বরগুনার পাথরঘাটার বাজার গুলোতে প্রচুর ইলিশের দেখা মিলছে। সাধারণত এ সময়ে বাজারে তেমন ইলিশ থাকে না। যা পাওয়া যায়, সেগুলো হিমাগারের। তবে এখন ইলিশের ছড়াছড়ি দেখে অবাক ক্রেতারা। দামেও তুলনামূলক কম।
৫০০ গ্রামের কম ওজনের ছোট ইলিশ প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়, যা আগের ছিল ৫০০ টাকা। এর চেয়ে বড় ইলিশ আকারভেদে প্রতিটি ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের প্রতিটি ইলিশ বেচাকেনা হয়েছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের প্রতিটি ইলিশ মিলেছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। ৯০০ গ্রামের কমবেশি ওজনের ইলিশ মিলেছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। এক কেজি ওজনের ইলিশ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
বাজারের আবাসিক এলাকা ও অলিগলিতে ভ্যানে ও হাঁড়িতে করে ইলিশ বিক্রি শুরু হয়েছে আবার। যদিও এখন ইলিশের ভরা মৌসুম নয়।
জানা যায়, প্রতিবছর মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরার মৌসুম। এর পরে নদীর পানি কমে যায়। ফলে উজানের স্রোত না থাকায় নদী ও সমুদ্রে তেমন ইলিশ ধরা পড়ে না। কিন্তু এবার ঘটেছে ব্যতিক্রম। বঙ্গোপসাগরের উপকূলে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়েছে। অসময়ে এত ইলিশ ধরা পড়ায় তা সারা দেশের বাজারগুলোতে যাচ্ছে। ফলে মৌসুম ছাড়াও অসময়ে তাজা ইলিশ খাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন ক্রেতারা।