আজকের ক্ষুদে খেলোয়াড়রা আগামীতে বিশ্বকাপ খেলবে’
খেলাধুলা ও সাংস্কৃতি বিকাশের মধ্য দিয়ে শিশুরা যোগ্য নাগরিক হয়ে উঠছে। আজকের ক্ষুদে খেলোয়াড়রা আগামীতে বিশ্বকাপ খেলবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৭ বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলায় এরইমধ্যেই মেয়েরা যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছে, ভবিষ্যতে আরও সফলতা বয়ে আনবে। মেয়েরা সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন ও ভারতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্সআপ হয়েছে। এসব খেলোয়াড়রা এখান থেকেই উঠে এসেছে। আমার আশা আজকের ক্ষুদে খেলোয়াড়রা আগামীতে বিশ্বকাপ খেলবে।
বিকেল তিনটায় মেয়েদের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপের ফাইনাল হয়। ফাইনালে ঝিনাইদহের শৈলকুপার দোহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে ময়মনসিংহের নান্দাইলের পাঁচরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া একই মাঠে সকাল ১১ টায় ছেলেদের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফাইনাল খেলা হয়। কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার পূর্ব উজানটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২-১ গোলে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ভুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
২০১৭ সালে শুরু হওয়া সারা দেশ হতে বিভিন্ন ধাপে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো লড়াই করে ফাইনালে উঠে। টুর্নামেন্টের আয়োজক ছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সারাদেশ থেকে এ টুর্নামেন্টে ছেলেদের গ্রুপে ৬৪,৬৮৮ এবং মেয়েদের গ্রুপে ৬৪,৬৮৩ স্কুল অংশ নেয়।
|
খেলাধুলা ও সাংস্কৃতি বিকাশের মধ্য দিয়ে শিশুরা যোগ্য নাগরিক হয়ে উঠছে। আজকের ক্ষুদে খেলোয়াড়রা আগামীতে বিশ্বকাপ খেলবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৭ বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলায় এরইমধ্যেই মেয়েরা যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছে, ভবিষ্যতে আরও সফলতা বয়ে আনবে। মেয়েরা সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন ও ভারতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্সআপ হয়েছে। এসব খেলোয়াড়রা এখান থেকেই উঠে এসেছে। আমার আশা আজকের ক্ষুদে খেলোয়াড়রা আগামীতে বিশ্বকাপ খেলবে।
বিকেল তিনটায় মেয়েদের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপের ফাইনাল হয়। ফাইনালে ঝিনাইদহের শৈলকুপার দোহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে ময়মনসিংহের নান্দাইলের পাঁচরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া একই মাঠে সকাল ১১ টায় ছেলেদের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফাইনাল খেলা হয়। কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার পূর্ব উজানটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২-১ গোলে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ভুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
২০১৭ সালে শুরু হওয়া সারা দেশ হতে বিভিন্ন ধাপে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো লড়াই করে ফাইনালে উঠে। টুর্নামেন্টের আয়োজক ছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সারাদেশ থেকে এ টুর্নামেন্টে ছেলেদের গ্রুপে ৬৪,৬৮৮ এবং মেয়েদের গ্রুপে ৬৪,৬৮৩ স্কুল অংশ নেয়।
|
|
|
|
টাঙ্গাইলের বাজিতপুর গ্রামের আছর আলী। ১৯৭১ সালে বয়স কম বলে মুক্তিযুদ্ধে যেতে পারেননি। আর তাই রয়েছে দুঃখ। সেই দুঃখবোধ থেকেই দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে বিনামূল্যে চা খাওয়াচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধাদের। বাজিতপুর বাজারেই তার মুক্তিসেবা টি স্টল। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তাঁর এমন শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় মুগ্ধ তারা পরিবার ও স্থানীয়রা।
১৯৭১ সালে দেশকে পরাধীনতার হাত থেকে বাঁচাতে যখন মরিয়া বাংলার সূর্য সন্তানরা। আছর আলী তখন মাত্র ১১ বছরের শিশু। তাই হয়তো যেতে পারেননি রণক্ষেত্রে। আর সেটি নিয়েই তার রয়েছে দুঃখবোধ।
