জিএম কাদের-চুন্নুকে বহিষ্কার করলেন রওশন এরশাদ
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে অব্যাহতি দিয়ে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেছেন দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। পাশাপাশি কাজী মামুনুর রশীদকে পার্টি মহাসচিব হিসেবে ঘোষণা করেন।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে গুলশানে রওশন এরশাদের বাসায় এক সভার আয়োজন করেন তিনি। এ সময় দলের বহিষ্কার, প্রত্যাহার হওয়া নেতাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেন।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য নেতৃত্ব ও ভুল সিদ্ধান্তের কারণে অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে জাতীয় পার্টির তৃণমূল নেতাকর্মীরা। জাতীয় পার্টিতে এখন ক্রান্তিকাল বিরাজ করছে। দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও কো- চেয়ারম্যান হওয়ায় আমি বেগম রওশন এরশাদ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে অব্যাহতি দিয়ে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেছেন দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। পাশাপাশি কাজী মামুনুর রশীদকে পার্টি মহাসচিব হিসেবে ঘোষণা করেন।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে গুলশানে রওশন এরশাদের বাসায় এক সভার আয়োজন করেন তিনি। এ সময় দলের বহিষ্কার, প্রত্যাহার হওয়া নেতাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেন।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য নেতৃত্ব ও ভুল সিদ্ধান্তের কারণে অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে জাতীয় পার্টির তৃণমূল নেতাকর্মীরা। জাতীয় পার্টিতে এখন ক্রান্তিকাল বিরাজ করছে। দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও কো- চেয়ারম্যান হওয়ায় আমি বেগম রওশন এরশাদ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ইলেকশন এক্সপার্ট টিম। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ভার্চুয়ালি এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শায়রুল বলেন, বৈঠকে বিএনপি নেতাদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ যুক্ত ছিলেন।
ইইউ ইলেকশন এক্সপার্ট টিমের প্রতিনিধিদের মধ্যে ডেভিড নোয়েল ওয়ার্ড, আলেকজান্ডার ম্যাটাস, সুইবেস শার্লট এবং রেবেকা কক্স বৈঠকে অংশ নেন।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের এক যৌথসভা আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগামীকাল বিকেল সাড়ে ৩টায় এ যৌথসভা অনুষ্ঠিত হবে। সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
নিজেদের মনের শান্তির জন্য বিএনপি নেতারা আবোল তাবোল কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় সেতু ভবনের সভাকক্ষে সেতু বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি বলছে নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতারা ভয়ে আছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, তারা ইলেকশন করতে দেবে না বলেছিন, তারপরও নির্বাচন হয়েছে। তারা ভয়ের কোনো কারণ না। তারা আতঙ্ক সৃষ্টি করে গুপ্তহত্যা, গুপ্ত আক্রমণ, অগ্নি সন্ত্রাস করছে। ট্রেনে আগুন দিয়ে কীভাবে তারা মা-সন্তানকে পুড়িয়ে মারলো। বাসে হেলপারদের মারলো, পুলিশ পিটিয়ে মারলো। এমন অপকর্ম যারা করে তারা কে কী বললো, সেটা আমরা কিছু মনে করি না।
কাদের বলেন, তারা বলেছিল ইলেকশন করতে দেবে না, আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ইলেকশন করেছি। কিছু ঘটনা, সহিংসতা হয়েছে। কিন্তু বিএনপি যেটা ভেবেছিল, সেরকম কিছু আসলে হয়নি। নির্বাচনে ভোটের হার ৪১.৮০। অথচ তাদের দাবি জনগণ সাড়া দিয়েছে। কিন্তু জনগণ তাদের কথায় কান দেয়নি। কেউই মাথা ঘামায়নি। সেজন্য তারা নিজেদের মনের শান্তির জন্য আবোল তাবোল কথা বলছে।
তিনি আরও বলেন, সংবিধানে কোথায় আছে যে এ সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে? নির্বাচন আগামও করা যায়। আমাদের সময় ছিল ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। আমরা ৭ জানুয়ারি ভোট করেছি। ইলেশন করে কি আমরা বসে থাকবো শপথ নেওয়ার জন্য?
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া আজ জামিন পাচ্ছেন না। চিকিৎসা পাচ্ছেন না, চিকিৎসা নেওয়ার মানবিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা এমন পাহাড় তার কাছে কোনো দাবি পৌঁছায় না, হিংসার পোশাক পরে তিনি রাজনীতি করেন ।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, যে মিথ্যাবাদী হতে পারে ও মুনাফিক হতে পারে তারাই আওয়ামী লীগ করে। আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য এক সময় আগুন সন্ত্রাস করে আন্দোলন করেছিল। বর্তমানে সেই আওয়ামী লীগ বিরোধী দলকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দমন, পীড়নে ব্যস্ত থেকে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করছে। ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে সরকার।
তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দেশের বিচারব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিরোধী দলীয় হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জেলে আবদ্ধ করে গোটা দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে সরকার।
রিজভী বলেন, সরকারের মহা দুর্নীতিতে দেশের অর্থনীতি মহা সংকটে আজ। পৃথিবীর সব স্বৈরাচারের পতন হয়েছে, বাংলাদেশের স্বৈরাচার সরকারেরও পতন হবে। জনগণের আন্দোলনে এই স্বৈরাচার সরকার পদ্মা, মেঘনা, যমুনার পানিতে ভেসে যাবে।
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা দলের আহ্বায়ক রুমা আক্তার, সদস্য সচিব নাসিমা আক্তার কেয়াসহ মহিলা দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর নতুন করে নির্বাচনের দাবিকে মামাবাড়ির আবদার বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রীর কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নতুন সরকারের সামনে কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষের জীবনে রাজনীতি বলুন, অর্থনীতি বলুন সর্বক্ষেত্রেই জীবন চ্যালেঞ্জিং। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সেই চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন। তবে আমি মনে করি কোনো চ্যালেঞ্জই মোকাবিলা করা অসম্ভব নয়।
‘আমরা যখন পদ্মাসেতু কাজ শুরু করেছিলাম তখন কেউ ভাবেনি এটা শেষ করা সম্ভব হবে। বিশ্বব্যাংকও পাশে ছিল না। কিন্তু আমরা পদ্মাসেতু করতে পেরেছি। মেট্রোরেল দিয়ে যে এ শহর সমৃদ্ধ হবে এ কথাও কেউ ভাবেনি। কিন্তু সেটাও শেখ হাসিনার সরকার উপহার দিয়েছে। আমাদের অনেক কাজ আছে সামনে, অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। তবে এখনো আমরা সড়কে যানবাহনের শৃঙ্খলা আনতে পারিনি। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে একযোগে আমরা একটা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এটা করতে পারলে রোড সেফটি নিশ্চিত হবে। আজ অনেক রাস্তা হচ্ছে। রাস্তাগুলো স্মার্ট করতে হবে। এ বিষয়গুলোও আমরা দেখবো। অনেক সড়কের নির্মাণকাজ শেষ করতে হবে।
মন্ত্রিসভায় দেশি-বিদেশি চাপ আছে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, দেশি-বিদেশি চাপ প্রসঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- চাপ বিদেশ থেকে আছে। দেশে তো আছে। আমরা চাপ মোকাবিলার সক্ষমতা রাখি। আমাদের শক্তি এ দেশের জনগণ। দেশের জনগণ সঙ্গে থাকলে কোনো চাপই মোকাবিলা করা অসম্ভব নয়।
তিনি বলেন, অনেকেই ভেবেছে নির্বাচন করতে পারবে না। কিন্তু তাদের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেছে। অর্থনৈতিক চাপও রয়েছে। এগুলোকে ভয় পেলে হবে না। আজকাল আমাদের গ্রামীণ বাজার পর্যন্ত ভরপুর খাদ্যসামগ্রী, ফলমূল সব আছে। সীমান্তেও একই অবস্থা। কিছু নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। মানুষ যাতে সহজে দ্রব্যমূল্য কিনতে পারে সেক্ষেত্রে আমরা জোর দেবো।
বিরোধীদলের প্রতি বার্তা দিতে চান কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, এ দেশটা সকলের। দেশ যে শুধু আওয়ামী লীগের সেটা তো বলতে পারি না। সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চায় আসতে হবে। আমরা চিরজীবন ক্ষমতায় থাকবো না। একটা দল চিরজীবন ক্ষমতায় থাকেও না। এ দেশের সকল সম্পদ জনগণের। বিরোধীদলের যারা আছেন তারাও এ সম্পদের অংশীদার। কাজেই উন্নয়ের যে যাত্রা শুরু হয়েছে সেটা ২০৪১ সাল অবধি আমাদের ভিশনে নিয়ে যেতে হবে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজধানীর ধানমন্ডির কলাবাগান মাঠে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় অংশ নিয়েছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৩টায় কলাবাগান মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ সভায় পৌঁছান তিনি।
