প্রেমের টানে ইন্দোনেশীয় তরুণী বাউফলে : ফিরে যাচ্ছেন একা
9, December, 2017, 2:29:42:PM
সম্পতি গভীর প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়া থেকে পটুয়াখালীর বাউফলে আসা তরুণী নিকি উল ফিয়া নামের ব্যথিত হৃদয়ে একাই স্বদেশে ফিরে যাচ্ছেন। প্রেমিক ইমরানের বিয়ের বয়স না হওয়ায় তাকে ফিরে যেতে হচ্ছে। তবে ইমরানের জন্য তিনি অপেক্ষা করবেন বলে জানিয়েছেন। আজ বুধবার তিনি জানান, বিমানের টিকেটের জন্য ইতিমধ্যে ট্রাবেল এজেন্সির সঙ্গে কথা বলেছেন। টিকেট পেলেই তিনি দেশে ফিরে যাবেন। তিনি ইমরানের পরিবারের ব্যবহারে মুগ্ধ। এদিকে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, এখানে এসে নিকি যখন জানলেন, আইন অনুযায়ি প্রেমিক ইমরানের বিয়ের বয়স হয়নি তখন তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। তার হাস্যেজ্জল মুখ মলিন হয়ে যায়। নীরবে চোখের পানিও ফেলে সে। তবে মনের মানুষকে বিয়ে করার জন্য আরও অপেক্ষা করতেও রাজি তিনি। দাসপাড়া গ্রামের পূরাণ বাবুর্চি বাড়ির দেলোয়ার হোসেনের ছেলে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের উদ্বিদ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ইমরান হোসেন। এক বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে তার পরিচয় হয় ইন্দোনেশিয়ার মুসলিম তরুণী নিকি উল ফিয়ার সাথে। নিকি উল ফিয়া ইন্দোনেশিয়ার সুরা বায়া বিভাগের জাওয়া গ্রামের মি. ইউলি আন থোর মেয়ে। ওই তরুণী স্নাতকত্তোর ডিগ্রি নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করছেন। তার বাবাও একজন চকুরিজীবী। নিকি উল ফিয়ার ৩ ভাই ও দুই বোন রয়েছে। ইমরান হোসেন বলেন, পরিচয়ের মাধ্যমে বন্ধুত্ব এবং এক পর্যায়ে তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। নিকি বাংলাদেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আমার কাছ থেকে জানে। আমার পরিবার সম্পর্কেও সব কিছু জেনে আমার সাথে সম্পর্কের স্থায়ীত্ব রুপ দিতে চায়। এ কারণেই সে গত ১ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়া থেকে বিমানযোগে ঢাকায় আসলে আমি তাকে সোমবার আমার গ্রামের বাড়ি বাউফলের দাসপাড়ায় নিয়ে আসি। নিকি উল ফিয়া বাংলা জানেনা। ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে নিকি বলেন, তিনি ইমরানের প্রতি গভীর ভালোবাসার টানেই বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি ইমরানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চান। বিষয়টি তিনি তার মা বাবাকে জানিয়েই এসেছেন। তিনি এই দেশের মানুষের আতিথেয়তা ও ভালোবাসায় মুগ্ধ বলেও উল্লেখ করেন।