ফরিদপুরের সালথার ডাকাত সর্দার আটক করেছে র্যাব-৮
মীর মেহেদেী হাসান:
ফরিদপুরের আন্তঃ জেলা ডাকাত সর্দার মোঃ ফরিদ কাজী (৪৫)কে আটক করেছে র্যাব-৮ । ১৮ নভেম্বর (সোমবার) সকালে উপজেলার বল্লভদি ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামস্থ তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। ফরিদ কাজী ফুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত মন্টু কাজীর ছেলে।
ফরিদপুর র্যাব-৮ জানান, ফরিদপুরের আন্তঃ জেলা ডাকাত সর্দার মোঃ ফরিদ কাজী দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকের চালান সহ তার বসত বাড়ীতে বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে। এ বিষয়ে ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্প গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গভীর অনুসন্ধান করে ঘটনার সত্যতা পায়। র্যাবের একটি বিশেষ আভিযানিক দল সোমবার সকালে ফুলবাড়িয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ফরিদ কাজীকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার দেহ তল্লাশীকালে তার হেফাজত হতে একটি ওয়ান শুটারগান অস্ত্র, দুই রাউন্ড কার্তুজ, একটি দেশীয় পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি দেশীয় ছুরি, একটি ড্রেগার, ১২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, মাদক ক্রয়-বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত তিনটি সিমকার্ড সহ দুইটি মোবাইল সেট উদ্ধার করে।
আটক আসামি ফরিদ কাজীর বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন থানায় ৬টি মামলা এবং গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় ৪টি মামলা ও মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানায় ১টি মামলা সহ সর্বমোট ১১টি মামলা আছে। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার জিআর নং-৩১৫/১৭, তারিখ-২৫/১১/১৭, ধারা- ৪৫৭/৩৮২ পেনাল কোড মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি সে । সালথা এলাকায় আসামি মোঃ ফরিদ কাজীর নামে মারামারি, চুরি, সিঁধেল চুরি, দস্যুতা, ও ডাকাতি সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করার ব্যাপক জনশ্রুতি রয়েছে।
ফরিদপুর র্যাব-৮ ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর আব্দুল্লাহ আল মঈন হাসান জানান, উদ্ধারকৃত অস্ত্র-গুলি, ছুরি, ড্রেগার, ইয়াবা ট্যাবলেট ও অন্যান্য আলামতসহ গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে সালথা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উক্ত চক্রের অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
|
মীর মেহেদেী হাসান:
ফরিদপুরের আন্তঃ জেলা ডাকাত সর্দার মোঃ ফরিদ কাজী (৪৫)কে আটক করেছে র্যাব-৮ । ১৮ নভেম্বর (সোমবার) সকালে উপজেলার বল্লভদি ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামস্থ তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। ফরিদ কাজী ফুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত মন্টু কাজীর ছেলে।
ফরিদপুর র্যাব-৮ জানান, ফরিদপুরের আন্তঃ জেলা ডাকাত সর্দার মোঃ ফরিদ কাজী দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকের চালান সহ তার বসত বাড়ীতে বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে। এ বিষয়ে ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্প গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গভীর অনুসন্ধান করে ঘটনার সত্যতা পায়। র্যাবের একটি বিশেষ আভিযানিক দল সোমবার সকালে ফুলবাড়িয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ফরিদ কাজীকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার দেহ তল্লাশীকালে তার হেফাজত হতে একটি ওয়ান শুটারগান অস্ত্র, দুই রাউন্ড কার্তুজ, একটি দেশীয় পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি দেশীয় ছুরি, একটি ড্রেগার, ১২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, মাদক ক্রয়-বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত তিনটি সিমকার্ড সহ দুইটি মোবাইল সেট উদ্ধার করে।
