কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের খাটরা উত্তর পাড়ার কালা মিয়ার বড় ছেলে মীর হোসেন(৩৮)।যার আতঙ্কে গ্রামের অনেক অসহায় মানুষ দিন পাড় করছে। সাম্প্রতিক ঐগ্রামের ফরিদা বেগম(৫২) এর সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে গ্রামের বিচারকরা মীর হোসেনের দীর্ঘদিন অবৈধভাবে ভোগদখল করে আসা জমি ফরিদা বেগমকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়।এতে মীর হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রামের বিচারক ৬জন কে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং গত ১৫ই ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ফরিদা বেগম কে ধর্ষনের হুমকি দেওয়ায় ভুক্তোগীগী ফরিদার ফুফাতো ভাই হাবিলদার সিরাজুল হক(৭৭)কে বেধড়ক মারধর করে।যিনি ঐ গ্রাম্য শালিশের একজন বিচারক ছিলেন।এতে তিনি শারিরিকভাবে অসুস্থ হয় এবং থানায় মুঠোফোনে অভিযোগ করালে হলে চৌদ্দগ্রাম থানা থেকে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠানো হলে মীরহোসেন কে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
তারপূর্বে গত ১৪ই ডিসেম্বর মীর হোসেন হারুছ নামক একজন বিচারক কে শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করে।যার ফলে অন্যান্য বিচারক যারা রয়েছেন তারা প্রতি মুহুর্তে এক আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে দিন পার করছে।
গত ১৫ই ডিসেম্বরের ঘটনা সম্পর্কে ভূক্তোভোগী হাবিলদার সিরাজুল হকের মেয়ে ফাতেমা বেগমের সাথে মুঠোফোনে আলাপ করা হলে তিনি বলেন,"মীর হোসেন বিচারের রায় না মেনে উলটো আমাকে বিভিন্ন সময়ে হুমকিধামকি দিয়ে আসছে এবং ২দিন আগে আমার ভাই প্রতিবাদ করায় তাকে সে শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করে এবং আমাকে শারিরিক নির্যাতনের হুমকি দেয়।যার ফলে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।