বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফরিদপুর জেলার চাষীরা। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে উঁচু জমিতে শুরু করেছেন বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ। স্থানীয় বাজারগুলোতে শীতকালীন শাকসবজি উঠতে শুরু করেছে। আর এই শাকসবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। ক্ষেতের পাশাপাশি অনেকেই বাড়ির আঙিনায় শাকসবজি চাষ করছেন। ইতোমধ্যেই অনেকে বাজার সবজি বিক্রি শুরু করেছেন। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় খুশি চাষীরা। আর কৃষি বিভাগ বলছে, সবজি উৎপাদনে চাষীদের সবধরনের সহযোগিতা করছে তারা।
চলতি বছরের দু-দফা বন্যায় ফরিদপুর অঞ্চলের চাষীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চাষীরা শুরু করে শীতকালীন সবজি চাষ। বর্তমানে চাষীদের ক্ষেতে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন প্রকার সবজি। চাষীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন সবজি ক্ষেত নিড়ানী ও পরিচর্যায়। বসে নেই কৃষাণীরাও। তারাও মাঠে পুরোদমে কাজ করছেন। অনেক চাষী সবজি বিক্রিও শুরু করেছেন। বাজারে শীতকালীন সবজি বিক্রি করে ভাল দাম পাচ্ছেন তারা। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এই অঞ্চলে সবজির আবাদ।
ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন, সদরপুর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপকভাবে সবজির আবাদ করেছেন চাষীরা। এছাড়াও অন্যান্য উপজেলায় সবজির আবাদ হয়ে থাকে। বর্তমানে ওইসব এলাকার চাষীদের ক্ষেতে লাশ শাক, পালং শাক, মুলা শাক, ধনে পাতা, শসা, বেগুন, লাউসহ বিভিন্ন প্রকারের সবজি শোভা পাচ্ছে।
এখানকার উৎপাদিত সবজি জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। ফলে প্রতি বছর ওইসব এলাকার চাষীরা শীতকালীন আগাম সবজি উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি বছর ফরিদপুর জেলায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে।