অভিনন্দন জানান, জয়-পরাজয় বিষয় নয় : আপনার সন্তানের যাত্রাপথের শুরু কেমন হলো তা বড় বিষয় নয়, সে যাত্রা শুরু করেছে এটাই বড় বিষয়। তাই তার যাত্রার শুরুর মুহূর্তকে অভিনন্দন জানান। প্রথম অবস্থায় ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ নয়।
দক্ষতা বাড়াতে উৎসাহ দিন : দক্ষতা বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এজন্য ক্রমাগত অনুশীলন করতে হয়। এ বিষয়টি সন্তানকে শিক্ষা দিন। সে যেন দক্ষ হয়ে ওঠার চেষ্টা করে সেজন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।
সমস্যা নির্ণয় করতে দিন : জীবনে চলার পথে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। আর এসব সমস্যা নির্ণয় কিংবা সমাধানের জন্য সবসময় আপনি থাকবেন না। এ ক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে, সন্তান যেন সমস্যা নির্ণয় করতে শেখে।
বয়স অনুযায়ী কাজ : সবকিছুর একটি বয়স আছে। আপনার শিশু যখন ছোট তখন তাকে খেলতে দিন। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপযোগী কাজগুলো করতে দিন। এ ক্ষেত্রে বাড়তি কিছু চাপিয়ে দেয়া ঠিক হবে না।
কৌতূহল বাড়িয়ে দিন : অজানাকে জানার জন্য শিশুর কৌতূহল স্বাভাবিক বিষয়। এ কৌতূহল কোনো অবস্থায়ই নিরুৎসাহিত করা যাবে না। কোনো বিষয়ে প্রশ্ন করলে তা যথাযথভাবে তাকে জানাতে হবে।
নতুন চ্যালেঞ্জ : জীবনের নানা ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই এগিয়ে যেতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে সন্তানকে চ্যালেঞ্জ গ্রহণে আগ্রহী করে তোলা।
শর্টকাট বাদ দিন : শিশুকে শর্টকাট উপায় শেখানোর কোনো প্রয়োজন নেই। এটি তার মানসিকতা বিকাশে নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
সমালোচনা নয় : কাজে ভুল হবেই। ভুল ধরিয়ে দিলেও সমালোচনা করা যাবে না। স্কুলের রেজাল্ট কিংবা অন্যান্য বিষয়েও মতামত দেয়া যাবে কিন্তু সমালোচনা থেকে দূরে থাকতে হবে।
নানা কাজের উপায় শেখান : বিভিন্ন কাজের উপায় শিশুকে শেখাতে হবে। আপনিই শিশুর হিরো। সে আপনার কাছ থেকে যা শিখবে তা সারা জীবন কাজে লাগাবে। এ কারণে সবসময় আপনার জানা ভালো সব কাজের উপায় সন্তানকে শেখান।