ভাটারায় দুর্বৃত্তের গুলিতে যুবক আহত
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর ভাটারা থানার বুড়িতলা বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তের গুলিতে রাকিব হোসেন রাজিব (২৮) নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
আহত রাকিবের ভাই মো. রিপন জানান, আমার ভাই একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। আমাদের বাসা ভাটারার খিলবাড়ির টেক বুড়িতলা বাজার এলাকায়। গতকাল রাতে বাসায় ফেরার পথে অজ্ঞাতনামা এক যুবক রাকিবকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে। তখন আমার ভাই প্রতিবাদ করতে গেলে কোমর থেকে পিস্তল বের করে বুকের ডান পাশে গুলি করে ওই ব্যক্তি। এতে আমার ভাই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আমরা খবর পেয়ে ভাইকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে এখানে ভর্তি করা হয়।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভাটারা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক যুবককে ঢামেকে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর ভাটারা থানার বুড়িতলা বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তের গুলিতে রাকিব হোসেন রাজিব (২৮) নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
আহত রাকিবের ভাই মো. রিপন জানান, আমার ভাই একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। আমাদের বাসা ভাটারার খিলবাড়ির টেক বুড়িতলা বাজার এলাকায়। গতকাল রাতে বাসায় ফেরার পথে অজ্ঞাতনামা এক যুবক রাকিবকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে। তখন আমার ভাই প্রতিবাদ করতে গেলে কোমর থেকে পিস্তল বের করে বুকের ডান পাশে গুলি করে ওই ব্যক্তি। এতে আমার ভাই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আমরা খবর পেয়ে ভাইকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে এখানে ভর্তি করা হয়।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভাটারা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক যুবককে ঢামেকে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন। তিনি ৭ জানুয়ারি যাচ্ছেন বলে কয়েকটি গণমাধ্যম ‘সূত্রের বরাত’ দিয়ে প্রতিবেদন করেছে। তবে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল নেতারা এ ব্যাপারে এখনো মুখ খুলছেন না। বিএনপির মিডিয়া সেলও এ ব্যাপারে অন্ধকারে।
মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গীদের একটি তালিকা ছড়িয়ে পড়ে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক নেতা মামুন খান এবং শ্যামলী, ওই তালিকা প্রকাশ করে তা চূড়ান্ত বলে দাবি করেছেন।
তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার গণমাধ্যম কর্মীদের এড়িয়ে চলছেন।
বিভিন্ন মাধ্যমে বলা হচ্ছে, খালেদা জিয়া সাতজন চিকিৎসকসহ ১৬ সদস্যের একটি টিম নিয়ে ৭ জানুয়ারি লন্ডন যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তিনি ৭ জানুয়ারি রাত ১১টায় লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রে তিনি চিকিৎসা নেবেন। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক, কর্মকর্তা, পরিবারের সদস্য এবং অন্যান্য নেতারা সফরসঙ্গী হিসেবে যাচ্ছেন।
ওই তালিকা অনুযায়ী, সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন- খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. মো. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ মোহাম্মদ আউয়াল, ডা. ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিক, ডা. মো. শাহাবুদ্দীন তালুকদার, ডা. নূরুদ্দীন আহমাদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন, ডা. শরিফা করিম স্বর্ণা, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার, সহকারী ব্যক্তিগত সচিব মো. মাসুদুর রহমান, প্রটোকল কর্মকর্তা এস এম পারভেজ এবং হাউজমেড ফাতেমা বেগম ও রূপা শিকদার।
খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রার যাবতীয় প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার আসন্ন সফরকে নির্বিঘ্ন করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিয়েছে। এ সফরে খালেদা জিয়া ভিআইপি প্রটোকল পাবেন। ফেরার পথে পালন করবেন ওমরাহ।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
কোনো মব জাস্টিস সাপোর্ট করেন না বলে জানিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।
জাহিদুল লিখেছেন, ‘কোনো মব জাস্টিস সাপোর্ট করি না। কিন্তু, একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুনির পক্ষ নেওয়া, মিছিল করা, এটা কেমন রাজনীতি? মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে খুনি ও সন্ত্রাসীকে গ্লোরিফাই করা, এটা কেমন সাংবাদিকতা? কিছু হলুদ মিডিয়ার নির্লজ্জ প্রচেষ্টা দৃশ্যমান।’
তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে, কথিত চেতনা ব্যবসার কবর রচনা করেছে আমাদের ‘প্রজন্ম ২৪’। জেনারেশন জুমারস এই ব্যবসার ওপর বড়ই বিরক্ত। যারাই এই ব্যবসা আবার চালু করবেন, তাদের পরিণতি ৩৬ জুলাইয়ের দিনের মতই হবে।
এই ছত্রনেতা আরও লিখেছেন, ‘এই প্রজন্মকে বোকা ভাববেন না। প্রজন্মের চোখের ভাষা, মনের ভাষা, বুঝাতে না পারাটাই হাসিনার জন্য বুমেরাং হয়েছে। আশা করি অতি সাম্প্রতিক ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে কেউ ভুল করবেন না।’
