বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি করলো ভারত।
প্রতি মেঃ টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য আড়াই’শ মার্কিন ডলার থেকে কয়েক দফায় বাড়িয়ে তা গত বৃহস্পতিবার ৮৫২ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে ভারতের কৃষিজাত কাঁচা পন্যের মুল্য নির্ধারনী সংস্থা (ন্যাফেড)।
এতে করে দেশের বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা।কোন অজুহাত ছাড়াই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে এলসির বিপরীতে টন প্রতি ডলার মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত।
অক্টোবরে প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য আড়াই’শ মার্কিন ডলার থেকে সাড়ে ৩’শ মার্কিন ডলার নির্ধারন করে। এরপর দফায় দফায় তা বাড়িয়ে ৫’শ মার্কিন ডলার নির্ধারন করেছিল ভারত।
সে অনুপাতে গত ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত সে দামেই পেয়াজ আমদানী হয়ে আসছিল দেশে। কিন্ত হঠাৎ করে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিকারকরা আমদানি কারকদের জানিয়ে দেয় ৮৫২ ডলারের নিচে তারা আর পেঁয়াজ রপ্তানি করবেনা।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দিল্লি থেকে এ সংক্রান্ত একটি ফ্যাক্স বার্তা পাঠিয়ে দেয় ভারতের হিলি কাষ্টমসে। গতকাল শনিবার থেকে নতুন এ রপ্তানি মুল্য কার্যকর শুরু হয়েছে বলে জানান বাংলাহিলি স্থল বন্দরের ব্যাবসায়ীরা।
হিলি বাজারের খুচরা বিক্রেতারা জানান, পেঁয়াজের দাম কেজি ২০ -২৫ টাকা বেড়েছে তাই ক্রেতা সাধারন কিনছেন কম।
আমদানি কারক বাবলুর রহমান ও সাকিব রেজা জানান, ভারত সরকার বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে মূল্য বৃদ্ধি করার কারণে বিপাকে পড়েছে দেশের পেঁয়াজ আমদানীকারকরা। এমনকি পূর্বের খোলা এলসি গুলোও পুনরায় মূল্য নির্ধারণ করতে হচ্ছে তাদেরকে।
অপরদিকে আমদানী কারকরা বলছেন, বেশি ডলারে ভারত থেকে কোন পন্য আমদানি করলে পরবর্তীতে এলসির বিপরীতে ডলার মূল্য কমে গেলে, অতিরিক্ত ডলার তারা আর ফেরত দেয়না।
এতে করে একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হয় আমদানীকারকরা, অপরদিকে অতিরিক্ত ডলার চলে যায় ভারতে।
হিলি কাষ্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা ফকর উদ্দিন জানান, তারা ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৫০০ ডলারে পেঁয়াজের এ্যাসেসম্যান করেছেন, আর এখন করছেন ৮৫২ ডলারে।
নভেম্বর মাসে গত ২৩ দিনে ১১হাজার ১৪৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে। আর দাম বাড়ার পর গতকাল শনিবার এবন্দর দিয়ে মাত্র ১১ টি ট্রাকে ২২০ মেঃ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।