রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে এ সম্মেলন চলমান প্রক্রিয়াকে আরও বেগবান করবে
9, November, 2017, 1:00:51:PM
কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (ঈচঅ) এর ৬৩ তম সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোকে রোহিঙ্গাদের উপর হত্যা-নির্যাতন বন্ধ এবং রোহিঙ্গাদের পুনরায় তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির কথা বলেছেন। এটা একটা নতুন সংযোজন বলে আমরা ধরতে পারি। কিন্তু মিয়ানমার এটাকে কতটা গুরুত্ব দেবে, এ ব্যাপারে আমাদের বেশি আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই। তবে মিয়ানমারের উপর ক্রমাগত যে একটা সম্মিলিত চাপ, সেটা হয়তো ভবিষ্যতে আমরা দেখতে পাব। ইতোমধ্যে কোনো ইনপেক্ট হয়তো আমরা দেখছি না। একমাত্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নিশ্চিত হলে হয়তো আশা করা যায়। অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান হলে হয়তো এর ভূমিকা আছে, কিন্তু তৎক্ষণাৎ কোনো ফলাফল পাওয়া যাবে না। আমি মনে করি, এটা খুবই ভাল একটা উদ্যোগ। এই ৫২টি রাষ্ট্র, যেখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু রাষ্ট্র রয়েছে যেমন: ভারত, সাউথ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডার মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। সম্মেলনটি রোহিঙ্গা সংকট বা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে, সেটাকে আরও বেগবান করবে। সেটাকে আরও গুরুত্ব সহকারে দেখতে এবং মিয়ানমারের উপর চাপ দিতে সাহায্য করবে। এর কোনো তাৎক্ষণিক ফলাফল হয়ত আমরা দেখব না। তবে চলমান প্রক্রিয়াকে আরও বেগবান করবে।