|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
চেলসির ৫ গোলের বড় জয়
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বিশাল জয়ে শনিবার এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডে জায়গা নিশ্চিত করেছে চেলসি। তোসিন আদারাবিয়ো এবং জোয়াও ফেলিক্সের জোড়া গোলে তারা লিগ টু-র দল মোরকাম্বেকে ৫-০ ব্যবধানে সহজেই পরাজিত করেছে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে।
পুরো ম্যাচজুড়ে চেলসি আধিপত্য বিস্তার করে এবং আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারতো, যদি ১৭তম মিনিটে এনকুনকু পেনাল্টি মিস না করতেন।
এই ম্যাচে চেলসি কোচ এনজো মারেরস্কা তার একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন। কোল পামার, এনজো ফার্নান্দেজ এবং নিকোলাস জ্যাকসন বেঞ্চে ছিলেন। তবে ১৮ বছর বয়সী টায়রিক জর্জকে তিনি শুরুর একাদশে জায়গা দেন। রিস জেমস এবং রোমিও লাভিয়া ইনজুরি থেকে ফিরে শুরুর একাদশে খেলেন।
চেলসি শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলছিল। ১৪তম মিনিটে পেদ্রো নেতোর ক্রস থেকে আদারাবিয়ো হেড করেন, যা বারে লেগে ফিরে আসে।
তিন মিনিট পর চেলসির পেনাল্টি পায় মোরকাম্বের মিডফিল্ডার ইয়ান সঙ্গোর হাতে বল লাগার কারণে। তবে এনকুনকুর নেওয়া পেনাল্টি মোরকাম্ব গোলরক্ষক হ্যারি বারগোয়েন রুখে দেন।
তবে সেই প্রতিরোধ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। সাবো ফুলহাম খেলোয়াড় আদারাবিয়ো পেনাল্টি এলাকার প্রান্ত থেকে নেওয়া শটে বল ডিফ্লেক্ট হয়ে নিচের দিকে জালে ঢুকে যায়।
বিরতিতে চেলসি একটি পরিবর্তন আনে, মার্ক কুকুরেলাকে এনে লাভিয়াকে বদলি করা হয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই, বিরতির পাঁচ মিনিট পর এনকুনকু তার মিস করা পেনাল্টির প্রতিশোধ নেন। বাঁ পায়ের শটে বল বারগোয়েনের ডানদিকে জালে পাঠান তিনি।
আদারাবিয়ো তার দ্বিতীয় গোল করেন টায়রিক জর্জের সহায়তায়। বক্সের প্রান্তে জায়গা পেয়ে দুর্দান্ত এক শটে বল জালে পাঠান তিনি।
আদারাবিয়োর দ্বিতীয় গোল মোরকাম্বের প্রতিরোধ ভেঙে দেয়। চেলসি পরবর্তী সাত মিনিটে আরও দুটি গোল করে।
প্রথমে, জোয়াও ফেলিক্স দ্রুত এক কাউন্টার অ্যাটাক থেকে নিচের কোনায় স্মার্ট ফিনিশ করেন। পরে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড একটি কার্লিং শটে তার দ্বিতীয় গোলটি করেন।
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বিশাল জয়ে শনিবার এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডে জায়গা নিশ্চিত করেছে চেলসি। তোসিন আদারাবিয়ো এবং জোয়াও ফেলিক্সের জোড়া গোলে তারা লিগ টু-র দল মোরকাম্বেকে ৫-০ ব্যবধানে সহজেই পরাজিত করেছে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে।
পুরো ম্যাচজুড়ে চেলসি আধিপত্য বিস্তার করে এবং আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারতো, যদি ১৭তম মিনিটে এনকুনকু পেনাল্টি মিস না করতেন।
এই ম্যাচে চেলসি কোচ এনজো মারেরস্কা তার একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন। কোল পামার, এনজো ফার্নান্দেজ এবং নিকোলাস জ্যাকসন বেঞ্চে ছিলেন। তবে ১৮ বছর বয়সী টায়রিক জর্জকে তিনি শুরুর একাদশে জায়গা দেন। রিস জেমস এবং রোমিও লাভিয়া ইনজুরি থেকে ফিরে শুরুর একাদশে খেলেন।
চেলসি শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলছিল। ১৪তম মিনিটে পেদ্রো নেতোর ক্রস থেকে আদারাবিয়ো হেড করেন, যা বারে লেগে ফিরে আসে।
তিন মিনিট পর চেলসির পেনাল্টি পায় মোরকাম্বের মিডফিল্ডার ইয়ান সঙ্গোর হাতে বল লাগার কারণে। তবে এনকুনকুর নেওয়া পেনাল্টি মোরকাম্ব গোলরক্ষক হ্যারি বারগোয়েন রুখে দেন।
তবে সেই প্রতিরোধ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। সাবো ফুলহাম খেলোয়াড় আদারাবিয়ো পেনাল্টি এলাকার প্রান্ত থেকে নেওয়া শটে বল ডিফ্লেক্ট হয়ে নিচের দিকে জালে ঢুকে যায়।
বিরতিতে চেলসি একটি পরিবর্তন আনে, মার্ক কুকুরেলাকে এনে লাভিয়াকে বদলি করা হয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই, বিরতির পাঁচ মিনিট পর এনকুনকু তার মিস করা পেনাল্টির প্রতিশোধ নেন। বাঁ পায়ের শটে বল বারগোয়েনের ডানদিকে জালে পাঠান তিনি।
আদারাবিয়ো তার দ্বিতীয় গোল করেন টায়রিক জর্জের সহায়তায়। বক্সের প্রান্তে জায়গা পেয়ে দুর্দান্ত এক শটে বল জালে পাঠান তিনি।
আদারাবিয়োর দ্বিতীয় গোল মোরকাম্বের প্রতিরোধ ভেঙে দেয়। চেলসি পরবর্তী সাত মিনিটে আরও দুটি গোল করে।
প্রথমে, জোয়াও ফেলিক্স দ্রুত এক কাউন্টার অ্যাটাক থেকে নিচের কোনায় স্মার্ট ফিনিশ করেন। পরে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড একটি কার্লিং শটে তার দ্বিতীয় গোলটি করেন।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
এক সময় রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিকে বাদ দিয়ে ভারতীয় স্কোয়াড কল্পনাই করা যেতো না। দুজনই ছিলেন তুখোড় খেলোয়াড়। তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার মতো কেউ ছিলেন না। এখনও যে খুব খারাপ খেলছেন কোহলি-রোহিত, বিষয়টি এমন নয়। তবে ফর্ম ভালো নেই। তাছাড়া প্রতিযোগিতা করে দুজনের চেয়ে এগিয়ে যাওয়ার মতো অনেক ক্রিকেটার দলে চলে এসেছেন। যে কারণে কোহলি-রোহিতকে নিয়ে অতি মাত্রায় ভাবতে হচ্ছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগেও রোহিত-কোহলিকে নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
দুই তারকা ক্রিকেটারকে নিয়ে বিসিসিআইয়ের ভাবনাকে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করলে বলা যায়, ‘মধুর সমস্যা’। অর্থাৎ টেস্টে ফর্মে না থাকলেও ওয়ানডে ফরম্যাটেও তো দুজনই কার্যকর। আবার অভিজ্ঞাতাও দারুণ। আইসিসি টুর্নামেন্টে যার অনেক মূল্য। দুজনে মিলে গত বছরও ভারতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। অন্যদিকে তরুণ ক্রিকেটাররা ভালো খেলছেন। রোহিত-কোহলির তুলনায় বেশি মারমুখী। ঘাটতি অভিজ্ঞতার দিক থেকে।
