|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
কমপ্লিট শাটডাউন ঘিরে কাউকে সহিংসতা করতে দেওয়া হবে না
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিকে পুঁজি করে কাউকে সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না। সেই সঙ্গে জনগণের জানমালের নিরাপত্তাকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ডকে সহ্য করা হবে না।
বুধবার (১৭ জুলাই) রাতে এক বিবৃতিতে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দেশের সর্বস্তরের জনগণ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী, সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সবাইকে ধৈর্য ধারণ এবং সহনশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি উচ্চ আদালতের রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘আমার বিশ্বাস, আমাদের ছাত্রসমাজ উচ্চ আদালত থেকে ন্যায়বিচারই পাবে। তাদের হতাশ হতে হবে না।’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক এবং দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে সন্ত্রাস ও সহিংসতার বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশের জনগণ যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে আশ্বস্ত হয়েছে ঠিক তখন কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই কর্মসূচিকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি সারাদেশে সন্ত্রাস ও অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। শুরু থেকেই ছাত্রদল ও শিবিরের সন্ত্রাসী ক্যাডারবাহিনী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে এবং এখন তারা ব্যাপক সন্ত্রাস ও অরাজকতার মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির ফলে ইতোমধ্যে কয়েকটি তাজা প্রাণ ঝরে গেছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিকে পুঁজি করে কাউকে সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না। জনগণের জানমালের নিরাপত্তাকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ডকে সহ্য করা হবে না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সব সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে রাজপথে থাকবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির সন্ত্রাসী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সব দেশপ্রেমিক নাগরিককে সচেতন এবং সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এই সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর যে কোনো অপতৎপরতার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের রাজপথে থেকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সহযোগিতা প্রদানের জন্য সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করছি।
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিকে পুঁজি করে কাউকে সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না। সেই সঙ্গে জনগণের জানমালের নিরাপত্তাকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ডকে সহ্য করা হবে না।
বুধবার (১৭ জুলাই) রাতে এক বিবৃতিতে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দেশের সর্বস্তরের জনগণ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী, সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সবাইকে ধৈর্য ধারণ এবং সহনশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি উচ্চ আদালতের রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘আমার বিশ্বাস, আমাদের ছাত্রসমাজ উচ্চ আদালত থেকে ন্যায়বিচারই পাবে। তাদের হতাশ হতে হবে না।’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক এবং দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে সন্ত্রাস ও সহিংসতার বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশের জনগণ যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে আশ্বস্ত হয়েছে ঠিক তখন কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই কর্মসূচিকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি সারাদেশে সন্ত্রাস ও অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। শুরু থেকেই ছাত্রদল ও শিবিরের সন্ত্রাসী ক্যাডারবাহিনী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে এবং এখন তারা ব্যাপক সন্ত্রাস ও অরাজকতার মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির ফলে ইতোমধ্যে কয়েকটি তাজা প্রাণ ঝরে গেছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিকে পুঁজি করে কাউকে সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না। জনগণের জানমালের নিরাপত্তাকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ডকে সহ্য করা হবে না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সব সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে রাজপথে থাকবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির সন্ত্রাসী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সব দেশপ্রেমিক নাগরিককে সচেতন এবং সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এই সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর যে কোনো অপতৎপরতার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের রাজপথে থেকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সহযোগিতা প্রদানের জন্য সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করছি।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
গুলি করে চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না বলে জানিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। মঙ্গলবার (১৬ মঙ্গলবার) বিকেলে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন তারা।
গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডির) সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য নুরুজ্জামান হীরা প্রমুখ।
মঞ্চের শীর্ষ নেতারা বলেন, পুলিশ সারা দেশে ন্যক্কারজনকভাবে শিক্ষার্থীর ওপর গুলি চালিয়েছে। এতে সংবাদ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে রংপুরে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থী এবং চট্টগ্রামে তিনজন এবং ঢাকায় একজন শিক্ষার্থীসহ মোট পাঁচজনকে হত্যা করা হয়েছে। ভয়াবহ এবং নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডে আমরাসহ পুরো জাতি স্তব্ধ।
নেতারা বলেন, গত দুদিন ধরে সারা দেশে সরকার তার পুলিশ এবং হেলমেটবাহিনী ছাত্রলীগকে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রশস্ত্রযোগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলা করেছে। এরই নৃশংস ফলাফল হলো শিক্ষার্থীদের মৃত্যু এবং এই হত্যাকাণ্ড।
নেতারা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দানবীয় পদ্ধতিতে দেশটায় আতঙ্ক তৈরি করতে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর হামলে পড়েছে। এখন দেশবাসীর করণীয় হলো এ ফ্যাসিবাদী সরকারকে ঠেকাতে হবে। ইতোমধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিয়েছে। সোমবার রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গুণ্ডাবাহিনীকে রুখে দিয়েছিল।
নেতারা বলেন, সরকার একদিকে হাইকোর্ট দিয়ে তামাশা অব্যাহত রেখেছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রযন্ত্রকে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নির্মমভাবে ব্যবহার করছে। কাজেই দেশবাসীকে এই আন্দোলনের পাশে অকুণ্ঠচিত্তে দাঁড়াতে হবে। শিক্ষার্থীরা যেখানেই নিপীড়িত হচ্ছে সেখানেই জনগণকে দাঁড়াতে হবে। কেন না দেশকে সরকার মেধার ভিত্তিতে নয়, নতজানু দাসদের দিয়ে পরিচালনা করতে চায়।
সমাবেশে নেতারা আরও বলেন, সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী রাজাকারের সন্তান কোন নীতি বলে পুনরায় রাজাকার হতে পারে? না নীতিশাস্ত্র, না আইন, না রাষ্ট্রনীতি, কোনো বিচারেই তো রাজাকার হতে পারে না। প্রকৃতপক্ষে সরকার দেশে রাজাকার-রাজাকারের সন্তান কিংবা মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি বিকৃত করে বিভাজনের খেলা খেলেই যাচ্ছে।
সমাবেশ থেকে অবিলম্বে জাতীয় সংসদে কোটাবিষয়টা উত্থাপন করে কমিশন গঠন করার আহ্বান জানানো হয়। সারা দেশে হওয়া গুলি, নিপীড়ন ও হত্যাকাণ্ডের বিচার করে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার দাবি উত্থাপিত হয়।
নেতারা আরও বলেন, বিপুল গণঅভ্যুত্থান ও জাগরণের মধ্য দিয়ে যদি এই ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন হটানো না যায় তাহলে এই দেশের গণতন্ত্র ও গণমানুষের মুক্তি নাই; দেশেরও কোনো ভবিষ্যৎ নাই।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের রাজাকার স্লোগানের জবাব ছাত্রলীগই দেবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রাজাকার স্লোগানকারীদের কোনো ধরনের জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি আওয়ামী লীগ করবে কি না এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, ছাত্র আন্দোলনের যে বক্তব্য কতিপয় নেতা দিয়েছেন, সেটার জবাব ছাত্রলীগই দেবে। ছাত্রদের বিষয় ক্যাম্পাস পর্যন্ত সীমিত থাকবে। আমরা দেখি রাজনৈতিকভাবে কারা প্রকাশ্যে আসে। তখন দেখা যাবে। আমরাও মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।
ছাত্রদের স্লোগান রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কি না এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, বিষয়টি বিচারাধীন। এখানে আমাদেরও অনেক কিছু চিন্তা-ভাবনা করে বলতে হয়। যাতে আদালত অবমাননা না হয়। আদালত অবমাননার বিষয়টি আদালতকেই দেখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য আন্দোলনকারীদের আলটিমেটাম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাদের বলেন, এটা অবশ্যই ধৃষ্টতা। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।
তিনি বলেন, যে বিষয়টি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। সেটি আদালতে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সরকারের কোনো কিছুই করার নেই। বিচারাধীন বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও মন্তব্য করা আদালত অবমাননার শামিল। আমরা বারবার আন্দোলনকারীদের বিষয়গুলো স্মরণ করিয়ে দিয়েছি। সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত বাদ রেখে অন্য কোনো উপায়ে বা বলপ্রয়োগে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই। আন্দোলনের নামে জনদুর্ভোগ মেনে নেবো না, রাস্তা বন্ধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী সভা-সমাবেশ মেনে নিতে পারি না। আমরা লক্ষ্য করছি, এ আন্দোলনের কুশীলব বিএনপি-জামায়াত, তাদের স্বরূপ উন্মোচিত করেছে।
মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সব শক্তিকে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী আস্ফালনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, গত রাতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের অনেকের রাজনৈতিক বক্তব্য ও স্লোগান আমরা শুনেছি। এতদিন আমরা যে আশঙ্কা করেছি, তারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে সরকারবিরোধী আন্দোলনই করতে যাচ্ছে। এর সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল আছে। সমর্থন তারা প্রকাশ্যেই করেছে। আমাদের আশঙ্কা গতকাল রাতে আরও স্পষ্ট হয়েছে।
দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে ভ্রান্ত পথে পরিচালিত শিক্ষার্থীদের রাজাকার পরিচয় সংশ্লিষ্ট স্লোগান আমাদের জাতীয় মৌলিক চেতনার সঙ্গে ধৃষ্টতার শামিল। মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে আমরা অত্যন্ত সংবেদনশীল। আমরা মনে করি শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে চিহ্নিত রাজনৈতিক শক্তি সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত করতে চায়। তাদের কারসাজিতে গতকাল রাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী স্লোগান উচ্চারিত হয়েছে। তারা সমগ্র ছাত্রসমাজকে সরকারের বিপক্ষ শক্তি হিসেবে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা করছে।
প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যকে আন্দোলনের নেপথ্যে থাকা কুশীলবরা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে চরিতার্থ করার জন্য বিকৃত করেছে। প্রধানমন্ত্রী সংবাদ কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন কোটা সুবিধা মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পুতিরা পাবেন না, তো রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবেন? এ কথা তিনি যথার্থই বলেছেন। ৩০ লাখ শহীদের রক্তস্নাত বাংলাদেশে রাজাকারের ঠাঁই হতে পারে না। আমরা বলতে চাই মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান বাঙালি সহ্য করবে না। পরাজিত শক্তির আস্ফালন মেনে নেবো না।
যে ছাত্ররা মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। যারা নিজেদের রাজাকার পরিচয় দিতে গৌরববোধ করে তাদের ঢাবির শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করা উচিত। তারা কীভাবে নিজেদের রাজাকার বলে স্লোগান দেয়? যারা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মূল চেতনাকে অবজ্ঞা করে তারা কীভাবে মেধাবী? তারা কীভাবে জাতি ও ছাত্রসমাজের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে?
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
আমাদের সরকার অনেক শক্তিশালী সরকার, আমরা দেশকে কখনো অস্থিতিশীল করতে দেবো না। সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে একথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, দেখুন গতকাল রাতে যে ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়েছে, রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। সেই দেশে রাজাকারের পক্ষে স্লোগান, এটি রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান। এটি সরকারবিরোধী নয়, এটি রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান। একইসঙ্গে সেখানে সরকারবিরোধী, প্রধানমন্ত্রীবিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়েছে। এতে স্পষ্ট আমরা যে বলেছিলাম আগে, কোটা আন্দোলনের মধ্যে রাজনৈতিক অপশক্তি ঢুকেছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতসহ যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তারা ঢুকেছে। তাদের পরিকল্পিত কিছু মানুষ সেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমরা যেটি বলেছিলাম সেটি তারা গতকাল স্পষ্ট করেছে। এটি আসলে কালকের স্লোগান এবং কালকের যে সমস্ত ঔদ্ধত্বপূর্ণ স্লোগান এবং বক্তব্য, এতে প্রমাণিত হয় এটি কোটাবিরোধী আন্দোলন নয়। এটি রাষ্ট্রবিরোধী, সরকারবিরোধী আন্দোলনে রুপ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্টকে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছু নেতা এবং বাইরে থেকে বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যরা সেখানে ইন্ধন দিচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার স্পষ্ট করে বলেছে আদালতে বিচারাধীন কোন বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। আদালতে এটি নিষ্পত্তি হওয়ার পর আদালত যেভাবে নিষ্পত্তি করবে সরকারকে সেভাবে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে, এটি স্পষ্ট। যারা সংবিধান জানে, দেশের আইন জানে, আপনারা সবাই জানেন- এটি স্পষ্ট। এরপরও এ ধরনের স্লোগান দেওয়া এবং আন্দোলন করা এবং কালকের স্লোগান, কালকের বক্তব্য একেবারে দিবালোকের মতো স্পষ্ট করে দিয়েছে এটির মধ্যে রাজনীতি ঢুকেছে। রাজনীতিকদের রাজনৈতিক অপশক্তির পরিকল্পনামাফিক কিছু ব্যক্তিবিশেষ এখানে যে নেতৃত্ব দিচ্ছে, ইন্ধন দিচ্ছে সেটি গতকাল স্পষ্ট হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেশকে কখনো অস্থিতিশীল করতে দেবো না। আমাদের সরকার অনেক শক্তিশালী সরকার। আমরা কোন রাজনৈতিক অপশক্তিকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্ট নিয়ে খেলা করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেবো না
