দেশে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয় দুর্নীতি। মানুষের মুখে মুখে সরকারের আমলা, প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি, সরকারদলীয় নেতা, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যদের কারও কারও বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ কান পাতলেই শোনা যায়।
দুর্নীতির অভিযোগগুলো এত দিন সরকারবিরোধীদের অপপ্রচার বলে চালানো হলেও এখন বিষয়টি সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল অনেকের কাছেও অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে। আগুনে ঘি ঢালার মতো কয়েকটি ঘটনার পর এখন এটা মুখরোচক আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদ্য সাবেক সদস্য মো. মতিউর রহমানসহ বেশ কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান সরকারি কর্মকর্তার দুর্নীতির নানা অভিযোগ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে নিয়মিত খবর প্রকাশিত হচ্ছে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চার মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির ব্যাপক প্রসার ঘটেছে বলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ধারণা বদ্ধমূল হচ্ছে। অবশ্য কয়েক বছর ধরেই এটা বলা হচ্ছে যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলছে। প্রশ্ন উঠেছে, সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিলেও দুর্নীতি না কমে বাড়ছে কেন? কারণ আমার কাছে অতি পরিষ্কার, যে সরকার গছতন্ত্র হত্যা করে, অবৈধভাবে সরকার গঠন করে, তার পক্ষে দুর্নীতি বন্ধ করা সহজ না।
মন্ত্রি-সভার বৈঠক-পরবর্তী সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রতি সরকার কোনো সহানুভূতি দেখাবে না এবং দেখানো হচ্ছেও না বরং সরকার নিজেই দুর্নীতি করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে।রূপকল্প ২০৪১-এর মূল লক্ষ্য হলো—দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহি রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা। এ জন্য সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোরভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে। নির্বাচনী ইশতেহারেও স্বচ্ছ ও জবাবদিহির কথা বলা হয়েছে।কিন্তু সরকারী নেতাকর্মীদের দিতে তাকালে দেখা যায় তারা নিয়মের বাহিরে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্নীতি করে চলচ্ছে।
রূপকল্প ২০৪১-এর মূল লক্ষ্য হলো দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহি রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা। এ জন্য সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোরভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে। নির্বাচনী ইশতেহারেও স্বচ্ছ ও জবাবদিহির কথা বলা হয়েছে।কিন্তু সরকারী নেতাকর্মীদের দিতে তাকালে দেখা যায় তারা নিয়মের বাহিরে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্নীতি করে চলচ্ছে।আমাদের দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিচারের প্রক্রিয়াটাই জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সংসদ সদস্য সহ আওয়ামিলীগের নেতাকর্মী অর্থ পাচারে মরিয়া হয়ে উঠচ্ছে। ২০১৯ সালের ক্যাসিনো-কাণ্ডের কথাও উল্লেখ করা যায়। অবৈধভাবে ক্যাসিনো পরিচালনা করচ্ছে আওয়ামিলীগের নেতাকর্মী প্রসাশন এই ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।বি এন পির চ্যায়ারপাসন খালেদা জিয়ার শাসন আমল, ১৯৯১-৯৬ এবং ২০০১-২০০৬ এই দুইভাগে ভাগ করেন অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক।
আমেরিকার পাবলিক ইউনিভার্সিটি সিস্টেমের শিক্ষক ড. সাঈদ ইফতেখার আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়ার প্রথম শাসনামলে দুর্নীতি তেমন একটা বিস্তার লাভ করেনি।এই কথা দিয়া প্রমান হয় আওয়ামিলীগ সরকার দুর্নীতি উৎসদাতা সরকার। বর্তমান সরকারের অধিনে যে দুর্নীতি হয়েছে যা বাংলাদেশের ইতিহাসের রেকর্ড ব্রেক করেছে।খালেদা জিয়ার তৃতীয় মেয়াদের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ছিল: রপ্তানি আয় ও বিদেশ থেকে প্রবাসী কর্মীদের পাঠানো রেমিটেন্স দ্রুত বৃদ্ধি, শিল্প ও টেলিযোগাযোগ খাতের দ্রুত বিকাশ, সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বমুখী ধারা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নকল্পে অপারেশন ক্লিন হার্ট। এই সকল কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেও বিএন পি নেতাকর্মীরা বর্তমান সরকার আওয়ামিলীগের মিথ্যা ও দুর্নীতি মামলায় কেউ কারাগারে কেউবা পালিয়ে দিন কাটিয়ে দিচ্ছে।
এমতাবস্থায় একজন উন্নায়ন কর্মী ও রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসাবে বর্তমান সরকারকে আওয়ামিলীগকে সরিয়ে নতুন সরকার নিয়ে আসা জনগনের সময়ের দাবী।এখনি সময় এই দুর্নীতি বাজ আওয়ামী লীগ সরকারকে বর্জন করে নতুন সরকার গঠন করতে হবে। আগামীর দেশকে একমাত্র সঠিক দিশা দিতে পারে বিএনপি । এখনি সময় সরকার গঠনে তাদের পাশে থাকতে হবে জনগনকে।
লেখক- মোঃ আওলাদ হোসেন; উন্নয়নকর্মী ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব|