দিনে প্রচণ্ড গরম। রাতে কিছুটা শীত। রাতের হালকা কুয়াশাই জানান দিচ্ছে শীতের আগমন বার্তা। শীতের আগমনের সাথে সাথে শীতকালীন সবজি ফলাতে দারুণ ব্যস্ত কৃষক-কৃষাণিরা। যদিও আগাম শীতকালীন সবজি হিসাবে টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মূলা ও লাউ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। তবে সবজির ভরা মৌসুম না হওয়ায় এখনো শীতকালীন সব ধরনের সবজি বাজারে আসেনি।
সারাদেশের মত হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন চলছে সবজি চাষের ভরা মৌসুম। সবজি চারা উৎপাদন করে ক্ষেতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রোপণের জন্য। আসছে অগ্রহায়ণে নবান্ন উৎসবের সময় শীতকালীন সবজিতে ভরে উঠবে স্থানীয় হাটবাজার। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারী ব্যবসায়ীরা হাটে হাটে ভিড় করবে। উৎসবে মেতে উঠবে শহর, নগর, বন্দর ও গ্রামগঞ্জ।
এদিকে শীতকালের আগাম সবজিতে মাধবপুরের হাটবাজারগুলো গরম হতে শুরু করেছে। অন্যদিকে ভরা মৌসুমে শীতের সবজি চাষে ব্যস্ত মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষক-কৃষাণিরা। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মাধবপুরে শীতের সবজির বাম্পার ফলন হবে এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অধেন্দু দেব অসিত ও মুখলেছুর রহমান।
আগাম শীতের সবজি চাষ করে ভাল দাম পেয়ে খুশি মাধবপুর উপজেলা বিভিন্ন এলাকার কৃষক-কৃষাণিরা। শীতকালীন ফসলের আগাম চাষে ভাল দাম পাচ্ছে বলে জানালেন মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের কৃষক আজগর আলী। এ বছর শীতে সবজির বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ভাল দাম পাওয়া যাবে বলে জানালেন আলাবক্সপুরের কৃষক আলী জাহান শাহ। তিনি বলেন, আগাম সবজি চাষ হয়েছে। অবশিষ্ট জমিতে সবজি চাষ চলছে। যারা আগাম সবজি চাষ করেছিল তারাও খুব ভাল লাভবান হয়েছেন। আশা করছি এবারও শীতকালীন সবজির ভাল দাম পাবে কৃষকরা।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিকুল হক জানান, এখন সর্বত্র চলছে শীতকালীন সবজি চাষের ভরা মৌসুম। ইতোমধ্যে কৃষক-কৃষাণিরা চারা তুলে জমিতে লাগাতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎফুল্ল কৃষক-কৃষাণিরা।