মুক্তিযোদ্ধারে প্রতি আছর আলী শ্রদ্ধা জানাতে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলার বাজিতপুর বাজারের গড়ে তোলেন মুক্তি টি স্টল নামের একটি দোকান। যেখানে মুক্তিযোদ্ধারা বিনামূল্যে চা খেতে পারেন । মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় পেলে তাকেই বিনামূল্যে চা খাওয়ান আছর আলী। আর এ সেবা তিনি দিয়ে আসছেন দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে। তার এমন দেশপ্রেম দেখে মুগ্ধ মুক্তিযোদ্ধারাও।
দোকান থেকে যা আয় হয় তা দিয়েই চলে আছর আলীর সংসার। মাথা গোজার ঠাঁই বলতেও আছে দোচালা টিনের ঘর। তারপরও ক্ষোভ নেই পরিবারের। বরং তার এমন দেশ প্রেম তাদের মুগ্ধ করেছে।
চা বিক্রেতা আছর আলী বলেন, দোকান দেবার আগে কিনে খাওয়ানো হতো। আর দোকান দেবার পরে মুক্তিযোদ্ধাদের এমনিতেই টাকা ছাড়া খাওয়াতে ভালো লাগে। মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে দেশকে স্বাধীন করেছে বলেই এই স্বাধীন দেশে বসবাস করছি।
একজন চা বিক্রেতা হয়েও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি এমন শ্রদ্ধা আর দেশপ্রেম শুধু টাঙ্গাইলই নয়, ছড়িয়ে পড়ুক সব প্রজন্মের মাঝে স্বাধীনতার মাসে এটাই সবার চাওয়া ।
|
|
|
|
দুই বাংলার মধ্যে সৌহার্দ্য বাড়াতে এবার কলকাতার সঙ্গে বরিশালের সরাসরি বাস সার্ভিস চালু হচ্ছে। দিন তারিখ চূড়ান্ত না হলেও চলতি বছরেই এই বাস সার্ভিস চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে সংশ্লিষ্টদের।
বুধবার কলকাতায় দুই দেশের সংশ্লিষ্টদের একটি বৈঠক হয়। সেখানে কলকাতা-বরিশাল-কলকাতা রুটের পাশাপাশি কলকাতা-চট্টগ্রাম রুটে সরাসরি বাস সার্ভিস নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়।
জানা গেছে, দুটি রুটের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ সরকার ইতিবাচক। তবে এক্ষেত্রে দিল্লির সবুজ সংকেত পেলেই দ্রুততার সঙ্গে রুট দুটি চালু হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। যদিও পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পরই কলকাতা-চট্টগ্রাম-কলকাতা রুটের বাস সার্ভিস চালু হবে। তবে এর আগেই এ বছরের শেষ দিকে কলকাতা-বরিশাল-কলকাতা রুটের বাস সার্ভিস চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শ্যামলী পরিবহন কলকাতা-বরিশাল রুটে যাত্রী পরিবহন করবে। সংস্থাটির কর্ণধার অবণী ঘোষ জাগো নিউজকে বলেন, বুধবার কলকাতার ইকোপার্কের গেস্ট হাউজের বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে। সেখানে দিল্লির প্রতিনিধি ছাড়াও বাংলাদেশের বিআরটিসির চেয়ারম্যান, সচিব, বিজিবি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় এর উদ্বোধন করেন। পরে নৌবাহিনীর বিভিন্ন যুদ্ধজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণের কেন্দ্রবিন্দু বিএন ডকইয়ার্ডকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ট প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সে উদ্বোধনের পর নৌবাহিনীর বিভিন্ন যুদ্ধজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণের কেন্দ্রবিন্দু বিএন ডকইয়ার্ডকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ট প্রদানের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। অনুষ্ঠান শেষে সেখান থেকে পটিয়ায় একটি জনসভায় যোগ দেবেন। দেশের বিশাল সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ সমুদ্রে নৌবহরের সকল অপারেশনাল কার্যক্রমকে নিরবিচ্ছিন্ন রাখার স্বীকৃতি হিসেবে বিএন ডকইয়ার্ডকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ট প্রদান করা হয়।
২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। আধুনিক এই কমপ্লেক্সটি ১৬টি পৃথক ভবন ও অবকাঠামোর সমন্বয়ে নির্মিত। এতে একাডেমিক ভবন, ট্রেনিং উইং, ওয়ার্ডরুম, প্যারেড গ্রাউন্ড, সুইমিং পুল, বোট পুল ও বাসস্থানসহ অন্যান্য সুবিধা রয়েছে। আন্তর্জাতিকমানের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে এতে সংযুক্ত করা হয়েছে—সী-ম্যানশীপ, এন্টি সাবমেরিন, গানারী ও কমিউনিকেশন মডেল রুম, চার্ট রুম, সুপরিসর লাইব্রেরি, কম্পিউটার ও ল্যাংগুয়েজ ল্যাব এবং আধুনিক অডিটোরিয়াম। এছাড়া বিজ্ঞান ও কারিগরি প্রযুক্তিবিষয়ক প্রশিক্ষণের জন্য রয়েছে সাতটি বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞানাগার।
|
|
|
|
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ৮৭ বছর পার করে ৮৮-তে পা রাখলেন। তার জন্মদিন উপলক্ষে রংপুর ও ঢাকায় দলের নেতাকর্মীরা সোমবার মধ্যরাতে কয়েক দফায় কেক কেটেছেন।
দলীয় নেতাদের নিয়ে এরশাদ রাত ১২টা ১ মিনিটে বারিধারার বাসা প্রেসিডেন্ট পার্কে বিশাল আকৃতির কেক কাটেন। জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ১৯৩০ সালের ২০ মার্চ এরশাদ জন্মগ্রহণ করেন।
এরশাদের জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গলবার বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয় ও কাকরাইলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে কেক কাটা হবে। সকালে বনানী কার্যালয়ে দলীয় চেয়ারম্যানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নেতাকর্মীরা। জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা গতকাল রাতেই বিশাল আকৃতির কেক নিয়ে হাজির হন এরশাদের বাসায়, পরে তিনি কেক কাটেন।
|
|
|
|
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দুইদিনের সফরে আজ সোমবার গাজীপুর যাচ্ছেন। তিনি ১৯৭১ সালের ১৯মার্চ স্বাধীনতার প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী বীর ও শহীদদের স্মরণে শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে নাগরিক গণসংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
১৯মার্চ স্বাধীনতার প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন সবুজ জানান, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সোমবার বিকাল ৪টায় গাজীপুরে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী বীর ও শহীদদের স্মরণে নাগরিক সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে ১৯মার্চের হাইকমান্ডের তিনজন, এ্যাকশন কমিটির ১২জন, শহীদ ৪জন ও দুইজন আহতসহ মোট ২১জনকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক নৃত্য ও কোরাস পরিবেশনা করা হবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন ১৯মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধের সংগঠক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক।
পরদিন ২০ মার্চ (মঙ্গলবার) দুপুর ১২টায় তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে কারা সপ্তাহ ২০১৮-এর উদ্বোধন করবেন। তিনি কারাগার প্রাঙ্গণে আয়োজিত আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করবেন। ওই দিন বিকেল ৩টায় রাষ্ট্রপতি গাজীপুরে অবস্থিত ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
|
|
|
|
জটিল রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে চিকিৎসকদের আরও সতর্ক হতে হবে সরকার প্রতি বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার সকালে রাজিধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন এবং বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ক্রিটিক্যাল কেয়ার নার্সিং-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মেধা বা জ্ঞানের কমতি নয়, সুযোগের কমতি ছিল। দেশে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে। প্রত্যেক স্থানে মেডিকেল কলেজ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দরজায় পৌঁছে দিতে কাজ করছে সরকার। এসময়, বেসরকারি হাসপাতালে গুরুতর রোগের চিকিৎসা সেবার ব্যয় সাধারণ মানুষে রনাগালে রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে সরকারের কার্যক্রম উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিট, মেডিকেল কলেজের ২য় ইউনিটসহ শহরে এবং সারাদেশে হাসপাতাল তৈরি করেছে। টেলি মেডিসিন প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন উন্নত হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ করে উন্নতমানের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে। নার্সিং ক্ষেত্রে বিশেষ মনযোগ দেয়া হচ্ছে। থাইল্যান্ড পাঠিয়ে নার্সদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। নার্সিং পেশাকে মর্যাদাশীল করতে সরকার কাজ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের পর সরকার গঠন করে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই স্বাস্থ্যসেবাকে মানসম্মত করার চেষ্টা করেছেন বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশের সংবিধানে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে। চিকিৎসা পেশাকে বঙ্গবন্ধু ১ম শ্রেণিতে উন্নীত করেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আর্ত মানবতার সেবায়, যে কোনো পদক্ষেপ নেয়াকে অত্যন্ত সাহসী কাজ বলে উল্লেখ করেন।
