১’শ কৃষকের একটাই আধার নম্বর, বিপাকে মহারাষ্ট্র সরকার
26, October, 2017, 4:07:22:PM
১২ সংখ্যার ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর। চলতি কথায় আধার। মোদি জমানায় এখন ভারতবাসীর এটাই একমাত্র পরিচয়। কিন্তু, এই আধার কার্ড নিয়েই এখন ঘোরতর সমস্যায় পড়েছে মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকার। কারণ, ইউনিক নয়, বরং ১০০ জন কৃষকের আধার নম্বর যে একই!
কৃষকদের লাগাতার আন্দোলনে চাপে একপ্রকার বাধ্য হয়েই কৃষিঋণ মকুফের কথা ঘোষণা করেছেন মহারাষ্ট্র সরকার। আর এই কৃষিঋণ মকুফের সুবিধা পাওয়ার জন্য কৃষকদের আধার কার্ড ব্যবহার করে অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করতে বলা হয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকারের বক্তব্য, কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার সংযুক্ত করাটা অত্যন্ত জরুরি। কারণ এতে যেমন জালিয়াতি রোখা সম্ভব হবে, তেমনি ভুয়া সুবিধাপ্রাপকদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। কিন্তু, সেই প্রকল্প রূপায়িত করতে গিয়ে আধার কার্ড নিয়ে প্রশাসনের গাফিলতি সামনে চলে এল। কৃষিঋণে মকুফে সম্ভাব্য সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রকাশ করেছে মহারাষ্ট্র সমন্বয় দপ্তরের এক আধিকারিক। তাতে দেখা গিয়েছে, ১০০ জন কৃষকের আধার কার্ডের নম্বর একই। তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা হবে, তা নিয়ে কার্যত দিশাহারা প্রশাসন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাঙ্ককর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস।
মহারাষ্ট্রের সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম, ভুয়ো সুবিধাপ্রাপকদের চিহ্নিত করতে আধার কার্ডই হাতিয়ার হয়ে উঠবে। কিন্তু, এখন দেখা যাচ্ছে, একাধিক কৃষকদের আধার নম্বরই তো একই। জানি না, কীভাবে এই সমস্যার সমাধান হবে। কৃষকরা এমনিতে দেরিতে প্রকল্প রূপায়ণ হওয়া নিয়ে ক্ষিপ্ত। পুরো বিষয়টি হাতকলমে খতিয়ে দেখতে গেলে তো অনেক সময় লেগে যাবে।’ এদিকে ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের একাংশ আবার বলছেন, কৃষকদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন পোর্টাল থেকে যা তথ্য মিলেছে, তার সঙ্গে তাদের কাছে থাকা তথ্য মিলছে না। তাই সরকার যদি সংশ্লিষ্ট কৃষকের অ্যাকাউন্ট ও ঋণের পরিমাণ খতিয়ে না দেখে, তাহলে ঋণ মকুবের সুবিধা দেওয়া যাবে না। সুতরাং কৃষিঋণ মকুবের ঘোষণা তো হয়েছে। কিন্তু, সেই প্রকল্প রূপায়ণ করতে গিয়ে কার্যত ল্যাজে গোবরে অবস্থা মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকারের।