ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের বিরুদ্ধে ৫শ` কোটি টাকার মানহানি মামলা
অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অন্যতম অবদান রাখা ওরিয়ন গ্রুপের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার লক্ষ্যে মানহানিকর এবং মিথ্যা প্রতিবেদন প্রচার করায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর চ্যানেলটি বারবার একটি বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন সম্প্রচার করেছে। যাতে অভিযোগ করা হয় যে, সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরকারকে কোনো বিদ্যুৎ না দিয়েও ওরিয়ন সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও বিদেশে অর্থ পাচার করেছে, ব্যবসায় রাজনৈতিক যোগাযোগ ব্যবহার করেছে।
ওরিয়ন গ্রুপ দৃঢ়ভাবে এসব ভিত্তিহীন দাবি প্রত্যাখ্যান করছে। এ কোম্পানি সবসময় জাতীয় নিয়মনীতি পুরোপুরি মেনে চলেছে, এবং বাংলাদেশের আরও শতাধিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের মতো একই বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) করেছে ওরিয়ন। দেশের বিদ্যুৎ চাহিদার প্রতি প্রতিশ্রুতি বজায় রেখে ২০১১ সাল থেকে ওরিয়ন তাদের ছয়টি অত্যাধুনিক, সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব এবং সম্পূর্ণরূপে চালু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে ১৬.৯ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে।
ওরিয়ন বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের জন্য নেওয়া ঋণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে এবং এ টাকা বিদেশে পাচার করেছে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওরিয়ন গ্রুপ নিশ্চিত করছে যে, কোম্পানির নিজস্ব অর্থায়নে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের সমন্বয়ে সমস্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার অর্থায়ন করা হয়েছে। কোনো টাকা বিদেশে পাচার হয়নি। ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্য প্রায়ই ঋণের প্রয়োজন হয় এবং ওরিয়ন ধারাবাহিকভাবে তার সমস্ত ঋণ সময়মতো পরিশোধ করেছে।
এছাড়া দুবাই ও চীনের দুটি বিদেশি কোম্পানি ওরিয়ন গ্রুপের মালিকানাধীন হওয়ার অভিযোগও মিথ্যা। এই কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ওরিয়নের অংশীদারত্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য বিডিং প্রক্রিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল এবং কোম্পানি দুটির কোনোটিই ওরিয়নের চেয়ারম্যান বা কোন বাংলাদেশি ব্যক্তির মালিকানাধীন নয়। ওরিয়ন গ্রুপের কোনো কোম্পানিতে কোনো বহিরাগত রাজনৈতিক মালিকানা নেই।
রাজনৈতিক অংশীদারত্বের মাধ্যমে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে প্রভাব খাটানো এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওরিয়নের সবগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্র স্বাধীনভাবে নির্মাণ ও পরিচালিত হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বা বহিরাগতের সম্পৃক্ততা নেই। ওরিয়ন গ্রুপের কোনো কোম্পানিতে কোনো বাহ্যিক রাজনৈতিক মালিকানা নেই। সমস্ত ব্যবসা এককভাবে ওরিয়নের চেয়ারম্যান এবং তার পরিবারের সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত হয়। সেইসঙ্গে অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওরিয়ন দ্ব্যর্থহীনভাবে অস্বীকার করছে। ওরিয়নের সমস্ত বিনিয়োগ ও অর্থ বাংলাদেশেই রয়েছে, বিদেশে কোনো অর্থ পাচার হয়নি।
যে মিথ্যা দাবি ও মানহানিকর সংবাদ প্রচার করা হয়েছে তা শুধু বিভ্রান্তিকরই নয়, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার লঙ্ঘনও। যাচাই না করে প্রমাণ ছাড়া এসব প্রতিবেদন প্রকাশের উদ্দেশ্য ইচ্ছাকৃতভাবে ওরিয়ন গ্রুপের সুনাম নষ্ট করা। এর পরিপ্রেক্ষিতে সত্য প্রতিষ্ঠা এবং মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ওরিয়ন গ্রুপ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে।
|
অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অন্যতম অবদান রাখা ওরিয়ন গ্রুপের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার লক্ষ্যে মানহানিকর এবং মিথ্যা প্রতিবেদন প্রচার করায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর চ্যানেলটি বারবার একটি বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন সম্প্রচার করেছে। যাতে অভিযোগ করা হয় যে, সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরকারকে কোনো বিদ্যুৎ না দিয়েও ওরিয়ন সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও বিদেশে অর্থ পাচার করেছে, ব্যবসায় রাজনৈতিক যোগাযোগ ব্যবহার করেছে।
ওরিয়ন গ্রুপ দৃঢ়ভাবে এসব ভিত্তিহীন দাবি প্রত্যাখ্যান করছে। এ কোম্পানি সবসময় জাতীয় নিয়মনীতি পুরোপুরি মেনে চলেছে, এবং বাংলাদেশের আরও শতাধিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের মতো একই বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) করেছে ওরিয়ন। দেশের বিদ্যুৎ চাহিদার প্রতি প্রতিশ্রুতি বজায় রেখে ২০১১ সাল থেকে ওরিয়ন তাদের ছয়টি অত্যাধুনিক, সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব এবং সম্পূর্ণরূপে চালু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে ১৬.৯ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে।
ওরিয়ন বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের জন্য নেওয়া ঋণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে এবং এ টাকা বিদেশে পাচার করেছে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওরিয়ন গ্রুপ নিশ্চিত করছে যে, কোম্পানির নিজস্ব অর্থায়নে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের সমন্বয়ে সমস্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার অর্থায়ন করা হয়েছে। কোনো টাকা বিদেশে পাচার হয়নি। ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্য প্রায়ই ঋণের প্রয়োজন হয় এবং ওরিয়ন ধারাবাহিকভাবে তার সমস্ত ঋণ সময়মতো পরিশোধ করেছে।
