বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল কথাই হচ্ছে, সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়। যে কারণে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্বের সকল দেশের জন্য বাংলাদেশের দরজা খোলা রাখা হয়েছে। তাই বাংলাদেশে বিশ্বের অনেক শক্তিধর দেশের প্রচুর পরিমান অর্থের বিনিয়োগ আছে। সৌদি আরব বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন। বাংলাদেশে সৌদি আরবের বিনিয়োগের সূচনা দেখা দিয়েছে মাত্র। তাদের সাথে আলোচনা চলছে। সৌদি আরব বালাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, চামড়া সহ অন্যান্য আরো অনেক বিষয়ে বিনিয়োগ নিয়ে তাদের সাথে কথা চলছে। এই বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য ভালো বার্তা। কেননা, বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে বা আমাদের উন্নয়নের জন্য টোটাল গ্রোথ আট ভাগের উপরে রাখতে হবে। বাংলাদেশর উন্নয়নের লক্ষে পৌছাতে হলে বিনিয়োগ আরো ১০ থেকে ১২ ভাগ বৃদ্ধি করা দরকার। সেকারণে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন আছে। সৌদি আরবের সাথে আমাদের বিনিয়োগের আলোচনা প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। সেকারণে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিকে বেশি গুরুত্ব দিলে ভাল হয়। কেননা, বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের আমূল পরিবর্তন। তাই সৌদি আরব বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অবকাঠামো উন্নয়নে প্রাধান্য দিলে বাংলাদেশ লাভবান হবে। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভালো অবস্থানে আছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে ভাল রিটার্ন পাওয়া যায়। সেকারণেই বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিচিতি : সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক