এতিমের ভরণপোষণকারী জান্নাতে নবীজির সবচেয়ে কাছে থাকবে
15, February, 2018, 1:15:30:AM
আল্লাহ তাআলা জান্নাতীদের প্রশংসা ও গুণ বর্ণনা করে ইরশাদ করেছেন, তারা আল্লাহর ভালবাসায় মিসকীন, ইয়াতীম ও বন্দীদেরকে খাবার দান করে। (এবং তাদেরকে বলে,) আমরা তো তোমাদেরকে খাওয়াই কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। আমরা তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না এবং কৃতজ্ঞতাও না।-সূরা দাহর (৯৮) : ৮-৯
ইতিম, মিসকীন ও বিধবাদের প্রয়োজন পূরণে সহযোগিতা করা হাদীসের ভাষায় জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ এবং দিনের বেলায় রোযা রাখা ও রাত্রিবেলায় নফল নামায আদায়ের সমতুল্য।
এ বিষয়ে হাদীসে এসেছে, হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি স্বামীহীন নারী ও মিসকীনদের সহযোগিতার জন্য পরিশ্রম করে সে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর মতো এবং সেই ব্যক্তির সমতুল্য যে দিনের বেলায় রোযা রাখে এবং রাত্রিবেলায় নফল নামায আদায় করে।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ৫৩৫৩, ৬০০৬-৭
হাদীসে এসেছে, যে নিরবচ্ছিন্ন রোযা রাখে এবং নিরলস নফল নামায পড়ে তার সমতুল্য।-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২৯৮২
অন্য এক হাদীসে এসেছে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আমি এবং ইয়াতীমের ভরণপোষণকারী জান্নাতে এভাবেই থাকব। এ কথা বলে তিনি তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুলী একত্র করে ইঙ্গিত করলেন।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ৬০০৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২৯৮৩