এছাড়া দুবাই ও চীনের দুটি বিদেশি কোম্পানি ওরিয়ন গ্রুপের মালিকানাধীন হওয়ার অভিযোগও মিথ্যা। এই কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ওরিয়নের অংশীদারত্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য বিডিং প্রক্রিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল এবং কোম্পানি দুটির কোনোটিই ওরিয়নের চেয়ারম্যান বা কোন বাংলাদেশি ব্যক্তির মালিকানাধীন নয়। ওরিয়ন গ্রুপের কোনো কোম্পানিতে কোনো বহিরাগত রাজনৈতিক মালিকানা নেই।
রাজনৈতিক অংশীদারত্বের মাধ্যমে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে প্রভাব খাটানো এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওরিয়নের সবগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্র স্বাধীনভাবে নির্মাণ ও পরিচালিত হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বা বহিরাগতের সম্পৃক্ততা নেই। ওরিয়ন গ্রুপের কোনো কোম্পানিতে কোনো বাহ্যিক রাজনৈতিক মালিকানা নেই। সমস্ত ব্যবসা এককভাবে ওরিয়নের চেয়ারম্যান এবং তার পরিবারের সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত হয়। সেইসঙ্গে অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওরিয়ন দ্ব্যর্থহীনভাবে অস্বীকার করছে। ওরিয়নের সমস্ত বিনিয়োগ ও অর্থ বাংলাদেশেই রয়েছে, বিদেশে কোনো অর্থ পাচার হয়নি।
যে মিথ্যা দাবি ও মানহানিকর সংবাদ প্রচার করা হয়েছে তা শুধু বিভ্রান্তিকরই নয়, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার লঙ্ঘনও। যাচাই না করে প্রমাণ ছাড়া এসব প্রতিবেদন প্রকাশের উদ্দেশ্য ইচ্ছাকৃতভাবে ওরিয়ন গ্রুপের সুনাম নষ্ট করা। এর পরিপ্রেক্ষিতে সত্য প্রতিষ্ঠা এবং মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ওরিয়ন গ্রুপ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে।
|
|
|
|
নজরুল শেখ, স্টাফ রিপোর্টার:
১৫ আগস্ট জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব নগরকান্দা উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
বাংলাদেশ প্রেসক্লাব নগরকান্দা উপজেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজান এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব নগরকান্দা উপজেলা শাখার (সদস্য) সাংবাদিকদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন কালে জাতীয় সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবুর উপস্থিতিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
|
|
|
|
ডিটিভি বাংলা নিউজঃ বেনাপোল বন্দরে ট্রাক টার্মিনালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ১০ কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আজ রবিবার ভোরে ট্রাক টার্মিনালে থাকা আমদানি করা পণ্যবোঝাই একটি ভারতীয় ট্রাকে আগুন লাগে। এরপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে অন্য ট্রাকে। এতে আমদানি পণ্য তুলা, সুতা, কাগজ, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পণ্য পুড়ে যায়। জানা গেছে, নিয়মবহির্ভূতভাবে ভারত থেকে আমদানি করা বিভিন্ন যানবাহনের চেসিস ও তৈরি মোটরসাইকেল রাখা হয় টার্মিনালের অভ্যন্তরে। আর এক পাশে রাখা ছিল অ্যাসিড জাতীয় পদার্থ। রাত সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ করে অ্যাসিডের ড্রাম বিস্ফোরিত হয়ে পাশের একটি পণ্যবোঝাই ট্রাকে পড়লে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন ইউনিট কাজ করছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনই বলা যাচ্ছে না। ফায়ার সার্ভিস বেনাপোলের স্টেশন ইনচার্জ তৌফিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, রবিবার ভোর ৪টায় আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস বেনাপোল স্টেশনের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে আরো ২টি ইউনিট যোগ দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
|
|
|
|
ডিটিভি বাংলা নিউজঃ ওমানের দক্ষিণাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় মেকুনুর প্রভাবে শক্তিশালী বাতাস ও ভারী বৃষ্টিপাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে ১২ বছরের এক কন্যাশিশু নিহত ও অপর ৩জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে দেশটির সোকোত্রা দ্বীপে মেকুনুর এ তাণ্ডব চলে। ওমানের আবহাওয়া বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, উপসাগরীয় দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী সালালাহ্’র পশ্চিমে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে। এ সময় শক্তিশালী ঝড়ো বাতাসের সাথে ভারী বৃষ্টিপাত ও উঁচু ঢেউ দেখা যায়। এ ঘটনায় ১২ বছরের এক কন্যাশিশুর নিহত ও অপর ৩জন আহত হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, উপকূল অঞ্চলের দুটি প্রদেশের হাজার হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়। ঝড় কবলিত দুটি প্রদেশে ৬৫টি আশ্রয় শিবির স্থাপন করা হয়েছে।
|
|
|
|
অতি পরিচিত পুষ্টিকর খাবার কলা। কলা খাওয়ার অনেক উপকারও রয়েছে, যা অনেকেরই জানা নেই। বেশি করে পাকা কলা খাওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু উপকারিতার কথা।
কিডনিতে পাথর তৈরি হওয়া প্রতিরোধ করে কলার পটাসিয়াম। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, কলার বিভিন্ন উপাদান কিডনির রোগ প্রতিরোধে কার্যকর। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কলা খুবই সহায়তা করে। এতে রয়েছে কয়েক ধরনের ‘রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ’ যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের উন্নতিতে সহায়তা করে। সবুজ বা কাঁচা কলাতে বেশিমাত্রায় রয়েছে এ উপাদানটি। দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে স্লিম ফিগার তৈরি করতে সহায়তা করে কলা। মূলত কয়েক ধরনের ফ্যাট দেহে সংরক্ষণ করতে বাধা দেয় কলা। ফলে দেহ থেকে ফ্যাট কমে যায়। কলা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলাতে রয়েছে একটি বিশেষ প্রোটিন, যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে। আর তাই ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশি করে কলা খেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। মিনারেলের অভাবে অনেকেরই দেহের বিভিন্ন অংশে খিঁচুনি হয়ে থাকে। এ খিঁচুনি প্রতিরোধে প্রচুর মিনারেল সমৃদ্ধ কলা খাওয়া যেতে পারে। কলার পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এক্ষেত্রে খুবই কার্যকর। কলা হৃদরোগ থেকে রক্ষা পেতে সহায়তা করে। এজন্য নিয়মিত কলা খাওয়া প্রয়োজন। এছাড়া কলা উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধেও কার্যকর।
তাছাড়া, রক্তনালীতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় কোলস্টেরলের কারণে। কলাতে রয়েছে ফাইটোস্টেরোলস। এটি কোলস্টেরলের মাত্রা সীমিত রাখে এবং রক্তনালী পরিষ্কার রেখে সুস্থভাবে বাঁচতে সহায়তা করবে। পাকস্থলীর সুস্থতার জন্য কলা খুবই কার্যকর খাবার। তাই গ্যাস্টিক আলসারের রোগীদের কলা খাওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি পাকস্থলীর দেয়াল বৃদ্ধি করে।
ডিটিভি বাংলা/ মেহেদী হাসান
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক
প্রচলিত বিভিন্ন চায়ের পাশাপাশি গ্রিন টিসহ অন্যান্য চায়ের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তেমনই একটি হচ্ছে ভেষজ চা। তবে এ চা সম্পর্কে অনেকেরই হয়তো জানা নেই। অন্যান্য চায়ের মতো ভেষজ চাও শরীরের জন্য বেশ উপকারী। নিচে ভেষজ চাসহ বিভিন্ন রকমের চায়ের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হলো :
এলাচ চা : এলাচ চা হতে পারে আপনার দিন শুরু করার সবচেয়ে ভালো পানীয়। এটি শুধু হজমশক্তিই বাড়ায় না আরও কিছু গুণ রয়েছে এলাচ চায়ের। এটি মাথাব্যথা কমায়, পেটের সমস্যা দূর করে এবং দেহ ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া এলাচের উপাদান দেহ থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে।
দারুচিনি চা : প্রধানত মসলা হিসেবে ব্যবহৃত দারুচিনি নামের ভেষজটির উপকার সম্বন্ধে অনেকেরই জানা নেই। এটি অত্যন্ত উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ একটি উপাদান। দারুচিনি চা দেহের কোলস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ফলে হৃদরোগের মতো মারাত্মক রোগও দূরে রাখা সম্ভব এ চা পান করে।
জাফরান চা : মূল্যবান এ মসলাটিতে রয়েছে বহু ধরনের গুণ। অনেকেই জাফরান বিভিন্ন খাবার প্রস্তুতে ব্যবহার করলেও চায়ে ব্যবহারে অভ্যস্ত নন। তবে এক কাপ চায়ে যদি সামান্য জাফরান ব্যবহার করা হয় তাহলে তা শুধু স্বাদ কিংবা সৌন্দর্যই বাড়াবে না কিছু স্বাস্থ্যগত সুবিধাও পাওয়া যাবে। জাফরানের রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান। এছাড়া এটি হৃদরোগ প্রতিরোধ করে ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করে।
জিরা চা : জিরা ঘুমের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। এছাড়া এটি দেহ শীতল করতেও ভূমিকা রাখে। জিরা বিভিন্ন খাবার থেকে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় আয়রন গ্রহণে সহায়তা করে। তাই চায়ে জিরার গুড়া প্রয়োগে বহু উপকার পাওয়া সম্ভব।
ক্যামোমিল চা : এক কাপ ক্যামোমিল চা মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। রাতের খাবারের পর এক কাপ ক্যামোমিল চা উদ্বেগ দূর করে ঘুম আনতে সহায়তা করে। ত্বকের নানা সমস্যা দূর করতেও ক্যামোমিল কার্যকর।
ডিটিভি বাংলা/ মেহেদী হাসান
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক
সকালের ভালো নাস্তা সারাদিনের ভালো কাজের জন্য মনকে রাখে প্রফুল্ল। তাই দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার সকালের নাস্তা। কিন্তু ডায়েট করার তাগিদে খাওয়ার তালিকা থেকে সকালের নাস্তাই ছেঁটে ফেলেছেন অনেকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রবণতায় লুকিয়ে আছে মারাত্মক বিপদ।
এটা সবাই জানি যে, আধুনিক শহুরে জীবনে ডায়াবেটিস একটি সর্বজনীন সমস্যা। সম্প্রতি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ পাবলিক হেলথ স্বাস্থ্য ও খাদ্যাভ্যাসের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে একটি গবেষণা পরিচালনা করে। ৪৬,২৮৯ জন নারীর ওপর এই গবেষণাটি পরিচালনা করা হয় ৬ বছর ধরে। ফলাফল খুবই বিস্ময়কর। এতে বলা হয়, যে নারীরা নিয়মিত সকালের নাস্তা খান না তাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। আর যে সকল কর্মজীবী নারী সকালের নাস্তা বাদ দেন তাদের ৫৪ শতাংশের টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
তাছাড়া, এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানা যায়, যে সমস্ত ছেলেরা সকালের নাস্তা বাদ দেন তাদের মধ্যে ২৭ শতাংশের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। এই গবেষণার নেতৃত্ব দেন ড. লিয়া চাহিল। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যকর নাস্তা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। যারা সকালের নাস্তা এড়িয়ে যান তাদের উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় এবং ধমনীতে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্থ হয়। এর ফলশ্রুতিতে স্ট্রোকও হতে পারে।
তবে আপনি যদি ওজন কমানোর জন্য সকালের নাস্তা বাদ দিতে চান তাহলে আরও একবার চিন্তা করে নিন। একটি গবেষণায় দেখা যায়, যারা সকালের নাস্তা বাদ দেন তাদের ওজন দ্রুত বাড়ে। সকালের নাস্তা না খেলে চিনি ও চর্বি যুক্ত খাদ্য গ্রহণের উৎসাহ বৃদ্ধি পায়। সেই সাথে তীব্র ক্ষুধা পায় বলে সারাদিনে আপনি যাই পান তাই খেতে থাকেন। ক্ষুধা যত বৃদ্ধি পাবে খাদ্য গ্রহণের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। যা আপনার প্রতিদিনের ক্যালরি গ্রহণের মাত্রাও ছাড়িয়ে যায়। তাই নিয়মিত সকালের নাস্তা বাদ দিলে ওজন কমার বদলে ওজন বৃদ্ধিই পাবে।
১৯৯৯ সালে একটি সাইকোলজিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে জানা যায় যে, সকালের নাস্তা এড়িয়ে গেলে মেজাজ ও এনার্জির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এই গবেষণায় ১৪৪ জন স্বাস্থ্যবান মানুষকে তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। একটি দলকে স্বাস্থ্যসম্মত পরিমিত সকালের নাস্তা দেয়া হয়, দ্বিতীয় দলকে শুধু কফি দেয়া হয় এবং তৃতীয় দলটিকে কোন নাস্তা দেয়া হয়নি। দেখা যায় যে, যে গ্রুপটিকে সকালের নাস্তা দেয়া হয়নি তাদের স্মৃতির দক্ষতা নিম্নতম পর্যায়ে চলে যায় এবং তাদের ক্লান্তিবোধের স্তর উচ্চতর পর্যায়ের হয়। অন্য দুই দলের মধ্যে তেমন তাৎপর্যপূর্ণ কোন পরিবর্তন লক্ষ করা যায়নি।
২০১৩ এর আগস্টে ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশন এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, নাস্তা না করলে শরীরের এনার্জি কমে যায় এবং শারীরিক কর্মক্ষমতার স্তর ও কমতে থাকে। সকালের নাস্তা বাদ দেয়ার ফলে হতে পারে মাইগ্রেন। সেইসঙ্গে আপনার শরীরে পানির ঘাটতি ঘটতে পারে। সকালের নাস্তা বাদ দেয়ার নেগেটিভ প্রভাব পড়বে আপনার মুডে। আপনি খিটখিটে হয়ে উঠবেন। আপনার এনার্জিতে ঘাটতি হবে। অবসাদ ঘিরে ধরবে। কমে আসবে স্মৃতিশক্তি।
সকালের নাস্তা বাদ দিলে শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে
১. হৃদপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকর এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানা যায়, যে সমস্ত ছেলেরা সকালের নাস্তা বাদ দেন তাদের মধ্যে ২৭ শতাংশের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। এই গবেষণার নেতৃত্ব দেন ড. লিয়া চাহিল। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যকর নাস্তা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। যারা সকালের নাস্তা এড়িয়ে যান তাদের উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় এবং ধমনীতে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্থ হয়। এর ফলশ্রুতিতে স্ট্রোকও হতে পারে।
২. ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ পাবলিক হেলথ স্বাস্থ্য ও খাদ্যাভ্যাসের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে একটি গবেষণা পরিচালনা করে। ৪৬,২৮৯ জন নারীর ওপর এই গবেষণাটি পরিচালনা করা হয় ৬ বছর ধরে। ফলাফল খুবই বিস্ময়কর। এতে বলা হয়, যে নারীরা নিয়মিত সকালের নাস্তা খান না তাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। আর যে সকল কর্মজীবী নারী সকালের নাস্তা বাদ দেন তাদের ৫৪ শতাংশের টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
৩. ওজন বৃদ্ধি ঘটাতে পারে আপনি যদি ওজন কমানোর জন্য সকালের নাস্তা বাদ দিতে চান তাহলে আরও একবার চিন্তা করে নিন। একটি গবেষণায় দেখা যায়, যারা সকালের নাস্তা বাদ দেন তাদের ওজন দ্রুত বাড়ে। সকালের নাস্তা না খেলে চিনি ও চর্বি যুক্ত খাদ্য গ্রহণের উৎসাহ বৃদ্ধি পায়। সেই সাথে তীব্র ক্ষুধা পায় বলে সারাদিনে আপনি যাই পান তাই খেতে থাকেন। ক্ষুধা যত বৃদ্ধি পাবে খাদ্য গ্রহণের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। যা আপনার প্রতিদিনের ক্যালরি গ্রহণের মাত্রাও ছাড়িয়ে যায়। তাই নিয়মিত সকালের নাস্তা বাদ দিলে ওজন কমার বদলে ওজন বৃদ্ধিই পাবে।
৪. মানসিক অবস্থা ও শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ১৯৯৯ সালে একটি সাইকোলজিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে জানা যায় যে, সকালের নাস্তা এড়িয়ে গেলে মেজাজ ও এনার্জির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এই গবেষণায় ১৪৪ জন স্বাস্থ্যবান মানুষকে তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। একটি দলকে স্বাস্থ্যসম্মত পরিমিত সকালের নাস্তা দেয়া হয়, দ্বিতীয় দলকে শুধু কফি দেয়া হয় এবং তৃতীয় দলটিকে কোন নাস্তা দেয়া হয়নি। দেখা যায় যে, যে গ্রুপটিকে সকালের নাস্তা দেয়া হয়নি তাদের স্মৃতির দক্ষতা নিম্নতম পর্যায়ে চলে যায় এবং তাদের ক্লান্তিবোধের স্তর উচ্চতর পর্যায়ের হয়। অন্য দুই দলের মধ্যে তেমন তাৎপর্যপূর্ণ কোন পরিবর্তন লক্ষ করা যায়নি।
৫. চুল পড়া বৃদ্ধি করে খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ কম হলে কেরাটিনের স্তরকে প্রভাবিত করে যা চুলের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে এবং চুল পড়া বৃদ্ধি করে। ব্রেকফাস্ট সারা দিনের এমন একটি খাবার যা হেয়ার ফলিকল উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই যদি আপনি উজ্জ্বল ও শক্তিশালী চুল চান তাহলে প্রোটিন সমৃদ্ধ সকালের নাস্তা খান।
|
|
|
|
প্রতি বছরের মতো এ বছরও নাট্য সংগঠন প্রাচ্যনাট আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘লালযাত্রা’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বর থেকে আগামী ২৫ মার্চ রোববার বিকেল সাড়ে ৫টায় প্রাচ্যনাট সবান্ধব হেঁটে যাবে ফুলার রোডের সড়কদ্বীপে স্মৃতি চিরন্তন চত্বর পর্যন্ত।
এ সময় গাওয়া হবে ‘ধনধান্য পুষ্প ভরা’সহ দেশের গান। স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে সব শহীদের প্রতি সম্মানার্থে প্রদীপ প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের লাল যাত্রা। এই ‘লালযাত্রা’র মূল ভাবনা মূলত রাহুল আনন্দের। গত ছয় বছর ধরে নিয়মিতভাবে ‘লালযাত্রা’র মাধ্যমে শহীদদের স্মরণ করছে প্রাচ্যনাট।
এ প্রসঙ্গে রাহুল আনন্দ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘২৫ মার্চ ভয়াল কালরাতের শহীদের তাজা রক্তে ভিজে রাঙা হলো পলাশ, শিমুল-হরেক রঙের ফুল। দীর্ঘ কালরাত্রির প্রাক্কালে আমাদের পূর্ব-প্রজন্মের লাল রক্তের পথ ধরে-স্বাধীন আমরা হেঁটে চলি ঐক্যের বন্ধনে-লালযাত্রায়...।’
প্রাচ্যনাটের প্রচার সম্পাদক শশাঙ্ক সাহা এই আয়োজনটিতে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, ‘প্রতিবারের মতোই এবারের আয়োজনেও সবাই আমাদের সঙ্গী হবেন-এটাই প্রত্যাশা করি।’
২০১০ সাল থেকে ‘লালযাত্রা’র আয়োজন করে প্রাচ্যনাট। আয়োজনটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
|
|
|
|
কখনো কি ভেবেছেন যে, চুরি করার আগে চোর সনাক্ত করা যাবে? যেখানে অপরাধীর ওপর নজরদারি করতে কত না পাহারাদার, গুপ্তচর, গোয়েন্দা, পুলিশ ও সিসিটিভি ব্যবহার করা হয়। আছে আরও কত না আয়োজন। তার পরও মানুষ অপরাধীর কাছে অসহায় কারণ তারা তাদের সুযোগ মতই অপরাধ করে। চোর তো কখনো পুলিশকে বা মালিককে জানিয়ে চুরি করে না। তবে কি এবার মানুষের মস্তিষ্কের ওপর নজরদারি করা হবে!
অবাক হলেও সত্য যে, দেশের নাগরিকদের ওপর নজরদারি করতে ‘সোশ্যাল ক্রেডিট সিস্টেম’ (এসসিএস) নামে অভিনব এক পদ্ধতি চালু করছে চীন। এ পদ্ধতিতে প্রশাসনকে অপরাধী ধরতে অপরাধ সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। নাগরিকদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণে শ্রেণিবিন্যাসও করা হবে এই পদ্ধতিতে। নাগরিকদের শতভাগ নিরাপত্তা দিতে সরকার পদ্ধতিটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে সরকারি কর্মকর্তারা।
তবে কী সেই প্রযুক্তি! যার মাধ্যমে তারা তাদের নাগরিকদের চোখে চোখে রাখতে পারবে? যদিও ফোন ট্রেকিং, ভয়েজ ট্রেকিং ও অবস্থান ট্রেকিংয়ের প্রযুক্তি ইতোমধ্যেই পুরনো হয়ে গেছে। তাহলে কিভাবে তারা অপরাধ করার আগেই অপরাধী সনাক্ত করতে পারবে। হ্যাঁ, চীন এমনই একটি অভিনব পদ্ধতি চালু করছে যাতে মানুষের চিন্তাকে অনুসরণ করা যাবে। সোশ্যাল ক্রেডিট সিস্টেম নামের নতুন প্রকল্পের আওতায় তারা তাদের নাগরিকদের পূর্ণাঙ্গ তথ্যের ওপর একটি সমৃদ্ধ তথ্য ভা-ার তৈরি করবে। এখানে প্রত্যেক নাগরিকের খুঁটিনাটি সমস্ত তথ্য জমা থাকবে যা প্রয়োজন মত ব্যবহার করা হবে। নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্যের ভা-ার নিয়মিত আপডেট করা হবে ও এর ভিত্তিতে জনগণের শ্রেণিবিন্যাসও করা হবে । এই শ্রেণিবিন্যাসের ওপরই নির্ভর করবে তার জীবনমান কেমন হবে, সে সরকার থেকে কতটুকু সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে আর সরকারের কী কী অধিকার সে ভোগ করতে পারবে। শ্রেণিবিন্যাসের ওপর ভিত্তি করে আগামী মে থেকেই বিমান ও ট্রেনের টিকেট ক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু হবে বলে জানিয়েছে চীনের ‘ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট এ- রিফর্মেশন কমিশন’।
সম্প্রতি তারা এক ধরণের গ্লাসের ব্যবহার শুরু করেছে যার মাধ্যমে কারো সামনে দাঁড়িয়ে তার পরিচয় বলে দেয়া যাবে। সে কোন অপরাধে অপরাধী কিনা বা তার নামে কোন অভিযোগ আছে কিনা তাও নিশ্চিত করবে। এই চশমাটি তারা গাড়ির নম্বর প্লেট জালিয়াতি ধরতে, ভুয়া পরিচয়পত্র সনাক্ত করতে এবং নাগরিকদের পরিচয়ের ব্যাপারে নিশ্চয়তা পেতে ব্যবহার করছে। এটি যেকোন অপরাধী সনাক্ত করতে ও সন্দেহভাজন মানুষদের পরিচয় নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে বেশ সহযোগিতা করছে। শুধু কি তাই? প্রশাসন এটি বাস, ট্রেন ও বিমানে ভ্রমণকারী ভুয়া যাত্রী সনাক্ত করতেও ব্যবহার করছে। যা তাদের সকল যাত্রীদের মধ্যে যেমন স্বচ্ছতা নিয়ে আসছে আবার অন্য দিকে নাগরিকদের মাঝে যথেষ্ট ভীতিরও সঞ্চার করছে।
সোশ্যাল ক্রেডিট সিস্টেমে সরকার তাদের নাগরিকের প্রদত্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নাগরিকদের চলা-ফেরা, বন্ধুত্ব ও শত্রুতার উপরও নজর রাখতে পারবে এমনকি ফেসবুকে লাইক-কমেন্টও চোখ রাখা হবে। কে কাকে অনুসরণ করছে কার আলোচনা পছন্দ করছে বা কার মতাদর্শে গড়ে উঠছে তাও অনুসরণ করা হবে এ পদ্ধতিতে। অন্যের সাথে যোগাযোগের ধরণ ও যোগাযোগকারী ব্যক্তির তথ্যের ওপর নজরদারি করে তার সম্পর্কে আগাম তথ্য পাওয়া যাবে বলে ধারণা করছে প্রশাসন। যার ওপর ভিত্তি করে অপরাধের মাত্রা শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনা যাবে বলে আশা করছে সরকার। ভাবতে পারেন? যে মানুষটি সকালে অপরাধ করার নিয়তে রাতে ঘুমিয়েছে সে সকালে নিজেকে ঠিক কারাগারে বা পুলিশের কাস্টডিতে আবিস্কার করবে। তার রাতের যোগাযোগ ও কথা বার্তা যা সে অন্যের সাথে শেয়ার করেছে তাই তাকে পুলিশ পর্যন্ত নিয়ে যাবে।
এপদ্ধতিতে আরো ধরা পড়বে মানুষের সন্ত্রাসী আচরণ, তার অপরাধমূলক কথা, কাজ ও ভুল তথ্য ছড়ানোর মত অপরাধও। এমনকি বাদ যাবে না নাগরিকরা প্রাত্যহিক জীবনে কি কি ক্রয় করছে এবং কোনভাবে অর্থের অপব্যবহার করছে কিনা তার ওপর নজরদারিও। প্রকল্পটি ২০১৪সালের জুনে শুরু হয়ে সম্পূর্ণ কাজ শেষে হতে ২০২০সাল লেগে যেতে পারে বলে সরকারি দফতর থেকে জানানো হয়েছে।
শুধু কি চীন? শুনে হয়তো অবাক হবেন, পৃথিবীর আরো কত জায়গায় এমন নজরদারি করা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৪সালে তার নির্বাচনী অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য রাজনৈতিক ডাটা কোম্পানী ‘ক্যামব্রিজ এনালিটিকা’কে ভাড়া করেছিল। প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৫কোটি নাগরিকের ফেসবুক একাউন্ট থেকে তথ্য চুরি করেছিল বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ্এর মাধ্যমে কে কাকে ভোট দিচ্ছে তা তারা আগাম জানতে পেরেছিল বলে সম্প্রতি কোম্পানিটির সাবেক একজন কর্মকর্তা ক্রিস্টোফার ওয়াইলি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, চীনা কর্তৃপক্ষ তাদের নাগরিকদের তথ্যের ভিত্তিতে গত বছর প্রায় ৬.১৫মিলিয়ন নাগরিকের ওপর বিমান ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। যারা তাদের সামাজিক অপরাধের কারণে সরকারি নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছিল বলে প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছিল।
|
|
|
|
রোগমুক্ত এবং সুস্থ শরীররের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে হাতের পাঁচটি আঙ্গুল। চিকিৎসকরা বলছেন, এই আঙ্গুলগুলো শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই আঙুল ম্যাসাজ করলে শরীরের বিভিন্ন অংশের উপকার হয়। শুধু স্বাস্থ্য সমস্যা নয়, আবেগ নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই আঙুল।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিটি আঙুল স্নায়ুর সঙ্গে যুক্ত থাকায়, নিয়মিত ম্যাসাজ পরোক্ষভাবে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। নিয়মিত আঙুল ম্যাসাজে মাথাব্যথা, চাপ, ঝিমুনি, দুর্বলতা এবং অন্য যে কোনো স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান হয়। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দৈনিক পাঁচ মিনিট করে আঙুল ম্যাসাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বৃদ্ধাঙ্গলী : বৃদ্ধাঙ্গুলের সঙ্গে প্লীহা ও পাকস্থলীর যোগসূত্র রয়েছে। এই আঙুল ম্যাসাজে উদ্বেগ এবং চাপ কমে যায়। আপনার মেজাজ যদি খুব খারাপ হয় এবং আপনি যদি অনেক ক্লান্ত বোধ করেন তাহলে বৃদ্ধাঙ্গুলী ৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এর ফল সঙ্গে সঙ্গেই টের পাবেন।
তর্জনী : মাংসপেশী, কিডনি এবং ভয় মানসিক স্বাস্থ্য, এই বিষয়গুলোর সঙ্গে হাতের তর্জনী জড়িত। যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, তর্জনী কিডনির স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। কাজেই যদি আপনি মাংসপেশীতে ব্যথা অনুভব করেন তাহলে তর্জনী ম্যাসাজ করুন।
মধ্যমা : মধ্যমা আঙুল ম্যাসাজ করলে রাগ ও ক্লান্তি দূর হয়। এই আঙুলের ম্যাসাজে নেতিবাচক আবেগ কমে যাওয়ার পাশাপাশি যকৃৎ হয়ে ওঠে আরও স্বাস্থ্যবান।
অনামিকা : অনামিকা আঙুল ম্যাসাজে বদহজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটে। একই সঙ্গে অস্থির চিত্তকে শান্ত রাখতে ভূমিকা রাখে অনামিকা। তবে এই আঙুল ম্যাসাজের সময় দীর্ঘশ্বাস নিলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
কনিষ্ঠা : অনিশ্চয়তা এবং দুর্বলতা কাটিয়ে আপনাকে শান্ত করতে সাহায্য করে কনিষ্ঠা আঙুল। এই আঙুলের ম্যাসাজে একজন ব্যক্তির আত্মবিশ্বাসের উন্নতি ঘটে। এটি আমাদের শরীরে শিথিলতার ভাব এনে দিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
হাতের তালুতে ম্যাসাজ করলে ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে হাতের তালু হোক কিংবা আঙুল, ম্যাসাজের সময় অবশ্যই সঠিকভাবে শ্বাস নিন। তাহলে ভালো ফল পাবেন।
|
|
|
|
পরীক্ষায় নকল ঠেকাতে ভারতের বিহার রাজ্যে পরীক্ষার্থীদের জুতা ও মোজা পরিধান না করে কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশনা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। রাজ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সোমবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
২১ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। এতে অংশ নেবে প্রায় ১৮ লাখ শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় নকল ঠেকাতে জুতা ও মোজা পরিধান না করে কেন্দ্রে স্রেফ স্যান্ডেল পরে কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপরেও কেন্দ্রে প্রবেশের সময় পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি করা হবে। এছাড়া কক্ষে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যাতে কেউ নকল বা অন্যেরটা দেখে উত্তর লিখতে না পারে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোনো শিক্ষার্থী জুতা ও মোজা পরে কেন্দ্রে এলে তাকে বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হবে।
এর আগে বিহারের মাধ্যমিকসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় ব্যাপক নকলের অভিযোগ পাওয়া উঠেছে। ২০১৩ সালে নকলের অভিযোগে ১ হাজার ৩০০ পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছিল। ওই সময় সন্তানদের নকল সরবরাহের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় ১০০ অভিভাবককে। নকল বন্ধে ২০১৬ সালে রাজ্য সরকার জেল ও জরিমানার বিধান রেখে আইনও পাশ করে।
|
|
|
|
বিয়ে শাদিতে নাচ গান তো স্বাভাবিক বিষয়। তবে অনেক ব্যতিক্রমী ঘটনারও শেষ নেই। বিয়েকে স্মরণীয় করতে কে না চায়! বিয়েতে কনে বরের পোশাক বর কনের পোশাক, সমুদ্রের তলদেশে বিয়ে করে বিশ্ব মিডিয়ায় শিরোনাম হয়েছেন অনেকে। এবার নিজের বিয়েতে নিজেই উপস্থাপনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হৈচৈ ফেলে দিলেন এক পাকিস্তানি টিভি সাংবাদিক।
