দেশে দামের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে শাকসব্জির উৎপাদন। বিগত পাঁচ বছর ধরে শাকসব্জির দাম ও উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইং এর ২০১১- ২০১২ থেকে ২০১৫-২০১৬ পর্যন্ত শাকসব্জি আবাদ ও উৎপাদন পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এ চিত্র ফুটে উঠেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইং এর অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. আলহাজ উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, দেশের কৃষি এখন বানিজ্যিক কৃষিতে পরিণত হয়েছে। বানিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে আগেকার ধারণা বদলে যাওয়ায় দেশে কৃষির চিত্র বদলে গেছে। এখনকার কৃষক আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। তারা বুঝেশুনে চাষ করে। লাভ না হলে তারা এখন আর ফসল ফলায় না। বিগত বছরগুলোতে তুলনামূলক ভাল দাম পাওয়ায় কৃষক উৎসাহিত হয়ে বেশি বেশি চাষ এবং যত্ন করায় দেশে শাকসবজি উৎপাদন বেড়েছে। এছাড়া এখন শাকসব্জি মৌসুমী ফসল নয়, সারা বছরই শাকসব্জি উৎপাদন করা যায় এবং হয়। সেই সঙ্গে নতুন নতুন প্রযুক্তি এবং জাতের উদ্ভাবনেও শাকসব্জি উৎপাদনে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর শাকসব্জি উৎপাদনকারি দেশেগুলোর মধ্যে তৃতীয়।
২০১৫-২০১৬ সালে দেশের ৮ দশমিক ৩২ হেক্টর জমি চাষে উৎপাদন হয়েছে ১৫২ দশমিক ৬৪ লাখ মেট্রিক টন শাকসব্জি। আর এই সময়ে হেক্টর প্রতি ফলন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৩৫ মেট্রিক টন। অথচ ২০১১-২০১২ সাল দেশের ৭ দশমিক ৪১ হেক্টর জমি চাষ করে শাকসব্জি উৎপাদন হয়েছিল ১২৫ দশমিক ৮০ লাখ মেট্রিক টন। হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছিল ১৬ দশমিক ৯৮ মেট্রিক টন। ২০১৪-২০১৫ সাল দেশে ৭.৯৮ হেক্টর জমিতে শাকসব্জি আবাদে উৎপাদন হয়েছিল ১৪২.৩৭ লাখ মেট্রিক টন। ফলন হয় হেক্টর প্রতি ১৭.৮৪ মেট্রিক টন। ২০১৩-২০১৪ সালে ৭.৭০ হেক্টর জমিতে ১৩৯.১৯ লাখ মেট্রিক টন এবং ২০১২-২০১৩ সালে ৭.৭৬ হেক্টর জমি চাষে ১৩২.১১ লাখ মেট্রিক টন শাকসব্জি উৎপাদন হয়। এই দুই বছরে হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছিল ১৮.০৮ মেট্রিক টন এবং ১৭ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন।