নোংরা পরিবেশ আর দূষিত পানির কারণে স্বাস্থ্য সমস্যায় জর্জরিত রাজধানীর বস্তিগুলো। চিকিৎসা খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে স্বল্প উপার্জনের মানুষেরা। সমস্যা মোকাবিলায় গ্রামাঞ্চলের মতো শহরের বস্তি এলাকাতেও কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের তাগিদ দিচ্ছেন উন্নয়ন গবেষকরা। তবে বিদ্যমান সরকারি হাসপাতালেই সার্বিক স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান দেখছে সিটি করপোরেশন।
বস্তির পঁচা আবর্জনা ঘেরা দুর্গন্ধময় পরিবেশেও কিছু মানুষ টিকে থাকার চেষ্টা করে জীবনের তাগিদে। রাজধানী ও এর আশপাশের মোটামুটি সব বস্তির পরিবেশই অস্বাস্থ্যকর। এমন পরিবেশে সুস্থ থাকাটাই যেনো অস্বাভাবিক ব্যাপার। ফলে এখানকার ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি-জ্বর-আমাশয়-ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ যেনো নিত্যনৈমিত্তিক। বস্তিতে টয়লেট ও বাথরুমের সংকট চরম।
এক গবেষণার অনুযায়ী পাওয়া যায় , বস্তুতিগুলোতে প্রতি দেড়শ থেকে ২শ’ মানুষের ব্যবহারের জন্য রয়েছে মাত্র একটি করে টয়লেট ও বাথরুম। সেই সঙ্গে রয়েছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট। এ কারণে পানিবাহিত রোগের বিস্তারও বেশি। রোগ যেনো স্বল্প আয়ের মানুষগুলোর জন্য অভিশাপ হয়ে আসে। চিকিৎসা খরচের বোঝা যেনো ভেঙেচুরে দেয় তাদের সাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নকে।
বস্তিবাসীদের প্রাথমিক চিকিৎসা সহজলভ্য ও খরচ কমাতে বস্তি এলাকায় বিশেষ ক্লিনিক স্থাপনের পরামর্শ দিচ্ছেন উন্নয়ন গবেষক রাশেদা রওনক খান।
এদিকে বস্তি এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিকের দরকার আপাতত দরকার নেই বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশন প্রধান নির্বাহী।
এ সম্পর্কে উন্নয়নকর্মীরা বলছেন,‘স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করা গেলে বস্তির মানুষের কর্মক্ষমতা ও উপার্জন যেমন বাড়বে সেইসাথে ধীরে ধীরে আঁধার কেটে গিয়ে তাদের জীবনে মিলবে আলোর দেখা।’