ইসলামি শরীয়াতে বিয়ের অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে! ইসলামে বিয়ে হল একটি সুন্নাহ বা মুহাম্মদ সা. এর আদর্শ এবং ইসলামে বিয়ে করার জন্য অত্যন্ত জোরালোভাবে পরামর্শ দেয়া হয়েছে! কোরআনে পাকে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, তোমরা বিয়ে কর নারীদের মধ্য থেকে দুুইটা তিনটা ও চারটা যাদের তোমাদের ভাল লাগে! বুখারি মুসলিমসহ সমস্ত হাদিসের কিতাবে বিবাহের জন্য একটি আলাদা অধ্যায় কায়েম করা হয়েছে! যার স্ত্রী নেককার হবে সে বড়ই ভাগ্যবান আর এই নেককার স্ত্রী পাওয়ার জন্য কিছু নিয়ম কানন মানা আবশ্যক সেটা হল হাদিস মোতাবেক বিয়ে করা! হাদিস শরিফে রাসূল (সা:) ইরশাদ করেন, তোমরা বিয়ের পূর্বে নারীদেরকে ভালভাবে দেখে নিয়ো! যাতে পরবর্তীতে তোমাদের ঘর সুখের হয় এবং কোন সমস্যা না হয়! একজন নারীর মধ্যে যদি উপরে উল্লেখিত তিনটি গুণই আছে কিন্তু দ্বীনদারিতা নাই তাহলে সে নারীকে বিয়ে করনা। আর যদি উপর উল্লেখিত তিনটি গুণ নাই শুধু দ্বীনদারিতা আছে তবুও সে নরীকে বিয়ে কর এতে শান্তি আছে! শান্তির ব্যাপারে আমি হযরত হাসান বসরী (রহ.) এর একটি গঠনা বর্ণনা করছি! হযরত হাসান বসরী (রহ.) বলেছেন: আমি একবার হজের সময় মক্কার বাজারে কাপড় কিনতে গেলাম! দোকানদার কাপড়ের খুবই প্রশংসা করে এবং মাঝে মাঝে কসম করেও বলে আমার কাপড় বাজারের সেরা কাপড়। এমন কাপড় আর কোথাও পাবেন না! এসব দেখে হযরত হাসান বসরী (রহ.) কাপড় না কিনে দোকান থেকে বেরিয়ে এসে বললেন, এই লোকের থেকে কাপড় কেনা মনে হয় নিরাপদ নয়! এর দুই বছর পর আমি আবার যখন হজে গেলাম এবং কাপড় কেনার জন্য মক্কার বাজারে গেলাম আর অদূরে থেকে লক্ষ্য করলাম গত বছরের সেই লোকটি কাপড় বিক্রি করছে কিন্তু আগের মতো প্রশংসা, কসম কিছু করছেনা! ক্রেতা নিজের পছন্দ মতো কেনাকাটা করছে! আমি এগিয়ে জানতে চাইলাম:তুমি কি সেই অমুক লোক? কাপড় বিক্রি করার জন্য কসমও করতে! তখন উত্তরে লোকটি বলল জী আমি সেই অমুক! আমি বলল তাহলে তোমার এই পরিবর্তনের কারণ কী? উত্তরে বললেন আমার ঘরে প্রথমে একজন জল্লাদ স্ত্রী ছিল! আমি যদি সন্ধ্যায় অল্প টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরতাম! তখন সে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে আমার রাতটাকে মাটি করে দিত! আর যত টাকাই নিয়ে যেতাম তার চোখে লাগত না! বলতো হালাল হারাম বুঝি না বেশি কেন রুজি করলাম না? তা নিয়ে উঠতে-বসতে খোঁটা শুনতে হতো! যাহোক আমার এই জল্লাদ স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে আমি দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। আল্লাহ রহমতে এই স্ত্রী অনেক ভাল দ্বীনদার। আমি যখন বাজারে কাপড় ব্যবসার জন্য যেতাম তখন আমার স্ত্রী ডেকে বল্ল শোন! হে আমার প্রাণের স্বামী তুমি সদাসর্বদা আল্লাহকে ভয় করবে এবং হালাল রুজি কামায় করবে হারাম থেকে বিরতো থাকবে! প্রয়োজনে কম রোজগার করবে! আমার এটাকে আল্লাহ পক্ষ থেকে খুশি হিসেবে মেনে নিবে কখনো হারামের কাছে যাবেন না! আল্লাহ আমাদের সবাইকে একজন দ্বীনদার স্ত্রী দান করুন আমীন!