বর্তমানে বিশ্ববাজারে বেড়েই চলছে ডেনিমের চাহিদা। বিশ্বে ডেনিম উৎপদনে বাংলাদেশ এখন ৮ম স্থান দখল করে আছে। ব্যবসায়ীরা বলছে, সরকারসহ রপ্তানিখাতে সংশ্লিষ্টদের সহায়তা, প্রতিবন্ধকতাসমূহ দূর করা এবং সময় উপযোগী পণ্য উদ্ভাবন করতে পারলে ডেনিম শিল্পে উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করেন তারা। তবে বর্তমানে দেশে যে অবস্থা বিরাজ করছে এমন চলতে থাকলে ব্যবসার গতি উল্টো পথে চলার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্কয়ার ডেনিমের উপ-ব্যবস্থাপক দাউদ বিন জাফর জানান, বর্তমানে দেশের শিল্পের জন্য সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ জ্বালানি। অন্যান্য শিল্পের থেকে ডেনিমের জন্য জ্বালানি নিশ্চয়তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এছাড় অদক্ষ জনবল, কাঁচামালের অভাব, অবকাঠামো উন্নয়নের সমস্যা তো রয়েছেই। এই সমস্যাগুলো দূর করা সম্ভব হলে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যাবো।
হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপক শামসুল হক বলেন, বিদেশিদের কাছে আমাদের সুনাম অন্য যেকোন দেশের থেকে বেশি। ক্রেতারা আমাদের আতিথিয়তায় মুগ্ধ। তারা আমাদের দেশে ব্যবসা করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। আমাদের দরকার শুধু পরিবেশের উন্নতি করা। এটা করতে পারলে আমরা অন্যদের থেকে দ্রুত এগিয়ে যাবো। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ডেনিম শিল্পের মোড়ল চীন। কিন্তু তারা পণ্য তৈরি করছে না। অথচ আমরা ডেনিম উৎপাদন থেকে শুরু করে পণ্য তৈরি সবই করছি। এতে ক্রেতাদের সময় অনেক বেচে যাচ্ছে। তাই তারা আমাদেরকে বেশি পছন্দ করছে। আমাদের সরকার যদি ক্রেতা দেশগুলোর সাথে ভালো সম্পর্ক করতে পারে তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ মোড়ল হতে বেশিদিন লাগবে না।
ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা এই খাতে প্রবেশ করেছি ২০০০ সালের দিকে। মাত্র ১৭ বছরে আমরা ৫ শতাংশেরও বেশি বাজার দখল করতে সক্ষম হয়েছি। বর্তমানে আমাদের প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশেরও বেশি। এটা ইর্ষণীয়। তাবে আমাদের আরো প্রবৃদ্ধি অর্জনের সুযোগ রয়েছে। প্রথম দিকে ক্রেতাদের ধারণা ছিলো আমরা কেবল সাধারণ মানের ডেনিম উৎপাদন করি। এখন এই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। ক্রেতারা যেনি বলতে এখন আর জার্মানি, টার্কি বা পাকিস্তানকে বুঝেনা। তারা এখন বাংলাদেশের কথাও মাথায় রাখে। এটা একটা বড় অর্জন। এখন আমাদের প্রয়োজন এই সুনামকে কাজে লাগিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। এটা করতে পারলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমরা অনেক ভালো অবস্থানে পৌঁছাবো।