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, ছোট বোন শেখ রেহানা এবং রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের দেশে-বিদেশে লেনদেনের যাবতীয় নথি তলব করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো চিঠিতে সংস্থাটির অনুসন্ধান টিম সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নামে পরিচালিত অফশোর ব্যাংকের হিসাব বিবরণীসহ সব অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে।
পাশাপাশি অনুসন্ধান টিম প্রথম দফায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত নথিপত্র তলব করে নির্বাচন কমিশন এবং ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসের নথি তলব করেছে।
আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) তাদের নামে পরিচালিত অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নথি ও দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের বিস্তারিত বিবরণ সরবরাহের জন্য বিএফআইইউর কাছে চিঠি দিয়েছে অনুসন্ধান টিম। জানা গেছে, শিগগির আরও কিছু সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নথি তলব করে চিঠি পাঠানো হবে।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যর একটি দল গঠন করেছে দুদক।
শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, বোন শেখ রেহানা ও তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধান দলের নেতৃত্ব দেবেন দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। দলের অন্য সদস্যরা হলেন, উপপরিচালক মো. সাইদুজ্জামান, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া, এস. এম. রাশেদুল হাসান ও এ কে এম মর্তুজা আলী সাগর।
দুদকের এই দলটি আওয়ামী লীগ সরকারের বিশেষ অগ্রাধিকারের ৮ প্রকল্পে ২১ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করবে। পাশাপাশি অনুসন্ধান করবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে ৫৯ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির।
এর আগে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের কথা মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) জানিয়েছিলেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) লোপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর এ অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। রিটে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রিটের বিবাদী করা হয়।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটি এখনো কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করেনি এবং ‘জনশক্তি’ নামে যে রাজনৈতিক দলের কথা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় এসেছে, এর সঙ্গে জাতীয় নাগরিক কমিটির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আলোচনা হয়নি।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘জনশক্তি’ নামে যে রাজনৈতিক দলের কথা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় এসেছে, এর সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আলোচনা হয়নি। এমন প্রচারণা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, এ ধরনের কোনো নাম কিংবা সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
নির্বাচন কমিশন (ইসি) যেহেতু হয়ে গেছে তাই নির্বাচন বিলম্বের প্রয়োজন নেই। জনগণ এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার স্পষ্ট বক্তব্য আশা করে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো শেষ করেই দ্রুত নির্বাচন দেয়া যেতে পারে।
গতকাল বুধবার হওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে সবাই মনে করে ড. ইউনূসের বক্তব্য অস্পষ্ট। কোনো সুনির্দিষ্ট বক্তব্য রাখা হয়নি।
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, বিজয় দিবসে দেওয়া জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ এর প্রথমার্ধে নির্বাচন করার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা যা একেবারে অস্পষ্ট। সুনির্দিষ্ট সময়ের উল্লেখ নেই। আবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেছেন ২০২৬ সালের জুনের কথা যা পরস্পরবিরোধী। বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে বিএনপির যে প্রত্যাশা ছিল তা পূরণ হয়নি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নির্বাচনের জন্য ৪ থেকে ৬ মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি উপলক্ষে মহাখালী কড়াই বস্তি বনানী ৫ নম্বর রোডে আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন ময়দানে এক সভায় তিনি একথা বলেন।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, এ সরকারের প্রধান ও প্রথম কাজ হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন করা। আর সে জন্য কিছু আইনি সংস্কার, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও মাঠের সংস্কার দরকার। আমরা পর্যবেক্ষণ করে ও বিশ্লেষণ করে বের করেছি, এক্ষেত্রে সংস্কারে চার থেকে ছয় মাস বেশি সময় লাগার কথা নয়।
গণতান্ত্রিক যাত্রা পথে আমরা যেন কোনো কৌশল প্রয়োগ না করি এমন আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার কাছে রাখেন সালাউদ্দিন আহমেদ।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এবং তাদের অঙ্গ সংগঠনসমূহকে ত্রাসের রাজনীতি থেকে সরে এসে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে সংগঠনটির মুখপাত্র উমামা ফাতেমার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ ডিসেম্বর চাঁদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত বিক্ষোভ ও সংহতি সমাবেশে চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে অবস্থান স্পষ্ট করেন গণঅভ্যুত্থানের আহত যোদ্ধা আ. হাই লাভলু। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান ব্যক্ত করায় সমাবেশ পরবর্তী সময়ে চাঁদপুর পৌর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম সোহান ও তার সঙ্গীরা আ. হাই লাভলু এবং তার ভাইয়ের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে এমন হামলা ও আক্রমণের ঘটনা অপ্রত্যাশিত। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং তাদের অঙ্গ সংগঠনসমূহ গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম অংশীজন। কিন্তু, অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্রগঠনকালীন সময়ে গণঅভ্যুত্থানেরই আহত যোদ্ধার ওপর যুবদল নেতা এবং তার সঙ্গীদের হামলার ঘটনা দুঃখজনক।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় একটি মামলা করলেও মূল অপরাধীদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। অতিদ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের এই ভূখণ্ডের (বাংলাদেশের) ইতিহাস বার বার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। এই ভূখণ্ডের ইতিহাস জীবন দেওয়ার ইতিহাস।
তিনি বলেন, এই ভূখণ্ডের ইতিহাস স্বাধীনতা-মুক্তির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ-তিতিক্ষার ইতিহাস। বর্তমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের সামনে দুটি রাস্তা খোলা, হয় মাতৃভূমি রক্ষা করবো, না হয় শহীদ হবো।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রশিবির আয়োজিত বিজয় র্যালি পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
শিবির সেক্রেটারি বলেন, ৪৭ সালে একবার আমরা স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিলাম। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকদের শোষণের কারণে আমরা সে স্বাদ বেশিদিন ভোগ করতে পারিনি। এরপর ১৯৭১ সালে এই দেশের মানুষ জীবন দিয়ে আবারও স্বাধীনতা অর্জন করলেও এ দেশে বাকশাল কায়েম করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেন। এই ফ্যাসিবদের অংশ হিসেবে তিনি বাংলাদেশের সূর্যসন্তান দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের হত্যা করেন। সবশেষে ২৪ এর জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে দেশপ্রেমী ছাত্রজনতার ওপর গণহত্যা চালানো হয়।
ভারতকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তারা সীমান্তে আমাদের ভাই-বোনদের হত্যা করছে। বর্ষাকালে নদীর বাঁধগুলো খুলে দিয়ে এ দেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করছে। আর যদি এ দেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র হয় তাহলে ছাত্রশিবির রক্ত দিয়ে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিবিরের কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা সম্পাদক ডা. উসামা রাইয়ান বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির ১৯৭৬ সাল থেকে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। যতই প্রতিকূলতা আসুক ছাত্রশিবির এই কাজ করে যাবে ইনশাআল্লাহ।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক আমিরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালে এ দেশের ছাত্র, শ্রমিক, কৃষকসহ সর্বস্তরের জনতা যে উদ্দেশ্যে রক্ত দিয়েছিল স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও সেই উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি। যার প্রমাণ ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর এ র্যালির আয়োজন করে। সকাল ৯টার দিকে বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল নিয়ে নগরীর লালখান বাজার এলাকায় জড়ো হন। পরবর্তী সময়ে সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম উপস্থিত হলে র্যালিটি সেখান থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ২নং গেট এলাকায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মু. শহীদুল ইসলাম, মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাভাপতি নাহিদুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি তানজির হোসেন জুয়েল, মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ইব্রাহিম হোসেন রনি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইবরাহীম প্রমুখ।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
দেশের প্রজন্মকে নৈতিক ও চরিত্রবান করে গড়ে তোলার দায়িত্ব ইসলামী ছাত্রশিবিরের বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শহীদ জোবায়ের মিলনায়তনে আয়োজিত ছাত্রশিবিরের বার্ষিক সদস্য বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, রক্তেভেজা রাজপথে বেড়ে ওঠা ত্যাগ-তিতিক্ষা, কোরবানি, অত্যাচার, নির্যাতন, গুম, শাহাদাতের ওপর গড়ে ওঠা সংগঠন ছাত্রশিবির। যারা এই বাংলাদেশকে গড়তে জানে, আল্লাহ তাদের ওপরই জাতিকে পরিচালনার ভার ন্যস্ত করেন। ছাত্রশিবিরের চলার পথ কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশেই। অতএব এই পথে চলার মাঝে কোনো হতাশা নেই।