নেতিবাচকভাবে বললে ব্যাপারটা ‘গলার কাঁটার’ মতো। কারণ, রোহিতের নেতৃত্বে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ধবলধোলাই হয়েছে ভারত। এরপর বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে তারা। টানা দুই সিরিজে হারের দায় রোহিত-কোহলিকেই নিতে হবে। দুজনই ব্যাটে হাতে ছিলেন ফ্লপ। অস্ট্রেলিয়া সফরে কোহলির গড় ২৩.৭৫ আর রোহিতের মাত্র ৬.২।
নেতিবাচকতার মাত্রা এই কারণে আরও বেড়ে যায় যে, দুজনেরই বয়স হয়েছে। কোহলি (৩৬ বছর) ও রোহিতকে (৩৭ বছর) ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় রাখাটা কতটা যুক্তিসম্মত, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ওই সময় তাদের ফর্ম কেমন হবে, তা নিশ্চয়ই কারো জানা নেই। এমন অবস্থায় নতুন ক্রিকেটারদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সুযোগ দিয়ে পরীক্ষা করে নেওয়ার দারুণ সুযোগ।
যশস্বী জয়সওয়ালের ভালো খেলাটাই মূলত রোহিত-কোহলিকে নিয়ে সমস্যা সৃষ্টির আসল কারণ। বাঁহাতি এই তরুণ টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট দারুণ ব্যাটিং করছেন। কিন্তু ওয়ানডেতে এখনো অভিষেক হয়নি। কারণ, প্লট খালি নেই। রোহিত-কোহলি তা দখলে রেখেছেন।
রোহিতের সঙ্গে আরেক ওপেনার শুবমান গিলকেও বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। কেননা ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে দারুণ ওপেন করেছেন তারা। দুজনের বোঝাপড়াও ভালো। গিলের ওয়ানডে ব্যাটিং তাক লাগানোর মতো।
যদি জয়সওয়ালকে দলে ফেরাতে হয়, ওপেনিংয়ে জায়গা ছাড়তে হবে রোহিতককে। সেক্ষেত্রে ডানহাতি গিলের সঙ্গে বাঁহাতি জয়সওয়ালের ব্যাটিং কম্বিনেশন ভালো হবে। আর যদি ওপেনিং থেকে গিলকে নিচে নামিয়ে আনা হয়, জয়সওয়ালের সঙ্গে রোহিতকে দলে রাখা হয়, তাহলে কোহলির জায়গা দখল করবেন গিল। ব্যাটিংঅর্ডারের পরের দিকে খেলবেন লোকেশ রাহুল ও রিশাভ পান্তের মতো তারকারা।
শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কীভাবে দল নির্বাচন করে অজিত আগারকারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক প্যানেল ও হেড কোচ গৌতম গম্ভীর, সেটাই দেখার।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ার। টেবিলের প্রথম দুইয়ে থাকা নিশ্চিত করা অসিরা চাইলেও আর দক্ষিণ আফ্রিকাকে টপকে শীর্ষে উঠতে পারবে না। ফলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার কাছে নিছক নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সঙ্গত কারণেই গুরুত্বহীন এই টেস্ট সিরিজে একাধিক তারকা ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দিতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, যার মধ্যে রয়েছে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের নামও।
কামিন্স দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকতে শ্রীলঙ্কা সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে এই সময়টায় বিশ্রাম নিয়ে গোড়ালির সমস্যা মেটানোরও চেষ্টা করবেন তিনি।
কামিন্সের অনুপস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জোড়া টেস্ট ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন স্টিভ স্মিথ। এক্ষেত্রে ফের অস্ট্রেলিয়ার লিডারশিপ গ্রুপে ঢুকে পড়েন ট্রাভিস হেড। তাকে শ্রীলঙ্কা সফরে অস্ট্রেলিয়ার ভাইস ক্যাপ্টেন নির্বাচিত করা হয়েছে।
কামিন্স ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট স্কোয়াডে উল্লেখযোগ্য অনুপস্থিতি চোখে পড়ছে তারকা পেসার জশ হ্যাজেলউড ও অলরাউন্ডার মিচেল মার্শের।
ভারতের বিপক্ষে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে টেস্ট অভিষেক হয় ন্যাথন ম্যাকসুইনি, স্যাম কনস্টাস ও বিউ ওয়েবস্টারের। তিন ক্রিকেটারকেই শ্রীলঙ্কা সফরের টেস্ট স্কোয়াডে রাখা হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার গলে দুই টেস্টেই ঘূর্ণি পিচে খেলতে হবে, আগাম জানা আছে অস্ট্রেলিয়ার। তাই তারা টেস্ট স্কোয়াডে স্পিনার এবং বিকল্প স্পিনার প্রস্তুত রেখেছে।
নাথান লিয়ন অস্ট্রেলিয়ার মূল স্পিনার। তার সঙ্গে স্পিন বিকল্প হিসেবে থাকছেন অনভিষিক্ত কুপার কনলি। এছাড়া ম্যাট কুনম্যান ও টড মার্ফির সঙ্গে পার্টটাইম স্পিনার হিসেবে থাকছেন ট্র্যাভিস হেড, মার্নাস ল্যাবুশান ও ন্যাথন ম্যাকসুইনি।
স্টিভ স্মিথ (অধিনায়ক), ট্রাভিস হেড (সহঅধিনায়ক), শন অ্যাবট, স্কট বোল্যান্ড, অ্যালেক্স ক্যারি, কুপার কনলি, জশ ইংলিস, উসমান খাজা, স্যাম কনস্টাস, ম্যাথিউ কুনম্যান, মার্নাস লাবুশেন, নাথান লিয়ন, ন্যাথন ম্যাকসুইনি, টড মার্ফি, মিচেল স্টার্ক, বিউ ওয়েবস্টার।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির পঞ্চম ও শেষ টেস্ট যেমন জমবে বলে প্রত্যাশা ছিল, বাস্তবে তেমনটা হয়নি। মাত্র তিন দিনেই বেরিয়ে এসেছে ম্যাচের ফলাফল। ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করেছিল অস্ট্রেলিয়া।
পুরো ম্যাচে বোলিং হয়েছে মাত্র ১৯১ ওভার। রান উঠেছে ৬৮৫। এর মধ্যে দ্বিতীয় দিনেই পড়েছে ১৫ উইকেট। মূলত, পিচে ঘাসের পুরু স্তর থাকায় ব্যাটারদের জন্য খেলা কঠিন হয়েছিল। যা দ্রুত উইকেট পতনকে ত্বরান্বিত করেছিল।
সিরিজ নির্ধারণী লড়াই জমে না ওঠায় ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকেই সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের (এসসিজি) সমালোচনা করেছেন। এ তালিকায় সামনের সারিতে ছিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সুনীল গাভাস্কার।
ম্যাচ চলাকালীন কমেন্ট্রিবক্সেই ভারতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বলে ওঠেন, ‘এটি আদর্শ টেস্ট ম্যাচের পিচ নয় যা আপনি চান। কারণ, আপনি চান যে, এটি চতুর্থ এবং পঞ্চম দিনে গড়াক। ভারতে (এক দিনে) ১৫ উইকেট পড়লে সমস্ত নরক ভেঙে যেতো। আমরা গ্লেন ম্যাকগ্রাকে বলেছিলাম, আপনি কি কোনো প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারকে পিচ নিয়ে হাহাকার করতে শুনেছেন?’
