রোগমুক্ত এবং সুস্থ শরীররের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে হাতের পাঁচটি আঙ্গুল। চিকিৎসকরা বলছেন, এই আঙ্গুলগুলো শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই আঙুল ম্যাসাজ করলে শরীরের বিভিন্ন অংশের উপকার হয়। শুধু স্বাস্থ্য সমস্যা নয়, আবেগ নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই আঙুল।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিটি আঙুল স্নায়ুর সঙ্গে যুক্ত থাকায়, নিয়মিত ম্যাসাজ পরোক্ষভাবে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। নিয়মিত আঙুল ম্যাসাজে মাথাব্যথা, চাপ, ঝিমুনি, দুর্বলতা এবং অন্য যে কোনো স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান হয়। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দৈনিক পাঁচ মিনিট করে আঙুল ম্যাসাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বৃদ্ধাঙ্গলী : বৃদ্ধাঙ্গুলের সঙ্গে প্লীহা ও পাকস্থলীর যোগসূত্র রয়েছে। এই আঙুল ম্যাসাজে উদ্বেগ এবং চাপ কমে যায়। আপনার মেজাজ যদি খুব খারাপ হয় এবং আপনি যদি অনেক ক্লান্ত বোধ করেন তাহলে বৃদ্ধাঙ্গুলী ৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এর ফল সঙ্গে সঙ্গেই টের পাবেন।
তর্জনী : মাংসপেশী, কিডনি এবং ভয় মানসিক স্বাস্থ্য, এই বিষয়গুলোর সঙ্গে হাতের তর্জনী জড়িত। যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, তর্জনী কিডনির স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। কাজেই যদি আপনি মাংসপেশীতে ব্যথা অনুভব করেন তাহলে তর্জনী ম্যাসাজ করুন।
মধ্যমা : মধ্যমা আঙুল ম্যাসাজ করলে রাগ ও ক্লান্তি দূর হয়। এই আঙুলের ম্যাসাজে নেতিবাচক আবেগ কমে যাওয়ার পাশাপাশি যকৃৎ হয়ে ওঠে আরও স্বাস্থ্যবান।
অনামিকা : অনামিকা আঙুল ম্যাসাজে বদহজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটে। একই সঙ্গে অস্থির চিত্তকে শান্ত রাখতে ভূমিকা রাখে অনামিকা। তবে এই আঙুল ম্যাসাজের সময় দীর্ঘশ্বাস নিলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
কনিষ্ঠা : অনিশ্চয়তা এবং দুর্বলতা কাটিয়ে আপনাকে শান্ত করতে সাহায্য করে কনিষ্ঠা আঙুল। এই আঙুলের ম্যাসাজে একজন ব্যক্তির আত্মবিশ্বাসের উন্নতি ঘটে। এটি আমাদের শরীরে শিথিলতার ভাব এনে দিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
হাতের তালুতে ম্যাসাজ করলে ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে হাতের তালু হোক কিংবা আঙুল, ম্যাসাজের সময় অবশ্যই সঠিকভাবে শ্বাস নিন। তাহলে ভালো ফল পাবেন।