গর্ভবতীদের জন্য আয়রন খুবই প্রয়োজন এবং এর চাহিদা মেটানোর উপকরণ অভাবের কারণে অনেক নারীই অন্তঃসত্ত্বাকালীন শারীরিক দুর্বলতাসহ বিভিন্ন রোগের শিকার হন। অনেকেই জানেন না এই মহা নেয়ামত আয়রন লুকিয়ে আছে খেজুরের ভেতর।
আল-কুরআনে হযরত মারয়াম আ. এর অন্তঃসত্ত্বা এবং প্রসবোত্তর সময়ে খাদ্য হিসেবে আল্লাহ তা’ আলা খেজুরের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আধুনিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা সুদীর্ঘ গবেষণার পর খেজুরের মধ্যে আয়রন ঘাটতি পূরণের প্রচুর উপাদান রয়েছে।
তাছাড়া হাদীসেও অন্তঃসত্ত্বাদের আয়রন ঘাটতির জন্য খেজুরের কথা এসেছে। হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, নবী সা. এরশাদ করেছেন, আমার নিকট প্রসূতি মায়ের জন্য খেজুরের ন্যায় কোনো শিফা (চিকিৎসা) নেই। আর না মধুতুল্য কোন বস্তু রোগীদের জন্য উপকারী আছে।
নবী সা. আরো বলেন, তোমরা নিজ নিজ প্রসূতি মাকে খেজুর খাওয়াও। কেননা মরিয়ম (আ.) -এর কোলে হযরত ঈসা আ. জন্ম গ্রহণের পর তাকে তাকে ঐশী খাদ্য হিসেবে এ খাবারই দেয়া হয়েছিল।
তাছাড়া খোদায়ী জ্ঞানে যদি এর চেয়ে উত্তম কোনো খাবার থাকতো তাহলো তা মরিয়ম (আ.)-কে খাবার হিসেবে দেয়া হতো।
নবীজি আরো বলেছেন, প্রসূতি মহিলারা খেজুর ভক্ষণ করলে সন্তান ভদ্র হয়ে থাকে। (নুজহাতুল মাজালিস ২য় খণ্ড)।
অন্তঃসত্ত্বাকালীন মহিলাদেরর রক্তশূণ্যতা দূরীকরণে ফীফালবিট ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়ে থাকে। বার্লিন ইউনিভার্সিটির ফার্মাকোলজি বিভাগের ডাক্তার নিক্স ক্লোর খেজুরের ওপর দীর্ঘ গবেষণার পর এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, প্রতিদিন যদি অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদেরকে একটি করে খেজুর খাওয়ানো হয় তাহলে গর্ভবতীর সর্ব শরীরে এর প্রভাব পড়ে এবং বাচ্চাও শক্তিশালী হয়। যেসব গর্ভবতী খেজুর ভক্ষণ করে প্রসবকালীন সমস্যা হ্রাস পাবে।
খেজুর যেহেতু আয়রনে ভরপুর অপরদিকে গর্ভবতীদের দেহে আয়রনের প্রয়োজনীয়তা প্রকট, সুতরাং তাদেরকে খেজুর খাওয়ানো খুব জরুরি। বিশেষজ্ঞরা প্রসবোত্তর সময়ে খেজুর খাওয়ানোর ওপর জোর দিয়ে থাকেন। এতে ডেলিভারির যাবতীয় সমস্যা দূর হয়ে যায়। অন্যদিকে সিজার সমস্যা থেকেও নিরাপদ থাকা যায় সহজেই। (সুন্নাহ অ্যান্ড মডার্ন সায়েন্স অবলম্বনে)