ভারতীয়দের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার উসমান খাজাও বলেছেন, সিডনির উইকেট সত্যি সত্যিই ব্যাটারদের জন্য কঠিন ছিল। ‘এবিসি রেডিও’কে তিনি বলেন, ‘আমি মিথ্যা বলবো না। এটা নিয়ে আগে খুব বেশি কথা বলতে চাইনি। কিন্তু উইকেট ত্রুটিযুক্ত ছিল। ঐতিহ্যবাহী এসসিজি উইকেটের মতো ছিল না। যার ওপর নতুন ঘাস রয়েছে। এটির চারপাশে ফাটল রয়েছে, এটা ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন ছিল, স্কোরবোর্ডই আপনাকে বলবে।’
এত এত সমালোচনার পর ভক্তরা অপেক্ষায় ছিলেন, সিডনির উইকেটকে কী রেটিং দেয় আইসিসি। অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার পিচ নিয়ে মতামত দিয়েছে বিশ্বক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। সেখানে সিডনির উইকেটকে ‘সন্তোষজনক বলে অ্যাখ্যা দেয় তারা। এতে কিছুটা হলেও অবাক হন ক্রিকেটভক্তরা।
সিডনির পাশাপাশি বাকি চার ভেন্যুরও (পার্থের অপটাস স্টেডিয়াম, অ্যাডিলেইডের ওভাল, ব্রিজবেনের গাবা ও মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড) রেটিং দিয়েছে আইসিসি। সবগুলোই পেয়েছে ‘ভেরি গুড’ (খুবই ভালো) রেটিং।
মজার বিষয় হলো- আইসিসি সরাসরি বিবৃতি দিয়ে রেটিং জানায়নি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) মাধ্যমে তারা এটি প্রকাশ করেছে।
সিএ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শুরুতে গতি ও বাউন্সের মাধ্যমে এসসিজি নিজের অনন্য বৈশিষ্ট্য প্রকাশের চেষ্টা করছে। বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির উত্তেজনাময় সমাপ্তি ঘটিয়ে লক্ষ্য বাস্তবায়নের পথে চলতি বছর এটি সফল পদক্ষেপ। ২০২৫-২০২৬ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন অ্যাশেজের (সিরিজ) প্রস্তুতিও এটি।’
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
ভারতীয় ক্রিকেট দলের দুই ব্যাটিং স্তম্ভ। দেশের ক্রিকেটকে অনেক কিছু দিয়েছেন তারা। বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মাকে দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচকদের মাথায় সবার আগে প্রথম দুটি বাক্যই আসে। ফর্ম যেমনই থাকুক, কোহলি ও রোহিত দেশের সুপারস্টার; এমন ভাবনা থেকেই তাদেরকে দলে রাখে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাও (বিসিসিআই)।
এদিকে বিসিসিআইয়ের গৎবাঁধা সুপারস্টার বুলি মোটেই পছন্দ নয় বিশ্বকাপজয়ী সাবেক ভারতীয় তারকা হরভজন সিংয়ের। কিংবদন্তি এই স্পিনারের দাবি, খুব শিঘ্রই বিসিসিআইকে এই ধরনের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
হরভজনের ভাবনা, কোহলি ও রোহিতকে সুপারস্টার তকমা দিয়ে খেলানো বন্ধ করতে হবে। পারফরম্যান্সের বিবেচনায় ক্রিকেটার বাছাই করতে হবে। অর্থাৎ যারা ভালো করবে তারাই খেলবে। সম্ভাবনাময়ীদের দলে জায়গা দিতে হবে।
সাবেক এই কিংবদন্তি মনে করেন, যদি সুপারস্টার হওয়া কারণে কোহলি ও রোহিতকে দলে রাখা হয়, তাহলে যারা অতীতে ভারতের জার্সিতে ২২ গজের উইকেট কাঁপিয়েছেন, তাদেরকেও দলে আনা উচিত। আর যদি সেটি না হয়, তাদেরকে রোহিত-কোহলিকে খেলানোর কোনো মানে নেই।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে হরভজন বলেন, ‘প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই একটা খ্যাতি আছে। যদি সেটাই হয়, তাহলে কপিল দেব, অনিল কুম্বলে বা যারা ভারতের সবচেয়ে বড় ম্যাচজয়ী হয়েছেন তাদের যোগ করুন। বিসিসিআই এবং নির্বাচকদের শক্তিশালী হওয়া উচিত। ভারতের উচিত সুপারস্টার মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসা।’
সদসমাপ্ত বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে ভারত। শুরু থেকেই প্লপ ছিলেন রোহিত। কোহলিও ভালো করতে পারেননি। অথচ বিকল্প ক্রিকেটার নিয়েই অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল ভারত। স্কোয়াডে ছিলেন অভিমন্যু ঈশ্বরন ও সরফরাজ খানের মতো উঠতি তারকা। তাদেরকে সুযোগ দেওয়া হয়নি।
ক্ষোভ প্রকাশ করে হরভজন বলেন, ‘অভিমন্যু ঈশ্বরনকে সফরে নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সে খেলেনি। সুযোগ দেওয়া হলে ভারতের হয়ে খেলোয়াড় হতে পারতো সে। সরফরাজেরও একই অবস্থা। এখন সামনে ইংল্যান্ড সফর। যে খেলোয়াড় পারফর্ম করবে তাদেরই সেখানে যাওয়া উচিত। সুনামের ভিত্তিতে খেলোয়াড় বাছাই করা উচিত নয়।’
সিডনিতে শেষ টেস্টে অবশ্য রোহিত নিজেই দল থেকে সরে দাঁড়ান। জাসপ্রিত বুমরাহর নেতৃত্ব এই ম্যাচ খেললেও শেষ পর্যন্ত সিরিজ বাঁচাতে পারেনি ভারত।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
এক মৌসুম আগেও এই দলটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছে। আর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে তো একচ্ছত্র আধিপত্য। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন তো বটেই, সবশেষ চার আসরেই চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি।
এই দলটির হঠাৎ কী হয়ে গেলো! প্রিমিয়ার লিগে তারা পয়েন্ট তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে। চতুর্থ স্থানে থাকা নটিংহ্যাম ফরেস্টের থেকে চার পয়েন্ট পিছিয়ে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেরা চারে না থাকতে পারলে সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করা হবে না। টানা ১৪ মৌসুম ধরে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সিটি তাই ভীষণ ঝুঁকিতে।
ম্যানচেস্টার সিটির ম্যানেজার পেপ গার্দিওলাও স্বীকার করেছেন যে, তার দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের জন্য কোয়ালিফাই করতে না পারার ঝুঁকিতে রয়েছে।
পঞ্চম স্থানে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও, গার্দিওলা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। বক্সিং ডে-তে এভারটনের বিপক্ষে ম্যাচের আগে তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক বিষয় অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এটা শুধু সেখানেই সীমাবদ্ধ নয়। আমরা এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। আমি আগেও বলেছিলাম, কিন্তু তখন সবাই মজা করেছিল।’
‘যখন কেউ বলে যে, প্রিমিয়ার লিগ জেতা বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোয়ালিফাই করা বড় সাফল্য নয়, তখন আমি জানতাম এমনটা হতে পারে। কারণ এটি এই দেশে অন্য ক্লাবের সঙ্গেও ঘটেছে। দীর্ঘ সময় ধরে দাপট দেখানোর পর তারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করতে পারেনি।’
আর্সেনালের টানা ১৯ বছরের কোয়ালিফিকেশন ২০১৭ সালে থেমে যায়, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ১৮ বছর থামে ২০১৪ সালে, চেলসির ১৩ বছর থামে ২০১৬ সালে, আর লিভারপুল পুরোনো ইউরোপিয়ান কাপের সময় শেষ হওয়ার পর টানা ছয়বারের বেশি কোয়ালিফাই করতে পারেনি।
গার্দিওলা আরও বলেন, ‘গত ১১ বা ১২ বছর ধরে ম্যানচেস্টার সিটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে থেকেছে। যদি আমরা এই মৌসুমে কোয়ালিফাই করতে না পারি, তবে এর কারণ আমরা সেটা পাওয়ার যোগ্য ছিলাম না। সমস্যা সমাধান করতে না পারলে এবং ম্যাচ জিততে না পারলে এই প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়াটা স্বাভাবিক।’
একটি ভয়ানক সময় পার করছে সিটি, যেখানে শেষ ১২ ম্যাচের মধ্যে তারা মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে। তবে গার্দিওলা জানিয়েছেন, ক্লাব চেয়ারম্যান খালদুন আল-মুবারাক তার পাশে রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে আমরা কথা বলি। আমি তার কাছ থেকে অসাধারণ সমর্থন পাচ্ছি। প্রথম মৌসুমেও আমরা এমন একটি সময় পার করেছিলাম, যখন আমরা কিছুই জিতিনি। আমরা জানি যে, যখন বড় সমস্যা হবে, তখনই বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি আমাকে সবসময় ইতিবাচক বার্তা দিয়েছেন।’
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি শেষ হলো মঙ্গলবার। যেখানে ঢাকা মেট্রোকে ৫ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর।
লো স্কোরিং এই ফাইনালে মাত্র ৬২ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল নাইম শেখের ঢাকা মেট্রো। এতেই রেকর্ডবইয়ে নাম উঠেছে এনসিএল টি-টোয়েন্টি ফাইনালটি।
রংপুরের পেস আক্রমণ, যার নেতৃত্বে ছিলেন আলাউদ্দীন বাবু এবং মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, ঢাকা মেট্রোর ব্যাটিং লাইন-আপকে মাত্র ৬২ রানে অলআউট করে ফেলে। এই স্কোরটি এখন বিশ্বক্রিকেটের টি-টোয়েন্টি ফাইনালে তৃতীয় সর্বনিম্ন রান হিসেবে রেকর্ড হয়ে গেছে।
এর আগে চলতি বছরের মার্চ মাসে জিম্বাবুয়ের একটি ঘরোয়া ম্যাচে ইগলস দল মাত্র ১৬ রানে অলআউট হয়েছিল। এটি এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ফাইনালের সর্বনিম্ন রান হিসেবে রেকর্ড। এরপর, একই বছর শ্রীলঙ্কার ব্লুমফিল্ড দলও একটি টি-টোয়েন্টি ফাইনালে মাত্র ৫৪ রান করে অলআউট হয়।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপে গ্রুপচ্যাম্পিয়ন হয়েই সুপার ফোরে উঠেছিল বাংলাদেশ। তবে সেরা চার দলের লড়াইয়ে প্রথম ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হয়ে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হেরে সুপার ফোর শুরু করেছে বাংলাদেশ।
আজ বৃস্পতিবার মালয়েশিয়ার বুয়েমাস স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ৮০ রান তোলে বাংলাদেশ। ভারত ৮১ রানের লক্ষ্য টপকে যায় ৮ উইকেট আর ৪৭ বল হাতে রেখেই।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৯ বলে ১৪ রান করেন ওপেনার মোসাম্মৎ ইভা। ১০ নম্বরে নামা হাবিবা ইসলাম করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ বলে ১১ রান। এছাড়া ওপেনার ফাহমিদা চয়া ১৪ বলে ১০ ও নিশীতা আক্তার নিশি ১৭ বলে ১০ করেন। বাকিরা সবাই এক অংকে আটকে থাকেন।
ভারতের হয়ে ওপেনার গনগাদি তিশা খেলেন ৪৬ বলে ৫৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। তার সঙ্গে ১৪ বলে ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক নিকি প্রাসাদ। ওপেনার জি কামালিনি ৪ বলে ০ ও তিনে নামা সানিকা চাকি ৯ বলে ০ রানে আউট হন।
সুপার ফোরে প্রত্যেক দল দুটি করে ম্যাচ খেলবে। বাংলাদেশের পরের ম্যাচ নেপালের বিপক্ষে। অন্যদিকে ভারত তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। টেবিলের সেরা দুই দল খেলবে ফাইনাল।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
ভারতীয় বোলারদের জন্য কঠিন একটি দিন। ব্রিজবেনে দিনের প্রথম সেশনে ভালো করলেও দ্বিতীয় ও শেষ সেশনে ভক্তদের হতাশ করেছেন তারা। শেষ দুই সেশনে দাপট দেখিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ট্রাভিস হেড ও স্টিভ স্মিথের সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় দিন শেষে ৭ উইকেটে ৪০৫ রান তুলেছে অসিরা।
