নারীদের গাড়ি চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে সৌদিআরবে। ফলে প্রথমবারের মতো দেশটিতে গাড়ি চালানোর অনুমতি পাচ্ছেন নারীরা। মেয়েদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দিয়ে সৌদির বাদশা সালমান একটি আদেশ জারি করেছেন বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
সৌদি প্রেস এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, বহু বছর ধরে চলা প্রচারণার প্রেক্ষিতে সৌদিআরবের ইতিহাসে এই প্রথম মেয়েরা গাড়ি চালানোর অনুমতি পেতে যাচ্ছে। শীর্ষ ধর্মীয় নেতাদের কাউন্সিল নতুন এই পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছেন। সরকারি মন্ত্রণালয়কে ৩০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তৈরি করতে হবে এবং ২০১৮ সালের জুনের মধ্যেই এই নির্দেশ বাস্তবায়িত হবে।
বিশ্বের একমাত্র দেশ সৌদি যেখানে মেয়েদের গাড়ি চালানোর অনুমতি নেই এবং এ কারণে বহুদিন ধরে সমালোচনা এবং বিতর্ক চলে আসছে। সৌদির বর্তমান শাসনব্যবস্থায় শুধু পুরুষরাই ড্রাইভিং লাইসেন্স পায় এবং নারীরা প্রকাশ্যে গাড়ি চালালে তাদের আটক হতে পারেন এবং তাদের জরিমানাও হতে পারে।
সৌদিআরবের চরম রক্ষণশীল সমাজে মেয়েদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়ার দাবিতে মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে সোচ্চার হয়েছে। এরআগে গাড়ি চালানোর অভিযোগে অনেক নারীকে কারাগারেও যেতে হয়েছে।
সৌদি সরকারের নতুন এই উদ্যোগকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হিদার নাওর্ট বলেন, আমি মনে করি সেদেশের জন্য এটি সঠিক দিক-নিদের্শনার মহান পদক্ষেপ। তারা যে এ ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে সেজন্য আমরা উচ্ছ্বসিত। আমি মনে করি এটি খুবই ইতিবাচক লক্ষণ।
সৌদি প্রেস এজেন্সির খবরে জানানো হয়েছে, রাজকীয় এই আদেশ অনুযায়ী নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করা হবে। তবে ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে তা কার্যকর হবে। প্রয়োজনীয় শরীয়াহ মানদণ্ড অনুসরণ করেই এই নির্দেশনা কার্যকর করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।