রোহিঙ্গারা এখনও টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত হয়ে প্রবেশ করছে
26, November, 2017, 2:18:26:PM
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ফেরানোর কোন প্রস্তুতি বা উদ্যোগের লক্ষণ নেই। তাই ওপারের সোনাবাহিনী মগের ও পুলিশের নির্যাতন অত্যাচার কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছেনা। তাঁরা রোহিঙ্গা পুরুষদের বিনে পয়সা খাটানো, কাজকর্ম থেকে বিরত রাখে ও বাজার-ঘাট প্রভৃতি জায়গায় পেলে নির্যাতন করা অব্যাহত রেখেছে। তাই রাখাইন থেকে বিতারিত হয়ে এপারে চলে এসেছেন। আজ রোববার পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা এ প্রতিবেদকের কাছে এসব কথা জানান।
টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে রোববার ভোরেও অর্ধ শতাধিক রোহিঙ্গা ঢুকেছে। ২৬ নভেম্বর রোববার ভোর রাতে থেকে এসব রোহিঙ্গা এপারে প্রবেশ করেছেন। টেকনাফ থানা পুলিশের এসআই আশরাফ সকাল থেকে শাহপরীর দ্বীপের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট হয়ে আসা ৪টি পরিবারে ৩০ জন রোহিঙ্গা নারী পুরুষ ও শিশুকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মানবিক সহায়তাপূর্বক ক্যাম্পে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এছাড়া রাতের আধাঁরে ট্রলার বা ছোট ছোট ইঞ্জিন চালিত নৌকায় কতিপয় দালাল চক্রের মাধ্যমে টেকনাফের সৈকত উপকূল হয়ে ঢুকছে রোহিঙ্গারা।
এদিকে রোহিঙ্গারা নির্ধারিত শিবিরে থাকছেননা । ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন জায়াগয়। এমনকি কক্সবাজারের বাহিরেও যেতে দেখা যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। পাশাপাশি যে যার মতো শিবিরগুলোর বাইরে ব্যাঙ্গের ছাতার ঝুপড়ি ঘর গড়ে তুলছে। বিভিন্ন যানবাহনে তাদের অবাধ বিচরণ লক্ষনীয়।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোতে সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার পরও রোহিঙ্গারা টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে এপারে চলে আসছে।