ভারতের হয়ে ৫ উইকেট শিকার করেছেন জাসপ্রিত বুমরাহ। প্রথম সেশনে ২ উইকেট নিলেও বাকি ৩ উইকেটে নিতে বড্ড দেরি করে ফেলেছেন তিনি। বুমরাহর ফাইফারের আগেই চতুর্থ উইকেটে হেড ও স্মিথের ২৪১ রানের জুটিতে ম্যাচের দৃশ্যপট সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
গাবা স্টেডিয়ামে বৃষ্টির কারণে গতকাল শনিবার প্রথম দিনে খেলা হয়েছিল মোটে ১৩.২ ওভার। বিনা উইকেটে ২৮ রান নিয়ে দিন শেষ করেছিল টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়া। আজ রোববার দ্বিতীয় দিনে ৪৭ রান যোগ করতেই ৩ উইকেট হারায় অসিরা।
দলীয় ৭৫ রানে ৩ টপঅর্ডার উসমান খাজা, নাথান ম্যাকসুইনি ও মারনাস লাবুশেনের হারায় অস্ট্রেলিয়া।
ইনিংসের ১৬তম ওভারের প্রথম বলে খাজাকে (৫৪ বলে ২১) উইকেটের পেছনে রিশাভ পান্তের হাতের বানান বুমরাহ। ব্যাক টু ব্যাক বোলিংয়ে এসে পরের ওভারেই আরেক ম্যাকসুইনিকেও (৪৯ বলে ৯) তুলে নেন তিনি। লাবুশেন থিতু হয়ে থাকলেও স্কোর বড় করতে পারেননি। ৫৫ বলে মাত্র ১২ রান করে নিতীশ কুমার রেড্ডির বলে দ্বিতীয় স্লিপে বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ হন তিনি।
দল যখন চরম বিপদে পড়ে ধুঁকছিল, তখনি প্রতিরোধ গড়ে তোলেন হেড ও স্মিথ। চতুর্থ উইকেটে ২৪১ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন তারা। স্মিথ টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩৩তম সেঞ্চরি হাঁকিয়ে আউট হলে জুটি ভাঙে।
১৯০ বলে ১০১ রান করে বুমরাহর বলে প্রথম স্লিপে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ হন স্মিথ। দীর্ঘ ১৮ মাস পর টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকানোর পথে ১২টি চার হাঁকান ডানহাতি অভিজ্ঞ ব্যাটার। টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান হলেন স্মিথ। সেঞ্চুরি হাঁকানোয় তার সামনে আছেন কেবল রিকি পন্টিং (৪১টি)।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
শেষ রক্ষা হলো না ভারতীয় মেয়েদের। অস্ট্রেলিয়ার মেয়েদের কাছে ধবলধোলাই হতেই হলো ভারতীয়দের। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ভারতকে ৮৩ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া নারী দল। ৩-০ ব্যবধানে ভারতকে ধবলধোলাই করেছে স্বাগতিকরা।
বুধবার পার্থের ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ২৯৮ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে স্মৃতি মান্দানার সেঞ্চুরির পরও ভারতীয়রা গুটিয়ে যায় ২১৫ রানে।
ভারতকে ধসিয়ে দিতে বড় অবদান রাখেন অস্ট্রেলিয়ার বোলার অ্যাশলে গার্ডনার। ১০ ওভার বল করে মাত্র ৩০ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেন স্পিন অলরাউন্ডার।
ব্যাট হাতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৯৫ বলে ১১০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হাঁকানোর পথে ৯টি চার ও ৪টি হক্কা হাঁকান তিনি। বোলিংয়ে চমক দেখানোর আগে ব্যাট হাতে চমৎকার ছিলেন গার্ডনার। ৬৪ বলে ৫ চারে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
৫০ বলে হার না মানা ৫৬ রান করেন অধিনায়ক তাহলিয়া ম্যাকগ্রাথ। ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি করতে ৫টি বাউন্ডারি মারেন তিনি।
দুই ফিফটি আর এক সেঞ্চুরিতে ২৯৮ রানের বড় পুঁজি দাঁড় করায় অস্ট্রেলিয়া।
জবাবে শুরুতে হোঁচট (৮ বলে ২ রান করে আউট রিচা ঘোষ) খেলেও দ্বিতীয় উইকেটে ১১৮ রানের জুটি করে ভারতীয়দের ভালো অবস্থানে নিয়ে যান দুই টপঅর্ডার মান্দানা ও হারলিন দোয়েল। ৬৪ বলে ৩৯ রান করে দোয়েল আউট হলে জুটি ভাঙে।
তৃতীয় উইকেটে হারমানপ্রিত কাউরের সঙ্গে ৩১ রানের জুটি করেন ওপেনার মান্দানা। ২২ বলে ১২ রান করে হারমানপ্রিত আউট হলে আর কোনো জুটি হয়নি।
মান্দানা দলীয় ১৮৯ রানে আউট হন। ১০৯ বলে ১০৫ রানের (১৪ চার ও ১ ছক্কা) ইনিংস খেলেন তিনি। ১৮৯ রান থাকতেই আরও ২ উইকেট হারায় ভারত। শেষ দিকে ২৬ রানে ৭ উইকেট বিলিয়ে দিয়ে ২১৫ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা।
ভারতের হয়ে ২৬ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন অরুদ্ধতি রেড্ডি।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০০ ছক্কার মাইলফলকে পৌঁছেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে ছক্কার ডাবল-সেঞ্চুরি হাঁকালেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। বিশ্বের ৪১তম ক্রিকেটার হিসেবে এই রেকর্ড করেছেন তিনি।
গতকাল রোববার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে ৪৪ বলে ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ। এই ইনিংস খেলার পথে তিনটি করে চার ও ছক্কা হাঁকান ৩৮ বছর বয়সী তারকা। এতেই রেকর্ড গড়ে ফেলেন তিনি।
বাংলাদেশ ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে রোমারিও শেফার্ডকে ছক্কা মেরে মাইলফলক স্পর্শ করেন মাহমুদউল্লাহ।
২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করা মাহমুদউল্লাহর ছক্কার সংখ্যা এখন বরাবর ২০০। এসব ওভার-বাউন্ডারি হাঁকাতে তাকে খেলতে হয়েছে মোট ৪৩০ ইনিংস। এর মধ্যে টেস্টে ২৪টি, ওয়ানডেতে ৯৯টি ও টি-টোয়েন্টিতে ৭৭টি ছক্কা হাঁকান মাহমুদউল্লাহ।
তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাঁকানোর তালিকায় দ্বিতীয়স্থানে আছেন তামিম ইকবাল। ৪৪৮ ইনিংসে ১৮৮টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন বাঁহাতি টাইগার ওপেনার।
ছক্কা হাঁকানোর তালিকায় তৃতীয় বাংলাদেশি হলেন মুশফিকুর রহিম। ৫২১ ইনিংসে ১৭৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন ডানহাতি অভিজ্ঞ উইকেটকিপার ব্যাটার। ৪৯১ ইনিংসে ১৩৫ ছক্কা হাঁকিয়ে চতুর্থ স্থানে আছেন বাঁহাতি টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
সেরা ৫ জনের মধ্যে আছেন লিটন দাস। তিনি হাঁকিয়েছেন ১১৯টি ওভার-বাউন্ডারি। সৌম্য সরকার ১০৯ ও মাশরাফি বিন মর্তুজার ছক্কা ১০৭টি।
দেশি ক্রিকেটারদের ছাড়িয়ে গেলেও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ছক্কা হাঁকানোয় অনেক পিছিয়ে মাহমুদউল্লাহ।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ডটি ভারতীয় ব্যাটার রোহিত শর্মার নামের পাশে লেখা। ডানহাতি মারকুটে এই ব্যাটার ক্যারিয়ার জুড়ে হাঁকিয়েছেন ৬২৪টি ছক্কা। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল ৫৫৩, পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি ৪৭৬ টি ছক্কা হাঁকান।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে গ্লোবাল সুপার লিগে যেন দেখা দিলেন অন্য এক সৌম্য সরকার। সেই ক্যারিয়ারের শুরুর মতো চোখ জুড়ানো মারকুটে ব্যাটিং, ফাইনালের মতো কঠিন ম্যাচেও খেললেন বিধ্বংসী ইনিংস। হলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, হাতে নিলেন সিরিজসেরার পুরস্কার।
প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে গ্লোবাল সুপার লিগের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়াকে ৫৬ রানে হারিয়ে প্রথম আসরেই শিরোপা জিতেছে রংপুর রাইডার্স। শিরোপাজয়ের অন্যতম কারিগর সৌম্য।
ফাইনালে সৌম্য ৫৪ বলে ৭ চার আর ৫ ছক্কায় খেলেন ৮৬ রানের হার না মানা ইনিংস। যে ইনিংসে ভর করেই ৩ উইকেটে ১৭৮ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করায় রংপুর। জবাবে ভিক্টোরিয়া অলআউট হয় ১২২ রানেই।
সবমিলিয়ে টুর্নামেন্টে ৫ ম্যাচ খেলে সৌম্য ৪৭ গড়ে করেছেন ১৮৮ রান। স্ট্রাইকরেটও বেশ ভালো, ১৪২.৪২। ফিফটি দুটি, ছক্কা মেরেছেন ৯টি।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
একটা সময় ফাস্ট বোলারদের কতই না অভাব ছিল বাংলাদেশের। বাউন্সি পিচেও কোয়ালিটি পেসারের শূন্যতা অনুভব করতো টাইগাররা।
ছয় বছর আগে জ্যামাইকায় দক্ষ ফাস্ট বোলারের অভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান (দুই ইনিংস মিলিয়ে ৬/৬৩) ও মেহেদী হাসান মিরাজের (৭/১৩৮) দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও আবু জাইদ রাহি আর কামরুল ইসলাম রাব্বির জেন্টাল মিডিয়াম পেস দিয়ে ক্যারিবীয়দের বধ করা সম্ভব হয়নি।
এখন নাহিদ রানার ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে অবিরাম বল করা, হঠাৎ হঠাৎ প্রচণ্ড গতির বাউন্সার সামলাতে ব্যতিব্যস্ত ছিল ক্যারিবীয় ব্যাটাররা। তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদের ১৪০ কিলেমিটার গতির সাথে সুইংয়ের মিশেল সামলানোও ছিল কঠিন কাজ।
ক্যারিবীয় ব্যাটাররা মূলত ফাস্ট বোলিং তোপ সামলাতে না পেরেই প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪৬ রানে অলআউট হয়। ২১ বছরের তরুণ রানা একাই শিকার করেন ৫ উইকেট।
তাইজুল ইসলাম ফিনিশিং টাচ (দ্বিতীয় ইনিংসে ৫/৫০) দিলেও অনেকেই রানার প্রথম স্পেলের ওই আগুন ঝরানো বোলিং স্পেলকেই খুব করে দেখছেন। টেস্ট শেষে রানাকে নিয়েই বেশি কথা। ডানহাতি পেসারের বোলিংয়ের প্রশংসাই সবার মুখে।
কিন্তু জাতীয় দলের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করা খালেদ মাহমুদ সুজন কাউকে একক কৃতিত্ব দিতে চান না। বিসিবির পদত্যাগ করা এই পরিচালক মনে করেন রানা একা নন; তাসকিন, হাসান মাহমুদও টেস্ট জয়ে রেখেছেন বড় অবদান।
সুজনের মতে, তিন ফাস্ট বোলারই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটারদের ক্রমাগত চাপে রেখেছেন। তাদের বোলিংটাই জ্যামাইকায় গড়ে উঠেছে টাইগারদের জয়ের ভীত।
জাতীয় দলের সাবেক ম্যানেজার ও সাবেক টিম ডিরেক্টর বলেন, ‘আমি জ্যামাইকা টেস্ট দেখে খুব অভিভূত। অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছে বলবো না। কিন্তু যদি দেখেন- পেস বোলারদের মধ্যে হাসান মাহমুদ, তাসকিন আর নাহিদ রানা তিনজনই দারুণ বোলিং করে ক্যারিবীয়দের কাছ থেকে সমীহ আদায় করে নিয়েছে। এ টেস্ট না খেললেও বাঁহাতি শরিফুল আছে ফাস্ট বোলিং ইউনিটে। সব মিলে ভালো একটি পেস বোলিং ইউনিট।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাসকিন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সিনিয়র বোলার হিসেবে দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করেছে। নাহিদ রানা আর হাসান মাহমুদ তাকে দারুণ সাপোর্ট দিচ্ছে। রানা খুবই তরুণ। মাত্র শিখছে। হাসানও তরুণ। তারও এখন ওপরে ওঠার সময়। সব মিলে ফাস্ট বোলিংয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ খুব ভালো।’
রানা ও হাসান মাহমুদকে নিয়ে কেন উচ্ছাস প্রকাশ করলেন না- এর উত্তর দিতে গিয়ে সুজন বোঝানোর চেষ্টা করেন, রানা ও হাসান মাহমুদ দুজনই তরুণ। বয়সে নবীন। তাদের পারফরম্যান্সে দারুণ সন্তুষ্ট তিনি। কিন্তু এখনই দুই তরুণকে নিয়ে বাড়তি উচ্ছাস প্রকাশের কিছু নেই বলে মনে করেন তিনি।