আটক আসামি ফরিদ কাজীর বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন থানায় ৬টি মামলা এবং গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় ৪টি মামলা ও মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানায় ১টি মামলা সহ সর্বমোট ১১টি মামলা আছে। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার জিআর নং-৩১৫/১৭, তারিখ-২৫/১১/১৭, ধারা- ৪৫৭/৩৮২ পেনাল কোড মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি সে । সালথা এলাকায় আসামি মোঃ ফরিদ কাজীর নামে মারামারি, চুরি, সিঁধেল চুরি, দস্যুতা, ও ডাকাতি সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করার ব্যাপক জনশ্রুতি রয়েছে।
ফরিদপুর র্যাব-৮ ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর আব্দুল্লাহ আল মঈন হাসান জানান, উদ্ধারকৃত অস্ত্র-গুলি, ছুরি, ড্রেগার, ইয়াবা ট্যাবলেট ও অন্যান্য আলামতসহ গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে সালথা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উক্ত চক্রের অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
|
|
|
|
সাহিদুজ্জামান সাহিদ:
ফরিদপুরের নগরকান্দা থানা পুলিশ ও নগরকান্দা উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং এর আয়োজনে ২৬ অক্টোবর (শনিবার) সকালে নগরকান্দা থানা মিলনায়তনে “পুলিশের সঙ্গে কাজ করি, মাদক-জঙ্গি ও সন্ত্রাসমুক্ত দেশগড়ি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। নগরকান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ মোঃ সোহেল রানার সভাপতিত্বে ও উপ-পরির্শক আব্দুল গাফফার এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সহকারী পুলিশ সুপার নগরকান্দা সার্কেল এফএম মহিউদ্দীন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- নগরকান্দা উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং এর সাধারন সম্পাদক ইউনুস সরকার, নগরকান্দা থানার ওসি (তদন্ত) মিরাজ হোসেন, কাইচাইল ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ঠান্ডু, চরযোশরদী ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান পথিক তালুকদার, সাপ্তাহিক খোলাচোখ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহবুব আহাদ, কাইচাইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা খান, আওয়ামীলীগ নেতা জাকির হোসেন, নগরকান্দা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শওকত আলী শরীফ, সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী, ঢাকা টাইমস বিডি টুয়েন্টিফোর ডটকম এর সম্পাদক ও প্রকাশক নিজাম নকিব, সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম, শাহিদুজ্জামান শাহিদ, শফিকুল ইসলাম মন্টু, নগরকান্দা থানায় কর্মরত উপ-পরিদর্শক ও সহকারী উপ-পরিদর্শকবৃন্দ, নগরকান্দা মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোসাঃ চায়না আক্তার, নগরকান্দা পৌরসভা ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর খাদিজা আক্তার, নগরকান্দা পৌরসভা ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসের দুলু, তালমা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারaন সম্পাদক মজিবুর রহমান ও মোঃ আকবর হোসেন প্রমূখ।
|
|
|
|
নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর থেকে ১৫৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ সবুজ মন্ডল (২৪) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাতে ইউনিয়নের দয়ালনগর এলাকা থেকে সবুজকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সবুজ মন্ডল মিজানপুর ইউনিয়নর দয়ালনগর এলাকার করিম মন্ডলের ছেলে। রাজবাড়ী সদর থানার এসআই আতাউর রহমান জানান, তার নের্তৃত্বে থানার এএসআই জালাল ও জামালসহ সঙ্গীয় ফোর্সের সহযোগীতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সবুজ মন্ডলের বসতবাড়ীর ঘরের একটি টিফিন বক্স থেকে ১৫৩ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেন। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক বাজার মূল্যে ৪৫ হাজার ৯০০ টাকা। তার বিরুদ্ধে থানায় পূর্বের একটি মামলা রয়েছে এবং এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক: ডিএমপি কমিশনার নগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত ভালো ও কঠোর ছিল উল্লেখ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, এবারের ঈদে পুলিশের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফলে রাজধানীতে উল্লেখযোগ্য কোন বড় অপরাধ সংঘটিত হয়নি।
রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও উৎসবমূখর পরিবেশে ঈদ উদযাপনের ব্যবস্থা করেছি। আমরা নিজেরা ঈদের ছুটিতে না গিয়ে সাধারণ মানুষের নামাজের নিরাপত্তা দিয়েছি। পুলিশ পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে ঈদে নগরীর আইন শৃংখলা রক্ষা করেছে।’ সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, শুধু ঢাকা সিটিতে না, সারাদেশে উল্লেখযোগ্য কোন বড় অপরাধ সংঘটিত হয়নি। ঢাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত ভালো ও কঠোর ছিল। তিনি বলেন, ঈদের আগে নগরবাসী নিরাপদে গভীর রাত পর্যন্ত শপিং করে বাড়ি ফিরেছেন। আমরা বাস, ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলাম। ফলে নগরবাসী নিরাপদে উৎসবমূখর পরিবেশে নিজ নিজ গৌন্তব্যে ঢাকা ছেড়েছেন।
|
|
|
|
ডিটিভি বাংলা নিউজঃ যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের অধীনে থাকা সব কারাগারে ইফতারের সময় বন্দীদের শূকরের মাংস দিতে নিষেধ করেছেন দেশটির আদালত। গত বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন আদালত। আদেশে বিচারক মুসলিম বন্দীদের পবিত্র রমজান মাস জুড়ে ইফতারের সময় শূকরের মাংসমুক্ত ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার সরবরাহ করার কথা বলেন। মার্কিন মুসলমানদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাউন্সিল অন আমেরিকান মুসলিম রিলেশন্সের (কেয়ার) পক্ষ থেকে আদালতে এক আবেদনের প্রেক্ষিতেই আদালত এ আদেশ দেন। কেয়ারের ন্যাশনাল লিটিগেশন ডিরেক্টর লিনা মাশ্রি জানান, এখন থেকে মুসলমান বন্দীরা আর শূকরের মাংস খেতে বাধ্য থাকবেন না। বিশেষ করে রমজান মাসে তাদের হালাল খাদ্যই সরবরাহ করতে হবে। উল্লেখ্য, আলাস্কার অ্যাঙ্করেজ কারেকশনাল কমপ্লেক্সে মূলত শূকরের মাংস ও চর্বি দিয়ে রান্না করা খাবার বন্দিদের মাঝে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
|
|
|
|
চঞ্চল দাশগুপ্ত,কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
এবার দেশের চলচ্চিত্র জগতকেও গ্রাস করেছে ভয়ঙ্কর মাদক ইয়াবা।পর্যটন শহর কক্সবাজার যেকোন চলচ্চিত্র ও নাটক নির্মাণ বা আউটডোর শুটিংয়ের জন্য প্রথম পছন্দের স্থান। আর দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারে শুটিংয়ের আড়ালে কিছু অসাধু চক্র ইয়াবা ব্যবসায় জাল বিস্তার করেছে।এভাবে রাজধানীর বিভিন্ন আন্ডারগ্রাউন্ড প্রোডাকশন হাউস কক্সবাজারে শুটিং করার নামে ইয়াবা পাচার করে যাচ্ছে।এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারস্থ র্যাব-৭ দীর্ঘদিন অনুসন্ধানের পর একটি চক্রকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।র্যাব সূত্রে জানা যায়, ২৩মে বুধবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোনখ্যাত কলাতলী থেকে ৩ কোটি ২৪ লক্ষ টাকার ১ লক্ষ ৮ হাজার পিচ ইয়াবা সহ ‘সরকার প্রোডাকশন হাউস’ নামে একটি শুটিং টিমের ১০ সদস্যকে আটক করে র্যাব সদস্যরা।বুধবার এক ক্ষুদে বার্তায় কক্সবাজারস্থ র্যাব-৭ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর রুহুল আমিন জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের কলাতলী থেকে মিউজিক ভিডিও নির্মাণ সংস্থা ‘সরকার প্রোডাকশন হাউস’র শুটিং টিমের ১০জনের একটি ভয়ংকর চক্রকে ইয়াবা সহ আটক করা হয়।এসময় তাদের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৮ হাজার পিচ ইয়াবা ও একটি মাইক্রোবাস জব্ধ করা হয়।যার বাজার মূল্য ৩ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা। এছাড়া আটক করা হয় রাজশাহী ভিত্তিক মাদক চক্রের প্রধান আসলাম সরকার (৪০), তার শুটিং টিমের আরো আট সদস্য এবং ড্রাইভার মাসুদ রানাকে (৩২)।তিনি আরও জানান,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিভিন্ন সময়ে শুটিং করার নাম করে কক্সবাজার থেকে ইয়াবা পাচার করত।তিনি আটকৃতদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর সংশ্লিষ্ঠ ধারায় মামলা করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সোপর্দ করা হবে বলে জানান।
|
|
|
|
আহমেদ রকিশরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধিঃ নড়িয়া উপজেলা ঘরিসার ইউনিয়ন নন্দনসার গ্রামে নজরুল ইসলাম হাওলাদারের ৪৫বছর দখলক্রিত বসত বাড়িভিটে তার মৃত্যুর পরে দখলের জন্য একাধিক মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে পাশের বাড়ির মামলাবাজ ওহাব চোকদার। ঘটনার সুত্রে মৃত্যৃ নজরুল ইসলামের ভাই এসকান্দর হাওলাদার বলেন আমার ভাই ওয়ারিশ ও ক্রয় সুত্রে ১০৯ নন্দন সার মৌজারএস এ ২৫/৬৭৭নং দাগ বি আরএস ২১৬নং খতিয়ানের ১১৯৫ নং দাগের ০.১২০০ একর জমি ৪৫বছর ভোগ দথলে। নজরুল ইসলাম হাওলাদরের হঠাৎ মৃতুর পরে পাশের সিমানার ওহাব চোকদার জোর পূর্বক বাস গাছ কেটে নিয়ে যায় ও জমি তার বলে দাবি করে, বাধা দিতে গেলে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানী করেন বলে দাবী করেন তিনি। অসহায় বিধাব রুনু বেগম( ৫০) বলেন. মামলাবাজ ওহাব চোকদারের মামলার কারণে আমি ছোট ছেলে মেয়ে নিয়ে বাড়িতে থাকতে পারছিনা অসহায় আমাকে দেখার কেউ নেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলেওহাব চোকদার বলেন আমি ৬৮ তে পাকিস্তানের আর্মী ছিলাম দেশে না থাকার কারণে আমার ৪৮শতাংশ জমিজমা নজরুল ইসলাম হাওলাদার নিজের নামে রেকর্ড করে দখলে নেন। পরে আমি মামলা করলে ৩৬ শতাংশ জমি ফেরত দেন বাকি ১২শতাংশ জমি ফেরত দিবে বলে দিচ্ছে না জোর করে দখলে আছে তাই আমি মামলা করেছি ।
|
|
|
|
রকিআহমেদ শরীয়তপুর ঃ ২২ মে রাত ১২টা ৩০মিঃ নড়িয়া পৌরসভার কুক্ষাত গাজা বিক্রেতা কাদির( ৫৫) কে গোপন তথ্য সুত্রে আটক করেন নড়িয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আইজিপি পদকপ্রাপ্ত ওসি আসলামউদ্দিন। তিনি বলেন মাদক নিয়ন্ত্রন অভিযান চলছে কাদির দীর্ঘ দিন যাবত বিভিন্ন মাদক দ্রব গাজা ক্রয় বিক্রয় করে আসছে। নড়িয়া উপজেলা এপর্যন্ত অনেক মাদক ইয়াবা সম্রাটদের আমরা নড়িয়া থানা পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়েছি এবং এ অভিযান মাদক র্নিমূল না হওয়া পর্যন্ত চলবে।
|
|
|
|
ক্রাইম রিপোর্টার, পটুয়াখালী :
পটুয়াখালীর গলাচিপায় কর্মকার পট্টিতে‘মা স্বর্ণ শিল্পালয় এ্যান্ড জুয়েলারী’ নামের স্বর্ণের দোকানে চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকা শীর্ষ ডাকাত নান্নু সিকদারকে (৩৫) গ্রেফতার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হুমায়ুন কবীর। নান্নু সিকদার ওই গ্রামের মুনসুর সিকদারের ছেলে। গত (২৩মার্চ) রাতে ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার নৈকাঠি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে। শনিবার বিকালে গলাচিপা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এসআই হুমায়ুন কবীর জানান, গ্রেফতার হওয়া দুই ডাকাত মোঃ কিবরিয়া ও কামরুল ইসলাম ওরফে কামালের দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নান্নু সিকদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে স্বর্ণ দোকান লুট/ ডাকাতি হওয়া কোন স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা যায়নি । তবে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এখন পর্যন্ত থানা পুলিশ তিনজন ডাকাত গ্রেফতার হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৭ ফ্রেব্রুয়ারী শনিবার রাত সাড়ে ৭:৩০ টার দিকে ৭/৮ জন ডাকাত হাতবোমা ফাটিয়ে হামলা করে এবং এসিড ও রামদার কোপে দোকানের মালিকসহ আরও ১০ জন আহত হন। এ সময় জনতার সহযোগীতায় দুইজন ডাকাতকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দোকান মালিক নির্মল কর্মকার ৬ জন ডাকাতের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩১ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার লুটের অভিযোগ করা হয়। অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, ডাকাতদের মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে এবং মোটর সাইকেল যার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু ৭/৮ ঘন্টা পরে প্রভাবশালীদের ফোনে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়্ । জনপদে এখন প্রশ্ন একটাই ছেড়ে দেওয়ার কারণে মনে হয় ডাকাতি মামলার ডাকাতদের চিহ্নিত করতে পারবে না পুলিশ।
