বাংলাদেশে ক্রমান্বয়ে ড্রাগন ফলের চাষ ও উৎপাদন বাড়ছে। ২০১৫ -২০১৬ সালে দেশের ৩৮ হেক্টর জমি চাষ করে ২৭৭ মেট্রিক টন ড্রাগন ফল উৎপাদন হয়েছে। ২০১৬-২০১৭ সালে চাষের জমি ও উৎপাদনের পরিমাণ অনেক বাড়বে বলে জানিয়েছেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইং এর উপ পরিচালক ( ফুল ও ফল) এ কে এম মনিরুল আলম। ২০১৪- ২০১৫ সালে দেশে ১৮ হেক্টর জমি চাষে ৬৬ মেট্রিক টন ড্রাগন উৎপাদন হয়েছিল।
২০০৫ সালে গবেষণার মাধ্যমে উপযোগিতা যাচাই শেষে ২০১১- ২০১২ সাল থেকে মাঠ পর্যায়ে এ ফলের চাষ শুরু হয়। দেশের রংপুর, নাটোর, মাগুরা, জামালপুর ও পার্বত্য জেলাগুলোতে এ ফলের চাষ বেশি হচ্ছে। দেশের চেইন শপগুলোতে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি এবং চাষি পর্যায়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে।
ড্রাগন ফল গ্রীষ্ম মন্ডলীয়। এটি দ্রুতবর্ধনশীল ক্যাকটাস গাছ। গ্রীষ্ম মন্ডলীয় অন্যান্য ক্যাকটাসের সঙ্গে এর ভিন্নতা এই যে, এটি দ্রুত বাড়ে এবং বেশি পানি গ্রহণ করে। তবে এটি অন্যান্য ক্যাকটাসের মতোই দীর্ঘ খরা সহ্য করতে পারে। ভাল ফলনের জন্য সুর্যের আলো দরকার। বর্তমানে বিশ্বের নতুন ফল হিসেবে বাংলাদেশেও এ ফল খুবই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অদিদপ্তরের সমন্বিত মানস্পন্ন উদ্রঅন উন্নয়ন প্রকল্প এবং বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এদেশে ড্রাগন ফলের বিস্তারে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।