সুজনের ব্যাখ্যা, ‘আমার মনে হয়, নাহিদ রানা ও হাসান দুজনই বয়সে নবীন। দারুণ কাজ করছে। দলে অবদান রাখছে। ফাস্ট বোলার হিসেবে প্রতিপক্ষ শিবিরে ভয় ধরানো, সমীহ জাগানো ও ব্রেকথ্রু দেওয়া সবই করে দেখাচ্ছে রানা ও হাসান। কিন্তু আমি মনে করি, এর চেয়ে অনেক ভালো কিছু করার সামর্থ্য আছে নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদের। ওরা এখনই ম্যাচ উইনার।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, তারা সবে ম্যাচ জেতানো শুরু করেছে। ভবিষ্যতে আরও অনেক ম্যাচ জেতাবে। আমার বিশ্বাস, দুজনই অনেক দূর যাবে। এক সময় রানা আর হাসানের হাত ধরেই আমরা জিতবো। বাংলাদেশের সত্যিকার ম্যাচ উইনার হওয়ার সব যোগ্যতা ও সামর্থ্য আছে দুজনেরই। অল্প কয়টা টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা। আরও টেস্ট খেলবে। অভিজ্ঞতা বাড়বে। ম্যাচ কন্ডিশনে করণীয় ও নিজেকে মেলে ধরার ক্ষমতাও বাড়বে।’
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
২০০৯ সালের জুলাই। বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের স্মরণীয় মাস। গ্রেনেডার সেইন্ট জর্জে দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। সঙ্গে সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটে অন্যতম মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলে টাইগাররা। সাকিব আল হাসান ও রকিবুলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জিতে তারা (২-০)। শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজই নয়, বিদেশের মাটিতে এটিই ছিল বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়।
ওই সফরের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে আরও ৩ বার খেলতে যায় বাংলাদেশ। এসব সফরে মোট খেলে মোট ৬টি টেস্ট। কিন্তু একবারের জন্যও টাইগারদের মুখে ম্যাচ জয়ের আনন্দের রেখা ফুটেনি। অথচ পার হয়ে গেছে ১৫ বছর বা দেড় দশক।
দীর্ঘ দেড় দশক অপেক্ষার পর বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে এসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আবারও টেস্ট ম্যাচ জিতলো বাংলাদেশ। কিংস্টনে দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্টে ক্যারিবীয়দের ১০১ রানে হারিয়েছে টাইগাররা। স্বাগতিকদের হারানোর নায়ক এবার জাকের আলী অনিক ও তাইজুল ইসলাম। এবার অবশ্য ক্যারিবীয়দের সিরিজ হারাতে পারেনি টাইগাররা। তবে ধবলধোলাই এড়িয়ে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করতে পেরেছে।
২০০৯ সালের জুলাই আর ২০২৪ সালের ডিসেম্বর, এই লম্বা সময়ে দুই দলের মধ্যে এসেছে নানান পরিবর্তন।
এক সময় বাংলাদেশ দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন পঞ্চপাণ্ডব। সেই পাঁচজনের মধ্যে চারজন- সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, তামিম ইকবাল খেলেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষবার সিরিজ জয়ের ম্যাচে। শেষ টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে বল হাতে ৮ উইকেট আর ব্যাট হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৯৬ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন সাকিব।
এবারের জয়ে পঞ্চপাণ্ডবদের কেউ দলে নেই। মুশফিকের খেলার কথা থাকলেও ইনজুরির কারণে খেলেননি। সে হিসেবে এটি নতুন এক বাংলাদেশ। এটি ছিল তরুণদের বাংলাদেশ। এবার জয়ের নায়ক বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ৫০ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন তিনি। তার আগে ক্যারিয়ারসেরা ৯১ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন জাকের আলী অনিক।
অন্যদিকে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটের ছিল বেহাল দশা। অর্থ সংকটে জর্জরিত ছিল দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। ভালো ক্রিকেটার নিয়ে দল গোছাতে হিমশিম খেতে হয়েছিল তাদেরকে। বোর্ডকর্তারাও ছিলেন দুর্নীতিগ্রস্থ। মাঠ ও মাঠের বাইরে ছিল অস্বস্তি। সব মিলিয়ে দূর্বলতম এক দল নিয়ে টাইগারদের বিপক্ষে ওই সিরিজ খেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
কালের পরিক্রমায় এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের সেই সংকট কেটে গেছে। এখন বেশ ভালোভাবেই চলছে দেশটির ক্রিকেট যাত্রা। অর্থাৎ ১৫ বছরের ব্যবধানে নতুন ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলেছে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের সাজানো-গোছানো দলের বিপক্ষে জয় পাওয়ার তৃপ্তিটাও বেশি এবার।
তাই বলা যায়, ১৫ বছরের ব্যবধানে দুই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
ক্লাবের ১২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, ঘরের মাঠের দর্শকদের সামনে আনন্দ উদযাপনের সবরকম প্রস্তুতিই নিয়ে রেখেছিল বার্সেলোনা। তৈরি ছিল নতুন মাসকটও। প্রতিপক্ষ লা লিগার তলানির দিকের দল লাস পালমাস, জয়টা বলতে গেলে নিশ্চিতই ছিল।
কিন্তু এমন রাতে বার্সার উদযাপনের আনন্দ মিলিয়ে গেল অপ্রত্যাশিত অথচ বিভীষিকাময় হারে দগদগে অন্ধকারে। ঘরের মাঠে লাস পালমাসের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেল লা লিগার টেবিল টপাররা। লা লিগায় টানা তিন ম্যাচ জয়শূন্য রইলো হ্যান্সি ফ্লিকের দল।
লাস পালমাসের বিপক্ষে সেই হারের ক্ষত এখনো স্পষ্ট বার্সেলোনার। অনাকাঙ্ক্ষিত হারকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না কোচ ফ্লিক। সামনের ম্যাচগুলোতে যেন এমন অপ্রত্যাশিত অভিজ্ঞতা নিতে না হয়, সেজন্য কঠিন প্রতিজ্ঞাও করে নিয়েছেন তিনি। লা লিগায় নিজেদের পরবর্তী ম্যাচ মায়োর্কার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে জরুরি সভা ডেকেছেন তিনি।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, স্কোয়াডের ফুটবলারদের সঙ্গে জরুরি সভা ডেকেছেন কোচ ফ্লিক। সভায় লাস পালমাসের বিপক্ষে ম্যাচে ফুটবলার পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। অনুশীলনের সময় থেকে এক ঘণ্টা নিয়ে এ সভা ডাকেন জার্মান মাস্টারমাইন্ড।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবার্ট লেওয়ানডস্কিকে স্কোয়াড থেকে আলাদা করে নিয়ে সামনাসামনি ও নিরিবিলি কথা বলেছেন ফ্লিক। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১৫ গোল করা এই তারকাকে ছন্দে ফেরাতেই যত চেষ্টা বার্সা কোচের। এছাড়া অন্যদের সঙ্গে একান্তে আলাপ করেছেন তিনি। বিশেষ নজর ছিল ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনহার দিকে।
লাস পালমাসের বিপক্ষে গোল করতে পারেননি লেওয়ানডস্কি। এর আগে রিয়াল সোসিয়েদাদের ম্যাচে গোলহীন ছিলেন তিনি। তবে সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্রয়ের ম্যাচে গোল পেয়েছিলেন পোল্যান্ড ফরোয়ার্ড।
এখনো লা লিগার নেতৃত্ব দিচ্ছে বার্সেলোনা। ১৫ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে কাতালানরা। ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে বার্সার ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে রিয়াল মাদ্রিদ। যদিও রিয়ালের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলেছে বার্সা।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
জয় ছিল স্বপ্নের মতো। অধরা স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে কতটা পরিশ্রম করতে হয়, সেটা নতুন করে উপলব্ধি করলো ব্রাজিলের ক্লাব বোতাফাগো। লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে মর্যাদাবান ক্লাব প্রতিযোগিতা কোপা লিবারর্তেদোরসের ফাইনাল ম্যাচে প্রায় পুরোটা সময়ই যে তাদেরকে খেলতে হয়েছে ১০ জনের দল নিয়ে!
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের ৩০ সেকেন্ডেই ১০ জনের দলে পরিণত হয় বোতাফাগো। শেষ পর্যন্ত লাতিন আমেরিকার ক্লাবগুলোর শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে আরেক ব্রাজিলিয়ান ক্লাব অ্যাতলেটিকো মিনেইরোর বিপক্ষে তাদের ৩-১ গোলে জয়টি ছিল অবিশ্বাস্য। এ যেন লক্ষ্যের সঙ্গে একাট্টা আর অনিশ্চিত যাত্রা শেষে পূর্ণিমার চাঁদ হাতে পাওয়ার মতোই অনুভূতি।
শনিবার আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আইরেসের মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে মিনেইরোকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো কোপা লিবারর্তেদোরস শিরোপা জেতে বোতাফাগো। দুর্দান্ত জয়ে ২০২৫ সালের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপেও জায়গা নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল সিরিআর ক্লাবটি।
ম্যাচের ৩০ সেকেন্ডে বাজে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন বোতাফাগোর মিডফিল্ডার গ্রিগোর। উড়ন্ত কিক নিতে গিয়ে মিনেইরোর ফুটবলার ফাউসতো ভেরার মাথায় আঘাত করেন তিনি। সেই আঘাতে ভেরার মাথা থেকে রক্তক্ষরণ হতেও দেখা যায়।
বোতাফাগো ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার সুযোগে আক্রমণের ধার বাড়ায় মিনেইরো। তবে বোতাফাগোই আগে গোল পেয়ে যায়। ৩৫ মিনিটে লুইস হেনরিকের গোলে এগিয়ে যায় ক্লাবটি।
৯ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করে বোতাফাগো। পেনাল্টি থেকে গোলটি করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ডিফেন্ডার অ্যালেক্স তেল্লেস। বক্সের ভেতর আগুয়ান হেনরিককে ফাউল করেন মিনেইরোর গোলরক্ষক এভারসন। ফলে স্পটকিকের বাঁশি বাজান রেফারি।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই মিনিটের মাথায় ব্যবধান কমায় মিনেইরো (২-১)। গোল করেন বদলি খেলোয়াড় এদুয়ার্দো ভার্গাস। কর্নার হেড করে বোতাফাগো জালে বল জমা করেন চিলির এই ফুটবলার।
ম্যাচের ৭ মিনিট বাকি থাকতে মিনেইরোর কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন জুনিয়র সান্তোস। এতে বোতাফাগোর জয় নিশ্চিত হয় ৩-১ ব্যবধানে।
আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে হবে ফিফার ক্লাব বিশ্বকাপ। বিশ্বের অন্যান্য বড় ক্লাবগুলোর সঙ্গে থাকবে বোতাফাগো। ৩২ দলের এই টুর্নামেন্টে খেলবে লিওনেল মেসিদের ক্লাব ইন্টার মিয়ামিও। আগামী বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্টের মিয়ামিতে গ্রুপ পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
চেয়ারম্যান: এস.এইচ. শিবলী ।
সম্পাদক, প্রকাশক: জাকির এইচ. তালুকদার ।
হেড অফিস: ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ ।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বাড়ি নং ২, রোড নং ৩, সাদেক হোসেন খোকা রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা ১০০০ ।
ফোন: 01558011275, 02-৪৭১২২৮২৯, ই-মেইল: dtvbanglahr@gmail.com
|
|
|
|