|
|
|
|
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে বিশেষ অভিযানে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জরা জানান, জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী অভিযান চালানো হয়। এ সময় গোপালগঞ্জ সদর থানায় ১২ জন, কাশিয়ানী থানায় ৬ জন, কোটালীপাড়া থানায় ৮ জন, মুকসুদপুর থানায় ৭ জন ও টুঙ্গিপাড়া থানায় ১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারদের মধ্যে মাদক, নিয়মিতসহ বিভিন্ন মামলা ও ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি রয়েছে। সোমবার এদেরকে আদালতে হাজির করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিরা জানিয়েছেন।
|
|
|
|
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সরকার গত ৯ বছরে কোনও অগণতান্ত্রিক আইন তৈরি করেনি, বরং গণতন্ত্রকে প্রসারিত করার জন্য গণমাধ্যম, টিভি চ্যানেল, কমিউনিটি রেডিও, এফএম রেডিও উন্মুক্ত করে দিয়েছে। বরং বিএনপি দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিনষ্টে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।
রোববার ‘ভিজিট বাংলাদেশ প্রোগ্রাম’ এর আওতায় বাংলাদেশ সফররত ২৫ জন বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি দেশের সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত দল মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বললেন, এ কারণে মানুষ তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এই দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজের দুর্নীতির কারণেই সাজা ভোগ করছেন।
আরো পড়ুন : স্বাধীনতা বিরোধীদের চিহ্নিত করে সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে: শাজাহান খান (ভিডিও)
তথ্যমন্ত্রী মনে করেন, ২০১৮ সালে সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা।
হাসানুল হক ইনু বলেন, বাংলাদেশ জঙ্গি দমনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। গত ৯ বছরে সরকার যে উন্নয়ন করেছে তারই ফসল হিসেবে স্বল্পোন্নত দেশের গণ্ডি পেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ।
|
|
|
|
ভবন ভাঙতে বারবার সময় চাওয়ায় বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, আপনারা তো বারবার আসেন। আপনার নিজেরাও তো বিষয়টি নিয়ে আদালতে দাঁড়াতে দ্বিধা হওয়ার কথা। আমাদের লজ্জা লাগে।
ইউ আর প্লেয়িং উইথ কোর্ট অর্ডার (আপনারা আদালতের আদেশ নিয়ে খেলছেন)। এটা সো আনফরচনেট (এটা খুবই অপ্রত্যাশিত) বলেও জানান আদালত।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানির শুরুতে প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।
এরপর বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে এক বছর সময় চাওয়ায় তাদের মুচলেকা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে মুচলেকা পেলে বিজিএমইএ ভাবন ভাঙতে সময় দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
আদালতে বিজিএমইএ’র পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। এছাড়া রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকের (রাজউক) পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে ২৫ মার্চ বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে ভবন ভাঙতে এক বছর সময় চেয়ে আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ বিজিএমইএ’র আবেদনের ওপর আদেশের জন্য মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) দিন নির্ধারণ করেছিলেন।
গত বছরের ৫ মার্চ আপিল বিভাগ বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) করা আবেদন খারিজ করে দেন। তখন ভবন ভাঙতে কত দিন সময় লাগবে, তা জানিয়ে আবেদন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। পরে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ ভবন সরাতে তিন বছর সময় চেয়ে আবেদন করেন।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙতে কর্তৃপক্ষকে সাত মাস সময় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।
