কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ৫ লাখ ৪১ হাজার ২০১ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ৫৮ কোটি ৭৭ লাখ ১৯ হাজার ৩১৫ টাকার প্রণোদনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে আসন্ন মৌসুমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে প্রণোদনা কর্মসূচি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘গম, ভুট্টা, সরিষা, চীনা বাদাম, গ্রীষ্মকালীন তিল, গ্রীষ্মকালীন মুগ, খেসারি, মাসকলাই, ফেলন ও বিটি বেগুনের ক্রমবর্ধমান উৎপাদনের ধারাবাহিকতা ঠিক রেখে কৃষি উন্নয়নে এ প্রণোদনা দেওয়া হবে। প্রণোদনার অংশ হিসেবে কৃষকরা বীজ, ডাই অ্যামোনিয়া ফসফেট (ডিএপি) ও এমওপি (পটাশ) সার পাবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক কৃষককে এক বিঘা জমির জন্য এসব বীজ ও সার দেওয়া হবে। অর্থাৎ ৫ লাখ ৪১ হাজার ২০১ বিঘা জমিতে চাষের জন্য বীজ ও সার পাবেন কৃষকরা।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রণোদনা কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাজেট থেকে দেওয়া হবে। এজন্য বাজেটের বাড়তি অর্থের প্রয়োজন হবে না। কৃষক প্রতি এক টাকা ব্যয়ের বিপরীতে ১২ টাকা করে আয়ের সুযোগ পাবে।’
তিনি আরো বলেন, `প্রণোদনার কারণে ৭২৭ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার ৯০০ টাকার অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন সম্ভব হবে।’
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পাশে সরকার রয়েছে জানিয়ে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কৃষি ঋণ বন্ধ রাখা হয়েছে। সুদও মওকুফ করা হয়েছে। এ ছাড়া চলতি দুই মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কলার ভেলায় আপদকালীন সময়ের জন্য রোপা আমনের ভাসমান বীজতলা তৈরির জন্য ৭ লাখ ৫৮ হাজার টাকা প্রনোদনা দেওয়া হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে কৃষিসচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ ছাড়াও কমন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।