খাদ্য নিরাপত্তায় বিশেষ অবদানের জন্য এ বছর স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন ড. মো. আব্দুল মজিদ। তার উদ্ভাবিত ধানের স্বল্প সময়ে উৎপাদন পদ্ধতি বরেন্দ্র অঞ্চলে মঙ্গা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। পাশাপাশি অন্যান্য শস্যের বহুমুখিকরণে নিরলস গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ধান চাষে সবচেয়ে কম সময়ে উল্লেখযোগ্য নতুন প্রযুক্তি বরেন্দ্র এলাকার শুষ্ক জমিতে চারা রোপন না করে সরাসরি ধান বপন ও অন্যান্য শস্য বিন্যাসের প্রযুক্তির উদ্ভাবন। যা বিরিধান-৩৩ নামে পরিচিত।
কম সময়ে এই ধান উৎপাদন পদ্ধতির আবিষ্কার ড. মো. আব্দুল মজিদ। জিনি খাদ্য নিরাপত্তায় বিশেষ অবদানের জন্য এ বছর স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন।
এই উদ্ভাবনের ফলে কম সময়ে কৃষকেরা ধান ঘরে তুলতে পারেন। পাশাপাশি একই জমিতে তিনটি ফসল উৎপাদনও সম্ভব হচ্ছে।
ধানের স্বল্প জীবনকাল জাতের উৎপাদন পদ্ধতির আকিষ্কারক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেছেন, ধান যাতে অল্প সময়ের মধ্যে কাটা যায়, যাতে করে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়। তার সাথে ঐ জমিটি আগাম খালি হয়ে যাচ্ছে তাতে করে অন্যান্য ফসলও আবাদে শস্য নিবিরতা ও শস্য বহুমুখিকরণই আবিষ্কারের মূল উদ্দেশ্য ছিল।
তার মতে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে নতুন জাতের ধানের উৎপাদন বাড়ানোসহ কৃষকদের মাঝে পরিচিতি তুলে ধরতে হবে। এজন্য ভিডিও বেজড টেকনোলজির কথাও উল্লেখ করেন তিনি
বন্যা সহিষ্ণু জাত উৎপাদন ও মানুষের পুষ্টি চাহিদা রমটাতে নতুন জাতের উৎপাদন পদ্ধতিও আবিষ্কার করেছেন তিনি।