এরপরও বিজিএমইএ ফের আবেদন করায় পুনরায় ছয় মাস সময় দেন আপিল বিভাগ। গত বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালত এ আদেশ দেন। আদালতের ওই সময় মঞ্জুরের পর চলতি বছরের ২৫ মার্চ পুনরায় এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করেন ভবন কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়।
|
|
|
|
পেশাজীবীদের সবচেয়ে বৃহত্তর সংগঠন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দুদিনব্যাপী নির্বাচন আজ বুধবার শুরু হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এক ঘণ্টার বিরতিসহ ভোট গ্রহণ চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। সভাপতি ও সম্পাদকসহ সমিতির ১৪টি পদে ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবারের নির্বাচনে ভোটার রয়েছেন ৬ হাজার ১২৫ জন।
নির্বাচনে সরকার সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ (সাদা প্যানেল) থেকে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট শেখ মো. মোরশেদ এবং বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য (নীল) প্যানেল থেকে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও সম্পাদক পদে ব্যারিস্টার এম মাহবুবউদ্দিন খোকন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মূলত এই দুই প্যানেলের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে।
এই দুটি প্যানেলের বাইরে গিয়ে সভাপতি পদে শাহ মো. খসরুজ্জামান ও ইউনুস আলী আকন্দ, সম্পাদক পদে মোহাম্মদ আবুল বাসার ও সদস্য পদে তাপস কুমার দাস নির্বাচনে লড়ছেন। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান হলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট এওয়াই মশিউজ্জামান। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে এ ভোট উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
|
|
|
|
কুমিল্লার বহুল আলোচিত সোহাগী জাহান তনু হত্যার ২ বছর পূর্ণ হয়েছে আজ মঙ্গলবার।
২০১৬ সালের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে খুন হয় তনু। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী তনুর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার দুই বছরেও আদালতে চার্জশিট জমা দিতে পানি মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। দীর্ঘ ২ বছরেও শনাক্ত হয়নি তনুর খুনিরা। ঠিক কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে এ ব্যাপারটিও স্পষ্ট হয়নি আজও। পর দিন ২১ মার্চ তার বাবা ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি কুমিল্লা কোতয়ালী থানা পুলিশ তদন্ত করে। পরে পুলিশ জেলা গোয়েন্দ বিভাগের (ডিবি’র) কাছে হস্তান্তর করে মামলাটি। এরপর ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ সন্ধ্যায় জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) থেকে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তারাই তদন্ত করছে। ঘটনা তদন্তে র্যাব ও পুলিশসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে নামে।
তনুর দুই দফা ময়নাতদন্তেও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগ মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ করতে পারেনি। শেষ ভরসা ছিল ডিএনএ রিপোর্ট।
২০১৭ সালের মে মাসে সিআইডি তনুর জামা-কাপড় থেকে নমুনা নমুনা সংগ্রহ করে এর ডিএনএ পরীক্ষা করে। এতে ৩ জন পুরুষের শুক্রানু পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল। পরে সন্দেহভাজনদের ডিএনএ ম্যাচিং করার কথা থাকলেও তা করা হয়েছে কিনা- এ নিয়েও গণমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেনি সিআইডি।
তনু হত্যা মামলার তদন্তের স্বার্থে ২০১৬ সালের ৯ এপ্রিল দ্বিতীয় ধাপে তৃতীয়বারের মতো ক্যান্টনম্যান্ট বোর্ডের এক্সিকিউটিভ সিইও মনিরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এরপর আরো দু’একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তনু হত্যা মামলা তদন্ত সহায়ক দলের প্রধান সিআইডি ঢাকার বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ পিপিএম এর নেতত্বাধীন তদন্ত দল।
এদিকে সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর ঢাকা সিআইডি কার্যালয়ে তনুর বাবা ইয়ার হোসেন, মা আনোয়ারা বেগম, চাচাতো বোন লাইজু ও চাচাতো ভাই মিনহাজকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডির কর্মকর্তারা।
সর্বশেষ গতকাল ১৯ মার্চ সোমবার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির কুমিল্লা কার্যালয়ে গেলে মামলার বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি কেউ।
এদিকে মামলার অগ্রগতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট আয়েশা বেগম শিরিন এবং কুমিল্লা আইনজীবি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের একটি জঙ্গল থেকে তনুর লাশ পাওয়া যায়। তাকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। ২১ মার্চ তনুর হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে তার সহপাঠী থেকে শুরু করে কুমিল্লার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং সংগঠন বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। পরবর্তীতে সারা দেশব্যাপী আন্দোলনে রূপ নেয় এটি। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে সারাদেশে চলে বিক্ষোভ।
এদিকে, হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় হওয়াতে বেশি স্পর্শকাতর হয়ে পড়েছে। তবে সপ্তাহখানেক পরে সেনা সদরদপ্তর থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, তারাও তনুর ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত। এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করারও আশ্বাস দেয়া হয়।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অনুমান করলেও তনুর ময়নাতদন্ত কিংবা ডিএনএ রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
|
|
|
|
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আপিল বিভাগের রায় প্রত্যাশিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বেগম জিয়া অংশ নিতে পারবেন কি না তা নির্ভর করছে আপিল নিষ্পত্তির উপর। এ সময় বেগম জিয়ার আপিলের বিষয়টি নিয়ে তার আইনজীবীদের রাজনীতি না করার আহ্বান জানান তিনি।
আজ সোমবার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মলনে তিনি এসব কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে সকল সুযোগ-সুবিধা দিয়ে, তার সমস্ত বক্তব্য শুনে আদালত এ দণ্ড প্রদান করেছেন। সেই দণ্ড প্রদানের ক্ষেত্রেও আদালত যে কতটা মহানুভবতার প্রমাণ দিয়েছেন এবং ন্যায়ের প্রতি তার নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন সেটাতেই প্রমাণ পায়। তার সামাজিক মর্যাদা, তার বয়স ইত্যাদি বিবেচনা করেই আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন, যদিও অন্যদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আপিল বিভাগের চারজন বিচারপতি সর্বসম্মতিক্রমে এই মামলাটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন এবং লিভ গ্রান্ট করেছেন। সেই সঙ্গে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সার সংক্ষেপ আদালতে জমা দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। তার দুই সপ্তাহ পরে আসামিপক্ষকে তার সার সংক্ষেপ জমা দাখিল করার আদেশ দিয়েছেন।
মাহবুবে আলম বলেন, আদালত এই আপিলের শুনানি প্রথমে ২২ মে ধার্য করেছিলেন। পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে ৮ মে তারিখে নির্ধারণ করেছেন।
|
|
|
|
বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, আপিল বিভাগের আদেশ কিছুটা নজিরবিহীন। এ ধরনের আদেশ কখনো শুনিনি, প্রত্যাশাও করিনি।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ আদালত আদেশ দিয়েছে এখন আইনি লড়াই ছাড়া বিকল্প নেই। আরেকটি হচ্ছে রাজপথের আন্দোলন। সেটি তো সুপ্রিম কোর্টে করতে পারব না। তবে আমরা যারা আইনজীবী আছি তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো তার কারামুক্তি করাতে।
আজ সোমবার আপিল বিভাগের আদেশর পর মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদেরকে এসব কথা বলেন।
|
|
|
|
|
|
|