জাতির জনকের ইউনিয়ন পর্যায়ে চিকিৎসা পৌঁছে দেয়ার স্বপ্নকে অনুসরণ করে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প নেয়া হয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামায়াত সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প বন্ধ করে দেয়। এখন মেডিকেল কলেজগুলোতে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, এর ফলে মানসম্মত চিকিৎসক তৈরি হচ্ছে।
|
|
|
|
শায়েস্থা খানের আমলে যেমণ ১ টাকায় ১০ মণ চাউল পাওয়া যেতো তেমনি ২০ টাকায় ১ মণ টমেটো বিক্রয় হচ্ছে বাগেরহাটে। অবিশ্বাস্য হলেও ঘটনাটি বাস্তব রুপ ধারন করেছে, বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে।
ফকিরহাট উপজেলার লখপুর ইউনিয়নের বল্লভপুর বিলের পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের শতাধিক কৃষক গত কয়েক মাস ধরে মাছের ঘেরের বাঁধের উপর বিপুল পরিমাণে টমেটোর চাষ করেন। ফলনও হয় বাম্পার। কৃষকরা প্রথম দিকে উৎপাদিত টমেটো ন্যায্য মূল্যে বিক্রয় করলেও বর্তমানে তাদের টমেটো নিয়ে পড়েছেন মহাবিপাকে। একদিকে বাজার মূল্য নাই, অন্যদিকে তাদের কষ্টের ফসল পেকে পচন ধরেছে।
উপজেলার লখপুর বাজার, টাউন নওয়াপাড়া বাজার, বেতাগা বাজার ও চুলকাঠি বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে ১ মণ টমেটো পাইকারী দরে ২০/৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বল্লভপুর বিলে চলতি বছর প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে টমেটোর চাষ হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেতে যে পরিমান টমেটো রয়েছে, তা তুলে বাজারে গিয়ে বিক্রি করলে যে পরিমান অর্থ উপার্জন হবে তাতে শ্রমিকের মূল্য পরিশোধ করা কখনোই সম্ভব নয়। তাই মাঠে বা ক্ষেতে অধিকাংশ টমেটো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এ অবস্থায় স্থানীয় চাষীদের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস; তাদেরকে পাকা টমেটো দিয়ে সস, চাটনী,আচার তৈরী করে বাজারজাত করণের জন্য হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
সোমবার সকালে জেলা বীজ প্রত্যায়ন অফিসার মোঃ হাফিজুর রহমান, উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মোতাহার হোসেন ও উপ-সহকারী কৃষি অফিসার বিপ্লব কুমার দাশের নেতৃত্বে বল্লভপুর আইএফসি ক্লাবে প্রাথমিকভাবে ৪০ জন কৃষক/কৃষানীকে প্রশিক্ষণ দেন।
কৃষক ইন্দ্র এবং উজ্জল বলেন, আমরা অনেক শ্রম আর টাকা খরচ করে মাছের ঘেরের ভেড়িতে টমেটো চাষ করেছি। প্রথম দিকে টমেটোর ভালো দর পেলেও বর্তমানে বাজারে টমেটোর দাম কমে গেছে। এতে আমরা খুব চিন্তায় পড়েছিলাম। এ অবস্থায় কৃষি অফিস আমাদের উৎপাদিত টমেটো বিভিন্ন ভাবে বাজারজাত করণের প্রশিক্ষণ দেয়ায় আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি।
উপ-সহকারী কৃষি অফিসার বিপ্লব কুমার দাশ বলেন, টমেটো চাষীরা বিকল্প উপায়ে যাতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন সে জন্য তাদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। তবে এ প্রশিক্ষণে কৃষানীদের আগ্রহ বেশী। তারা এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে বাস্তবে কাজে লাগাতে পারলে, তাদের ক্ষতিপুরণ হয়ে বাড়তি আয় হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মোতাহার হোসেন বলেন, উৎপাদিত টমেটো ফল প্রক্রিয়াজাত করণের লক্ষ্যে বল্লবপুর গ্রামের আইএফসি বাজার সংযোগ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এ প্রশিক্ষণ নিয়ে কৃষকরা তাদের তৈরীকৃত সস, চাটনী, আচার বাজারে বিক্রি করলে লাভবান হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
|
|
|
|
২০১৪ সালের ২ মার্চ ভিসি প্যানেলে নির্বাচিত হয়ে দেশের ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। আগামী ২ মার্চ তার মেয়াদকাল শেষ হওয়ার কথা ছিল। এর আগেই আজ বৃহস্পতিবার পুনঃনিয়োগ পেলেন তিনি।
পুনঃনিয়োগ পাওয়ায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে পুনঃনিয়োগ পেলেন অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন।
|
|
|
|
দু’টি স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) পিলারের ওপর বসানোর ফলে উত্তাল পদ্মার বুকে দৃশ্যমান প্রায় ৩০০ মিটার স্বপ্নের পদ্মাসেতু। এই অগ্রগতিতে দেশবাসীর আশাবাদ বেড়ে গেছে আরও। সরকার এই আশাবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে ঢাকার মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যাপারেও। জনগণের চোখে মেট্রোরেল দৃশ্যমান করতে ৩-৪ মাসের মধ্যেই স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
ঢাকা ম্যাসর্ যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (ডিএমআরটিডিপি) বা মেট্রোরেল প্রকল্প সংশিস্নষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এই পরিকল্পনার কথা জানা গেছে। উত্তরা থেকে মিরপুর, ফার্মগেট, শাহবাগ হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ পথের যাত্রীদের যাতায়াত দ্রুত ও সহজ করতে ২০১৯-২০২০ মেয়াদে প্রকল্পটির কাজ শেষ করার কথা। প্রকল্পের প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ শেষ করে আসার কথা। কিন্তু দেশবাসীকে প্রকল্পের কাজ জানান দিতে আগারগাঁওয়েই প্রথমে স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
প্রকল্প সংশিস্নষ্ট একাধিক কর্মকর্তা বলেন, মেট্রোরেল আর স্বপ্ন নয়, এটা বাস্তবায়ন এখন সময়ের ব্যাপার। বিষয়টি দেশবাসীকে জানান দিতে আগারগাঁও ৯ নম্বর স্টেশনের সামনে দু’টি স্প্যান বসানো হবে। প্রতিটা স্প্যানের দৈর্ঘ্য হবে ৩০ মিটার। যেন রাজধানীর মানুষ এই উন্নয়ন কাজ দেখতে পারে, সে জন্য দিয়াবাড়ির পরিবর্তে আগারগাঁও এলাকায় প্রথমে স্প্যান বসানো হবে।
সূত্র মতে, উত্তরা তৃতীয় পর্ব (দিয়াবাড়ি) থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের ১১ দশমিক ৭ কিলোমিটার অংশ ২০১৯ সালের মধ্যেই উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রকল্প বাস্ত্মবায়নে যে আট প্যাকেজে ভাগ করে কাজ চলছে, এই অংশটুকু প্যাকেজ-৩ ও প্যাকেজ-৪-এর অংশ। সে জন্য প্রকল্পের এই অংশটির কাজই ধরা হয়েছে আগে। আগারগাঁওয়ে মেট্রোরেলের স্প্যান বসানো প্রসঙ্গে এক কর্মকর্তা বলেন, দিয়াবাড়ি থেকে স্প্যান বসানোর কাজ হওয়ার কথা ছিল। এটা পরিবর্তন করে বিশেষ উদ্যোগে আগারগাঁও এলাকায় আগামী তিন মাসের মধ্যেই স্প্যান বসানো হবে। তাহলে হাজার হাজার মানুষ এই স্প্যান দেখবে। এতে করে পুরো দেশবাসীর মধ্যে একটা আস্থা সৃষ্টি হবে মেট্রোরেল প্রকল্পের বিষয়ে। প্রকল্পের কাজ অনুযায়ী, ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল খুলে দেয়া হবে। আর ২০২০ সালের মধ্যে চালু করা হবে মতিঝিল পর্যন্ত।
যে এলাকায় স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা চলছে, অর্থাৎ উত্তরা নর্থ থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত্ম, সেখানে এখন ভায়াডাক্ট ও স্টেশন নির্মাণ কাজ চলছে। এতে ব্যয় হচ্ছে চার হাজার ২৩০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এই প্যাকেজের আর্থিক অগ্রগতি ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ। সম্পন্ন হয়েছে নয়টি টেস্ট পাইল। মূল পাইলও নির্মাণ কার্যক্রম শুরম্ন হয়েছে গত ডিসেম্বরে। অগ্রগতির বিষয়ে প্রকল্প সংশিস্নষ্টরা জানান, এরই মধ্যে ৯০টি মূল পাইল নির্মাণ কাজ শুরম্ন হয়েছে। এক হাজার ৫৯৫ কোটি টাকায় শুরু হয়েছে ডিপো এলাকার কাজ। বর্তমানে সাইট অফিসের নির্মাণকাজ ও ডিপোর অভ্যন্ত্মরে চেক বোরিং এবং টেস্ট পাইল নির্মাণের কাজ চলছে।
|
|
|
|
জন্ম থেকেই দুই হাত ও এক পা না নিয়ে পৃথিবীতে আসে তামান্না আক্তার।আশেপাশের মানুষের অবহেলা ও অসহযোগিতার পরেও দমে যায়নি সে। সব বাধা অতিক্রম করে এখন তামান্না প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ গ্রেডে পাশ করে দশম শ্রেণিতে পড়ছে। যশোরের ঝিকরগাছার রওশন আলীর মেয়ে তামান্না। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, জন্মের পর থেকে মেয়ের প্রতি চারপাশের মানুষ যে অবহেলা, যে অনীহা আর কুসংস্কারমূলক কথাবার্তা বলেছে, তা আমাকে ভীষণ কষ্ট দিয়েছে। কিন্তু সেই অনীহাই আমাকে উৎসাহিত করেছে তাকে নিয়ে কিছু করার ব্যপারে।
তিনি বলেন, আমার ইচ্ছা ছিল এই মেয়েকে নিয়ে আমি এমন কিছু করে দেখাব যেন সবাইকে বলতে পারি, দেখো আমার মেয়ে প্রতিবন্ধী নয়। তামান্নার বাবা বলেন, চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে সে বেছে নিয়েছে বিজ্ঞান বিভাগ। পা দিয়ে লেখার পাশাপাশি সুন্দর ছবি আকার জন্য অনেকবার প্রশংসিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমার মেয়ের জন্য আমি শিক্ষিত হয়েও, কোন চাকরি করিনি। ছোট্ট মেয়েটাকে নিয়ে আমার মনে চ্যালেঞ্জ জাগলো যে ওকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। প্রথম যখন ওর পায়ের আঙুলের ফাকে চক দেই, ও বলছিল, আব্বু একটু যেন ব্যথা করে। এরপর আমি কলমের মত করে পাটখড়ি দিতাম পায়ের আঙুলের ফাকে। একটা সময় যখন সেটা ওর অভ্যাস হলো, তখন আস্তে আস্তে কলম দিতে শুরু করলাম। কিছুদিন পর সে বর্ণমালা লেখা শিখে ফেললো। কিন্তু স্কুলে ভর্তি করাতে নিয়ে যাবার পর সবাই বললো, একে আনছেন কেনো? এ কি পারবে নাকি? এরকম কথা আমাকে ভীষণ আহত করেছিলো। আমার মনে হয়েছিলো, এই মেয়েকে নিয়ে আমাকে এগিয়ে যেতেই হবে। রওশন আলী বলেন, স্কুলে ভর্তি হবার পর তামান্না প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রথম হয়ে উত্তির্ণ হয়। সেটা যেন ওর উৎসাহ আরো বাড়িয়ে দেয়। তিনি বলেন, ২০১২ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষাতেও জিপিএ-৫ পেয়েছে তামান্না। আর ২০১৬ তে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায়ও তামান্না জিপিএ-৫ পেয়েছে।
|
|
|
|
‘কালের যাত্রার ধ্বনিতে’ আজ প্রভাতে ‘রবির কর’ দশ দিগন্তে চোখ মেলেছে নতুন দিনে। ’আজি এ ঊষার পূণ্য লগনে উদিছে নবীন সূর্য গগণে..- আবহমান সূর্য একটি পুরানো বছরকে কালস্রোতের উর্মিমালায় বিলীন করে আবার শুরু করলো যাত্রা। স্বপ্ন আর দিনবদলের প্রত্যাশার আলোয় উদ্ভাসিত শুভ নববর্ষ। হ্যাপি নিউইয়ার ২০১৮।
ফেলে আসা বছরটি এখন ‘পুরনো সেই দিনের কথা।’’সময় আর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করেনা’-এই সত্যকে বিমূর্ত করে নতুন বছরের প্রথম সূর্যোদয়। বর্ষবরণের আবাহন রেখে কুয়াশামোড়া পাণ্ডুর সূর্য জীর্ণ ঝরা পল্লবের মত সরল রৈখিক গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে কাল খসে পড়েছে । অভিবাদন নতুন সৌরবর্ষকে। বিশ্বের বয়স আরও এক বছর বাড়লো। নববর্ষের বার্তা ছড়িয়ে ফুরায়েছে একটি বছরের সব লেনদেন।
এক বছরের ‘আনন্দ-বেদনা, আশা-নৈরাশ্য আর সাফল্য ব্যর্থতার পটভূমির ওপর আমাদের ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের এই প্রিয় বাংলাদেশ নতুন বছরে পর্বতদৃঢ় একতায় সর্ব বিপর্যয়-দুঃসময়কে জয় করবে অজেয়-অমিত শক্তি নিয়ে’ -এ সংকল্পের সোনালী দিন আজ। যে বছরটি হারিয়ে গেল ,খসে পড়লো ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে, তার সবই কি হারিয়ে যাবে? মুছে যাবে পলাতক স্মৃুতির মত ? না, সবকিছু মুছে যায় না। আলোড়ন আর তোলপাড় করা ঘটনাবহুল ২০১৭-এর অনেক ঘটনার রেশ নিয়েই মানুষ এগিয়ে যাবে ।
অনেক ঘটনা মুছে যাবে বিস্মৃতির ধুলোয়। যে প্রত্যাশার বিশালতা নিয়ে ২০১৭-এর প্রথম দিনটিকে বরণ করা হয়েছিল, সেই প্রত্যাশার সব কি পূরণ হয়েছে? এই প্রশ্নকে সমুখে নিয়ে সুচনা হলো আরো একটি বর্ষযাত্রা। তমসা থেকে জ্যোতিতে উত্তীর্ণ হওয়ার আকাংখা সমুখে নিয়ে সুচনা হলো এই যাত্রা।
প্রতিটি প্রান চেয়েছিলো, সৌভাগ্যের পসরা নিয়ে আসুক ২০১৭। কায়মনে প্রার্থনা করেছেন, ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,/অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’সবই কি ধরা দিয়েছে? সর্বক্ষেত্রে আশা-নিরাশার, আনন্দ-বেদনার দোলাচলের মাঝে নতুন বছরের কাছে অনেক প্রত্যাশার বীজ বুনে গেছে বিদায়ী ২০১৭।
|
|
|
|
গর্ভবতী নারীদের সেবা দিতে প্রতি উপজেলায় একটি করে অ্যাম্বুলেন্স সংরক্ষিত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক।
দেশব্যাপী পরিবার কল্যাণ ও প্রচার সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে বুধবার দুপুরে সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কক্ষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
|
|
|
|
টঙ্গীর তুরাগ তীরে মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব আগামী ১২ জানুয়ারি শুরু হবে। আর প্রথম ধাপের ৩ দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা ১৫ জানুয়ারি দুপুরে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে। ৪ দিন বিরতির পর একই স্থানে দ্বিতীয় ধাপের ৩ দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা শুরু হবে আগামী ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার। আর তা ২১ জানুয়ারি দুপুরে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে। ওই দিন মুসলিম জাহানের সুখ, শান্তি, অগ্রগতি, কল্যাণ ও ভ্রাতৃত্ববোধ কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে দু’পর্বের বিশ্ব ইজতেমা সমাপ্ত হবে। এদিকে, টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিতব্য ৫২তম বিশ্ব ইজতেমা ভালভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রশাসন, গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও গাসিক মেয়র একাধিকবার ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন। টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ^ ইজতেমার মাঠ প্রস্তুতির কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। শেষ মুহূর্তে মাঠ প্রস্তুতির সার্বিক কাজ বেশ জোরেশোরে চলছে। আজ বুধবার সকালে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা মাঠ ঘুরে এসে আমাদের প্রতিনিধি জানান, ইজতেমা মাঠের সার্বিক উন্নয়ন কাজ বেশ জোরেশোরে শুরু হয়েছে। টঙ্গী, গাজীপুর, উত্তরা, সাভার, রাজধানী ও তার আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিশ্ব ইজতেমার সাথী, তরুণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, য্বুকসহ সর্বস্তরের শত শত মানুষ স্বেচছাশ্রমের ভিত্তিতে প্রতিদিন ইজতেমার মাঠে এসে কাজ করছেন। কাজ শেষে তারা অবার সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরছেন। মাঠের ভেতরে বাঁশের খুঁটি নির্মাণ, বিশাল চটের সামিয়ানা তৈরী, টয়লেট নিমাঁণ, ওজু, গোসলখানা তৈরী, বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন, গ্যাস ও পানির লাইন সংস্কার ও মেরামত, বিদেশী অতিথিদের আবাসন তৈরী ও সেখানে যাবতীয় উন্নয়নমূলক কাজসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটি পুরোদমে কাজ করে যাচ্ছেন। মাঠ প্রস্তুতির কাজ এখন অনেকটা এগিয়ে চলছে। বাকি কাজগুলো আগামী সপ্তাহের মধ্যে শেষ হতে পারে বলে জানিয়েছে ইজতেমা আয়োজন কমিটি। বিশ্ব ইজতেমার মুরুব্বি গিয়াস উদ্দিন জানান, এই বছর ২ ধাপে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেবে দেশের ৩২টি জেলার মুসল্লিরা। টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার অয়োজক কমিটি সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৬ সাল থেকে মুসল্লিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং জায়গা কম থাকায় ৬৪ জেলার মুসল্লিদের ৪ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি বছর ৩২ জেলার মুসল্লি ২ ধাপে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেন। অন্য ৩২ জেলার মুসল্লি আগামী বছর অংশ নেবেন। ২০১১ সালের আগে প্রতি বছর এক ধাপেই অনুষ্ঠিত হতো বিশ্ব ইজতেমা। জানা গেছে, ২০১৮ সালের বিশ্ব ইজতেমায় ঢাকা, শেরপুর, নারায়ণগঞ্জ, নীলফামারী, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, গাইবান্ধা, লক্ষ্মীপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম, নড়াইল, মাদারীপুর, ভোলা, মাগুরা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পঞ্চগড়, ঝিনাইদহ, জামালপুর, ফরিদপুর, নেত্রকোনা, নরসিংদী, কুমিল্লা, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী, ফেনী, ঠাকুরগাঁও, সুনামগঞ্জ, বগুড়া, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা এবং পিরোজপুর জেলার মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবেন। ২ পর্বের ৬ দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমায় দেশ-বিদেশের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা যায়।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিয়ে হয়েছে বেশ কয়েক বছর হলো। কিন্তু এখনো ঘর আলো করে আসেনি কোনো নবজাতক। এটা নিয়ে বেশ দুঃখ আছে নিপা আক্তারের। আড়ালে-আবডালে তার দুর্ভাগ্য নিয়ে কথা হয় নিশ্চয়। কিন্তু সেই নিপাকেই আজ সবাই বলছে ভাগ্যবতী। কারণ ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন তিনি। নিপা আক্তারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তার বাড়ি বগুড়ার আদমদিঘি উপজেলার তারাপুর গ্রামে। পেশায় গৃহিণী। স্বামী মো. সবুজ হোসেন রডমিস্ত্রির কাজ করেন। শ্বশুর-শাশুড়ি, দেবর-জা, তাদের ছেলে-মেয়ে, ননদদের নিয়ে বেশ বড় যৌথ পরিবার। তবে সবকিছুর মধ্যেও তার মাঝে হাহাকার। এখনো মাতৃত্বের স্বাদই যে পাননি নিপা। তবে এই দুঃখ নিয়ে জীবন তো থেমে থাকে না। নিপাকে সামলাতে হয় এত বড় সংসার। বাড়িতে শ্বশুরের কেনা একটি ফ্রিজ আছে। তবে সেটা আয়তনে বেশ ছোট। বড় পরিবারের চাহিদা মেটানোর মতো যথেষ্ঠ নয় বলে আরেকটি ফ্রিজ কিনবেন বলে ঠিক করেন নিপা এবং তার স্বামী। আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখেন ফ্রিজ কিনলে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনেরটাই কিনবেন। পরে টাকা জমিয়ে গত বৃহস্পতিবার স্বামী ও দেবরকে নিয়ে সান্তাহার ওয়ালটন প্লাজায় যান নিপা। তিনি বলেন, ‘যেদিন ঠিক করি ফ্রিজ কিনবো, সেদিন এটাও ঠিক করে রাখি যে ওয়ালটনেরই ফ্রিজ কিনবো।’ এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ওয়ালটনের ফ্রিজের দাম কম। কিন্তু জিনিস ভালো। আমাদের গ্রামে অনেকেই ওয়ালটনের টিভি-ফ্রিজ ব্যবহার করে। তারা সবাই ভালো বলে। ওয়ালটন ফ্রিজ নাকি কোনো সমস্যা দেয় না।’ নিপা জানান, ওয়ালটন প্লাজায় গিয়ে ১১ সিএফটির একটি ফ্রিজ পছন্দ করেন তারা। ২২ হাজার টাকা দিয়ে ফ্রিজটি কেনেন। প্লাজায় গিয়ে জানতে পারেন ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চলছে। পণ্য কিনে লাখ টাকা পর্যন্ত পাওয়ার সুযোগ আছে। তবে সেটাকে অতটা গুরুত্ব দেননি নিপা।
নিপা আক্তারের স্বামী মো. সবুজ হোসেন এবং ভাগ্নে নয়নকে নিয়ে ব্যান্ড পার্টি সহযোগে পিকআপে করে আনন্দ মিছিল
তিনি বলেন, ‘আমার ফ্রিজ দরকার ছিল। আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম ওয়ালটন ফ্রিজ কিনবো। তাই ফ্রিজ কিনলে কি পাওয়া যাবে বা যাবে না, তা নিয়ে ভাবি নাই। ফ্রিজ কেনার পর আমার নাম এবং মোবাইল নাম্বার নিয়ে ওনারা কাগজপত্র রেডি করেন। ফ্রিজ ভ্যানে উঠিয়ে যখন কাগজের জন্য বসে আছি, তখন তারা বলেন আমি নাকি ফ্রিজ কিনে ১ লাখ টাকা পেয়েছি। আমার মোবাইলে নাকি মেসেজ এসেছে।’ নিপা জানান, অপ্রত্যাশিত এই খবরে অভিভূত হয়ে পড়েন তিনি। অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘তখন আনন্দও লাগছে। আবার দুঃখও লাগছে।’ দুঃখ লেগেছে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কখনো তো কোনো উপহার বা পুরস্কার পাই নাই। আর হঠাৎ ১ লাখ টাকা! আনন্দ লাগবে না। আর দুঃখ! আগে কত জনে কত কথা বলেছে। আর এখন সবাই বলছে আমি ভাগ্যবতী। তাই আনন্দও লাগছে। আবার দুঃখও লাগছে।’ নিপা জানান, ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার দিয়ে তিনি আরো একটি ১৫ সিএফটির ১টি ফ্রিজ, ২টি ৩২ ইঞ্চির এলইডি টিভি, ১টি স্মার্টফোন, রাইস কুকার, গ্যাস স্টোভ ইত্যাদি পণ্য নিয়েছেন। একটি টিভি দিয়েছেন ননদের ছেলেকে। বড় ফ্রিজ, অন্য টিভি এবং বাকি পণ্যগুলো নিজেদের ব্যবহারের জন্য রেখেছেন। আর যে ফ্রিজটি কিনে লাখ টাকা পেয়েছিলেন, সেটা এক দেবরকে দিয়েছেন। সান্তাহার ওয়ালটন প্লাজা ম্যানেজার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, গত শনিবার ওয়ালটনের নওগাঁ জোনের এরিয়া মো. আবদুল্লাহ আল মামুন এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলাম রাজাসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে নিপা আক্তার এবং তার স্বামীর হাতে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার ও অন্যান্য পণ্য তুলে দেওয়া হয়। পরে নিপা আক্তারের স্বামী এবং ভাগ্নেকে নিয়ে ব্যান্ড পার্টি সহযোগে পিকআপে করে আনন্দ মিছিল করা হয়। এ সময় আদমদিঘি, রানীনগর ও নওগাঁ সদরের বিভিন্ন এলাকা ঘোরা হয়। যা এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলে। উল্লেখ্য, ক্রেতাদের দোরগোড়ায় অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করেছে ওয়ালটন। এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশক শোরুম থেকে ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের পণ্য কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন ক্রেতারা। ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার এই সুযোগ থাকবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
|
|
|
|
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার ১০টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সকাল ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, যে ১০টি এলাকা ইতোমধ্যে শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহের আওতায় আনা হয়েছে সেগুলো হলো—ফরিদপুর সদর, রাজৈর, নওগাঁ সদর, কামারখন্দ, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, শালিখা, মেহেরপুর সদর, মদন এবং বেলাবো।
পাশাপাশি আজ যে চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করবেন সেগুলো হলো—শিকলবাহা ২২৫ মেগাওয়াট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট, সাল্লা ৪০০ কিলোওয়াট সৌরবিদ্যুৎ এবং সরিষাবাড়ী তিন মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
|
|
|
|
|
|
|