এসময় স্লোগান স্লোগানে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান নেতাকর্মীরা। বাংলাদেশের পতাকা হাতে স্লোগানের জবাব দেন তিনি। পাশাপাশি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান পৃথকভাবে আওয়ামী লীগ সভাপতিকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে জনসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এতে ঢাকার আসনগুলোর দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্থীরা অংশ নেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে রংপুরের পীরগঞ্জে রওনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে গণভবন থেকে রওনা দেন তিনি।
এদিন বিকেল ৩টায় পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। এছাড়াও শেখ হাসিনা নিজ বাসভবন লালদীঘি ফতেহপুরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হয়ে স্বামীর কবর জিয়ারতসহ নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে কুশল বিনিময় করবেন।
পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম জানান, মঙ্গলবার সকালে বিমানযোগে সৈয়দপুর এসে তারাগঞ্জে দলীয় প্রার্থী আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউকের জনসভায় যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।
এ সভা শেষে গ্রামের বাড়ি পীরগঞ্জের লালদীঘি ফতেহপুরে আসবেন তিনি। সেখানে স্বামীর কবর জিয়ারতের পর নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে সময় কাটাবেন শেখ হাসিনা। এরপর বিকেলে পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের জনসভায় যোগ দেবেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর পীরগঞ্জে একই মাঠে জনসভা করেছেন। তারও আগে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর তরফমৌজা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পথসভা ও লালদীঘির ফতেহপুরের জয়সদনে কর্মীসভা করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী ও পীরগঞ্জের পুত্রবধূর আগমনে গোটা উপজেলায় সাজ সাজ রব, চলছে পোস্টারিং ও মাইকিংসহ ব্যাপক প্রচারণা।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা সকাল-সন্ধ্যা অবরোধে চট্টগ্রামে জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি। নগরীর সড়কগুলোতে স্বাভাবিক রয়েছে যানবাহন চলাচল। অফিস-আদালতও চলছে অন্যদিনের মতোই। তবে সকাল থেকেই দূরপাল্লার বাস তেমন একটা ছেড়ে যায়নি।
তবে রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল ও পিকেটিং হয়েছে।
সকালে অবরোধের সমর্থনে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানা যুবদলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী সাকি, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সেলিম উদ্দিন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল ও এস এম ফারুকের নেতৃত্বে নগরীর আতুরার ডিপো এলাকায় মিছিল করে পাঁচলাইশ থানা যুবদল। একই সময়ে অবরোধের সমর্থনে চট্টগ্রামে নগরীর আরাকান সড়কে ঝটিকা মিছিল করে ৫নং মোহরা ওয়ার্ড যুবদল।
সকালে চট্টগ্রাম মহানগর মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনির নেতৃত্বে আমবাগান, টাইগার পাস ও লালখান বাজার এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেছে মহানগর মহিলা দল। নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ডাকা অবরোধের সমর্থনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল নেতা মো. শহিদুল ইসলাম শহিদের নেতৃত্বে নগরীর কাজীর দেউড়ি-নেভাল রোড এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেন যুবদল-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
অবরোধ সমর্থনে মিছিল-পিকেটিং করেছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদল। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব কামরুদ্দিন সবুজের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম-পেকুয়া সড়কের বাঁশখালীতে মিছিল করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন দমন ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টি।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ২৮ দফা ইশতেহার প্রকাশ করে দলটি। দলের পক্ষে ইশতেহার ঘোষণা করেন ওয়ার্কাস পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য নূর মোহাম্মদ বকুল।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কাস পার্টির আনিসুর রহমান মল্লিক, মাহমুদুল হাসান মানিক, মোস্তফা আলমগীর রতন, কামরুল হাসান, এনামুল হক এমরান।