চবি শিবির সভাপতি নাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে, সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সঞ্চালনায় বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. হাবিবুর রহমান। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য দায়িত্বশীল এবং সদস্যরাও বক্তব্য রাখেন।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
দেশে বিরাজনীতিকরণের প্রয়াস চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, সংস্কার নিয়ে রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা বিরাজনীতিকরণের একটি প্রয়াস। পৃথিবীতে যত সংস্কার হয়েছে তা রাজনীতিবিদরা করেছেন। সব সংস্কার হয়েছে পার্লামেন্টে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, একজন উপদেষ্টা সংস্কার নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন আমি বলবো তা তিনি মিথ্যা বলেছেন। ব্রিটেন বলেন বা আমেরিকা, সারা দুনিয়ায় যত সংস্কার হয়েছে তা হয়েছে রাজনীতিবিদদের মাধ্যমে। সংস্কার নিয়ে বাড়াবাড়ি এবং রাজনীতিবিদদের দোষারোপ করার অর্থ ইতিহাস সম্পর্কে অজ্ঞতা।
পরিবর্তিত পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির এ নেতা বলেন, সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। একদিনে সমাজের অনিয়ম দূর হয়ে যায় না। এর জন্য প্রয়োজন সর্বস্তরের সহযোগিতা। বর্তমান সরকার রাজনীতি ও বিরাজনীতির মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখনো আমাদের চারপাশ থেকে যে হুমকি আসে, আমাদের দেশের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার-অপতথ্য প্রচার করা হচ্ছে, আমাদের চট্টগ্রাম দখলের কথা বলে যে হুমকি আসছে- তা জাতি মেনে নেবে না। আমরা স্বাধীন জাতি, আমাদের দেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্যদিয়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। সুতরাং কারও হুমকিতে এ জাতি মাথা নত করবে না। কারও দাসত্ব আমরা মেনে নেবো না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, শামীমুর রহমান শামীম, মাহবুবুল ইসলাম মাহবুব, মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, সদস্য সচিব মোস্তাফা জামান, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহীদুল ইসলাম বাবুল, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম, নাছির উদ্দিন নাছিরসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আশা করছি খুব দ্রুত জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা হবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করার সুযোগ পাবে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৩৬ জুলাই বা ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাজিত করে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহার করে আমরা বাংলাদেশকে একটি সত্যিকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, আধুনিক রাষ্ট্র, একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
এসময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ড. মঈন খান, ঢাকা মহানগর উত্তরও ও দক্ষিণের আহ্বায়কসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, সংস্কার নিয়ে রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্যে যে একজন উপদেষ্টা গতকাল বক্তব্য দিয়েছেন, তা বিরাজনীতিকরণের একটি প্রয়াস। পৃথিবীতে যত সংস্কার হয়েছে তা রাজনীতিবিদরা করেছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির নেতাকর্মীরা। এসময় বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশ ও জনগণের জন্য নিবেদিত প্রাণ মরহুম আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর বলিষ্ঠ এবং সাহসী ভূমিকা আমাদের চিরদিন শক্তিশালী এবং আত্মনির্ভরশীল দেশ ও সমাজ বিনির্মাণে প্রেরণা ও উৎসাহ জোগাবে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর প্রদর্শিত পথ ধরে চলতে পারলেই বহুদলীয় গণতন্ত্রের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে কোনো কঠিন বাধাই আমাদের পথ আগলাতে সক্ষম হবে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
তারেক রহমান বলেন, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমল থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে সব স্বৈরশাসকের অপশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা ও দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশপ্রেমিক মজলুম জননেতা মরহুম মওলানা ভাসানীর অবদান নিঃসন্দেহে স্মরণীয়।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক জীবনে তিনি আজীবন শোষিতের পক্ষ নিয়ে শোষকের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন অক্লান্তভাবে। তিনি নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সব সময় থেকেছেন আপসহীন নেতৃত্বের ভূমিকায়।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্য ভারতের কোনো দরদ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
তিনি বলেন, ভারতের দরদ শেখ হাসিনার জন্য, আওয়ামী লীগের জন্য। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনকে ভারত এখনো মেনে নিতে পারেনি। তাই তারা এখন নানানভাবে ষড়যন্ত্র করছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ভারতীয় আগ্রাসনের’ প্রতিবাদে সমাবেশ আয়োজন করে ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’।
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সে দেশের (ভারতের) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার জন্য বৈঠক হয়। ভারতকে আমরা একটা কথা বলতে চাই, দেশের (বাংলাদেশের) এই পরিবর্তন মেনে নিন। কারণ, আমরা ভালো থাকতে চাই। বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক চর্চার যে নতুন পথ শুরু হয়েছে, তাকে আপনারা সমর্থন করুন।
তিনি বলেন, ভারত বলছে দেশে নাকি হিন্দুদের দমন-পীড়ন করা হচ্ছে, যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তাই যদি হতো, তাহলে দেশে শান্তিপূর্ণভাবে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে পারতো না। দেশে হিন্দুরা অনেক ভালো আছেন। গত কয়েকদিন আগে বিবিসির চালানো জরিপেই সেটা উঠে এসেছে।
বিএনপির এ যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, দেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদ আর চলবে না। আমরা স্বাধীনতা এনেছি মাথা উঁচু করে বাঁচার জন্য, তাকে বিপন্ন করতে দেবো না। স্বাধীনতাকে টিকিয়ে রাখতে হলে প্রয়োজনে আবার হাতিয়ার তুলে নেবো।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপির ৩১ দফার কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাধারণ মানুষের সমর্থন, আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করা বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, যদি লক্ষ্য অন্যকিছু হয়ে থাকে, তবে দুদিন পরে ছিটকে পড়ে যাবেন। জনগণের সমর্থন থেকে ছিটকে পড়বেন। তাদের আস্থা থেকে দূরে সরে যাবেন। তাই সবাইকে জনগণের আস্থা ও সম্মান এবং সমর্থন ধরে রাখতে কাজ করতে হবে। জান-প্রাণ দিয়ে জনগণের আস্থা, বিশ্বাস, ভালোবাসা ধরে রাখতে হবে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর বরুয়া আলাউদ্দিন দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ বিষয়ে এ কর্মশালা আয়োজন করা হয়।
তারেক রহমান বলেন, আমাদের দল থেকে ছিল ২৭ দফা, বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দল থেকে মতামত নিয়ে আমরা ৩১ দফা দিয়েছি। দেশকে কীভাবে পুনর্গঠন করতে চায় বিএনপি, তারই সংস্কার হিসেবে ৩১ দফা প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এই ৩১ দফা শুধু বিএনপির কর্মীদের জন্য নয়, রাজনৈতিক দলের জন্য নয়, এটি জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। তাদেরকে জানাতে হবে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কী কী করতে চায়। প্রতিটি জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। যদি কারও ৩১ দফার কোনো পয়েন্টে আপত্তি থাকে, থাকতেই পারে- সেগুলো জানালে বিবেচনা করে আমরা কাজ করতে পারি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপির ওপর জনগণের আস্থা ধরে রাখতে হবে দলের কর্মীদের। জনগণের সমর্থনকে যে কোনোভাবে অর্থাৎ ইতিবাচকভাবে বিএনপির পক্ষে রাখতে হবে। জনগণ যেভাবে বলবে সেভাবেই পরিচালিত হতে হবে।
তারেক রহমান আরও বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য হওয়া উচিত মানুষের সমর্থন, আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করা। যদি লক্ষ্য অন্যকিছু হয়ে থাকে, তবে দুদিন পরে ছিটকে পড়ে যাবেন। জনগণের সমর্থন থেকে ছিটকে পড়বেন। তাদের আস্থা থেকে দূরে সরে যাবেন। তাই সবাইকে জনগণের আস্থা ও সম্মান এবং সমর্থন ধরে রাখতে কাজ করতে হবে। জান-প্রাণ দিয়ে জনগণের আস্থা, বিশ্বাস, ভালোবাসা ধরে রাখতে হবে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন খিলক্ষেত থানা বিএনপির আহ্বায়ক এস এম ফজলুল হক। এতে আরও বক্তব্য দেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তার হোসেন প্রমুখ।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
আগ্রাসনের প্রতিবাদে ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। স্মারকলিপি প্রদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির তিন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।
এ সময় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, আমরা ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছি। আমরা কোনো প্রকার অশান্তিতে বিশ্বাসী না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানরা শান্তিপ্রিয়। তারা অত্যন্ত ধৈর্যশীল। আমাদের কোনো প্রভু নেই। আমাদের বন্ধু আছে। আমরা আগ্রাসীতে বিশ্বাসী নই।
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দেবো।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর শান্তিরক্ষা মিশন বিষয়ে জ্ঞান না থাকলেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন। যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি ও বরখেলাপ বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশের জনগণের কথা যুবদলের, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের কথা আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের কথা আমরা জানিয়ে দিয়েছি। বাংলাদেশের মানুষের প্রতিবাদ দিয়ে আমরা এই পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান শেষ করেছি।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই পদযাত্রা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পরে পদযাত্রাটি রামপুরা ব্রিজের কাছে পৌঁছালে পুলিশ সেখানে ব্যারিকেট দেয়। পরে বিএনপির তিন সংগঠনের ছয় শীর্ষ নেতা ভারতীয় দূতাবাসে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
|
|
|
|
|
|
|