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে নৈরাজ্যের প্রতিবাদে পুরান ঢাকার নর্থ-সাউথ রোডে অবস্থান নিয়েছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
রোববার (১৪ জুলাই) দিনগত রাত ১২টা থেকে পৌনে ৩টা পর্যন্ত নর্থ-সাউথ রোডে এ অবস্থান চলে।
এতে আওয়ামী লীগের হাজারো নেতাকর্মী অংশ নেন। তারা ‘জামায়াত শিবির রাজাকার এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’, ‘ডাক দিয়েছেন খোকন ভাই, ঘরে থাকার সময় নাই’, ‘একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। এসময় নেতাকর্মীরা বংশাল চৌরাস্তা থেকে ফুলবাড়িয়া পর্যন্ত সড়কে মিছিল করেন।
অবস্থান শেষ হওয়ার আগে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সাঈদ খোকন বলেন, একটি চক্র দেশের সাধারণ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি, প্রেরণা-চেতনার উৎস শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, কারও যদি সরকারি চাকরির ব্যাপারে কোনো বক্তব্য থাকে, কোনো দাবি-দাওয়া থাকে সেটার জন্য যদি কেউ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে চায় সরকার তাতে বাধা দেয় না। কিন্তু শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আড়ালে যদি সরকারকে কোনো ধরনের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলা হয়, সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয়, অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুরসহ মানুষের জীবনকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়, হবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বসে থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, এই গভীর রাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যখনই শুনেছে একদল দুর্বৃত্ত শহর দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে, তখনই তারা রাজপথে নেমে এসেছেন। ভবিষ্যতেও শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা রাজপথে থেকে সব ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করবো, ইনশাআল্লাহ্।
সাঈদ খোকন বলেন, যারা রাজাকারদের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে নিজেদের ‘রাজাকার’ বলে তাদের বলবো- ‘যারা বলে রাজাকার এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’। আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, প্রয়োজনে এই বাংলার মাটিতে আরেকবার মুক্তিযুদ্ধ করবো, ইনশাআল্লাহ্। সংগ্রামের শপথে আবার রাজপথে দেখা হবে।
সব অপশক্তিকে মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা কায়েম করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
আন্দোলনের ‘একদফা’ এখনও প্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেছেন, ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষ্যে গত বছরের ১২ জুলাই ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছিল। এরই সংক্ষিপ্তসার হিসেবে আন্দোলনের একদফা দাবিও উপস্থাপন করা হয়। বর্তমান বাস্তবতায় ৩১ দফা ও একদফা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক আরও জরুরি এবং আরও নতুন তাৎপর্য নিয়ে হাজির হয়েছে। এখনও একদফা আন্দোলনের বিকল্প কিছু নেই।’
শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত এক যোগদান অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাবলু। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সংগঠন থেকে নুরুজ্জামান হিরা, মো. শাহাদাত হোসেনসহ দুই ডজনের বেশি নেতাকর্মী আনুষ্ঠানিকভাবে ভাসানী অনুসারী পরিষদে যোগদান করলে তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
সদ্য যোগদানকারী নেতাকর্মীদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ বাবলু বলেন, মানুষের ভোটের অধিকার ও দেশের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া এবং মানুষের নাগরিক ও মৌলিক অধিকার তাদের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই ভাসানী অনুসারী পরিষদকে সামাজিক সংগঠন থেকে রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত করা হয়েছে। যুগপৎ আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক জোট গণতন্ত্র মঞ্চ গঠনের প্রথম উদ্যোগও নিয়েছিল ভাসানী অনুসারী পরিষদ।
তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আমরা রাজপথে রয়েছি। একদফা আন্দোলনের এখনও বিকল্প কিছু নেই। জনসম্পৃক্ত আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব আবু ইউসুফ সেলিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের উপদেষ্টা মো. হারুন অর রশিদ, সিরাজ উদ্দিন সাথী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইসমাইল হোসেন, বাবুল বিশ্বাস, আরিফ আহমেদসহ অনেকে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুতে চলমান আন্দোলনকে এরই মধ্যে রাজনৈতিক রূপ দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবনা সংগ্রহ, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংবলিত লিফলেট বিতরণ, উন্মুক্ত আলাপন, যৌক্তিক উপায় গ্রহণ এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি পরিহার করার জন্য ‘পলিসি অ্যাডভোকেসি’ ও ‘ডোর টু ডোর ক্যাম্পেইন’-এর ওপর আলোকপাতের উদ্দেশ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি আন্দোলনকে এরই মধ্যে রাজনৈতিক রূপ দেওয়া হয়েছে। এই আন্দোলনে ছাত্রদলের ক্যাডার, পেট্রোলবোমা মামলার আসামিকে আমরা উপস্থিত হতে দেখেছি। আমাদের কাছে অনুভূত হচ্ছে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেগ কাজে লাগিয়ে সন্ত্রাসীদের একটি গেট টুগেদার করার পথ তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল হওয়ার পরে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ সন্তোষ জানিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে গেছে। আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরে গেছে কিন্তু প্রফেশনাল আন্দোলনকারীরা নৈরাজ্য তৈরি করেছে। ব্লকেড ব্লকেড খেলা খেলছে যাতে সাধারণ মানুষ দুর্বিষহ যন্ত্রণার মধ্যে পড়েছে।
তিনি বলেন, একটি বিষয়ে যেখানে সব পক্ষই আন্তরিক, সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির একটি ধাপ এরই মধ্যে পূরণ করা হয়েছে, সেই আন্দোলনকে কেন টেনে টেনে প্রলম্বিত করা হচ্ছে? বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে তথাকথিত একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছে। প্রথমে বলেছে যদি ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল করা হয় তাহলে আন্দোলন থেকে তারা ইস্তফা দেবে। আন্দোলনের একটি যৌক্তিক সমাপ্তি তারা টানবে। ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল করার পরও অনর্থকভাবে তারা তাদের আন্দোলনকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কোটা ইস্যুতে একটি যৌক্তিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাধান চায়। সেটির জন্য বিচার বিভাগের পর্যবেক্ষণ নিয়ে নির্বাহী বিভাগ সময় নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নিয়ে, সময় নিয়ে নির্বাহী বিভাগ একটি সিদ্ধান্ত নেবে। তাহলে কীসের এত তাড়াহুড়ো?
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
আওয়ামী লীগ তাদের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে ভারতের সঙ্গে গোলামির চুক্তি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান।
শনিবার (১৩ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ভারতের সঙ্গে অসম চুক্তি-বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ওপর হুমকি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম এ আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিমা রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে দেশকে অকার্যকর ও ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি করেছে। এক এগারো করা হয়েছিল মাইনাস ওয়ান ফর্মুলার জন্য। মাইনাস ওয়ানের প্রধান টার্গেট ছিলেন খালেদা জিয়া। শহীদ জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্রকে বাংলাদেশে পুনরায় প্রতিষ্ঠার কারণে গণতান্ত্রিক পরিবেশের সুফল যখন জনগণ ভোগ করছিল, তাকে নস্যাৎ করাই ছিল প্রতিবেশী দেশের মূল লক্ষ্য।
তিনি বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ রাঘব-বোয়ালদের পরিচয় উন্মোচিত হওয়ার পরেও আইনের মুখোমুখি না করে নীরবে দেশত্যাগ করতে সাহায্য করছে বর্তমান সরকার। পানি নিষ্কাশনের জন্য ৭০০ কোটি টাকার বাজেট পাওয়ার পরেও ঢাকা শহর এখন জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। সিটি করপোরেশনের নেই কোনো দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা।
সেলিমা আরও বলেন, সরকার জঙ্গি নাটক নিয়ে ব্যস্ত কিন্তু কিশোর গ্যাং ঠেকাতে কোন পদক্ষেপ নেই। আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক বন্ধু ভারতের বিএসএফ প্রায়ই সীমান্তে আমাদের নাগরিকদের হত্যা করছে। সীমান্ত জুড়ে মাদকের কারণে বাংলাদেশের যুব সমাজ ধ্বংসের মুখে। দেশজুড়ে মাদকের ভয়াবহতা। দুদক অভিযুক্ত করেই শেষ, নেই কোন ফলপ্রসূ পদক্ষেপ। সরকার পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে দুর্বল করে ফেলেছে। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আল্লাহকে ছাড়া কাউকে ভয় পায় না, তাদের ভারতের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হলেই এই সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে। স্বৈরাচারী আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদের ভারতের আগ্রাসনে বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন ভিন্নখাতে নিতে সরকার অপকৌশল করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ অভিযোগ করেন তিনি।
মির্জা আব্বাস বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন যারা করছে তাদের দাবি-দাওয়া ন্যায্য। বিএনপি এর সঙ্গে আছে। সরকার যেসব কথা এখন বলছে, এসব কথা বলে আসলে বিষয়টাকে ধামাচাপা দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। এটা তাদের (সরকার) একটা অপপ্রয়াস অপকৌশল এই আন্দোলনকে (কোটা আন্দোলন) অন্যদিকে ধাবিত করার জন্য। তিনি বলেন, বিএনপির এখন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এই সরকারের পতন ঘটানো।