ওয়ার্কাস পার্টির ইশতেহারে রয়েছে, দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, রাজনৈতিক লক্ষ্য, বৈষম্য নিরসন আইন প্রণয়ন, শোষণ মুক্তির লক্ষ্যে আইন ও বিধি প্রণয়ন, সামাজিক ক্ষমতায়ন, আদিবাসী, সংখ্যালঘু ও নগরের প্রান্তিক দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, যুব অধিকার, শিশু-কিশোর অধিকার, শিক্ষার অধিকার, স্বাস্থ্য সেবা, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান, শ্রম অধিকার ও সর্বনিম্ন মজুরি, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি, শ্রম অভিবাসন ও প্রবাসী কল্যাণ, জ্বালানি ও খনিজ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সুরক্ষা, নদী ও পাহাড় সংরক্ষণ, নিরাপদ সড়ক, রোহিঙ্গা সমস্যা, প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, আঞ্চলিক জোট, ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন, ন্যাটোর সম্প্রসারণে বিরোধিতা, সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
ভোট নিয়ে যেন কোনো সংঘাত না হয় সেদিকে নজর রাখতে সারাদেশের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। ভোটে নৌকা, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দলও আছে। জনগণ যাকে ভোট দেবে সেই নির্বাচিত হবে। কেউ কারও অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। নির্বাচনে কোনো সংঘর্ষ-মারামারি দেখতে চাই না। দলের কেউ সংঘাত করলে তার রেহাই নেই, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবো। গণতন্ত্রকে আরও সুদৃঢ় করতে না পারলে বাংলাদেশ শেষ হয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন থেকে পাঁচ জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা পর্যায়ক্রমে রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট জেলা, রাজশাহী বিভাগের নাটোর ও পাবনা জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়ি জেলার নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেন।
এসব কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা, সংশ্লিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা/থানা/পৌর আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতারা এবং সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর নির্বাচনী এলাকাসমূহের মনোনীত প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, ভোট চুরির সুযোগ নেই বলেই বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ এখন বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। দেশের এমন কোনো জেলা নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। যেটা আওয়ামী লীগ সরকার করেছে।
তিনি বলেন, ভোটের অধিকার আওয়ামী লীগ জনগণকে ফিরিয়ে দিয়েছে। আর সেটা অব্যাহত থাকবে। এবারের নির্বাচনে আপনাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ করে কেউ যেন মানুষের ক্ষতি করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ভোট নিয়ে যাতে কোনো সংঘাত না হয়, জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। দলের নেতাকর্মী যেই হোক এর কোনো ব্যত্যয় হলে ছাড় দেওয়া হবে না। কেউ কারও অধিকারে হস্তক্ষেপ করবেন না। এখানে কিন্তু কোনা রকম মারামারি-সংঘাত আমি দেখতে চাই না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, একটা প্রত্যয় নিয়েই আমি দেশে ফিরে এসেছিলাম, স্বাধীনতার সুফল বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছানো। মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণ করে তাদের জীবন উন্নত করা। যেটা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করা হয়েছিল, জনগণের অধিকার তাদের হাতে ফিরিয়ে দিতেই এই প্রত্যয় নিয়ে সংগ্রাম শুরু করেছিলাম। অনেক ঘাত প্রতিঘাত, চড়াই- উতরাই পার হতে হয়েছে আমাদের। তারপরও থেমে থাকিনি। মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করে গেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময় এদেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীকে অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। তারপর আমরা ২১ বছর পর সরকারে আসি। আর জনগণের সেবক হিসেবে যাত্রা শুরু করি। এরপর থেকেই দেশের উন্নয়নে কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু ২০০১ সালে আবার সরকারে আসতে পারলাম না। কারণ হলো আমাদের গ্যাস বিক্রির একটা প্রস্তাব ছিল, বড় একটি দেশ থেকে। তখন আমি বলেছিলাম, এটি দেশের জনগণের সম্পদ, এটি আমি বিক্রি করতে পারবো না। তবে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া রাজি হয়ে যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর যেভাবে অত্যাচার করা হয়েছিল শুধু তাই নয়; ধর্ম-বর্ণ, নির্বিশেষে যারাই নৌকায় ভোট দিয়েছিল, তাদের ওপর মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিরা যেভাবে আমার দেশের মা-বোনদের ওপর নির্যাতন করেছিল, ঠিক সেভাবে অত্যাচার নির্যাতন করা হয়। আমি নিজেও তাদের হাতে আক্রমণের শিকার হয়েছি বার বার। তারপরও থেমে থাকিনি। এজন্য আওয়ামী লীগকে ধন্যবাদ জানাই। তারা কষ্ট সহ্য করেছে। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে এখন বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। এ ১৫ বছরে দেশের এমন কোনো জেলা নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
