কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে পানির নিচে চাঁদপুরের ৩ হাজার ৭শত ৯২ হেক্টর জমির আলুবীজ। এতে আলু চাষীরা ব্যাপক ক্ষতির মূখে পড়েছে। ফলে একদিকে কৃষকদের স্বপ্ন ভঙ্গ, অন্যদিকে ঋন ও ধারদেনা করা লক্ষ লক্ষ টাকা লোকসানের আশষ্কায় আলু চাষীরা হতাশ হয়ে পড়েছে।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এ বছর জেলায় ৪ হাজার ৫শ ৯৫ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ করা হয়েছে। এরই মধ্যে জেলার ৩ হাজার ৭শত ৯২ হেক্টর জমির আলুবীজ এখন পানির নিচে থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মতলব দক্ষিন উপজেলায়। সেখানে ২ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে আলু বীজ আবাদ হয়েছে। এছাড়া চাঁদপুর সদর উপজেলায় ৯শ ২২ হেক্টর জমির আলুবীজ এখন পানির নিচে রয়েছে। অসময়ে টানা বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে আলু বীজ ও জমিতে প্রয়োগকৃত সার ও ঔষধ বিনষ্ট হয়ে গেছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগড়া বাজার সংলগ্ন গ্রামের আলু চাষী মিজানুর রহমান শেখ ও এমরান শেখ জানায়, আমরা ধারদেনা ও ব্যাংক থেকে কৃষি ঋন নিয়ে এ বছর প্রায় ৩ একর জমিতে আলু লাগিয়েছি, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে আমাদের সব আলু ক্ষেত পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে আমাদের লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি হবে।
কৃষকদের দাবী, কৃষকবান্ধব সরকার যেনো আলু চাষীদের প্রতি নজর দেয় এবং সুদ মুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-সহকারী নরেস চন্দ্র দাস জানায়, আগামি এক-দুই দিনের মধ্যে জমিতে জমে থাকা পানি না শুকালে এসব আলুবীজ নষ্ট হয়ে যাবো। এতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তিনি দ্রুত জমি থেকে পানির মেশিন দিয়ে শুকানোর পরামর্শ দিয়েছেন কৃষকদের।