তিনি আরও বলেন, মহানগর কমিটির আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে। এরপর সাংগঠনিক নিয়মনীতি অনুসরণ করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে। নবগঠিত কমিটির সূর্য সন্তানরা শপথ গ্রহণ করলো আজ এদেশের মাটি ও মানুষের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তারা মুক্ত করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, অতীতে বিএনপি কোনো আন্দোলনে ব্যর্থ হয়নি। বরং সরকারই নানা কৌশল, ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করে আন্দোলনকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করেছে, এখনও করছে।
এর আগে মির্জা আব্বাস ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরব ও সদস্য সচিব আমিনুল হক এবং দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু ও সদস্য সচিব তানভীর আহমেদসহ নেতাকর্মীদের নিয়ে শেরে বাংলা নগরে যান। জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মীর সরাফত আলী সপু, তাবিথ আউয়াল, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানিসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঠিক করতে ধারাবাহিক বৈঠকের অংশ হিসেবে একটি জোটসহ দুটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল থেকে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন বিএনপি নেতারা।
বৈঠকে শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, যুগপৎ আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে কী করণীয় তা নিয়ে আলোচনা করতে আমরা আমাদের শরিক জোট ও দলের সঙ্গে বৈঠক করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের যুগপৎ এই আন্দোলনের আরও দল ও জোট রয়েছে। তাদের সঙ্গেও পর্যায়ক্রমে আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি চূড়ান্ত করে আমরা আপনাদের সামনে ঘোষণা করবো।
এদিন বিকেল ৪টায় প্রথম বৈঠক হয় বাংলাদেশ লেবার পার্টির সঙ্গে। দলটির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের নেতৃত্বে বৈঠকে তার দলের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী, রামকৃষ্ণ সাহা, জহুরা খাতুন জুঁই ও যুগ্ম মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম অংশ নেন।
এরপর সন্ধ্যায় এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে বৈঠক হয়। এই বৈঠকে জাগপার খন্দকার লুৎফুর রহমান, এসএম শাহাদাত হোসেন, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএন শাওন সাদেকী, এনডিপির আবু তাহের, আবদুল্লাহ আল হারুন সোহেল, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম এবং এনপিপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন।
এলডিপির বৈঠকে ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নেয়ামূল বশির, আওরঙ্গজেব বেলাল, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মাহবুবুর রহমান ও বিল্লাল হোসেন মিয়াজী।
এসব বৈঠকে নজরুল ইসলাম খান ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান ও আবদুল আউয়াল মিন্টু উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) প্রথম দিনে ‘গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য’, ‘এনডিএ’, ‘গণফোরাম’ এবং ‘বাংলাদেশ পিপলস পার্টির বৈঠকে করে বিএনপি
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
সরকারের দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতা ভোগ করার স্বপ্ন জনগণ কখনোই পূরণ হতে দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। পিরোজপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মারুফ হাসানের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ বিবৃতি দেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জনভিত্তি নেই বলেই ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী এখন আরও বেশি বেসামাল ও জুলুমবাজ হয়ে উঠেছে। কতৃর্ত্ববাদী শাসনের দ্বারা রাষ্ট্রক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর তীব্র মাত্রায় দমন–পীড়ন শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আদালতকে দিয়ে মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদানসহ জামিন নামঞ্জুর করে বিরোধী নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানো এখন অবৈধ আওয়ামী দখলদার সরকারের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। পিরোজপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মারুফ হাসানের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে পাঠানোর ঘটনা সেটিরই ধারাবাহিকতা। তবে জনগণ এবং বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে আওয়ামী ডামি সরকার অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘমেয়াদে ভোগ করার যে স্বপ্ন দেখছে তা জনগণ কখনোই পূরণ হতে দেবে না।’
ফখরুল আরও বলেন ‘সারাদেশে প্রতিনিয়ত আদালতকে দিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দল ও মতের মানুষদের জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে কারান্তরীণের ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। একই সঙ্গে মারুফ হাসানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।’
