ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের নটখোলা গ্রামের সৈয়দ আমীর হোসেন বিরুর পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত জমির (বাগান) থেকে পিত্তি গাছ, মেহগুনি, আমগাছ, কৃষ্ণচূড়া সহ ৫০ টি মুল্যবান গাছ কেটে নিয়ে যায় বল্লেন গাছের মালিক মৃত সৈয়দ আঃ মান্নান এর ছেলে সৈয়দ আমীর হোসেন বিরু। তিনি জানান, জোরপূর্বক গাছ কেটে নিচ্ছেন প্রতিবেশী মৃত খন্দকার সুজাউদ্দিন এর ছেলে খন্দোকার দেলোয়ার হোসেন (৬০), খন্দোকার রবিউল (৩০), খন্দকার আশিক (৩০), আশারানী ওরফে আশা খাতুন(২৬) উভয় পিতা খন্দোকার দেলোয়ার, খোন্দকার সহেল (৩২),খোন্দকার সাহিন(২৮) উভয় পিতাঃ খোন্দকার শাহজাহান, খোন্দকার কবির (৩০) পিতাঃ খোন্দকার আহসান হাবিব, মোঃ জাহিদ হাসান পিতাঃ অজ্ঞাত, সর্বসাং নটখোলা থানাঃ সালথা জেলা ফরিদপুর। প্রতিপক্ষের নামে সালথা থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।
এছাড়া গাছ কাটার বিষয় প্রশাসনিক দপ্তরে অভিযোগ করেন সৈয়দ আমীর হোসেন বিরু।৭৯৯ নং খতিয়ানের নটখোলা মৌজার সাবেক ১৫২৭ দাগ হাল (বি, এস) ২২৪৮ নং দাগের (বাগান) পৈত্রিক সুত্রে ও ক্রয় সুত্রে মালিক সৈয়দ আমীর হোসেন বিরু ও মাতাঃ দেলজাহান বেগম ও সৈয়দ আমীর হোসেন বিরুর স্ত্রী সৈয়দ বেবি নাজনিন। এছাড়া সৈয়দ আমীর হোসেন বিরুর পৈত্রিক ও ক্রয় সম্পত্তি থেকে অসংখ্য গাছ কেটে নিয়ে যায় এবং ক্ষেতের ফসল উঠিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি।
খন্দকার দেলোয়ার হোসেন গংরা গাছ কেটে নিয়ার সময় সৈয়দ আমীর হোসেন বিরু বাধা প্রদান করলে, তাদের নিষেধ করলে তাদের পরিবারের লোকজনদের উপর হামলা নির্যাতন করেন বলেও অভিযোগ করে তারা। জমিজমা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকলেও নিষেধাজ্ঞা না মেনে গাছ কেটে নেওয়া সহ একের পর এক গাছ কেটে নিচ্ছে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের গং; বলেন, সৈয়দ আমীর হোসেন বিরু। এ বিষয় অভিযোগে অভিযুক্তকারী খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের জায়গা থেকে আমরা গাছ কেটে নিচ্ছি তবে কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন অনেকেই বলেন, সৈয়দ আমীর হোসেন বিরুর বাগান থেকে গাছ কেটে নিচ্ছে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন। এ বিষয় আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগী জমির মালিক সৈয়দ আমীর হোসেন বিরু জানিয়েছেন।