ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব নিয়মিত ছাত্রদের হাতে তোলে দেওয়ার ব্যাপারে সবাইকে ঐকমত্যে আসতে হবে
26, October, 2017, 4:02:50:PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, অধিকাংশ ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বে যারা আছে, তারা নিয়মিত ছাত্র নয়। এমনকি অনেকে হয়তো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রও নয়। ডাকসু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সংগঠন হলেও এর সঙ্গে যুক্ত হয় শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও। এখন সবাইকে ঐক্যমত্যে আসতে হবে যে, স্ব স্ব ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব নিয়মিত ছাত্রদের হাতে তোলে দিতে হবে। আমাদের অর্থনীতিকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই উপাচার্য আরও বলেন, জাতীয় রাজনীতিতে ডাকসুর প্রাক্তন নেতৃবৃন্দ অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন। ডাকসু সক্রিয় হোক এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবারই ইচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে যে, বহুদিন যাবৎ ডাকসু নিস্ক্রিয় আছে। এটাকে সক্রিয করতে নতুন কিছু উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। তিনি উল্লেখ করেন, ডাকসুকে সক্রিয় করতে হলে প্রথমেই সকল ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের ক্যাম্পাসে সহ-অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। এর ফলে ছাত্রদের পাশাপাশি অ-ছাত্ররাও ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবে, তখন একধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা অবশ্য রয়েছে। তবে ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব নিয়মিত ছাত্রদের হাতে থাকলে তারা ক্লাসে যাবে, পরীক্ষা দেবে, আবার ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বও দিবে। এক প্রশ্নের জবাবে এই শিক্ষাবিদ আরও বলেন, ছাত্র রাজনীতি মূলত ছাত্রদের কল্যাণের জন্য। দেশের কল্যাণের জন্য রাজনীতি। তারা যদি নিয়মিত ছাত্র হয়, তাহলে তাদের যে দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে, তাদের যে চিন্তা-ভাবনা থাকবে, তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকা-ের একটি মিল খোঁজে পাব আমরা। তিনি বলেন, আমরা চাই ডাকসু সক্রিয় হোক। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম যেন কোনোভাবেই বিঘিœত না হয়। পরীক্ষা কার্যক্রম যেন বিঘিœত না হয়। ছাত্র-ছাত্রীর নিরাপত্তা যেন বজায় থাকে। দেখা গেছে যে, ডাকসু সক্রিয় আছে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা অসুবিধা দেখা দিয়েছে। এই জায়গা থেকে আমরা বের হয়ে আসতে চাই। আমরা সেশনজট মুক্ত হয়েছি। কোনোভাবেই এই সেশনজট ফিরে আসুক, তা আমরা চাই না।