তিনি বলেন, আমরাই কিন্তু সংগ্রামের মাধ্যেমে এটা বিষয় প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম; ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেবো’। আমরাই ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছি। আমরা ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি। আজ মানুষ ভোট দিতে পারে, সেই সুযোগ সৃষ্টি করেছি। দেশের জনগণের আত্ম-সামাজিক মর্যাদা সৃষ্টি করেছি। তাই ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট দেবে জনগণ। নির্বাচন উন্মুক্ত করেছে সরকার। নৌকাসহ আছে অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীও। কেউ কারও অধিকারে হস্তক্ষেপ করবেন না। যাকে খুশি তাকে জনগণ ভোট দেবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, অবৈধভোবে উত্থান হওয়া বিএনপি শুরু থেকেই সংবিধান বিরোধী। ভোট চুরির সুযোগ নেই বলেই বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। ভোট চুরির অপরাধে ১৯৯৬ সালে দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন, সেটা নিশ্চয়ই সবার মনে আছে। ভোট চুরির অপরাধে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল। ভোট চুরির অপরাধে তাকে বিদায় নিতে হয়েছিল। ঠিক একইভাবে ভোট চুরির চেষ্টা করেছিল ২০০৬ সালেও। ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করে, যারা ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথাও শুনতে হয়, ভোটের কথাও শুনতে হয়।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
‘শান্তির জন্য পরিবর্তন, পরিবর্তনের জন্য জাতীয় পার্টি’ এ স্লোগান সামনে রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি (জাপা)।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এ ইশতেহার ঘোষণা করেন।
নানা নাটকীয়তার পর গত ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণের চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়। এবার দলটি এককভাবে ২৮৭টি আসনে প্রার্থী দিলেও ২৬টি আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের সমঝোতা হয়েছে। তবে এরই মধ্যে ১৬টি আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীরা ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছন।
দলটির ইশতেহারে প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তন, দুর্নীতি ও অর্থপাচার প্রতিরোধ প্রভৃতি বিষয় উঠে এসেছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিক কর্মসূচি হিসেবে ২৪ ডিসেম্বর অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি-এলডিপি। এর আগে ২১, ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর দলটি লিফলেট বিতরণ করবে। বুধবার বিকেলে এলডিপি কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমদ বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সমাজে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, এটা শুধু এককভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সমস্যা নয়, সমগ্র দেশ ও সমগ্র জাতির সমস্যা। সুতরাং সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এ সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে। অন্যথায় এ ধরনের অন্যায়-অবিচার সমাজকে গৃহযুদ্ধের দিকে বা রক্তপাতের দিকে ঠেলে দেবে।
এলডিপি জনগণের ভোট প্রদান নিশ্চিত ও সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে, জনগণ ভোটের অধিকার হারিয়ে ফেলবে। এতে দেশ ও জনগণ উপকৃত হবে না। উল্টো এই হটকারি ভাগাভাগির নির্বাচনের কারণে দেশ ও জনগণ এক গভীর সংকটে পড়বে। ক্ষমতা লোভীদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে। এ নির্বাচন কখনো গণতন্ত্র নিশ্চিত করবে না।
জনগণকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আসুন ঐক্যবদ্ধ হই। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি। কোনো অবস্থায়ই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। আল্লাহ প্রদত্ত এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। চিরতরের জন্য দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী, নির্যাতন ও নিপীড়নকারীদের বর্জন করতে হবে। হতাশ হলে চলবে না, নতুন উদ্যমে সাহসের সঙ্গে বর্তমান সরকারকে না বলতে হবে। সমাজে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার কাজে যুব সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ইনশাআল্লাহ সত্যের জয় প্রতিষ্ঠা হবে। এই ভাগাভাগির একদলীয় নির্বাচন বর্জন করুন। দেশ বাঁচান।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনসহ আজ থেকে সরকারকে সব ক্ষেত্রে অসহযোগিতা করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ আহ্বান জানান।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোটগ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘নির্বাচনের নামে বানর খেলায় যাবেন না। ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। নির্বাচনে কারা এমপি হবেন সেই তালিকা তৈরি হয়ে গেছে।’
সরকারকে সব ধরনের কর, খাজনা, পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎবিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানান রিজভী।
রিজভী বলেন, ‘ব্যাংক খাতের মাধ্যমে সরকার সবচেয়ে বেশি অর্থ লুটপাট করেছে। ফলে ব্যাংকে টাকা জমা রাখা নিরাপদ কি না সেটি ভাবুন।’
পাশাপাশি মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় অভিযুক্ত লাখ লাখ রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে আজ থেকে আদালতে হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানান রিজভী।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
আগামীকাল বুধবার সিলেট থেকে শুরু হচ্ছে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী সফর। এরপর বিভিন্ন জেলায় ভার্চুয়াল ও সরাসরি সফর করবেন। বরিশাল, গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরে সরাসরি সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী।
দলটির দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, আগামীকাল বুধবার সিলেট থেকে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে তিনি সরাসরি দেশের বিভিন্ন জেলা সফর করবেন। এছাড়া ভার্চুয়ালি বিভিন্ন জেলায় সংযুক্ত হয়ে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) হজরত শাহজালাল (র.) ও হজরত শাহ পরানের (র.) মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে সিলেট সফর শুরু করবেন শেখ হাসিনা। এরপর সিলেটের আলিয়া মাদরাসা মাঠে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন। ওই জনসভা থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন তিনি।
আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান গণমাধ্যমকে জানান, আগামী ২১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট, রাজশাহী বিভাগের নাটোর ও পাবনা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়িতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
আগামী ২৯ ডিসেম্বর বরিশাল সফরে যাবেন শেখ হাসিনা। ওইদিন বিকেল ৩টায় বরিশাল জেলা সদরে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এরপর ৩০ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ এবং মাদারীপুর জেলা সফর করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। ওইদিন গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া) আসনে অর্থাৎ নিজের নির্বাচনী এলাকায় জনসভায় বক্তব্য দেবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। এছাড়া ওইদিন মাদারীপুর-৩ আসনেও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখবেন শেখ হাসিনা।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে ৪ যাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, শোক ও দু:খপ্রকাশ করেছে বিএনপি। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে দলটি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজ ভোর রাতে যারা রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুন দিয়ে চারজন যাত্রীর প্রাণপ্রদীপ নিভিয়ে দিলো তারা নিঃসন্দেহে মানুষ নামের কলঙ্ক। মহল বিশেষের প্রশ্রয়ব্যতিরেকে এ ধরনের মানবতাবিরোধী কাজ করা সম্ভব নয়। মূলত, চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে জনদৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এটি কূটচাল কি না তা নিয়ে জনগণের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। এটি পরিকল্পিত নাশকতার ঘটনা। নাশকতাকারিরা মানবসভ্যতার শত্রুপক্ষ, এরা মানবজাতিকেই অস্তিত্বহীন করতে চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের লোমহর্ষক ও পৈশাচিক কাজ কেবলমাত্র অবৈধ ও গণবিরোধী শক্তির মদদেই হওয়া সম্ভব। আমি এই বর্বরোচিত ও হৃদয়বিদারক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি, ধিক্কার ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা এই ঘটনার নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি।’
বিএনপির পক্ষ থেকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনে হতাহতের ঘটনায় জড়িত দুস্কৃতকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বানও জানান তিনি।
|
|
|
|
|
|
|