ইউরোপীয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ২০২০ সাল নাগাদ একটি হাইব্রিড ইলেকট্রিক টেস্ট প্লেন তৈরির জন্য পরিকল্পনা করছে। এয়ারবাস, রোলস রয়েস এবং সিমেন্স মঙ্গলবার জানিয়েছে, তারা ২০২০ সালে আংশিকভাবে বিদ্যুতচালিত উন্নত ধরণের বাণিজ্যিক বিমানের পরীক্ষা চালাতে যাচ্ছে।
কোম্পানিগুলো জানায় প্রকল্পটি একটি উন্নত সংস্করণের ১০০ সিটের আঞ্চলিক বিমানের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হবে। প্রকল্পটির নাম দেয়া হয়েছে ‘ই-ফান এক্স’। এই তিন কোম্পানি মনে করে ২০২৫ সালের আগেই একই ধরনের বৈদ্যুতিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাণিজ্যিক ফ্লাইটের ভিত্তিমূলক কাজগুলো সেরে নেয়া যাবে। বিমানের চারটি ইঞ্জিনের একটি হিসেবে দুই মেগাওয়াটের বৈদ্যুতিক মোটর ব্যবহার করতে যাচ্ছে কোম্পানিগুলো। যদি পরীক্ষাটি সফল হয় তবে দ্বিতীয় জ্বালানি নির্ভর ইঞ্জিনটিকে বৈদ্যুতিক মোটরের সঙ্গে বদলে নেয়া যাবে। এ প্রসঙ্গে এয়ারবাসের চিফ টেকনোলজি অফিসার পল এরেমেনকো বলেন, সুদূর ভবিষ্যতে ইলেকট্রিক ফ্লাইটকে বাস্তবে রূপ দেয়ার লক্ষ্যে ই-ফান এক্স পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। ফ্লাইট কন্ট্রোলের সাথে ইঞ্জিন সংযোগের জন্য এয়ারবাস দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। রোলস রয়েস তৈরি করবে টারবো শ্যাফ্ট ইঞ্জিন, দুই মেগাওয়াট জেনারেটর এবং পাওয়ার ইঞ্জিন। সিমেন্স সরবরাহ করবে পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক। তবে শুধু এই তিন ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানই বিমান পরিবহণ জগতের বৈদ্যুতিক ভবিষ্যতের বিষয়ে বাজি ধরছে না। ইউরোপের অন্যতম বিমান পরিবহণ প্রতিষ্ঠান ইজি জেট গত সেপ্টেম্বরে ঘোষণা করে যে তারা সম্পূর্ণভাবে বিদ্যুতচালিত এয়ার লাইনার তৈরির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের রাইট ইলেকট্রিকের সঙ্গে কাজ করছে। অন্যদিকে একটি কমুটার এয়ারক্রাফট্ তৈরির লক্ষ্যে সিয়াটল ভিত্তিক স্টার্ট আপ প্রতিষ্ঠান জুনুম এর সঙ্গে কাজ শুরু করেছে বোয়িং এবং ব্লু জেট জোট। তারা জানায় তাদের বিমান ২০২২ সালে আকাশে উড়বে। বাণিজ্যিক বিমানগুলো ২ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ করে জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে, তবে আগামী যুগে নতুন প্রযুক্তি ও জৈব জ্বালানি ব্যবহার করে কার্বন নিরপেক্ষ অগ্রযাত্রার লক্ষ্য নিয়েছে এই শিল্পের সাথে জড়িতরা। পাশাপাশি এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য তেলের দামও একটি বড় বিষয়।