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, সরকার ট্রানজিটের নামে ভারতকে যে করিডোর দিয়েছে। সে করিডোর হলো ভারতের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাওয়ার ব্যবস্থা। সেখানে বাংলাদেশের কোনো স্বাধীনতা নেই, স্বার্থ নেই। বাংলাদেশ এ ট্রানজিট থেকে কিছু পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, তিস্তা প্রকল্পের কারণে আজকে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল শুকিয়ে গেছে। যে প্রকল্পে আমরা পানি পাচ্ছি না। সেই প্রকল্পের পানি ছাড়া সরকার ভারত সরকারের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করেছে। অন্যদিকে, মৌলবাদে বিশ্বাসী মোদী সরকারের অনুমতি নিয়ে চায়না (চীন) যাবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সেই পারমিশনও নিয়েছেন মোদী সরকারের কাছ থেকে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক, দুঃখজনক।
শনিবার (৬ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে নবীন দলের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ২০১১ সালে ৬ জুলাই সংসদ ভবনের সামনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকসহ বিএনপির জনপ্রতিনিধিদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সেলিমা বলেন, আজকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ভারত আমাদের চায়না যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। ভারত আমাদের অনুমতি দেওয়ার কে? বাংলাদেশের স্বার্থ দেখার দায়িত্ব বাংলাদেশেরই। ভারত অনুমতি দিলে আমরা চায়না যেতে পারছি। ভারত অনুমতি দিলে আমরা চুক্তি করতে পারছি। বর্তমান সরকারের সবকিছুতেই ভারতের অনুমতি নির্ভর হয়ে পড়েছে।
আয়োজক দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হুমায়ুন কবির তালুকদার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ,আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন, শেখ শামিম, তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে বিএনপি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ শনিবার (৬ জুলাই) সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবে দলটি।
শুক্রবার (৫ জুলাই) দিবাগত রাতে বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কোটাবিরোধী আন্দোলন ইস্যুতে দলের অবস্থান তুলে ধরবেন।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক সহিংস আক্রমণ শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (৩ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৯ জুন ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে ও ১ জুলাই সারাদেশের সব মহানগরে এবং আজ দেশের সব জেলা শহরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সরকারদলীয় সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হিংস্র আক্রমণ চালিয়ে তাদের গুরুতর জখম করেছে।
এ ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আজ নাটোর জেলা বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা চালিয়ে বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, নাটোর জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চুসহ অনেক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করে।
তিনি বলেন, পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার পথে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর এবং কলাপাড়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন সিকদারসহ অনেক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করে। সকাল থেকে বাগেরহাট জেলা বিএনপি কার্যালয়ের ভেতর দলের গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমসহ নেতাদের পুলিশ বাহিনী অবরুদ্ধ করে রাখে।
‘নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানা বিএনপির নেতা ও দুবতারা ইউনিয়ন বিএনপি নেতার ওপর আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলা ও তাদের গুরুতর আহত করা হয়েছে। গত ৩০ জুন কামরাঙ্গীচর থানার একটি মিথ্যা মামলায় থানা বিএনপির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী জহিরুল হকসহ মোট ৬ জন নেতাকর্মী এবং কোতয়ালী থানার একটি মিথ্যা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সুমন ভূঁইয়ার জামিন বাতিল ও তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গতকাল (মঙ্গলবার) রাত ২টা ৩০ মিনিটের রাজধানীর শিশু হাসপাতাল থেকে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মারজুক আহমেদ আল-আমিনকে সাদা পোশাকধারী আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এছাড়া গত ৩০ জুন ২০২৪ তারিখ দুপুর ১২টার সাতক্ষীরা জেলাধীন কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো: কামরুজ্জামানকে রতনপুরস্থ নিজ বাড়ি থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। গত ১ জুলাই সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান রাসেলকে রাজধানীর আজিমপুর অগ্রণী স্কুলের সামনে থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান মেলেনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী অবৈধ শাসকগোষ্ঠী বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক সহিংস আক্রমণ শুরু করেছে। নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের গুরুতর জখমসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের উদ্দেশ্যই হলো—আওয়ামী অবৈধ শাসন নিয়ে কেউ যেন প্রতিবাদ করতে সাহস না পায়।
