একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারি দল আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায় থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের বেশি বেশি কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সাথে বিএনপির দুর্নীতি এবং সরকারের সকল সফলতাকে জনগণের সামনে বার বার তুলে ধরে নির্বাচন মুখী প্রচার-প্রচারণায় নামতে বলা হয়েছে। ঠিক সেই সময়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দলীয় উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের চুপ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আর যদি কথা বলতে হয়, তাহলে সকল নেতাদের একই সূরে কথা বলতে বলা হয়েছে। সরকারের উসকানিতে কান দিতে নিষেধ করেছেন এবং সরকারের পাতা ফাঁদে যেন বিএনপি পা না দেয়, সেজন্য সতর্ক থাকার পরামর্শ ছাড়াও এরকম আরও অনেক নির্দেশনা দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া।
এখানে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ যে পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটা তাদের জন্য ঠিক আছে। কেননা, তারা সরকারি দল, তাই তাদের প্রচারণা করা দরকার। নিজের দুর্নীতির কথা চাপা দিতে বেশি বেশি উন্নয়নের কথাই তাদের বলতে হবে। এক্ষেত্রে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া চমৎকার একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর কারণ হলো, বিএনপির নেতারা যদি জনসম্মুখে কথা বলতে থাকে, তাহলে বিএনপি কি করতে চাচ্ছে তা সবার কাছে প্রকাশ পেয়ে যাবে।
বরং বিএনপির যে জনপ্রিয়তা আছে, তা নিয়ে যদি বিএনপি চুপ থাকে, তাহলে সরকারের মধ্যে তাদেরকে নিয়ে আগ্রহের সৃষ্টি হবে এবং ক্ষেত্র বিশেষ ভীতির সৃষ্টি হবে। সেই সাথে বিএনপির চুপ থাকার কারণ খোঁজার চেষ্টা করবে সরকার। এখানে চুপ থাকাটাই বিএনপির জন্য মঙ্গলের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এরপর বলা যায়, বিএনপি চুপ থাকলে সরকারের যত বেশি আগ্রহ বাড়বে এবং তারা বিএনপিকে নিয়ে যত বেশি প্রপাগান্ডা তাদের বিরুদ্ধে প্রচার করবে, বিএনপির তত বেশি জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকবে। আওয়ামী লীগের নিন্দার পরেও বিএনপি চুপ থাকার ফলে জনগণের একটা সহানুভূতিও বিএনপি অর্জন করতে সক্ষম হবে। সবকিছু মিলিয়ে বিএনপির চুপ থাকার নীতি তাদেরকে লাভবান করবে।
পরিচিতি : সাবেক সংসদ সদস্য মতামত গ্রহণ : লিয়ন মীর সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