চলন অঞ্চলের কৃষকরা বন্যায় আমনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ব্যাপকভাবে সরিষার আবাদ করেছেন। এ অঞ্চলের ফসলের মাঠগুলোতে এখন সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে। মাঠের পর মাঠজুড়ে বিরাজ করছে থোকা থোকা হলুদ ফুলের দুষ্টিনন্দন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। সরষের ফুল আকৃষ্ট করছে মৌমাছিসহ প্রকৃতি প্রেমীদের। গোটা চলনবিলাঞ্চল মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে। মৌচাষিরা মধু আহরণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে চলতি মওসুমে এ অঞ্চলে লাভজনক মধু উত্পাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
যেদিকে দৃষ্টি যায় শুধু সবুজের ফাঁকে হলুদের সমাহার। রাস্তার ধারে কিংবা ফসলের মাঠে সবুজের মাঝে চোখ ধাঁধানো হলুদ ফুল আর ফুল। ফুলের বিস্তীর্ণ মাঠে দূরন্ত শিশুরা মেতে উঠছে নানা রকমের খেলাধূলায়। সিংড়া উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে সরিষার মাঠগুলোতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। এ সময়টা পোকা-মাকড়সহ বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ বেশি হওয়ায় কাক্ষিত ফসল ঘরে তুলতে বাড়তি পরিচর্যা করতে হচ্ছে কৃষকদের।
নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে সরিষার আবাদ দেখা যায় তবে এ বছর আবাদ অনেক কম হয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি অফিস। সিংড়া উপজেলা কৃষি অফিসার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ বছর চলনবিলের পানি নামতে দেরি হওয়ায় সরিষার ফলন খুব একটা ভালো হয়নি। গতবছর ১৪০০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হলেও এ বছর তা কমে ৮৩০ হেক্টরে দাড়িয়েছে। তিনি আরো জানান, উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ হতে সার্বক্ষণিক তদারকি অব্যাহত রয়েছে।