নারী নির্যাতন বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে
31, October, 2017, 3:42:53:PM
বারো আর বিশ বলে কথা নয়, কিশোরি আর বুড়ো বলেও কোন কথা নয়। জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা নির্মমতার সকল মাপকাঠি ছাড়িয়ে যায়। যে কোনো ঘটনার গভীরে না গিয়ে, তদন্ত না করে বিবেচনাহীন হয়ে আমরা নিজেরা আইন হাতে তুলে নিচ্ছি। নিজেদের মাঝেই বিচার করার প্রবণতা সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে সমাজে অস্থির এবং নাশকতাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আর এধরনের ঘটনার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হচ্ছে না। ফলে বিচারহীনতার কারণেই আমাদের সমাজে এমন সব নির্মম হত্যাকান্ডের পূনরাবৃত্তি ঘটছে। এঘটনা গুলো ঘটার পরে কি হয়? দু’চার দিন খবরের কাগজে ছাপা হয়। জিডি হয় বা একটা মামলা হয়। তারপর একটা নির্দিষ্ট সময় পর দেখা গেছে ঘটনাটা ধামা চাপা পড়ে গেছে। আবার যখন আন্দোলন করেও কোন বিচার পাওয়া না যায় তখন ভুক্তভোগী মানুষেরা আগের তুলনায় আরো বেশি ভয় পায়। আর হত্যাকারিরা উৎসাহিত হয়। এই ব্যাপারগুলো বেশি করে ফলাও হওয়ার কারণে হয় কি- সাধারন কোনো ধরনের অপরাধেও যে মানুষ হত্যা করা যায়, একটা মোবাইল চুরির দায়েও যে একটা মেয়েকে পুড়িয়ে মারা যায়, এধরনের বিকৃত চিন্তা আমাদের মাঝে চলে আসছে। একজন নারী যে আরেক জন নারীকে সামান্য একটা মোবাইল চুরির দায়ে পুড়িয়ে হত্যা করতে পারে, এটা কোনো সুস্থ মানসিকতার কাজ নয়। এটা অস্বাভাবিক বিকৃত ভাবনার প্রতিফলন। এধরনের কাজের পক্ষে-বিপক্ষে অনেক যুক্তি দাঁড়িয়ে যায়। এর সাথে যোগ হচ্ছে সঠিক বিচার না হওয়া। তবে আমাদের দেশে যেহেতু আইন আছে, বিচার আছে, সেহেতু এগুলোর সঠিক প্রয়োগ করতে হবে। নারী নির্যাতনের বিষয়টি যেমন প্রাধান্য দেওয়া হয়, তেমনি আইন হাতে তুলে নেওয়ার বিষয়টিও যদি তেমন করে গুরুত্বের সাথে দেখে বিচারহীনতার জায়গা থেকে বেরিয়ে আসি, তাহলে মানুষ ধীরে ধীরে আইন হাতে তুলে নেওয়া থেকে বিরত হবে। নারী নির্যাতন বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পরিচিতি : পরিচালক, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়