শুধু বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা নয়, এটা সবসময়ে আমাদের দেশে হয়ে আসছে। এটা এখনকার কথা নয়। এমন কোনো সিস্টেম তো নয় যে, লেখা পড়া হচ্ছে না। তবু বাবা-মা সন্তানদের বলে, বাড়িতে বসে হোমওয়ার্ক কর, প্রাইভেট টিউটরের কাছে যাও। তখন ছাত্রছাত্রীরা প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়া শুরু করে। তাদের উপর একটি অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এই নিয়মটা আমাদের দেশে হয়েই আসছে। এটার থেকে বের হয়ে আসতে হলে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে সাজাতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষকদের আসতে হবে। কোনো শিক্ষক কোনো দিন শিক্ষা মন্ত্রী হয়নি। শিক্ষক জানে শ্রেণি কক্ষে বা শিক্ষাব্যবস্থায় কী প্রয়োজন বা ছাত্রদের কী প্রয়োজন। কোনো আমলা বা কোনো বামপন্থী বা ডানপন্থী নেতা এই বিষয়টা জানবে না। সেটা আমাদের দেশে সেভাবে করা হয় না। রাইট পার্সনকে রাইট জব দেওয়া বা প্রদায়ন করা হয় না। এবং বাচ্চাদের কী দরকার, শিশুদের কী দরকার, শ্রেণি কক্ষে কী দরকারÑ সেটা নিয়ে খুব সিরিয়াসভাবে কখনো চিন্তা করা হয় না। এখন পুরো শিক্ষাব্যবস্থাটা রাজনীতিকরণ হয়ে গেছে। বছরের প্রথমেই ছাত্রদের হাতে বই তোলে দেওয়াকে অনেক কিছু মনে করা হচ্ছে। কিন্তু বইয়ের ভিতরে কি আছে না আছে, সুস্থ না অসুস্থ সেটা দেখা হয় না। শুধু এটা একটা রাজনীতিকরণ, জানুয়ারির ১ তারিখে আমরা ছাত্রদের হাতে বই তোলে দিয়েছি। এটা একটা ক্রেডিট নেওয়া ছাড়া আর কিছু নয়। শুধু এই সরকার নয়, সব সরকারই এটা করে আসছে। শিশুদের হাতে ১ তারিখে বই তোলে দেওয়া এই বিষয়টা পৃথিবীর কোন দেশে নেই। শুধু আমাদের দেশেই আছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে যে টাকাটা বাজেট করা হয়, সে টাকাকে দুর্নীতি না করে, চুরি না করে যদি সঠিক ভাবে কাজে লাগানো হয়, তাহলে শিক্ষাবস্থার আরও উন্নতি হবে।