারত-নেপালে বজ্রপাতে ৬৯ জনের মৃত্যু
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহার ও প্রতিবেশী দেশ নেপালে বজ্রপাতের ঘটনায় এক সপ্তাহে কমপক্ষে ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিহারের দুর্যোগ কর্তৃপক্ষ শনিবার (১২ এপ্রিল) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ব্যাপক বজ্রপাতের ঘটনায় কমপক্ষে ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দুর্যোগ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার ও বৃহস্পতিবারের বজ্রপাতের ঘটনায় নেপালে আটজনের মৃত্যু হয়েছে।

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর শনিবার আবারও বিহারে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে।

গত বছর বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে জলবায়ু পরিবর্তন ভারতে বজ্রপাতের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি করছে, যার ফলে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটিতে বছরে প্রায় এক হাজার ৯০০ জন মারা যাচ্ছেন।

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য উড়িষ্যার ফকির মোহন বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে গবেষকদের একটি দল জানিয়েছে, ১৯৬৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বজ্রপাতে এক লাখ এক হাজার ৩০৯ জন মারা গেছেন, যা ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রতি বছর আকস্মিক বন্যা ও বজ্রপাতের ফলে হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে চরম আবহাওয়ার ঘটনা ঘটছে।

বাংলাদেশের ভালো ভারতের চেয়ে বেশি কেউ চায় না: জয়শঙ্কর
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

বাংলাদেশের ভালো ভারতের চেয়ে বেশি অন্য কেউ কামনা করে না এবং এটা তাদের ডিএনএতে রয়েছে বলে দাবি করেছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বুধবার (৯ এপ্রিল) দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি করেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

থাইল্যান্ডে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাতের কয়েকদিন পরই এমন মন্তব্য করলেন জয়শঙ্কর।

বিমসটেক সম্মেলনে হওয়া বৈঠক নিয়ে তিনি বলেন, আমার মনে হয়, ওই বৈঠকে মূল যে বার্তাটা দেওয়া হয়েছে সেটা হলো- ঐতিহাসিক দিক থেকেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত বিশেষ। এটা আসলে দুই দেশের মানুষের সংযোগের কারণেই গড়ে উঠেছে।

‘অন্য কোনো দেশ আমাদের থেকে বেশি বাংলাদেশের ভালো চাইতে পারে না। এটা একেবারে আমাদের ডিএনএতে রয়েছে। একজন শুভাকাঙ্ক্ষী ও বন্ধু হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ সঠিক পথে হাঁটবে ও সঠিক কাজ করবে।’

তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য থাকা যে কোনো দেশই জানে, গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচন প্রয়োজন। এই প্রক্রিয়াতেই জনমত জমা পড়ে ও তার পুনর্নবীকরণ হয়। আমরা আশা করি, বাংলাদেশও ওই পথেই হাঁটবে।

বাংলাদেশে সার্বিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গঠনের উপরে যে মোদী ওই বৈঠকে জোর দিয়েছেন, সে কথাও জানান জয়শঙ্কর।

বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে মোদী কী বলেছেন- প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, সেখানে ধর্মীয় উগ্রবাদে যে প্রবণতা দেখছি, তা নিয়ে আমাদের চিন্তা রয়েছে। ওখানে সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ আছে। আমার মনে হয়, আমরা মন খুলে সেই উদ্বেগের বিষয়গুলি জানিয়েছি।

ইসরায়েল কীভাবে এত শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত হলো?
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর মাঝখানে ছোট্ট একটি দেশ ইসরায়েল। ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ফিলিস্তিন ছেড়ে যায় ব্রিটেন সৈন্যরা। সে সময়ই ইহুদিরা ঘোষণা করে নিজস্ব রাষ্ট্র ইসরায়েলের। তখন থেকেই ইসরায়েল শুধু রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকেনি বরং তাদের পরিধি আরও বাড়িয়েছে। গত ৭৫ বছরে ইসরায়েল রাষ্ট্র হিসেবে একদিকে যেমন শক্তিশালী হয়েছে, অন্যদিকে আরব রাষ্ট্রগুলোর মাথা ব্যথার কারণও হয়ে উঠেছে।

মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র পরমাণু শক্তিধর দেশ ইসরায়েল। তারাই একমাত্র দেশ যারা শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে সরাসরি নাগরিকত্ব দেয়, সেটা পৃথিবীর যে প্রান্তেরই ইহুদি হোক না কেন।

৭৫ বছরে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, অর্থনীতি বা সামরিক দিক দিয়ে বিশ্বে একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে ইসরায়েল। এটা সম্ভব হওয়ার পেছনে কাজ করেছে বেশ কয়েকটি বিষয়।

ইসরায়েলের এতটা শক্তির পেছনে পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষ করে আমেরিকার একটা বড় অবদান আছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আমেরিকার বৈদেশিক সহায়তার সবচেয়ে বড় অংশ পেয়ে আসছে ইসরায়েল।

ইসরায়েল জন্মলগ্ন থেকেই ব্রিটেন, ফ্রান্স ও আমেরিকার সমর্থন পেয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ফিলিস্তিন অঞ্চলটিতে ৪০০ বছরের অটোমান শাসনের অবসান ঘটিয়ে উপনিবেশ গড়েছিল ব্রিটিশরা। ফ্রান্সও এর মাঝে ছিল যদিও এই অঞ্চলটি সমঝোতার ভিত্তিতে ব্রিটেন শাসন করেছে। ইহুদিদের নিজস্ব একটি ভূখণ্ড থাকার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে এসেছিল ব্রিটিশ সরকারের তরফ থেকেই।

তখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ইহুদিরা দলে দলে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে আসতে থাকে। এ নিয়ে আরব এবং ইহুদিদের মধ্যে দ্বন্দ্বও বাড়তে থাকে। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে তখন মুসলিমরা ছাড়াও খ্রিস্টানদের বসবাস ছিল।

ইহুদিদের বসতি গড়ে তোলার প্রেক্ষাপটে আরবরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এই বিক্ষোভ দমনে ব্রিটেন আরবদের ওপর নির্যাতনও চালায়। পরবর্তীতে ইসরায়েল রাষ্ট্র ঘোষণার পরও প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ নানাভাবে তাদের সঙ্গে ছিল ফ্রান্স এবং ব্রিটেন।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র ইসরায়েল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয় এবং সে গণতন্ত্রকে সমর্থন দেয় ফ্রান্স এবং ব্রিটেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ছিল সেই দেশ যারা ইসরায়েলকে প্রথম স্বীকৃতি দেয়। ইসরায়েল রাষ্ট্র যেদিন প্রতিষ্ঠা হয়, ঠিক সেদিনই স্বীকৃতি দিয়েছিল আমেরিকা।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ‘অফিস অব দ্য হিসটোরিয়ানসে’ উল্লেখ রয়েছে হ্যারি এস ট্রুম্যান ১৯৪৬ সালেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরপরই ইহুদি রাষ্ট্রের ব্যাপারে তার সমর্থন ঘোষণা করেন।

আর ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র ঘোষণা হলেও এ অঞ্চলে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের প্রভাবটাই বেশি ছিল। কিন্তু আমেরিকার সাথে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয় ১৯৫৬ সালে দ্বিতীয় আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে। ইসরায়েল পশ্চিমাদের মদতে যখন মিশরে হামলা চালায়, তখন মিশরের পক্ষে থাকা দেশগুলোকে সহায়তা করতে আগ্রহ দেখায় সোভিয়েত ইউনিয়ন আর মধ্যপ্রাচ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ঠেকাতে ব্রিটিশ সেনাদের হটিয়ে অবস্থান নেয় আমেরিকা।

মূলত ইসরায়েলের জন্মই হয়েছে পরাশক্তিদের বিশাল সমর্থনে যেটা ইসরায়েলের ক্ষমতায়নে একটা বড় ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া এটাও মনে করা হয় যে ইহুদিদের সঙ্গে শিক্ষাগত, সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক এমন নানা দিক পশ্চিমা চিন্তাধারার সঙ্গে মিলে যায় যেটা আরবদের চেয়ে ভিন্ন। এজন্য ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্যে একটুকরো পশ্চিমা দেশ হিসেবে গণ্য করা হয়। আর ৭০’র দশক থেকে আমেরিকার উদ্যোগে আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের একরকম সমঝোতার পথও তৈরি হতে থাকে।

