ফকরুল আমিন:তরুণ সমাজ কৌতুহল বশতঃ মাদকে জড়িয়ে যায়। কেউবা পারিবারিক অশান্তির কারণে, কেউ বন্ধু বান্ধবের পাল্লায় পড়ে সিগারেট খেতে শুরু করে। কেউবা অন্যকে দেখে অনুকরণ করে থাকে। একাকিত্ব, নিঃসঙ্গতাও একটি অন্যতম প্রধান কারণ। গরীবের ছেলে যে কারণে ড্রাগ নেয় বা আফিম সেবন করে, গাঁজা খায় ধনীর ছেলে সে কারণে করে না। ধনীর ছেলের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ভোগবাদের প্রতি আর্কষণ। তার সাথে এক ধরনের নিঃসঙ্গতা কাজ করে। পারিবারিক বন্ধন থেকে বিচ্ছিন্নতাও ড্রাগের দিকে ঠেলে দেয়। গরীব যারা তারা দুঃখ কষ্ট সইতে পারে না। ফলে দুঃখ ভুলে থাকার জন্য নেশা করে। বাবা মায়ের হয়তো মিল নেই।
বাবা হয়তো পরনারীতে আসক্ত হয়ে চলে যায়। মা পরের বাসায় কাজ করে। এখানেও এক ধরনের পারিবারিক বন্ধনের শিথিলতা কাজ করে। এক ধরনের কঠোর শ্রেণি সংগ্রামের ভেতর দিয়ে তাদেরকে যেতে হয়। মাদকের আসক্তির কারণ নানাবিধ। উচ্চবিত্ত পরিবারের কারণ এক রকম আর নিম্নবিত্তের অন্য রকম। একজনের খাওয়া নেই, একজনের অতিরিক্ত খাওয়া আছে। কেউ আবার সামাজিক বিচ্ছিন্নতায় ভোগে। নিজের আতœীয়, পরিবার থেকে এক ধরনের বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়ে যায়। সব চাওয়া পাওয়ার মাঝে নিঃসঙ্গতা পেয়ে বসে। কোনোটা ভালো, কোনোটা মন্দ তা বুঝতে না পারায় যা পায় সেটাকে আঁকড়ে ধরে। ভালোবাসার বঞ্চনায় ভোগে।
গাইডেন্সের অভাব, সামাজিক যে শূন্যতা তৈরি হয়, আতœীয় স্বজনের কটুক্তিও একটি কারণ। এইসব থেকে দূরে যাওয়ার জন্য সে তখন নেশায় আগ্রহী হয়ে পড়ে। বন্ধু-বান্ধবদের অসৎ সঙ্গের পাল্লায় তারা পড়ে। এটা তাকে এক ধরনের রিলিজ দেয়। মাথাটা হালকা হয়ে যায়, মনটা হালকা হয়। এক ধরনের ফ্যান্টাসি কাজ করে। ভেতরের কষ্টটা রিলিজ করবার জন্য এই উপায় তার পছন্দ হয়। মাদক থেকে মুক্তির উপায় হল, পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়া। বাবা মা আতœীয় স্বজনদের কাছ থেকে যে ভালোবাসাটা পাওয়ার সেটা একজন উঠতি বয়সের কিশোরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রোপার গাইডেন্স, স্নেহ মমতা এ সবই তাকে নেশা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারে।
পরিচিতি :নলেজ আইডিয়াল হাই স্কুল পলাশপুর কদমতলী ঢাকা