বাজারে অসহনীয় সবজির দাম নিয়ে নাভিশ্বাস ওঠা মানুষকে শীতের সবজি আসা পর্যন্ত ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘আর কটা দিন সবুর কর রসুন বুনেছি।’
বুধবার (১ নভেম্বর) সচিবালয়ে ‘কৃষি সম্প্রসারণ বাতায়ন’ এর পরীক্ষামূলক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
কিছুদিন ধরে বাজারে সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী, ৫০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না -এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা কৃষকদের প্রণোদনা দিয়েছি, পুনর্বাসনের জন্য কৃষকদের বীজ দিয়েছি। এভাবে কোনো দিন কৃষকদের সহায়তা দেয়া হয়নি। প্রত্যেকটি জায়গায় স্বচ্ছতাও আছে। বেগুন, সরিষা, মাশকলাইয়ের বীজ কোনো দিন বিতরণ হয়নি। সবজি বীজের সঙ্গে অর্থকরি ফসলের বীজ আমরা যতটা পেরেছি দিয়েছি।’
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘গত সপ্তাহে বৃষ্টিতে সবজির বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু অদম্য কৃষক আবার চাষ শুরু করেছে। আশা করি, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে...তখন হয়তো বা হেডিংয়ে আসবে কৃষক দাম পাচ্ছে না। এই দুটো হেডিংয়ের জন্যই আমি প্রস্তুত থাকি- কৃষক দাম পাচ্ছে না বা বাজারে আগুন। বাংলাদেশে বসবাস করলে এই দুটো হেডিং আমাদের জন্য নির্ধারিত থাকে।’
সবজি নিয়ে পত্রিকার শিরোনামের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘মাস্টার হেডে বসাবেন এটা আপনাদের উপর ও প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। আমি এককভাবে বলছি না, আপনারাও বসাতে পারেন। আর প্রকৃতি যদি বিরূপ হয় তবে আপনাদের জন্য সুবিধা হয়, এই আর কি।’
‘আন্তর্জাতিক হিসাবে আমরা সবজি উৎপাদনে তৃতীয়। আল্লাহর রহমত আমাদের সুবিধা হলো- আমরা সারা বছর সবজি উৎপাদন করতে পারি। অনেক দেশে কিন্তু ছয় মাসের কৃষি। আর কটা দিন সবুর কর রসুন বুনেছি। প্লিজ একটু সময় দিন’ -বলেই হেসে দেন মতিয়া।
এ সময় কৃষি সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ বলেন, ‘আপনারা হয়তো জানেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশে সবজি ও ফলের উৎপাদন তিনগুণ বেড়েছে। এত বন্যা, এত সমস্যা হয়েছে তারপরও। বৃষ্টিতে হয়তো বীজতলা নষ্ট হয়েছে কিন্তু আবার নতুন করে লাগানো হয়েছে। হয়তো ৭-৮-১০ দিন পিছিয়ে গেছে। কিন্তু উৎপাদন আমাদের গত বছরের চেয়ে বেশি হবে।’