সৌন্দর্য সচেতন নারীরা অনেকেই বছরের পর বছর ধরে মেকআপ প্রডাক্ট ব্যবহার করে থাকেন। অথচ প্রোডাক্টের এক্সপায়ার ডেট, অথবা পণ্যটি কতবার ব্যবহার করা উচিত, কিংবা ব্যবহারের পর কীভাবে যত্নে রাখতে হয় মেকআপ কিট, এসব বিষয়ে সচেতনতা খুবই কম। এছাড়া মেকআপের কারণে চোখে বা ত্বকে সংক্রমণ হলে কোন ধরণের মেকআপ ব্যবহার করা যাবে না। অথচ এ বিষয়ে আমাদের ন্যূনতম কিছু ধারণা রাখা উচিত। আসুন জেনে নেওয়া যাক এ প্রসঙ্গে।
►মেকআপের আয়ু বাড়ানোর সবচেয়ে ভালো উপায় প্রয়োজন না হলে এর সীল না খোলা আর নতুন মেকআপ কিনে সোজা রেখে দিন ফ্রিজে। খেয়াল রাখবেন যাতে সরাসরি সূর্যের আলো মেকআপ প্রোডাক্টের উপর না পড়ে।
►একবার ব্যবহারের পর মেকআপের ঢাকা বা শিশি সবসময় টাইট করে বন্ধ হয়েছে কি না একবার দেখে নিন।
►সমস্ত মেকআপের মধ্যে মাসকারার আয়ু সবচেয়ে কম। শুনলে অবাক হবেন মাত্র তিন মাস। কারণ তারপর পুরনো মাসকারা ব্যবহারে চোখে সহজেই ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর ভুলেও নব্বই দিন পেরিয়ে গেলে মাসকারায় পানি মিশিয়ে ব্যবহারের চেষ্টা করবেন না। তাতে হিতে বিপরীত হবে বই কী!
►আই পেন্সিল বা কাজল পেন্সিলের ব্যাপারটা একটু আলাদা। নির্ভয়ে ব্যবহার করতে পারেন টানা দু বছর। তবে প্রতিবার ব্যবহারের আগে মুখটা কেটে নিতে ভুলবেন না।
►লিক্যুইড আইশ্যাডোর আয়ু মাত্র একবছর। তবে পাউডার আইশ্যাডো হেসেখেলে দুবছর চালিয়ে নিতে পারেন।
►চোখে যদি কোনওরকম ইনফেকশন হয়, তাহলে ভুলেও মেকআপের দিকে হাত বাড়াবেন না। দুদিন না হয় একটু নো মেকআপ লুকে থাকলেন, চোখটা তো বাঁচবে।
►একই লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন টানা দু বছর। কিন্তু কখনও শুনেছেন কি প্রতিবার ব্যবহারের আগে লিপস্টিকের মুখটা একটু ছুঁচলো করে নিতে হয়? জ্বী, মেকআপ বিশেষজ্ঞদের মতে, এটাই দস্তুর।
►মেকআপ করার আগে যদি দেখেন তা থেক কোনও দুর্গন্ধ আসছে বা সবজে রঙের কোনও ছোপ পড়েছে, তাহলে ভুলেও ওই মেকআপ লাগাবেন না। তাহলে সোজা ডার্মাটোলজিস্টের কাছে ছুটতে হবে।
► যখন কোনও নতুন মেকআপ প্রডাক্ট ব্যবহার শুরু করবেন, তখন তার উপর ডেট লিখে রাখুন। পরে আপনার নিজেরই মনে রাখতে সুবিধে হবে।
►ক্রিম ব্লাশ একবছর আর পাউডার ব্লাশ নির্ভয়ে দু বছর মুখে লাগাতে পারেন।