তিনি বলেন, বিএনপিসহ সমমনা দল এবং গণতন্ত্রকামী মানুষের চলমান আন্দোলন কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করতেই আওয়ামী সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও তাদের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে পৈশাচিক উন্মত্ততায় মেতে উঠেছে। এ ধরনের বর্বরতার বিরুদ্ধে ধিক্কার জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। নিষ্ঠুরতা, পৈশাচিকতা, বর্বরতা, অমানবিকতার দৃষ্টান্ত হচ্ছে আওয়ামী লীগ।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করেন। তিনি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং নিখোঁজ নেতাদের অবিলম্বে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জোর আহ্বান জানান।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জমি ব্যবহার করে ভারতকে রেল করিডোর দিতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন।
তিনি বলেন, সরকার শুধু অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে ভারতকে তোষণ করতে গিয়ে দেশকে গোলামির জিঞ্জির পরিয়ে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জিয়া শিশু কিশোর মেলা-কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। দলের চেয়ারপারসান বেগম খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি নেতার্মীদের মুক্তির দাবিতে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে শুধু নির্বাচন থেকে দূরে রাখার অসৎ অভিপ্রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে দণ্ডিত করেছে। আওয়ামী সরকার প্রধান ও তাদের লোকজন প্রায়শই বলেন বেগম জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অথচ আদালতের ফরমায়েশি রায়ে পর্যন্ত কোথাও বেগম খালেদ জিয়া টাকা আত্মসাৎ করেছেন এমন কথা লেখা নেই। অথচ তারা এই অসত্য বয়ান দিয়েই যাচ্ছেন। যদি বাংলাদেশে আইনের শাসন ও জবাবদিহি থাকতো, তাহলে শুধু এই বক্তব্যের জন্য তাদের ১০০ বছরের জেল হয়ে যেতো।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্প্রতি সই হওয়া সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) দিকে ইঙ্গিত করে রিপন বলেন, ওরা বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশে জনগণের সরকার নেই, বরং তাদের তাবেদার সরকার বসে আছে। তাই তারা রেল করিডোর, সড়ক করিডোর ও নৌ করিডোরের নামে বাংলাদেশকে আষ্টেপৃষ্টে বাঁধার ষড়যন্ত্র করছে।
প্রতিবাদ সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জেড খান মো. রিয়াজ উদ্দিন। জাহাঙ্গীর শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কে এস হোসেন টমাস।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপি নেতারা কূটনীতির ভাষা বোঝে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক এক নয়।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে দলটির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
কাদের বলেন, ‘গেলো রে গেলো, সব নাকি ইন্ডিয়া হয়ে গেলো। গেলো রে গেলো, স্বাধীনতা গেলো, গেলো রে গেলো সার্বভৌমত্ব গেলো। কোথায় গেলো? ৫৩ বছর আমরা স্বাধীনতা নিয়ে টিকে আছি। কোথায় যাবো? ভারত আমাদের বন্ধু।’
বিএনপি ভারতের দাসত্ব চেয়েছিল দাবি করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মনে আছে? নরেন্দ্র মোদী যখন ক্ষমতায় আসেন, প্রথমদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বিএনপি নেতারা ভারতের হাইকমিশনের সামনে হাজির। হাইকমিশন বন্ধ, মিষ্টি আর ফুল নিয়ে হাজির। এই হচ্ছে বিএনপি।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এরা ভারতবিরোধিতা করে, কিন্তু ভারতের কাছে ওয়াশিংটনের ইচ্ছায় গ্যাস বিক্রি করার অঙ্গীকার করে ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেছে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ভারতের সঙ্গে ২৫ বছরের মৈত্রী চুক্তি করে গেছেন বলেই আজ ৬৮ বছরের সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়। আরেকটা বাংলাদেশের সমান সমুদ্রসীমা আমরা ভারতের কাছ থেকে আদায় করতে পেরেছি। শা বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির চোখে ঘুম নেই, ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ফখরুলের চোখে অশান্তির আগুন। লন্ডন থেকে ফরমান আসে। ইন আর আউট।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে কখন? তারা নিজেরা নিজেদের বিশ্বাস করে না। কেউ কাউকে পছন্দ করে না। একেকজন আরেকজনকে বলে সরকারের এজেন্ট। তাদের আন্দোলন ভুয়া।’
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচির সঞ্চালনায় সভায় ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল কাদের খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসান, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিলসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
চেয়ারম্যান: এস.এইচ. শিবলী ।
সম্পাদক, প্রকাশক: জাকির এইচ. তালুকদার ।
হেড অফিস: ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ ।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বাড়ি নং ২, রোড নং ৩, সাদেক হোসেন খোকা রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা ১০০০ ।
ফোন: 01558011275, 02-৪৭১২২৮২৯, ই-মেইল: dtvbanglahr@gmail.com
|
|
|
|