মৃত্যুর পর মুমিনদের চিরস্হায়ী বাসস্হান হিসেবে মহান আল্লাহ রাব্বুর আলামীন সৃষ্টি করেছেন অপার শান্তি -সুখের আবাস “জান্নাত “। জান্নাত অস্বীকারকারীকে আল্লাহ কঠিন শাস্তি দিবেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কালামে পাক ইরশাদ করেছেন, এবং উত্তম বিষয়কে মিথ্যা মনে করে, আমি তাকে কষ্টের বিষয়ের জন্যে সহজ পথ দান করব। (সুরা লাইল-৯-১০) স্বয়ং আল্লাহই তোমাদেরকে শান্তি-নিরাপত্তার আলয়ের প্রতি আহবান জানান এবং যাকে ইচ্ছা সরলপথ প্রদর্শন করেন (সুরা ইউনুস-২৫) তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা এবং জান্নাতের দিকে ছুটে যাও যার সীমানা হচ্ছে আসমান ও যমীন, যা তৈরী করা হয়েছে পরহেযগারদের জন্য। (আল ইমরাম-১৩৩) যারা তাদের পালনকর্তাকে ভয় করত তাদেরকে দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। যখন তারা উম্মুক্ত দরজা দিয়ে জান্নাতে পৌছাবে এবং জান্নাতের রক্ষীরা তাদেরকে বলবে, তোমাদের প্রতি সালাম, তোমরা সুখে থাক, অতঃপর সদাসর্বদা বসবাসের জন্যে তোমরা জান্নাতে প্রবেশ কর। (যুমার-৭৩) নিশ্চয় মুওাকীদের জন্য রয়েছে সফলতা, প্রাচির বেষ্টিত বাগান ও আঙ্গুরপুঞ্জ ও সমবয়স্কা যুবতিবৃন্দ এবং কানায়া কানায় পূর্ন পানপাত্র। (নাবা- ৩১-৩৪) সেখানে তারা হেলান দিয়ে বসবে। তারা সেখানে চাইবে অনেক ফল-মূল ও পানীয় (সাদ-৫১) জান্নাতে জান্নাতিদের জন্যে থাকবে ফল-মূল এবং যা চাইবে। (ইয়াসিন-৫৭) নির্মল পানির নহর দুধের নহর যার স্বাদ অপরিবর্তনীয় আরও আছে পানকারীদের জন্য সুস্বাদু শরাবের নহর ও পরিশোধিত মধুর নহর। (মোহাম্মাদ-১৫) যারা ডান দিকে থাকবে, তারা কত ভাগ্যবান। তারা থাকবে কাঁটাবিহীন বদরিকা বৃক্ষে। এবং কাঁদি কাঁদি কলায়, এবং দীর্ঘতম ছায়ায়।সদা প্রবাহমান পানি। ও প্রচুর ফল-মূলে, যা শেষ হবে না এবং নিষিদ্ধও হবো না। আর থাকবে সমুন্নত শয্যা সমূহ। (ওয়াক্বি’আহ-২৭-৩৪) তারা বলবে, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের প্রতি তাঁর ওয়াদা পূর্ণ করেছেন এবং আমাদেরকে এ ভ‚মির উত্তরাধিকারী করেছেন। আমরা জান্নাতের যেখানে ইচ্ছা বসবাস করব। মেহনতকারীদের পুরস্কার কতই চমৎকার। (যুমার-৭৪) জান্নাতীরা দোযখীদেরকে ডেকে বলবেঃ আমাদের সাথে আমাদের প্রতিপালক যে ওয়াদা করেছিলেন, তা আমরা সত্য পেয়েছি? অতএব, তোমরাও কি তোমাদের প্রতিপালকের ওয়াদা সত্য পেয়েছ? তারা বলবেঃ হ্যাঁ। অতঃপর একজন ঘোষক উভয়ের মাঝখানে ঘোষণা করবেঃ আল্লাহর অভিসম্পাত জালেমদের