প্রতিবেশী মিশর, জর্ডান, লেবানন, সিরিয়া, ফিলিস্তিন সবগুলো দেশ শত্রু হওয়া সত্ত্বেও ঠেকানো যায়নি ইসরায়েলের উত্থান। প্রতিবেশীদের সঙ্গে তিনটি পুরোদমের যুদ্ধ (১৯৪৮, ১৯৬৭ এবং ১৯৭৩) এবং আরও বেশ কয়েকটি ছোটখাটো যুদ্ধ করেছে ইসরায়েল।

এভাবেই টিকে থাকার লড়াই ইসরায়েলকে আরও শক্ত করেছে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন ইসরায়েলের সামরিক ও প্রযুক্তিগত আধিপত্য পশ্চিমাদের কারণেই সম্ভব হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ইরানের প্রযুক্তিগত বিকাশ ঘটেছে প্রায় আমেরিকার বিপরীতে আর ইসরায়েলের বিকাশ হয়েছে আমেরিকার বন্ধু হিসেবে।

তবে ইসরায়েলের ক্ষেত্রে দক্ষতার মাত্রাটা ভিন্ন। আধুনিক অস্ত্র, সাইবার সিকিউরিটি, আকাশ প্রতিরক্ষা, মিসাইল ব্যবস্থা এবং গোয়েন্দা তৎপরতা- এসব দিকে বিশেষভাবে মনোযোগ দিয়েছে ইসরায়েল।

আমেরিকার কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিসের রিপোর্ট বলছে, ইসরায়েলের প্রযুক্তিকে অত্যাধুনিক করতে প্রভাব রেখেছে আমেরিকা। ২০২৩ অর্থবছরে যৌথ সামরিক প্রকল্পে ৫২ কোটি মার্কিন ডলারের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস যার মাঝে ৫০ কোটি শুধু মিসাইল তৈরির খাতের জন্য। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়েও ইসরায়েলকে কোটি কোটি ডলার সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

আমেরিকার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক এবং বিনিয়োগ ইসরায়েলকে সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে লাভবান করেছে। এভাবেই ইসরায়েল দিন দিন আরও খ্যাতি অর্জন করেছে।

রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েল শুরু থেকেই চেয়েছে সামরিকভাবে শক্তিশালী হতে। কারণ আরব রাষ্ট্রগুলোর মাঝখানে তাদের টিকে থাকার জন্য এটাই ছিল একমাত্র পথ। ইসরায়েল তাদের সামরিক শক্তির বিকাশও ঘটিয়েছে কৌশলে এবং দূরদৃষ্টি মাথায় রেখে।

দেশটিতে অসুস্থ এবং বিশেষ ব্যতিক্রম ছাড়া সব নাগরিকের ১৮ বছর বয়সের পর বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনীতে কাজ করতে হয়। তবে এটি শুধু ইহুদিদের জন্য বাধ্যতামূলক। সামরিক প্রশিক্ষণ পুরুষদের জন্য ৩২ মাস এবং নারীদের জন্য ২৪ মাস।

৬০’র দশক থেকেই পরমাণু শক্তিধর হয় দেশটি। ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্রের প্রকল্পে ফ্রান্স সাহায্য করেছিল। ইসরায়েল তাদের পারমাণবিক কর্মসূচী নিয়ে বেশ গোপনে এগিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো যাতে পারমাণবিক শক্তি অর্জন করতে না পারে সেজন্য আমেরিকা ছিল বদ্ধ পরিকর।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে যে, ইসরায়েলের পারমাণবিক কর্মসূচীর ব্যাপারে আমেরিকা এবং ব্রিটেন অনেকটা চোখ বন্ধ করেই ছিল। পশ্চিমা দেশগুলো বিষয়টি জেনেও না জানার ভান করেছে।

শুধু সামরিক দিক থেকেই নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও সমানভাবে দক্ষতার দিকে এগিয়েছে ইসরায়েল। তাদের চমক জাগানো সাফল্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তাদের কৃষিখাত। ফিলিস্তিনিদের বিতাড়িত করার মাধ্যমে ইসরায়েল রাষ্ট্রের যখন প্রতিষ্ঠা হয়, তখন সেখানে পানি এবং উর্বর ভূমির সংকট ছিল।

কৃষিভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনা থেকে একটি হাই-টেক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় রূপান্তরিত হয়েছে ইসরায়েল। অত্যাধুনিক সেচ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মরুভূমিতে নানা ধরণের শস্য ফলানোর সাফল্য দেখিয়েছে দেশটি। আমেরিকার ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর মতে ইসরায়েলের ফুড প্রসেসিং শিল্প ক্রমাগত নতুন নতুন জিনিস উদ্ভাবন করছে।

ইসরায়েলের ফুড প্রসেসিং শিল্প ২০২০ সালে ১৯ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে এবং এই আয় ক্রমাগত বাড়ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দিক থেকে ইসরায়েলের প্রভাব রয়েছে। দেশটিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে এমন স্টার্ট আপের সংখ্যা লাখের ওপরে।

নেতৃত্বের দিক দিয়ে শুরু থেকেই বিচক্ষণতা দেখিয়েছে ইসরায়েল, যেটা তাদের এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। দেশটির নেতৃত্ব সামরিক, কৃষি, শিক্ষা, উদ্ভাবন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করেছে। তাদের নেতৃত্বের স্টাইল এবং নীতি নির্ধারণ একটু ভিন্ন ধরণের।

তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ইসরায়েলের ইহুদিরা মূলত এ অঞ্চলে এসেছিল বাইরের ভূখণ্ড, বিশেষ করে ইউরোপ থেকে। অষ্টাদশ থেকে উনবিংশ শতাব্দীতে ইউরোপে জ্ঞানের যে ব্যাপক বিকাশ ঘটে সেটার অংশ ছিল ইহুদি জ্ঞানী বা পান্ডিত্য সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ যারা অতি জ্ঞানী, আধুনিক, শিক্ষিত একটি জাতিগোষ্ঠী হিসেবে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা করেন।

তারা ৩০ ও ৪০-এর দশকে ইসরায়েল অঞ্চলে এসেছিলেন এবং তাদের সহযোগিতায় ইসরায়েল উচ্চশিক্ষিত একটি বৈজ্ঞানিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়। মধ্যপ্রাচ্যে যেখানে দারিদ্র্য, বৈষম্য ও শিক্ষার অভাব ছিল সেখানে ইসরায়েল একটি ভিন্ন সমাজ এবং রাষ্ট্রব্যবস্থায় উপনীত হয়। তবে ইসরায়েল যতই আধুনিক বা শক্তিধর হোক না কেন আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের দখল এবং মানুষের ওপর সহিংসতার বিষয়টি উপেক্ষা করা যাবে না বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।


   Page 1 of 41
     আন্তর্জাতিক
অমৃতসরে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরলেও রেড অ্যালার্ট বহাল
.............................................................................................
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে দিল্লি সফরে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
.............................................................................................
ভারত-পাকিস্তানের যত যুদ্ধ
.............................................................................................
সুদানে বিস্ফোরণ-আগুন
.............................................................................................
বিদেশি সিনেমায় ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন ট্রাম্প
.............................................................................................
যে কোনো আগ্রাসন মোকাবিলায় পাকিস্তান প্রস্তুত
.............................................................................................
ট্রাম্পের শুল্কনীতি মার্কিন অর্থনীতিকেই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে
.............................................................................................
ফের ভারত-পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণরেখায় গোলাগুলি
.............................................................................................
মধ্যপ্রদেশে বিমানবাহিনীর প্লেন থেকে বাড়ির ওপর পড়লো ভারী বস্তু
.............................................................................................
কাশ্মীরে দোকানপাট-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
.............................................................................................
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়
.............................................................................................
বোমার ভয়ের চেয়েও ক্ষুধায় কাতর গাজাবাসী
.............................................................................................
ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতে মামলা
.............................................................................................
ভারত-নেপালে বজ্রপাতে ৬৯ জনের মৃত্যু
.............................................................................................
বাংলাদেশের ভালো ভারতের চেয়ে বেশি কেউ চায় না: জয়শঙ্কর
.............................................................................................
ইসরায়েল কীভাবে এত শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত হলো?
.............................................................................................
২৪ ঘণ্টায় দখলদারদের হামলায় নিহত ৫৮
.............................................................................................
বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে ৪ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
.............................................................................................
ইসরায়েলের ‘অসাধারণ বন্ধু’ ট্রাম্প: নেতানিয়াহু
.............................................................................................
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থহীন সরাসরি আলোচনা প্রত্যাখ্যান করলো ইরান
.............................................................................................
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়ালো
.............................................................................................
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো নিউজিল্যান্ড
.............................................................................................
যুক্তরাষ্ট্রে পার্কে বন্দুক হামলায় নিহত ৩
.............................................................................................
চার দেশের কয়েক লাখ লোকের বৈধতা বাতিল করছে ট্রাম্প প্রশাসন
.............................................................................................
ভারতে হোলি উৎসবে মদ পান করে মারামারি, নিহত ৩
.............................................................................................
যুদ্ধবিরতি শুরুর পর ৯৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
.............................................................................................
পুতিন কি সত্যিই যুদ্ধ বন্ধে রাজি হবেন?
.............................................................................................
যা ইচ্ছা করুন, আমি আলোচনা করব না: ট্রাম্পকে ইরানের প্রেসিডেন্ট
.............................................................................................
সীমান্তবর্তী শহরে হামলা, থাইল্যান্ড ভ্রমণে মালয়েশিয়ার সতর্কতা
.............................................................................................
যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করছে ট্রাম্প প্রশাসন?
.............................................................................................
গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেছে ইসরায়েল
.............................................................................................
যারা ভোট দিয়েছিলেন তাদেরই চাকরিচ্যুত করলেন ট্রাম্প
.............................................................................................
রমজানে কলকাতায় খেজুরের দাম চড়া, বেচাকেনায় ধীরগতি
.............................................................................................
আবারও বাংলাদেশিদের তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন অমিত শাহ
.............................................................................................
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক এখনো পুনরুদ্ধার সম্ভব: জেলেনস্কি
.............................................................................................
গাজা দখলের পরিকল্পনা থেকে পিছু হটার ইঙ্গিত ট্রাম্পের
.............................................................................................
আমেরিকায় ভয়াবহ বন্যায় নিহত ৯, অন্ধকারে লাখ লাখ মানুষ
.............................................................................................
দিল্লি স্টেশনের দুর্ঘটনায়ও হতাহতের সংখ্যা নিয়ে লুকোচুরি?
.............................................................................................
দশ হাজার কর্মী ছাঁটাই করলেন ট্রাম্প
.............................................................................................
ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্যনীতি: ইস্পাত-অ্যালুমিনিয়ামে ২৫ শতাংশ শুল্ক
.............................................................................................
হোয়াটসঅ্যাপে আপত্তিকর বার্তা, যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী বরখাস্ত
.............................................................................................
২৭ বছর পর দিল্লির মসনদে যাচ্ছে বিজেপি
.............................................................................................
ট্রাম্পের হুমকিতে চীনের শেয়ারবাজারে পতন
.............................................................................................
যুক্তরাষ্ট্রে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে টিকটক
.............................................................................................
যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ টিকটক, অ্যাপল-গুগল স্টোর থেকেও উধাও
.............................................................................................
যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে টিকটক
.............................................................................................
অবৈধ খনিতে ৭৮ মরদেহ, সমালোচনার মুখে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার
.............................................................................................
টুইটারে শেয়ারের তথ্য প্রকাশে দেরি, ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা
.............................................................................................
একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া
.............................................................................................
এবার টিউলিপকে বরখাস্তের আহ্বান জানালেন যুক্তরাজ্যের বিরোধী নেতা
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
চেয়ারম্যান: এস.এইচ. শিবলী ।
সম্পাদক, প্রকাশক: জাকির এইচ. তালুকদার ।
হেড অফিস: ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ ।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বাড়ি নং ২, রোড নং ৩, সাদেক হোসেন খোকা রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা ১০০০ ।
ফোন: 01558011275, 02-৪৭১২২৮২৯, ই-মেইল: dtvbanglahr@gmail.com
   All Right Reserved By www.dtvbangla.com Developed By: Dynamic Solution IT Dynamic Scale BD & BD My Shop    
Dynamic SOlution IT Dynamic POS | Super Shop | Dealer Ship | Show Room Software | Trading Software | Inventory Management Software Computer | Mobile | Electronics Item Software Accounts,HR & Payroll Software Hospital | Clinic Management Software Dynamic Scale BD Digital Truck Scale | Platform Scale | Weighing Bridge Scale Digital Load Cell Digital Indicator Digital Score Board Junction Box | Chequer Plate | Girder Digital Scale | Digital Floor Scale