এলজিআরডি মন্ত্রীর সঙ্গে ফরিদপুর কৃষক লীগের সাক্ষাৎ
26, November, 2017, 1:34:12:PM
বাংলাদেশ কৃষক লীগের নবগঠিত ফরিদপুর জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। শনিবার রাতে ফরিদপুরের বদরপুরস্থ মন্ত্রীর নিজ বাস ভবন আফসানা মঞ্জিলে নবগঠিত জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ তার সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তারা মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেসাম হোসেন বাবর, নবগঠিত এস এম মোশাররফ হোসেনকে (মুসা ফকির), যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম-আহ্বায়ক প্রদীপ কুমার দাস (লক্ষণ) ও আব্দুর সালাম মুন্সীসহ নেতৃবৃন্দ।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আপনারা দলকে সুসংগঠিত করুন। বাংলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য পুনারায় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনার বিকল্প নাই। তাই সকলে মিলেমিশে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়ুন।
গত ৮ নভেম্বর কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা স্বাক্ষরিত একটি আদেশে কৃষক লীগের ফরিদপুর জেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে নতুন আহ্বায়ক কমিটি করা গঠন করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে জেলা কমিটি কার্যত অকার্যকর থাকায় এবং সময়মতো কাউন্সিল করতে না পারায় কেন্দ্র এ সিদ্ধান্ত নেয় বলে ওই চিঠিতে জানানো হয়। এস এম মোশাররফ হোসেনকে (মুসা ফকির) আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক তিনজন। তারা হলেন শেখ শহিদুল ইসলাম, প্রদীপ কুমার দাস (লক্ষণ) ও আব্দুর সালাম মুন্সী।
কৃষক লীগ ফরিদপুর জেলার সভাপতি সৈয়দ কবিরুল আলম মাওকে দেয়া কেন্দ্রের চিঠি সূত্রে জানা যায়, দলের কেন্দ্রীয় একটি বিশেষ বর্ধিত সভায় ফরিদপুর জেলার নেতারাদের উপস্থিতি আশানরূপ ছিল না। দলকে চাঙ্গা করতে ওই সময় কেন্দ্র থেকে দ্রুত জেলা কাউন্সিল করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো কাউন্সিল অনুষ্ঠিত না হওয়ায় কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা কমিটি বিলুপ্ত করে আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। আহ্বায়ক কমিটির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শহিদুল ইসলাম কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন বলে চিঠিতে বলা হয়েছে।