পাকিস্তানের বেসরকারি টিভি চ্যালেন সিটি-৪১ এর সাংবাদিক হান্নান বুখারি। বর সেজে আসেন কনের বাড়িতে। সঙ্গে স্পোর্টস বাইকে চড়ে আসনে বরযাত্রীরা। সাংবাদিকদের এ বিয়ের খবর পরিবেশন করছিলেন চ্যানেলটির আরেক সাংবাদিক। এ সময় ‘বোম’ মাইক হাতে নিয়ে নিজেই শুরু করে দিলেন উপস্থাপনা। শুনালেন নিজের প্রেম কাহিনী। সাক্ষাৎকার নিলেন বর কনের বাবা মারও।
ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা হলে লাইক শেয়ারের বন্যা বয়ে যায়। বর কনের দাম্পত্য জীবনের সুখ কামনা করেন তারা। সূত্র: ডেইলি পাকিস্তান
|
|
|
|
২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে ফ্লোর জিমন্যাস্টিকসে স্বর্ণ পদক পান মিখাইলা ম্যারোনি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র জিমন্যাস্টিকস ন্যাশনাল গভর্নিং বডির কাছে দলের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করে আসলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এরপর ম্যারোনি বিষয়টি নিয়ে মামলা করলে আদালত যুক্তরাষ্ট্র জিমন্যাস্টিকস দলের কর্মকর্তাদের সোয়া মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
ম্যারোনির আইনজীবী জন ম্যানলি আদালতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জিমন্যাস্টিকস নিশ্চুপ থাকায় ১৩ বছর বয়স থেকে ম্যারোনিকে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে আসতে হয়েছে। দলের ইহুদি চিকিৎসক ল্যারি নাসার যিনি একাধিক যৌন নির্যাতনের দায়ে ও শিশু পর্ণগ্রাফি তৈরি করার জন্যে বর্তমানে সাজা ভোগ করছেন। দুই দশক ধরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জিমন্যাস্টিক দলের চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও তার বিরুদ্ধে অন্তত ১৪০ জন যৌন নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন যাদের অধিকাংশই শিশু। ল্যারির বিরুদ্ধেই যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেন ম্যারোনি।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, ২০১৬ সালে ম্যারোনির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র জিমন্যাস্টিকস দলের এক চুক্তি অনুসারে কোনো ব্যক্তিগত বিষয় জনসমক্ষে প্রকাশ না করার শর্ত ছিল। গার্ডিয়ান বলছে, এ শর্ত ভাঙলে ম্যারোনিকে ১ লাখ ডলার জরিমানা করার শর্ত ছিল ওই চুক্তিতে। এ চুক্তির মেয়াদ গত অক্টোবরে শেষ হওয়ার পর যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে ‘মি টু’ আন্দোলনে যোগ দেন ম্যারোনি এবং তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের ব্যাপারে মুখ খোলেন।
আদালত বলছে, যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করার পরও যুক্তরাষ্ট্র জিমন্যাস্টিকস কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্ককে ঘটতে দিয়েছে এবং ম্যারোনির সঙ্গে যে চুক্তি করেছিল তাও বিধি সম্মত ছিল না।
|
|
|
|
রাস্তায় বেরুলে প্রতিনিয়ত শুনতে হয় গাড়ির কর্কশ হর্ন। গাড়ি চালকরা প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে হর্ন বাজিয়ে কানের বারোটা বাজিয়ে দেন। বিশেষ করে শহরে যাদের বসবাস ব্যাপারটির সঙ্গে তারা খুব ভালোভাবেই পরিচিত। অথচ গত ১৮ বছর গাড়ি চালিয়ে একবারো হর্ন বাজাননি এক ব্যক্তি। কিন্তু তিনি গাড়ি চালিয়েছেন শহরের বিভিন্ন অলি-গলিতে। অনেকে শুনলে হয়তো বলেই ফেলবেন- দূর এসব বানানো গল্প। এটা কী করে সম্ভব? তবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন কলকাতার গাড়িচালক দীপক দাস। এমন তাক লাগানো কর্মের জন্য তিনি পেয়েছেন ‘কলকাতা মানুষ সম্মান পুরস্কার।’ তার গাড়িতে শুধুমাত্র সাধারণ যাত্রী নয়, বিখ্যাত তবলা বাদক পণ্ডিত তন্ময় বোস, গিটারিস্ট কুণালসহ একাধিক নামকরা ব্যক্তি তার গাড়িতে চড়েছেন। তারা লক্ষ্য করেছেন, দীপক গাড়ির হর্ন বাজান না। শব্দ দূষণ কমাতে তার এই পদক্ষেপ। দীপকের এই কৃতিত্বকে সম্মান জানিয়েছে মানুষ মেলা। এ প্রসঙ্গে দীপক দাসের ভাবনা চলুন তার মুখ থেকেই শুনি: ‘‘আমি মনে করি, প্রত্যেক চালকের উচিৎ ‘হর্ন পলিসি’ মেনে চলা। তা হলেই গাড়ি চালানোর সময় অনেক বেশি মনোযোগী ও সচেতন হওয়া যায়। এটা করা অসম্ভব নয়। কঠিনও নয়। দূরত্ব বজায়, স্পিড ঠিক রাখা ও সময় জ্ঞান ঠিকঠাক থাকলে কাউকে হর্ন বাজাতে হয় না।’’ কখনো কি যাত্রীরা হর্ন বাজানোর কথা বলেনি? এমন প্রশ্নের উত্তরে দীপক বলেন, ‘বলে, কিন্তু আমি তাদের বলি, এটা কোনো সমস্যার সমাধান হতে পারে না।’ দীপকের গাড়িতে একটি প্ল্যাকার্ড লাগানো থাকে। যেখানে লেখা রয়েছে, ‘হর্ন ইজ অ্যা কনসেপ্ট। আই কেয়ার ফর ইয়োর হার্ট।’ এ প্রসঙ্গে দীপক বলেন, ‘কোনো কিছু অর্জন করা যাবে না বা খুব কঠিন কাজ এটা ভাবা সম্পূর্ণ ভুল। আমি মনে করি, এ জন্য প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতারও প্রয়োজন আছে।’ প্রসঙ্গত, মানুষ মেলার এটা দ্বিতীয় বছর। নিজ চেষ্টায় যারা সমাজে অবদান রাখছেন তাদের এই সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মান জানানো হয়। মানুষ মেলার অন্যতম উদ্যোক্তা সুদীপা সরকার বলেন, যারা দীপক দাসের গাড়ি ভাড়া করেছেন, কিংবা চড়েছেন তারা সকলেই তার এই অসামান্য কৃতিত্বের কথা বলেছেন। ফলে তিনিই এই পুরস্কারের দাবিদার। গত বছর এই সম্মান ঝুলিতে পুরেছেন বীণা উপাধ্যায়ক। নিজের আর্থিক অস্বচ্ছলতা সত্ত্বেও রাস্তার পশুদের উদ্ধার করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করায় তাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়।
|
|
|
|
ভারতে যে পরিবার হরহামেশায় পত্রিকার খবর হয়। আর সেখানে সেই পরিবারের ছেলের বিয়ে। সেটা তো খবর হবেই। ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি ছেলের বিয়ের কথাই বলা হচ্ছে। মুকেশ আম্বানির বড় ছেলের বিয়ে ঠিক হয়েছে। আকাশ আম্বানির সেই বিয়ের কার্ড নিয়ে চলছে যত আলোচনা। প্রতিটি কার্ডের মূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা। এ থেকে বুঝা যাচ্ছে মুকেশ আম্বানির সন্তান আনান্ত, আকাশ এবং ঈশা অম্বানীর জীবন যথেষ্ট আরামদায়ক। আম্বানী পরিবারের সামান্য প্রতিক্রিয়া সংবাদ হয়ে ভাইরাল হয়ে যায়। বর্তমানে ভারতের ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির বাড়িতে ঠিক এইরকম কিছু হচ্ছে, যার আলোচনা হচ্ছে।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী , মুকেশ আম্বানির বড় ছেলে আকাশ আম্বানির বিয়ে ঠিক হয়েছে। দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির ছেলের বিয়ে। তাহলে সেটা আলোচনার বিষয় হবে। কিন্তু আম্বানির ছেলের বিয়ের আলোচনার তুলনায় বিয়ের কার্ড নিয়ে সবথেকে বেশি আলোচনা হচ্ছে।
যে কার্ডটি আম্বানির পরিবার পছন্দ করেছে তার মূল্য জানার পর আপনি অবাক হযে যাবেন। বলা হচ্ছে যে একটি কার্ডের দাম প্রায় দেড় লাখ টাকা।
এবার নিশ্চয়ই আপনাদের মধ্যে কৌতূহল হবে যে এই কার্ডের মধ্যে এমন কি বিশেষত্ব আছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই কার্ডের সম্পর্কে বলা হচ্ছে, এই কার্ডটি সোনার তৈরি। এই কার্ডের ওপর প্রচুর ব্যয়বহুল কারিগরি করা হয়েছে।
বলা হচ্ছে যে এই বছরের ডিসেম্বরে আকাশ আম্বানি বিয়ে করতে পারেন। তবে আম্বানী পরিবারের পক্ষ থেকে এখন কিছু বলা হয়েনি বিয়ে কবে এবং কোথায় হবে। সম্ভবত এই সম্পর্কে শীঘ্রই তথ্য দেওয়া হতে পারে।
|
|
|
|
আমাদের অনেকেই শীতের সকালে গোসল করার কথা উঠলে কুঁকড়ে যাই। কুঁকড়ে যাওয়াই ভালো। কারণ ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে প্রতিদিন গোসল না করাই ভালো। কেননা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি গোসল করলে ত্বকের ক্ষতি হয়। শীতকালে প্রতিদিন সকালে গোসল না করার প্রয়োজনীয়তা শীতে ত্বকের নিজেকে পরিষ্কার করার কৌশল গোসলের চেয়ে বেশি কার্যকর।
বোস্টনের ত্বক বিশেষজ্ঞ ড. র্যানেল্লাহির্সচ বলেছেন, লোকে শুধু নোংরা হওয়ার কারণেই প্রতিদিন গোসল করেন না বরং সামাজিক রীতির সঙ্গে মানিয়ে চলার জন্যই প্রতিদিন গোসল করেন। গবেষণায় দেখা গেছে, শীতকালে আমাদের ত্বকের নিজেকে নিজে পরিষ্কার করার কৌশলটি বরং গোসলের চেয়ে বেশি কার্যকর। আপনি যদি প্রতিদিনই শরীরচর্চা না করেন বা না ঘামেন বা এমন কাজ না করেন যাতে আপনার শরীর নোংরা হয় না তাহলে পানি থেকে দূরে থাকুন।
আপনি যদি শীতকালে প্রতিদিন সকালেই গরম পানি দিয়ে গোসল করেন তাহলে আপনি আপনার দেহের উপকার করার চেয়ে বরং ক্ষতিই করছেন বেশি। এতে আপনার ত্বক আরো বেশি খসখসে এবং শুষ্ক হয়ে উঠবে। যার ফলে ত্বককে আর্দ্র এবং সুরক্ষিত রাখতে এতে যে প্রাকৃতিক তেল নিঃসরিত হয় তা নষ্ট হয়ে যায়। আর যাদের প্রতিদিনই যদি গোসল করা জরুরি হয় তাহলে শুকনো সাবান এবং শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
রাসায়নিক উৎপন্নের বিষ থেকে রক্ষা করে ত্বক নিজেকে স্বাস্থ্যবান এবং সুরক্ষিত রাখতে উপকারী ব্যাকটেরিয়া উৎপাদন করে। কিন্তু প্রতিদিন গোসল করলে এই ব্যাকটেরিয়াগুলো চলে যায়। সুতরাং শীতকালে দুই দিন বা তিন দিন পরপর একদিন গোসল করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ত্বক বিশেষজ্ঞরাও একই পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
প্রতিদিন গরম পানি দিয়ে গোসল করলে আপনার নখগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। গোসল করার সময় নখ প্রচুর পরিমাণ পানি শুষে নেয়। আর এর ফলেই নখগুলো তাদের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা এবং তেল হারায়। পরিণতিতে নখগুলো শুকিয়ে যায় এবং দুর্বল হয়ে পড়ে।
|
|
|
|
|
|
|