ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিক : প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির মাঝে সবসময় একটি ব্যবধান থাকে । একটি পার্থক্য থাকে। আমরা অনেক কিছুই প্রত্যাশা করি, কিন্তু বাস্তবতার কারণে হয়তো সবসময় আমরা এটা পূরণ করতে পারি না। আমাদের স্বাধীনতার কথা যদি বলি, যে প্রত্যাশা ও চেতনা নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করে ত্রিশলাখ মানুষ তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, সেই প্রত্যাশা থেকে আমরা এখনো অনেক দূরে আছি। বাঙালী জাতির মাঝে এই প্রত্যাশা যিনি সৃষ্টি করেছিলেন, সেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকান্ডের মাধ্যমে প্রত্যাশা পূরণ অনেকটা থামিয়ে দেওয়া হয়। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলো, তারাই পরবর্তীতে এদেশকে পরিচালনা করেছিলেন সুদীর্ঘ সময়। বঙ্গবন্ধু যে চেতনা নিয়ে দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন, যে প্রত্যাশা নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, সেই প্রত্যাশা থেকে এই দেশ অন্যপথে পরিভ্রমণ করেছিলো।
যতদিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা এই দেশ পরিচালনা করেছিলো, যার জন্য আমাদের বিরাট একটি ঘাটতি রয়ে গেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা এই দেশের দায়িত্ব নেওয়ার পরে, ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত একটি সময় গিয়েছিলো, যখন আমাদের প্রত্যাশা কিছুটা পূরণ হয়। ২০০১ সালে যখন জামায়াত-বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তখন আমাদের দেশ প্রত্যাশার পিছনের দিকে যেতে থাকে। আবার ২০০৯ থেকে আমরা নতুন করে যাত্রা করেছি। স্বাধীনতার ৪৬ বছরের প্রত্যাশা পূরণে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা হচ্ছে, একটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ গড়া। অসাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনার বাংলাদেশ গড়া। সেই দিকেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমি আশা করি, যদি এই পথ পরিক্রমা আমরা ধরে রাখতে পারি, নিশ্চিয়ই একদিন আমাদের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবো।