কোভিড মহামারীকালীন সময়ে নারুটো সিটি বন্ধুত্বের শহর নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশনের জন্য উপহার হিসাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী (ফেস শিল্ড -৩১২০ পিস, ডিসপোজেবল নাইট্রিল গ্লোভস -২০০০০ পিস, পাউডার সফট ড্রিঙ্ক ১০০০ প্যাক, বোনা মুখের মুখোশ-১০৫২৯ পিস) প্রেরণ করেছে। গতকাল সোমবার সকালে নোভো কনভেনসন হলে, নোভা কার্গো সার্ভিসেস লিমিটেড আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নওকি নারায়ণগঞ্জ শহরের জন্য মেয়র ডাঃ সালিনা হায়াতআইভির কছে এসব সামগ্রী হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এমএএস কনসালট্যান্টসের সভাপতি জনাব আনোয়ার শহীদ। নারুটো সিটির প্রতিনিধি সাগাওয়া কোজি, জাপানের বিজনেস ডেলিগেটস, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, এলজিইডি কর্মকর্তাবৃন্দ, এমএএস কনসালট্যান্টস কর্মকর্তাগণ এবং অন্যান্যরা এই অনষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, এ বছরের শুরুর দিকে ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ সচিবালয়ের এলজিইডি মন্ত্রী জনাব তাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাথে জাপানের নুরুটো সিটির মধ্যে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ নগর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পাশে এই বন্ধুত্বের শহর চুক্তিটি জাপানের মারুশিসা গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব কিমিনোবু হীরাশির উদ্যোগে শুরু হয়েছিল। তিনি নারায়ণগঞ্জের আদমজী ইপিজেডে মারুশিসা প্যাসিফিক কোম্পানি লিমিটেডের উদ্যোক্তা এবং মেরুশিসা গ্রুপ থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারী।
কোভিড মহামারীকালীন সময়ে নারুটো সিটি বন্ধুত্বের শহর নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশনের জন্য উপহার হিসাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী (ফেস শিল্ড -৩১২০ পিস, ডিসপোজেবল নাইট্রিল গ্লোভস -২০০০০ পিস, পাউডার সফট ড্রিঙ্ক ১০০০ প্যাক, বোনা মুখের মুখোশ-১০৫২৯ পিস) প্রেরণ করেছে। গতকাল সোমবার সকালে নোভো কনভেনসন হলে, নোভা কার্গো সার্ভিসেস লিমিটেড আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নওকি নারায়ণগঞ্জ শহরের জন্য মেয়র ডাঃ সালিনা হায়াতআইভির কছে এসব সামগ্রী হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এমএএস কনসালট্যান্টসের সভাপতি জনাব আনোয়ার শহীদ। নারুটো সিটির প্রতিনিধি সাগাওয়া কোজি, জাপানের বিজনেস ডেলিগেটস, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, এলজিইডি কর্মকর্তাবৃন্দ, এমএএস কনসালট্যান্টস কর্মকর্তাগণ এবং অন্যান্যরা এই অনষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, এ বছরের শুরুর দিকে ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ সচিবালয়ের এলজিইডি মন্ত্রী জনাব তাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাথে জাপানের নুরুটো সিটির মধ্যে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ নগর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পাশে এই বন্ধুত্বের শহর চুক্তিটি জাপানের মারুশিসা গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব কিমিনোবু হীরাশির উদ্যোগে শুরু হয়েছিল। তিনি নারায়ণগঞ্জের আদমজী ইপিজেডে মারুশিসা প্যাসিফিক কোম্পানি লিমিটেডের উদ্যোক্তা এবং মেরুশিসা গ্রুপ থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেলকলেজ ও হাসপাতালে স্থাপিত পিসিআর ল্যাবে সাময়িকভাবে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা বন্ধকরে দেয়া হয়েছে। রোববার থেকে ওই হাসপাতালের ল্যাবে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়া হয়। বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালেরপ্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডা. মো. আবু সাঈদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পিসিআর ল্যাবেরপ্রধান প্রফেসর জাকিউর রহমান এবং সমন্বয়কারী ডা. মো. আতিকুর রহমান করোনাভাইরাসে আক্রান্তহওয়ায় পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।
স্টাফ রিপোর্টার: তরুণ জীবপ্রযুক্তিবিদ হিসেবে প্রথম পুরস্কার পেল কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের কৃতি সন্তান ড. মো. আমিরুল ইসলাম। তিনি উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের দশবাহা গ্রামের বিশিষ্টজন মো. আব্দুল কুদ্দসের পুত্র এবং গুনবতী উচ্চ বিদ্যালয় ও গুনবতী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি, বিশিষ্ট সমাজসেবক আলী হোসেন পণ্ডিত ও রেভা এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী আবুল কালাম আজাদের ভাগিনা। এছাড়া ড. মো. আমিরুল ইসলাম বিশিষ্ঠ সমাজ সেবক, দেশ-খ্যাত বিআরবি কেবলস, ইস্টার্ণ কেবলস এর পরিচালক মো. মফিজুর রহমানের ভাতিজা। চৌদ্দগ্রামের কৃতি সন্তান ড. মো. আমিরুল ইসলাম সদ্য সমাপ্ত “তরুন জৈব প্রযুক্তি সম্মেলন-২০২০” এ সারা বিশ্বে গবেষণারত তরুন বাংলাদেশি জৈব প্রযুক্তি বিজ্ঞানিদের মধ্য থেকে মনোনীত বাংলাদেশের সেরা দশ জন তরুন জৈব প্রযুক্তি বিজ্ঞানির মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে পুরস্কার লাভ করেছেন। শিক্ষা