দেশের সাদা সোনা খ্যাত চিংড়িসহ সকল প্রকার মাছ রপ্তানিকে উৎসাহিত করতে অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে। এজন্য হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রফতানিতে পাওয়া যাবে নগদ সহায়তা। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, হিমায়ন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বরফ আচ্ছাদন এবং ব্যবহৃত আনুষঙ্গিক আবশ্যিক উপাদান হিমায়িত মাছের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গণ্য হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, ২০০২ সাল থেকে হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রফতানির বিপরীতে নগদ সহায়তা প্রদানের বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। ২০০৩ সালে হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রফতানির ক্ষেত্রে আইকিউএফ রিটেইল প্যাকের সংজ্ঞা, প্যাকেটের সর্বোচ্চ ওজন, ইউনিট প্রতি (পাউন্ড) এফওবি মূল্যের সিলিং, প্রভৃতি বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়। আলোচ্য ক্ষেত্রে হিমায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রফতানির বিপরীতে নগদ সহায়তা প্রযোজ্য।
জানা গেছে, হিমায়িত চিংড়ি ও মাছ রফতানির নগদ সহায়তা প্রদানের জন্য প্রথমে এলসির আওতায় রফতানি মূল্যের ওপর নগদ সহায়তা দেওয়া হয়। এতে মূল্য ঘোষণার ক্ষেত্রে ওভার ইনভয়েসিং করে নগদ সহায়তার অর্থ হাতিয়ে নেয় অসাধু কিছু ব্যবসায়ী। এমন ঘটনার প্রেক্ষাপটে ২০০৩ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি নীতিমালা জারি করে। ওই নীতিমালায় রপ্তানিকৃত মাছে প্রতি ইউনিটির একটি সর্বোচ্চ এফওবি মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।