‘কালের যাত্রার ধ্বনিতে’ আজ প্রভাতে ‘রবির কর’ দশ দিগন্তে চোখ মেলেছে নতুন দিনে। ’আজি এ ঊষার পূণ্য লগনে উদিছে নবীন সূর্য গগণে..- আবহমান সূর্য একটি পুরানো বছরকে কালস্রোতের উর্মিমালায় বিলীন করে আবার শুরু করলো যাত্রা। স্বপ্ন আর দিনবদলের প্রত্যাশার আলোয় উদ্ভাসিত শুভ নববর্ষ। হ্যাপি নিউইয়ার ২০১৮।
ফেলে আসা বছরটি এখন ‘পুরনো সেই দিনের কথা।’’সময় আর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করেনা’-এই সত্যকে বিমূর্ত করে নতুন বছরের প্রথম সূর্যোদয়। বর্ষবরণের আবাহন রেখে কুয়াশামোড়া পাণ্ডুর সূর্য জীর্ণ ঝরা পল্লবের মত সরল রৈখিক গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে কাল খসে পড়েছে । অভিবাদন নতুন সৌরবর্ষকে। বিশ্বের বয়স আরও এক বছর বাড়লো। নববর্ষের বার্তা ছড়িয়ে ফুরায়েছে একটি বছরের সব লেনদেন।
এক বছরের ‘আনন্দ-বেদনা, আশা-নৈরাশ্য আর সাফল্য ব্যর্থতার পটভূমির ওপর আমাদের ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের এই প্রিয় বাংলাদেশ নতুন বছরে পর্বতদৃঢ় একতায় সর্ব বিপর্যয়-দুঃসময়কে জয় করবে অজেয়-অমিত শক্তি নিয়ে’ -এ সংকল্পের সোনালী দিন আজ। যে বছরটি হারিয়ে গেল ,খসে পড়লো ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে, তার সবই কি হারিয়ে যাবে? মুছে যাবে পলাতক স্মৃুতির মত ? না, সবকিছু মুছে যায় না। আলোড়ন আর তোলপাড় করা ঘটনাবহুল ২০১৭-এর অনেক ঘটনার রেশ নিয়েই মানুষ এগিয়ে যাবে ।
অনেক ঘটনা মুছে যাবে বিস্মৃতির ধুলোয়। যে প্রত্যাশার বিশালতা নিয়ে ২০১৭-এর প্রথম দিনটিকে বরণ করা হয়েছিল, সেই প্রত্যাশার সব কি পূরণ হয়েছে? এই প্রশ্নকে সমুখে নিয়ে সুচনা হলো আরো একটি বর্ষযাত্রা। তমসা থেকে জ্যোতিতে উত্তীর্ণ হওয়ার আকাংখা সমুখে নিয়ে সুচনা হলো এই যাত্রা।
প্রতিটি প্রান চেয়েছিলো, সৌভাগ্যের পসরা নিয়ে আসুক ২০১৭। কায়মনে প্রার্থনা করেছেন, ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,/অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’সবই কি ধরা দিয়েছে? সর্বক্ষেত্রে আশা-নিরাশার, আনন্দ-বেদনার দোলাচলের মাঝে নতুন বছরের কাছে অনেক প্রত্যাশার বীজ বুনে গেছে বিদায়ী ২০১৭।