জীবনে ড. মো. আমিরুল ইসলাম উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের গুনবতী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও গুনবতী ডিগ্রী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করার পর সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জৈব প্রযুক্তি ও জিন প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি বৃত্তি পেয়ে মালয়েশিয়ার একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃতিত্বের সাথে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি কানাডার কুইবেকের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক হিসাবে কর্মরত আছেন। কানাডা, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর লেখা ৩০ টিরও বেশী গবেষণা আর্টিকেল আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়। এছাডাও তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহন করে ১০ টিরও বেশী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী জুলাই মাসে আমেরিকার মিয়ামিতে একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহন করার কথা রয়েছে তাঁর।
স্টাফ রিপোর্টার॥ সরকারের বড় নির্মাণ কর্মের ঠিকাদার যারা তাদের উপর চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ডের অনেক দায়িত্ব অর্পণ করা থাকে। কিন্তু এমন ঠিকাদারদের মধ্যে কেউ যদি কোনো কারণে মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলে থাকেন তাহলে তারউপর অর্পিত দায়িত্বের সাথে সরকারে সংশ্লিষ্ঠ অংশের উন্নয়র স্থবির এবং অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এ পর্যায়ে মেসার্স জি.কে বিল্ডার্সের মালিক এবং ঠিকাদার এস.এম. গোলাম কিবরিয়া শামীম গ্রেফতার হয়ে জেলে থাকার কারণে সরকার থেকে নির্মাণের জন্য পাওয়া তার বিশাল নির্মাণ কর্মযজ্ঞ থেমে আছে। আর এরই সাথে থেমে আছে বর্তমান সরকারের এই অংশের উন্নয়ন কর্মকান্ড। শুধু তাই নয় সংশ্লিষ্ঠ প্রকল্প সমুহের সাথে জড়িত রয়েছে নির্মাণে ব্যবহৃত বিভিন্ন পর্যায়ের সাপ্লাইয়ারদের বকেয়া এবং সরবরাহের কাজ। সরকারের এই শতশত কোটি টাকার নির্মাণ কাজ সম্পন্নের জন্য জি.কে বিল্ডার্সের সাথে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে হাজার হাজার পরিবার যারা অনিশ্চিত বেকারত্নের কবলে পড়ে দুর্বিসহ জীবন নির্বাহ করছে। অন্যদিকে এধরনের বড় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে আর্থিক খাতের গুরুত্বপূর্ণ সংশ্লিষ্ঠতা থাকার কারণে সেখানেও নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হবে। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য মতে, ১৯৯৪ সালে গণপূর্ত অধিদপ্তরের তালিকা ভুক্ত হয় জি.কে বিল্ডার্স। ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে সরকারের অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও বিভিন্ন ভবন মান নিশ্চিত করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হস্তান্তর করে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। এদের হস্তান্তর করা কাজের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে -ঢাকার আগারগাঁওস্থ ২টি বেইজমেন্ট সহ ১২-তলা বিশিষ্ট জাতীয় অর্থোপেডিক ও পূনর্বাসন (নিটোর/পঙ্গু হাসপাতাল) এর নব নির্মিত ২টি ভবন, ঢাকার মহাখালীস্থ শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রেলিভার হাসপাতালের মূল ভবন সহ আরো ৪টি কোয়ার্টার ভবন নির্মাণ, ঢাকার বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের কয়েকটি ভবন নির্মাণ, ঢাকার আগারগাঁওয়ে ২টি বেইজমেন্ট সহ ১২তলা বিশিষ্ট মেডিসিন ল্যাবরেটরি এন্ড রেফারেল সেন্টারের ভবন নির্মাণ, ঢাকার আগারগাঁওয়ে ১২তলা বিশিষ্ট জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘর ভবন নির্মাণ, মুন্সিগঞ্জে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফ কলেজের অভ্যন্তরে ৭টি ভবন নির্মাণ, গাজিপুর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে হাসপাতাল ভবন নির্মাণ, মিরপুরে ফায়ার সার্ভিসের অভ্যন্তরে বার্ণ ট্রিটমেন্ট হাসপাতাল ভবন নির্মাণ, ঢাকার তেজগাঁওয়ে রেজিষ্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণ, ঢাকার আগারগাঁওয়ে কারিগরী শিক্ষা অধিদপ্তরের মূল ভবন নির্মাণ, ঢাকার আগারগাঁওয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশন ভবনের উর্দ্ধমূখী সম্পধসারণ নির্মাণ, গাজীপুরে র্যাব ফোর্সেস ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ, ঢাকার আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব ভবন প্রথম পর্যায়ের নির্মাণ প্রভৃতি। তথ্য মতে, জি.কে বিল্ডার্সের একাধীক বড় নির্মাণ প্রকল্প গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বশরীরে উপস্থি হয়ে শুভ উদ্ধোধন করেছেন। পরে প্রতিষ্ঠানটি বড় আকারে কাজ করতে এককমালিকানা থেকে লিমিটেড প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয় এবং সরকারের ভিশন ২০২১ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ এর উন্নয়নমূলক বিভিন্ন অগ্রাধিকার প্রকল্পে নির্মাণ শুরু করে। যেখানে সরকারী নিয়ম মেনে প্রতিযোগিতামূলক ওপেন টেন্ডার ও ই-টেন্ডারের মাধ্যমে সর্বনিম্ম দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হয়ে নির্ধারিত সময়ে হস্তান্তরের জন্য দ্রুতগতিতে নির্মাণ কর্মকান্ড শুরু করে। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে -২য় পর্যায়ে জাতীয় রাজস্ব ভবনের হেড অফিস নির্মাণ প্রকল্প, র্যাব সদর দপ্তর নির্মাণ প্রকল্প, শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স প্রকল্পের অবশিষ্ট অংশ নির্মাণ, বাংলাদেশ সচিবালয়য়ের অভ্যন্তরে নতুন অফিস ভবন (কেবিনেট ভবন) ২০তলা বিশিষ্ট একসাথে ২টি ভবন নির্মাণ, বাংলাদেশ সচিবালয়ের অভ্যন্তরে নতুন ২০-তলা বিশিষ্ট অর্থ ভবন নির্মাণ, নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের ৩ টি বেইজমেন্টসহ ১৪-তলা বিশিষ্ট অফিস ভবন নির্মাণ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ভবনের উর্ধমূখী সম্পধসারন নির্মাণ, ঢাকার আজিপুরে সিনিয়র সচিবদের জন্য ২০ তলা ২টি আবাসিক ভবন নির্মাণ পকল্প যদিও এর নির্মাণ স্থল এখনো পাওয়া যায়নি, ঢাকার আগারগাঁওয়ে এনজিও ফাউন্ডেশনের ২ টি বেজমেন্টসহ ১৪ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ, মহাখালীতে এ্যাজমা হাসপাতালের উর্দ্ধমূখী সম্পধসারণ নির্মাণ প্রকল্প প্রভৃতি। এসব নির্মাণ কাজে দেশের অন্যতম শীর্ষ পর্যাযের প্রকৌশলীগণ নিযুক্ত রয়েছেন বলে তথ্যে জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য মতে, জিকে বিল্ডার্স এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের অসংখ্য জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও বিভিন্ন ভবন সুষ্ঠু, সঠিক ও সর্বোচ্চ, গুনগতমান সহকারে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে সম্পাদন করে সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে। সরকারী গুরুত্বপূর্ণ স্থপিনা ছাড়া প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এস.এম. গোলাম কিবরিয়া শামীম অন্য কোন নির্মাণ কাজ করতে তেমন আগ্রহ প্রকাশ করেন না বলে জানান এর কর্মকর্তারা। তাদের মতে, সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডে একাত্ব হয়ে ভূমিকা রাখার জন্য জিকে শামীম তার প্রাণপ্রিয় নেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সততা, দৃঢ়তা, কঠোর পরিশ্রম, ইস্পাাত কঠিন মনোবল ও ঈপ্সিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য দৃঢ় অঙ্গীকার প্রভৃতি তাকে আকৃষ্ট করে এবং তিনি তা প্রাণপনে অনুসরণ করার চেষ্টা করে এগোতে থাকেন। তথ্য মতে, এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম সমাজ সেবায় খুবই আন্তরিক, তার জেলা সহ বিভিন্ন এলাকায় মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ, কবরস্থান, গরীব-দুঃখী, কন্যাদ্বায়গ্রস্ত পিতামাতাদের আর্থিক সাহায্য প্রদান সহ নিভৃতে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃদিক কর্মকান্ডে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। এসব গৌরবময় কৃতিত্বের জন্য বিভিন্ন তিনি নানা সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এবং প্রসংশিত হয়েছেন বিভিন্ন ব্যাক্তি প্রতিষ্ঠান থেকে। তিনি রোইং ফেডারেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যালামনাই এসোসিয়েশন, প্যান-প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল হেলথ ক্লাব, নব-জাগরণ সমাজ কল্যাণ সংস্থা সহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্য। তাদের মতে, জিকে বিল্ডার্স সরকারের চলমান নির্মাণ প্রকল্পগুলোতে মান বজায় রেখে দ্রুত নির্মাণ বাস্তায়ন করে চলছিল। সরকারী অতি জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর অনেক অগ্রিম নির্মাণ কাজও সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী কর্মকর্তারা জানান, তাদের শেষ হওয়া কাজের অনেক বিলও বকেয়া রয়েছে। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটির একক ও যৌথ একাউন্টসহ সকল প্রকার ব্যাংক একাউন্ট অবরুদ্ধ করার কারনে তারা কোন বকেয়া বিলসহ খোরাকি পাচ্ছে না। ফলে তাদের পক্ষে সরকারী জনগুরুত্বপূর্ণ নির্মাণ প্রকল্পের কাজগুলো বাস্তবায়ন করা খুবই দুঃসাধ্যও কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এছাড়াও চলমান প্রকল্পগুলোর নির্মাণ কাজ প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তারা জানায়, জি.কে.বি এন্ড কোম্পানী প্রাইভেট লিমিটেড এ কর্মরত প্রায় ৮০০০ নির্মাণ শ্রমিকের দৈনিক খোরাকী, সাপ্লাইয়ার ও সাব-কন্টধাক্টরের বিল, প্রায় ৩০০ কর্মচারী ও কর্মকর্তারা বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। এতে সকল নির্মাণ শ্রমিক, সাপ্লাইয়ার, সাব-কন্টধাক্টর, কর্মচারী ও কর্মকর্তারা দুঃসহ, কষ্টকর ও মানবেতর জীবন-যাপন করছে। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত বিভিন্ন শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তা দুঃসহ ও মানবেতর জীবন যাপন থেকে মুক্তির লক্ষ্যে দেশরত্ন, মমতাময়ী ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি জি.কে.বি এন্ড কোম্পানী প্রাইভেট লিমিটেড এর সকল ব্যাংক একাউন্ট সচল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক: প্রাণঘাতী নোভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার (সোশাল ডিসটানসিং) জন্য বাংলাদেশের নাগরিকদের পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিনিধি বর্ধন জং রানা। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও করণীয় নিয়ে শনিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের বাসভবনে বৈঠকের পর একথা বলেন তিনি। এই ভাইরাস মোকাবেলায় এখন বাংলাদেশের প্রতি তাদের পরামর্শ কী- সাংবাদিকদের সে প্রশ্নের জবাবে বর্ধন জং রানা বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতি এরইমধ্যে ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার প্রারম্ভিক অবস্থা থেকে এগিয়েছে। এখন আমাদের ২০টি কেস ও দুজনের মৃত্যুর ঘটনা রয়েছে। এখন আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলছি। এক্ষেত্রে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি বলেন, “ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে। যেসব দেশ থেকে লোকজন বাংলাদেশে আসছিল তাদের অধিকাংশের আসা বন্ধ করা হয়েছে। এখন পরামর্শ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা অর্থাৎ অনেক মানুষের এক জায়গায় হওয়া উচিত হবে না। এর জন্য এরইমধ্যে সরকারের অনেক বৈঠক, অনুষ্ঠান বাতিল করার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব যাতে বজায় রেখে চলা হয় সেজন্য মনোযোগ দেওয়া ও শক্ত অবস্থান নেওয়া উচিত বলে তারা মনে করছেন। বাংলাদেশকে ‘লকডাউন’ করার পরামর্শ আছে কি না সে প্রশ্নের জবাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি বলেন, এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। আমরা যা বলছি তা হল, ডিসটানসিংয়ের ক্ষেত্রে আপনারা যদি তা করেন তাহলে এটা সংক্রমণকে ধীরগতির করবে। বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর গত ৮ মার্চ প্রথম বাংলাদেশে তিনজন এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। বাংলাদেশে শনিবার পর্যন্ত নভেল করোনাভাইরাসসৃষ্ট কভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ জনে পৌঁছেছে, আর এই রোগে মারা গেছেন দুইজন। করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ ঠেকাতে শনাক্ত রোগীদের সংস্পর্শে এসেছেন, এমন সবাইকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। বিদেশ ফেরত সবাইকে হোমে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক শনিবার জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ৫০ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন। আর বিদেশফেরতদের মধ্যে প্রায় ১৪ হাজার ২৬৪ জন হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই পরিস্থিতিতে আলোচনায় ডাকার জন্য মেয়র সাঈদ খোকনকে ধন্যবাদ জানান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি বর্ধন জং রানা। এর আগে গত বছর ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপের সময়ও তাকে ডাকা হয়েছিল বলে জানান তিনি। এ সময় মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, “বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি আগামী দিনে ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। তবে বাংলাদেশের মতো জনবহুল একটা দেশে কমপ্লিট লকডাউন ডিফিকাল্ট একটা বিষয়। তাছাড়া কত সময় পর্যন্ত লকডাউন থাকবে তার একটা বিষয় রয়েছে। কত সময় পর্যন্ত পারশিয়াল লকডাউন করা যায়, ঢাকা বা অন্য কোথাও বা ইমারজেন্সি লকডাউন করা যায় কি না, তা আজকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে আমাদের আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন ও জরুরি অবস্থার বিষয়গুলো সামনে আসছে। এটা তো আমরা বললে হবে না। এটা সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয় রয়েছে। সরকার যদি ভালো মনে করে তাহলে দেশ ও জনগণের স্বার্থে অবশ্যই এটা করতে পারে।
অনলাইন ডেস্ক: বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) খুলে দেয়া হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করবেন। ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে দেশের প্রথম এক্সপ্রেস হাইওয়ে। যেখানে মূল সড়কে থাকছে চারটি লেন। সঙ্গে সড়কের দুই পাশে থাকছে সাড়ে ৫ মিটার করে (একেক পাশে দুই লেন করে) দুটি সার্ভিস লেন। এই এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে টোল দিতে হবে সব ধরনের যানবাহনকে।এক্সপ্রেসওয়েটি চালু হলে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা যেতে সময় লাগবে মাত্র ৪২ মিনিট। ঢাকা থেকে মাওয়া যেতে সময় লাগবে মাত্র ২৭ মিনিট। এক্সপ্রেসওয়েটি চালু হওয়ার খবরে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের মাঝে আনন্দের বন্য বইছে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গার দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার। সদ্য নির্মিত এক্সপ্রেসওয়ে ধরে এ দূরত্ব পার হতে সময় লাগবে মাত্র ৪২ মিনিট। ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে যেতে সময় লাগবে ২৭ মিনিট। অবশ্য এখনই সরাসরি ভাঙ্গা পর্যন্ত যাওয়া যাবে না। পদ্মা সেতু হওয়ার পর এ সুফল ভোগ করা যাবে। তবে এখন ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত যাওয়া যাবে। ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের জুলাই মাসে। ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল এই প্রকল্পের। পদ্মার ওপার থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। বাকি ছিল ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার অংশের কাজ। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পে প্রথমে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬ হাজার ২৫২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। পরে সংশোধিত ডিপিপিতে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৮৯২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর বাইরে মূল প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয়নি এমন কিছু কাজের জন্য ২০১৮ সালের জুনে চার হাজার ১১১ কোটি টাকার আরেকটি পৃথক ডিপিপি অনুমোদন করে সরকার। এ ডিপিপি অনুযায়ী কাজের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। দুটি ডিপিপি মিলিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে মোট ব্যয় হচ্ছে ১১ হাজার ৩ কোটি টাকা। আট লেনের এই এক্সপ্রেসওয়েটি সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন-এসডব্লিউও (পশ্চিম)। মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা এমদাদুল হক বলেন, এক্সপ্রেসওয়েটি চালু হওয়ার খবরে আমরা খুবই আনন্দিত। এটি চালু হলে শিবচর থেকে ঢাকা যেতে অনেক সময় কম লাগবে। আগে যেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগতো, এখন থেকে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা ঢাকা জেতে পারবো। শরীয়তপুর জেলার বাসিন্দা বজলুর রহমান বলেন, আমরা দক্ষিণবঙ্গের মানুষ স্বাধীনতার পর থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেকটা পিছিয়ে ছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তিনি সাহসের সঙ্গে পদ্মা সেতু করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়কটি চালু হলে আমরা যোগাযোগের ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে যাব।মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েটি ১২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন। এক্সপ্রেসওয়েটি উদ্বোধন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি এক্সপ্রেসওয়েটি চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। পদ্মা সেতু চালু হলে এ স্বপ্ন শতভাগ পূরণ হবে।
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ভোজরগাতী গ্রামের দক্ষিন পাড়ার বাসিন্দা ফুল মিয়া। বর্তমানে ঠেলাগাড়িতে করে প্রতিদিন লাল শাপলা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। খুব ভোরে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন বিল থেকে তিনি তুলে আনেন লাল শাপলা। তারপর ঠেলাগাড়িতে ভর্তি করে লাল শাপলা নিয়ে আসেন গোপালগঞ্জ সদরে। ফুল মিয়া শহরের অলিতে-গলিতে গাড়ি ঠেলে ঠেলে বাসায়-বাসায় বিক্রি করেন লাল শাপলা। তার স্ত্রী ও চার ছেলে মেয়ে। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচসহ সংসার চলে এ লাল শাপলা বিক্রি করে। লাল শাপলা বিক্রেতা ফুল মিয়া বলেন, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাসায় বাসায় গিয়ে লাল শাপলা বিক্রি করে পাঁচ থেকে ছয়শত টাকা রোজগার করি। সংসার চালাতে খরচ অনেক। তবে লাল শাপলা বিক্রিতে শারীরিক পরিশ্রম আছে কিন্তু এতে চালান লাগেনা বিধায় যা আয় করি সেটাই লাভ। গোপালগঞ্জ সদরের পদ্মবিল, গাভীর বিল, কাজুলিয়ার ও বাজুনিয়ার বিল, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বেতাঙ্গির বিল, গোপালপুর, জোয়ারিয়া, পাথরঘাটা, রাখিলাবাড়ী, কোটালীপাড়া উপজেলার ছত্রকান্দা, ডুমুরিয়া বিল, কালিগঞ্জ, কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাট, ওড়াকান্দি এবং মুকসুদপুর উপজেলার উজানী, দীগনগর, কালীনগরসহ বিভিন্ন বিল ও জমিতে গিয়ে নৌকায় বা হেটে-হেটে লাল শাপলা তোলেন ফুল মিয়া। বেশি দূরে যাতে যাওয়া না লাগে সে জন্য ফুল মিয়া আগামী মৌসুমে বাড়ীর কাছে কয়েক বিঘা জমি বর্গা করে লাল শাপলা তৈরি করার সিদ্ধান্তও জানান আমাদের এ সংবাদদাতার কাছে। গোপালগঞ্জের অনেকেই বানিজ্যিকভাবে লাল শাপলার চাষ করছেন বলেও জানান ফুল মিয়া ।
অনলাইন ডেস্ক: দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বইতে শুরু করেছে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় থার্মোমিটারের পারদ নেমেছে ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ এবং টাঙ্গাইল ও কুষ্টিয়া জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার থেকে দুদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে ঢাকা খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তাতে তাপমাত্রা আরেকটু কমতে পারে। শৈত্যপ্রবাহ মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রা পেতে পারে। বুধবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাই এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আর ঢাকায় ওই সময় থার্মোমিটারের পারদ ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল। এবার পৌষের চতুর্থ দিনেই মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহের দেখা পায় বাংলাদেশ। ১৯ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গায় পারদ নামে ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসায় এবং দিনভর কুয়াশায় সূর্যের দেখা না মেলায় শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। তীব্র শীতে দুর্ভোগে পড়ে খেটেখাওয়া মানুষ, বৃদ্ধ ও শিশুরা। ২২ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করে। সোম ও মঙ্গলবার সূর্যের হাসি শীতার্ত মানুষের মনে এনে দেয় খানিকটা স্বস্তি। আবহাওয়াবিদরা আভাস দিয়েছিলেন, ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর হালকা বৃষ্টির পর ২৮ তারিখ থেকে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। কিন্তু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হল তার আগেই। শীতের মধ্যে ঘন কুয়াশায় ফেরি পারাপারে সমস্যা হয়েছে রাতে ও ভোরে। আর শীতজনিত রোগ নিয়ে দেশের হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ চলছে গত এক সপ্তাহ ধরেই। আবহাওয়া পরিবর্তনের ব্ষিয়টি মাথায় রেখে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের জরুরি বার্তা দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ঘন কুয়াশা ও শীতের সময়ে রাতে বীজতলা স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। তীব্র শীতে থ্রিপস পোকার আক্রমণ, চারা পোড়া ও ঝলসানো রোগের প্রকোপ থেকে কীভাবে বীজতলা বাঁচানো যাবে, সেই নির্দেশনাও রয়েছে ওই বার্তায়। কৃষি বিভাগ বলেছে, জমিতে থ্রিপস পোকার আক্রমণ হলে ইউরিয়া সার ব্যবহার করতে হবে। আক্রমণ বেশি হলে ম্যালাথিয়ন, আইসোপ্রোকার্ব, কার্বালিক, ক্লোরোপাইরিফস গ্রুপের অনুমোদিত কীটনাশক অনুমোদিত মাত্রায় ব্যবহার করা যেতে পারে। আর চারা পোড়া বা ঝলসানো রোগ দেখা দিলে বীজতলায় পানি ধরে রাখতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলিলিটার হারে আজোক্সিস্ট্রাবিন বা পাইরোকোস্ট্রাবিন জাতীয় ছত্রাকনাশক মিশিয়ে দুপুরের পরে বীজতলায় স্প্রে করতে হবে।
আওয়ামী লীগের একবিংশতম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নাচবেন বাংলাদেশের নৃত্যশিল্পের খ্যাতনামা জুটি শিবলী মোহাম্মদ ও শামীম আরা নীপা। সম্মেলনের কার্যক্রম জানাতে ওয়েবসাইট খুলেছে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দলটির সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে কী কী অনুষ্ঠান থাকছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী পায়রা উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। এর পর সাংস্কৃতিক পর্বে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা গান গাইবেন, শিল্পী আতাউর রহমানও থাকবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিবলী মোহাম্মদ ও শামীম আরা নীপা নৃত্য পরিবেশন করবেন। গত সম্মেলনে মতো এবার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কোনো ‘থিম সং’ রাখা হয়নি জানিয়ে আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক বলেন, “তাই এবার দেশবরেণ্য শিল্পীরাই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করবেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের দুই কিংবদন্তী কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা ও সাবিনা ইয়াসমিনের থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি। আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সম্মেলনের সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরতে এর মধ্যেই একটি ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে।
এম শিমুল খান, গোপালগঞ্জ থেকে: অবশেষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে শেষ পর্যন্ত ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হলেন গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন। পুলিশ পাহারায় রবিবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলো ছাড়েন তিনি। এ সময় তাকে উদ্দেশ করে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের ধারণা, উপাচার্য পদ থেকে ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগ বা তাকে অপসারণ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভিসি সাহেব রাত ৮টার দিকে তাকে ফোন করেন। তখন তিনি জরুরি অফিসিয়াল কাজে ঢাকা যাবেন বলে পুলিশ দিয়ে তাকে ক্যাম্পাস থেকে বাইরে নেওয়ার অনুরোধ করেন। পরে পুলিশ পাহারায় তাকে বাংলো থেকে বের করে আনা হয়। গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন পুলিশ পাহারায় বাংলো ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আমাদের তিনি অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন। তাই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার জন্য পুলিশ প্রটেকশন চেয়েছেন। আমরা তাকে পুলিশ প্রটেকশনে বাংলো থেকে বের করে এনেছি। তিনি কোথায় গেছেন তা আমাদের জানা নেই। তবে, শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, রোববার ইউজিসি ভিসিকে প্রত্যাহারের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ দেয়ায় তিনি রাতের বাংলো ছেড়েছেন। এখন তার পদত্যাগ সময়ের ব্যাপার বলেও তারা জানান। গত ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জিনিয়ার বহিষ্কার নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ১৮ সেপ্টেম্বর প্রশাসন তার বহিষ্কারাদেশ তুলে নিতে বাধ্য হয়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থীরা ভিসির বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ২১ সেপ্টেম্বর বহিরাগতরা হামলা করলে অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়। এরপর থেকে আন্দোলন আরও বেগবান হয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের এক দফার আন্দোলন অর্থাৎ ভিসির পদত্যাগ বা অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। আর সে অনুযায়ী গত ১১ দিন ধরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি নাসিরউদ্দিনের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতি ও নৈতিক স্খলন বিষয় খতিয়ে দেখতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করে ইউসিজি। কমিটিকে ছাত্র আন্দোলনের প্রকৃত ঘটনা এবং বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে সামগ্রিক তথ্যাদি সংগ্রহ করে প্রতিবেদন দাখিলের অনুরোধ করা হয়। ইউজিসি সদস্য ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি গত ২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নাসিরউদ্দিনের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের বক্তব্য গ্রহণ করেন। ভিসির বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি রোববার প্রতিবেদনটি ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. কাজী শহীদুল্লাহর কাছে জমা দেয়। পরে সেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইউজিসি চেয়ারম্যান। ইউজিসির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এবং ভিসি নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে ছাত্র অসন্তোষ দেখা যাওয়ায় তাকে প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো: সোহরাব হোসাইন সিলেটে থাকায় প্রতিবেদনের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ফরিদপুর সদর থানার ধূলদীতে এক ভয়াভহ বাস দূর্ঘনায় ঘটনাস্থলে ০৫ জন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরো একজন সহ মোট ৭ জন নিহত হয়েছে। অপরদিকে একই সময়ে বেলা অনুমান ২.৩০ ঘটিকায় নগরকান্দা উপজেলার তালমা নামক স্থানে অপর একটি দূর্ঘটনায় মা ও ছেলে নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও গতকাল শনিকার ৬.৫০ ঘটিকার দিকে ফরিদপুর সদর থানার কোমরপুর নামক স্থানে এক মোটর সাইকেল আরোহী বাস চাপায় নিহত হয়েছে। তিনটি সড়ক দূর্ঘটনায় মোট নিহতের সংখ্যা ১০ এবং আহতের সংখ্যা ২৫ জন।জানা যায় বেলা আড়াই টার দিকে গোপালগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কমফোর্ট পরিবহন বাসটি উল্লেখিত, স্থানে আসলে অসাবধানতা বশত ব্রীজের রেলিং ভেঙ্গে গভীর খাদে পড়ে যায়। এ সময় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। অপরদিকে, একই সময়ে নগরকান্দা উপজেলার তালমা মোড় এলাকায় একটি পরিবহন লোকাল বাসকে অতিক্রম করার সময় বাসের চাপায় মা ও ছেলে ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এ সময় লোকাল বাসটি অপর একটি মাহিন্দ্রকে চাপা দিলে আরো ০৫ জন যাত্রী আহত হয়।এ বিষয়টি ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র ষ্টেশন অফিসার মোঃ নুরুল আলম দুলাল এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। যাত্রীরা অনেক দূরত্বের হওয়ার কারনে তাৎক্ষনিক কারো নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
ডিজিটাল জালিয়াতি: ৭ বিদেশির বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা
অনলাইন েডস্ক:
সিআইডির এসআই প্রশান্ত কুমার শিকদার বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় সাত বিদেশির বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচার আইনে এই মামলা করেন। এই সাতজনই ইউক্রেনের নাগরিক। তাদের মধ্যে ছয়জন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই বিদেশিরাসহ সংঘবদ্ধ দেশি-বিদেশি জালিয়াতি চক্রটি ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলে তা স্থানান্তর করেছে, যা মানি লন্ডরিং আইনের ৪(২) ধারা অপরাধ।”সিআইডি আসামিদের হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য বের করার চেষ্টা করবে বলে জানান তিনি। গ্রেপ্তার বিদেশি ছয়চন হলেন দেনিস ভিতোমস্কি (২০), নাজারি ভজনোক (১৯), ভালেনতিন সোকোলোভস্কি (৩৭), সের্গেই উইক্রাইনেৎস (৩৩), শেভচুক আলেগ (৪৬) ও ভালোদিমির ত্রিশেনস্কি (৩৭)। পলাতক ব্যক্তি হলেন ভিতালি ক্লিমচুক। নজিরবিহীন জালিয়াতির মাধ্যমে খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের সামনে ডাচ বাংলা ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তোলার সময় এদের একজনকে এ মাসের শুরুতে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে পান্থপথের একটি হোটেল থেকে বাকি পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার পরপরই গত ২ জুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে খিলগাঁও থানায় একই আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করে ডাচ বাংলা কর্তৃপক্ষ। ওই মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে। ডিবি ছয় আসামিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতিও নিয়েছে। তবে তাদের এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। বাংলাদেশে এর আগে এটিএম বুথে জালিয়াতি হলেও এবারের ঘটনা ছিল পুরোপুরি ভিন্ন ধরনের। এক্ষেত্রে জালিয়াতরা এটিএম মেশিনের সিস্টেম হ্যাক করে টাকা তুলে নেয়। এর আগে গ্রাহকের কার্ডের তথ্য চুরি করে ক্লোন কার্ড বানিয়ে এটিএম বুথ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটলেও মূল সার্ভারকে অন্ধকারে রেখে কোনো নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট থেকে না নিয়ে বুথ থেকে টাকা বের করার ঘটনা বাংলাদেশে এটাই প্রথম।
অনলাইন ডেস্ক: নাটোরের লালপুরে বাস-লেগুনা সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। রবিবার সকালে বনপাড়া হাইওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক ইউছুফ আলী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- দুর্ঘটনা কবলিত লেগুনার মালিক, চালক, সহকারী, লেগুনা মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং বাসের চালক ও মালিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে লেগুনা চালক ও তার সহকারী দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। প্রসঙ্গত, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় বাস ও লেগুনার সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ২০ জন। শনিবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার ক্লিক মোড়ে নাটোর-পাবনা মহাসড়কে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই লেগুনার যাত্রী।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় ডাকাতি রোধে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের দুই পাশের জঙ্গল স্বেচ্ছায় পরিষ্কার অভিযান শুরু হয়েছে। মুকসুদপুর উপজেলার কানুরিয়া পল্লীমঙ্গল ক্লাবের উদ্যোগে পরিষ্কার অভিযান শুরু করা হয়। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদী থেকে দিগনগর পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটারে প্রতিনিয়তই ডাকাতি, ছিনতাই ও খুনের ঘটনা ঘটে। রবিবার দুপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের দুই পাশের জঙ্গল স্বেচ্ছায় পরিষ্কার অভিযানে মুকসুদপুরের সিন্দিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন, দিগনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ আলী, রাঘদী ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, এএসআই ইসলাম সরদার, কানুরিয়া পল্লীমঙ্গল ক্লাবের সভাপতি আলমগীর হোসেনসহ ক্লাবের সদস্যরা ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। এলাকাবাসী জানায়, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের দুই পাশের ফাঁকা জায়গা বন-জঙ্গলে ঘেরা থাকায় ডাকাতরা বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের উপর হামলা করে মূল্যবান সম্পদ ডাকাতি করে আসছে। সড়কের দুই পাশের জঙ্গল পরিষ্কার করলে ডাকাতিরোধ করা সসম্ভব হবে। তাই এলাকাবাসী পরিষ্কার অভিযানে অংশ নিয়েছে। কানুরিয়া পল্লীমঙ্গল ক্লাবের সভাপতি আলমগীর হোসেন জানান, বিগত এক বছরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাঘদী থেকে দিগনগর পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকা ফাঁকা ও বন-জঙ্গল ঘেরা। ডাকাতরা ডাকাতির আগে সড়কের পাশের জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে থাকে। পরে সুযোগ পেয়ে পথচারী, বাস, ট্রাক চালকদের উপর হামলা চালায়। ফলে এখানে প্রায় সময় ডাকাতি, ছিনতাই ও খুনের ঘটনা ঘটে। তাই ডাকাতিরোধে মহাসড়কের দুই পাশের জঙ্গল স্বেচ্ছায় পরিষ্কার অভিযানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সিন্দিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন জানান, কানুরিয়া পল্লীমঙ্গল ক্লাব যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা প্রসংশনীয়। পুলিশ তাদের সঙ্গে থেকে অভিযান সফলের চেষ্টা করছে।
আজ সকাল ১০টার পর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
মাদ্রাসা, কারিগরিসহ ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার পাসের হার ৬৬ দশমিক ৬৪। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৯ হাজার ২৬২ জন শিক্ষার্থী।
মেক্সিকোতে রবিবার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন বামপন্থী প্রার্থী আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ অবরাদোর। বুথ ফেরত ভোটের জরিপ থেকে এ তথ্য জানা যায়। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
খবরে বলা হয়, মেক্সিকো সিটির সাবেক মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন অবরাদোর। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট তিনটি প্রতিষ্ঠান তার জয়লাভের কথা জানিয়েছে।
সংবাদপত্র এল ফিনানসিরোর বুথ ফেরত জরিপে বলা হয়, অবরাদোর ৪৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। অপরদিকে রক্ষণশীল দলের প্রার্থী রিকার্ডো আনায়া ২৭ শতাংশ এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী জোসে অ্যান্তোনিও মিয়াদে মাত্র ১৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচন সংস্থা মিতোফস্কি ও স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন ক্যাবিনেট বুথ ফেরত ভোটের জরিপে প্রায় একই ধরনের ফলাফল জানিয়েছে। সকল প্রতিষ্ঠানই তাদের জরিপে এ প্রথম দফার নির্বাচনে ৪০ শতাংশের বেশী ভোট পেয়ে লোপেজ অবরাদোর বিজয়রে কথা জানিয়েছে।